(Rituparno Ghosh)
লাল লিপস্টিক পরে বাড়িতে কিছু না বলেই পালিয়ে গেল ইমরান। রটে গেল বাড়ির ছেলে নিরুদ্দেশ। পাড়ার বয়স্ক জ্যেঠুরা বললেন, নামেই তো বোঝা যায়! নিশ্চয় জঙ্গীদের সঙ্গে কাজ করতে গেছে! ইমরানের বন্ধুরা ভাবল, “পুরো পাগল ছেলে! একটু ব্যাঁকা ছিল তো, দ্যাখ তালি বাজাতে রাস্তায় নেমেছে হয়তো!” (Rituparno Ghosh)
ঋতুপর্ণ নিজে হাতে আমার মেকআপ করে দিয়েছিল: পণ্ডিত অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সেখ ইমরানের পরিবার দিন আনে দিন খায়। বাড়ির সম্বল বলতে একমাত্র কালার টিভি। সেখানেই ২০১৫ সালে ইমরান প্রথম দেখেছিল ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’। সিনেমার প্রধান চরিত্রে ঋতুপর্ণ ঘোষ। ভর দুপুরবেলা বাড়িতে একা একা সিনেমা দেখতে দেখতে ইমরান মুচকি হেসেছিল। ইমরান কেঁদেছিল। ইমরান প্রেমে পড়েছিল। ইমরান মনে মনে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। কলেজের এক পুরুষ বন্ধুর প্রেমে পড়েছিল সে, বাড়িতে জানাজানি হতেই, আম্মুর হাতে অত্যাচার জুটত প্রতিদিন। ইমরান প্রতিবাদ করেনি। কারণ ও সিনেমায় দেখেছিল ঋতুপর্ণকে, দেখতে অনেকটা রেখার মতো। সেই অবিকল চোখ, ঠোঁট, তিল আর দুই ভ্রুর মাঝখানে গাঢ় লাল টিপ। ইমরান রেখা হতে চেয়েছিল। ইমরান ঋতুপর্ণ হতে চেয়েছিল। (Rituparno Ghosh)

মার খেতে খেতে ইমরান পালিয়ে গেল ২০২০ সালের লকডাউনে। সঙ্গী শুধু লাল লিপস্টিক। রাষ্ট্র বলেছিল সবাইকে ঘরে থাকতে, সেই রাষ্ট্রকেই অমান্য করে ইমরান ঘরের বাইরে গেল। ইমরানকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না। ইমরান, নামে সংখ্যালঘু, জাতিতে সংখ্যালঘু, যৌন পরিচয়েও সংখ্যালঘু। এই সংখ্যালঘু পরিচয়ের বাইরে তার ব্যক্তি পরিচয়ে সে বাঁচতে চেয়েছিল হয়তো। হয়তো ইমরানদের নন-বাইনারি সত্তা তাকে পরবর্তীকালে ঋতুপর্ণ কিংবা রেখা হতে সাহায্য করবে। কিংবা তার নিজের পরিচয়ে সে বাঁচবে। কেউ তাকে প্রান্তিক বলে ছোট করবে না। (Rituparno Ghosh)
ঋতুপর্ণ ঘোষ, মৃত্যুর এত বছর পরেও অনেক নারী-পুরুষের মধ্যে স্বমহিমায় বেঁচে আছেন। ‘চিত্রাঙ্গদা’ ছবির একটি সংলাপে তিনি বলেছিলেন, “চিত্রাঙ্গদা একটি ইচ্ছের গল্প, দ্যাট ইউ ক্যান চুজ ইওর জেন্ডার।” আসলে স্বয়ং ঋতুপর্ণই একটি ইচ্ছের গল্প। ইমরানদের মতো হাজার হাজার জনের আশ্রয়। ব্যক্তিগতভাবে ঋতুপর্ণ নিজে কখনও নিজেকে প্রান্তিক বলতেন না। (Rituparno Ghosh)
বরং তাঁর কাজ, রুচি, মেধা দিয়ে বারবার সংখ্যাগুরুকেই আঘাত করেছেন, ভাবিয়েছেন। বলেছেন, তোমরা আমাকে ভালোবাসতে না পারো, কিন্তু অস্বীকার করতে পারবে না। আজ শহরের অট্টালিকা থেকে বস্তির সংসারেও ঋতুপর্ণ উদ্যাপিত হন, তাঁর লিঙ্গ পরিচয়ের জন্য নয়, অসামান্য কাজের ধারাবাহিকতার জন্য। নিজের পছন্দমতো সিনেমা বানিয়েও তিনি আসলে পৌঁছে গিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ থেকে অতি সাধারণের মধ্যে। এখানেই তাঁর জয়। এটাই তাঁর সংখ্যাগুরুর প্রতি চ্যালেঞ্জ। আজকের বাঙালি সমাজে ইউনিসেক্স পোশাক বা সাজের প্রচলনের অনেকখানি স্বাভাবিকতা ঋতুপর্ণর জন্যই সম্ভব হয়েছে, আজ এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। (Rituparno Ghosh)
এই জটিল সমাজব্যবস্থায় গড়পড়তা বা প্রচলিত রীতি ও সংস্কার ভাঙা, তার চেয়েও বলা ভাল যৌনতার কৃত্রিম সীমারেখা অতিক্রম করা নন-বাইনারি মানুষ ও তাঁদের চিন্তাভাবনা নিয়ে চিরকালই তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সমাজ হয়তো কালে কালে বদলেছে, কিন্তু তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করে না, সমাজ বদলায় দু-চারজন মানুষের জন্যই।
এই জটিল সমাজব্যবস্থায় গড়পড়তা বা প্রচলিত রীতি ও সংস্কার ভাঙা, তার চেয়েও বলা ভাল যৌনতার কৃত্রিম সীমারেখা অতিক্রম করা নন-বাইনারি মানুষ ও তাঁদের চিন্তাভাবনা নিয়ে চিরকালই তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সমাজ হয়তো কালে কালে বদলেছে, কিন্তু তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করে না, সমাজ বদলায় দু-চারজন মানুষের জন্যই। সেই দু-চারজনই ধাক্কা দেয়, সমাজব্যবস্থার ভিত নাড়িয়ে দেয়। (Rituparno Ghosh)
পোশাক রাজনীতির ইতিহাস বহু পুরনো। যেকোনও দেশ বা অঞ্চলের মানুষের পোশাক নির্ভর করে প্রধানত সে দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু এবং সংস্কৃতির ওপর। অর্থনৈতিক সামর্থ্যেরও যোগসাজশ থাকে। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরনো নিদর্শন চর্যাপদে নারী-পুরুষের পোশাকের তেমন বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায় না ঠিকই; তবে ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় ও রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁদের লেখায় জানিয়েছেন, একসময় নারী এবং পুরুষ উভয়ই পরতেন একখণ্ড বস্ত্র– শাড়ি অথবা ধুতি। সময় বদলেছে, বদলেছে মানুষের সাজ। ধীরে ধীরে ইউনিসেক্স পোশাক খুঁজে নিয়েছে মানুষ। তাছাড়া বাঙালি পুরুষরাই বুঝিয়েছেন ভালোবাসার মতো পোশাকেরও কোনও লিঙ্গ হয় না। পোশাককেও করে তুলেছেন জেন্ডার ফ্লুইড। পুরাণ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ এবং অধুনা বহু বাঙালি পুরুষই ব্যতিক্রমীভাবে বাঙালি সাজের ঘরানাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। শুধু তাই নয়, বাঙালি সাজ-পোশাকও যে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ হতে পারে, তার দৃষ্টান্ত রেখেছেন। (Rituparno Ghosh)
এখানে শুধু পুরুষদের কথা বলা হচ্ছে কারণ, একজন মহিলা যত সহজে ধুতি, ট্রাউজার, টি-শার্ট, শার্ট, কুর্তা ইত্যাদি পরতে পারেন, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সামাজিক-মানসিক প্রতিবন্ধকতার ফলে একজন পুরুষ তত সহজে স্কার্ট, শাড়ি, গয়না ইত্যাদি পরে চলাফেরা করতে পারেন না। কারণ এ সমাজের ‘পুরুষসিংহে’ আঘাত লাগে। ঋতুপর্ণ ঘোষ সেই চিরাচরিত পুরুষসিংহেও আঘাত করেছেন। তাঁর মেধা, মনন আর রুচি দিয়ে। ঋতুপর্ণ বলছেন, সাজ পোশাকটাই যদি তাঁর এক্সিসটেন্স হয়, তাহলে মুশকিল। তাঁর বরাবরই মনে হয়েছে, সাজপোশাক যাই হোক, জীবন একটাই। পুনর্জন্মে বিশ্বাস করতেন না ঋতুপর্ণ। যেভাবে জীবনটাকে সেলিব্রেট করতে ইচ্ছে হয়েছে করেছেন, আবার যখন ইচ্ছে হয়নি করেননি। (Rituparno Ghosh)
“আমি অনেকবার বলেছি, লেডিজ বলছ কেন? প্লুরাল করো না। লেডি বল। এইভাবে আমি কমব্যাট করতাম বিষয়টার সঙ্গে। তারপরে শহর একটা ফেজ পেল। সেই ফেজটার নাম ঋতুপর্ণ। আমার কিন্তু সেটার জন্য আলাদা করে অপমানিত লাগে না। আমি কিছু কথা বলেছি, যেগুলো আমাদের দেশের যৌনতা বিচারের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কতগুলো স্টেটমেন্ট।”
পুরুষ যদি নাকে নথ, চোখে কাজল আর বাঁ-হাতে চুড়ি পরে হাঁটেন, তাহলেই কি তিনি কমনীয়? নারীসুলভ? সকলেই ‘গে’? এই পুরো প্রক্রিয়াটাই একটা অ্যাসাম্পশন। কেউ বলে দেয়নি যে, ও ‘গে’। একটা ব্যবহার হঠাৎ করে সেক্সুয়ালিটির মার্কার হয়ে যায় কীভাবে! ঋতুপর্ণ এখানে বলছেন, “আমি অনেকবার বলেছি, লেডিজ বলছ কেন? প্লুরাল করো না। লেডি বল। এইভাবে আমি কমব্যাট করতাম বিষয়টার সঙ্গে। তারপরে শহর একটা ফেজ পেল। সেই ফেজটার নাম ঋতুপর্ণ। আমার কিন্তু সেটার জন্য আলাদা করে অপমানিত লাগে না। আমি কিছু কথা বলেছি, যেগুলো আমাদের দেশের যৌনতা বিচারের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কতগুলো স্টেটমেন্ট।” (Rituparno Ghosh)
ভারতীয় হিন্দু সমাজ উত্থিত শিবলিঙ্গে জল-দুধ ঢেলে তাকে তুষ্ট করেন। ভাবুন তো, সেই উত্থিত লিঙ্গ সরিয়ে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যোনি। মানুষের অভ্যস্ততায় এক দারুণ আঘাত আসবে। ঋতুপর্ণ তাঁর অভিনয়ে, পরিচালনায় বারবার সমাজের উঁচিয়ে ওঠা যন্ত্রটিকে আঘাত করে এগিয়ে গিয়েছেন গন্তব্যহীন এক গন্তব্যে। যেখানে তাঁর কোনও তাড়া ছিল না। ‘আর একটি প্রেমের গল্প’-এ চপলের নারীজীবনের দোসর তিনি, ‘চিত্রাঙ্গদা’য় রুদ্র চ্যাটার্জিরও দোসর তিনি, আবার ‘স্ত্রীর পত্র’-এর প্রধান নারী চরিত্র মৃণাল তিনি। ঋতুপর্ণের চিরযৌবন উথলে ওঠে। আর বারবার এতিম করে দিয়ে পালিয়ে যান এক শরীর থেকে অন্য শরীর। নিজেই খুঁজছেন নিজেকে। নিজেই নিজেকে হাতড়াচ্ছেন। আর প্রতিবার সম্মুখ সমরে ফুটে ওঠা আলোর দিকে ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য প্রান্তিক সমাজকে সঙ্গে করে। কেউ তাঁর লিপস্টিক ভাগ করে নেয়, শাড়ির আঁচলে প্লিট করে দেয়, মোটা করে কাজল পরিয়ে দেয়, অথবা ন্যাড়া ঋতুপর্ণের কানে ঝুলিয়ে দেয় ঝুমকো। ঋতুপর্ণের লিঙ্গ পরিবর্তন আসলে এক সমাজ পরিবর্তনেরই ডাক। (Rituparno Ghosh)

সেই ঋতুপর্ণই সিনেপর্দায় প্রথম রূপবতী নারী সেজে হাজির হলেন ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’-এ। ২০১০-এ মুক্তিপ্রাপ্ত এ ছবি কমবেশি অনেকেই দেখেছেন। ছবিটির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পরিচালক অভিরূপ সেন (ঋতুপর্ণ ঘোষ) এবং তাঁর উভকামী আলোকচিত্রী বাসুদেব (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত)। প্রখ্যাত যাত্রাভিনেতা চপল ভাদুড়ির উপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করতে দুজনেই কলকাতায় আসেন। ছবিতে দেখানো হয়, চপল ভাদুড়ি আসলে একজন সমপ্রেমী মানুষ, কিন্তু সামাজিক নানান বিধিনিষেধের কারণে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেননি কখনও। ছবিতে চপল ভাদুড়ি নিজেই অভিনয় করেছেন। এই ছবিতে চপলের জীবনের নানান ভূমিকায় অভিনয় ও জীবনযাত্রা একাধিক ঘটনাক্রমে দেখানো হয়েছে। সেখানেই একটি দৃশ্যে আমরা প্রথম পাই রাজকীয় মহিলা সাজে ঋতুপর্ণ ঘোষকে। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ঋতুপর্ণ ঘোষ সাক্ষাৎকারে নিজেই নিজেকে ‘ডিভা’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। এবং জানাচ্ছেন, তিনি ডিভা হিসেবে অভিনয় করতেন না, যদি চপল ভাদুড়ি তাঁর সময়ে ডিভা না হতেন। এই ছবির চরিত্র বিশ্বাস করে যে, সে একজন ডিভা। অতঃপর আরেকটি প্রেমের গল্পের মাধ্যমে আমরা পেলাম আরেকটি ঋতুপর্ণকে। যেন নবজন্ম হল। মনের নবজন্ম, শরীরেরও নবজন্ম। (Rituparno Ghosh)
আরেকটি প্রেমের গল্পে ঋতুপর্ণ অভিনীত চরিত্রের লাস্যময়ী আবেদনে আজ থেকে পনেরো বছর আগে মুগ্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। চোখে টানা কাজল, ঠোঁটের ওপরে কালো তিল, ভারি গয়না-শাড়ি, চুলের খোঁপায় জুঁই ফুলের সাজে রেখা আর ঋতুপর্ণ দোসর হয়ে উঠেছিল অজান্তেই।
ঋতুপর্ণর সাজ ঠিক যেন বলিউডের রেখা। হুবহু এক, দুটি মুখমণ্ডল। ভানুরেখা গণেশন অর্থাৎ রেখাকে বলিউডের চিরসবুজ, যৌন আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে মনে করা হয়। তাঁর সাজ, আবেদন, হাসি, চাহনি সবেরই ভিন্ন মাধুর্যে মগ্ন হন আট থেকে আশির জনগণ। অন্যদিকে বাংলার ঋতুপর্ণ ঘোষ, এ-দেশের অন্যতম স্টাইল আইকন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আরেকটি প্রেমের গল্পে ঋতুপর্ণ অভিনীত চরিত্রের লাস্যময়ী আবেদনে আজ থেকে পনেরো বছর আগে মুগ্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। চোখে টানা কাজল, ঠোঁটের ওপরে কালো তিল, ভারি গয়না-শাড়ি, চুলের খোঁপায় জুঁই ফুলের সাজে রেখা আর ঋতুপর্ণ দোসর হয়ে উঠেছিল অজান্তেই। (Rituparno Ghosh)
আর সেই পালিয়ে যাওয়া ইমরান বহু বছর পর ফিরে গিয়েছিল বাড়িতে। নিজের ইচ্ছের মূল্য দিয়ে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে ফিরে গিয়েছিল বসতভিটেয়। সবাই সেদিন ইমরানকে দেখে হেসেছিল বটে! কিন্তু ইমরান জানত, সে পেরেছে। কিছু করতে না পারার ব্যথা তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারেনি, ঋতুপর্ণ সহায়! কত মানুষকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন তিনি। এই বোকা শহর আজ বহু রামধনু মিছিল-মিটিংয়ের সাক্ষী থাকে। এই বোকা শহরেই হাজার ঋতুপর্ণরা ভিড় করে হেঁটে যায় রাজপথ দিয়ে। তারা নাচে, তারা গান গায়, তারা র্যাম্পে হাঁটে, তারা স্লোগানে চিৎকার করে বলে অধিকারের কথা। এভাবেই জনতার ভিড়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে লাল লিপস্টিক। সে ঠোঁট অনেক ইমরানের। যারা নিজের সাজকে রেখা ভাবতে চায়। আর আস্ত এক মন জুড়ে থাকে ঋতুপর্ণ। (Rituparno Ghosh)
ডিজিটাল ও মুদ্রিত ভার্সনে সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
ছবি সৌজন্য- আন্তর্জাল
একজন কবি, গদ্যকার এবং সাংবাদিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘গওহর জান’, ‘উড়তে চললাম কমরেড’, ‘ঘুম হও অজস্র অপরাজিতা’, ‘বিলম্বিত দুপুর’, ‘ও ডার্লিং তুমি শুধু দৃশ্যমান হাওয়া’। একটি দৈনিক অনলাইন মিডিয়ার সহযোগী সম্পাদক ও বিষয়বস্তু প্রধান।
One Response
সমাজ জটিল হবেই কেননা বুদ্ধির অপপ্রয়োগ মানুষকে জটিল করেছে, সেই মানুষদের সাফল্যে তাদের অনুকরণ করার চেষ্টা বেড়েছে। সাথে অভ্যাস, সংস্কার, ক্ষমতার দড়ি টানাটানি সংখ্যাগুরু সমাজের চালক করেছে। সংখ্যালঘু, সে যেভাবেই হোক, সমাজে কর্মস্থলে পাড়ায় পরিবারে স্বররুদ্ধ। এমনকি সেই সংখ্যালঘু হওযার কারণ যদি হয় সংখ্যাগুরুর চাইতে বেশী গুণবান থাকা। একমাত্র তথাকথিত ধর্মের ক্ষেত্র আলাদা। ভেবে লাভ নেই। ইমরানদের টেকা দায়।