(Yogamaya)
মাঝে মাঝে মনে হয় বিপুলায়তন বাল্মীকি রামায়ণে দু’লাইনও জায়গা পাননি, রামের দিদি শান্তা। এর কোনও উত্তর খুঁজে পাই না। রাজশেখর বসুর রামায়ণে শান্তার উল্লেখই নেই। অথচ দশরথের এই একমাত্র কন্যা শান্তা, রামের দিদি। শান্তার স্বামী ঋষ্যশৃঙ্গ মুনিই দশরথের আবেদনে সাড়া দিয়ে সপরিবারে শান্তাকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যায় এসে প্রথমে অশ্বমেধ যজ্ঞ, ও পরে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করেন। যে যজ্ঞের প্রসাদ খেয়ে দশরথের তিন রাণী, রাম, লক্ষ্মণ ইত্যাদি নামের সব পুত্ররত্নদের জন্ম দেন। যাঁরা আক্ষরিক অর্থেই শান্তার সব ভাই। অর্থাৎ মেয়ের পয়ে ছেলে লাভ। (Yogamaya)
আরও পড়ুন: মুক্তিরূপেণ সংস্থিতা
আবার মহাভারতে রাজা পরীক্ষিৎকে ব্যাসপুত্র শুকদেব যখন ভাগবতের আখ্যান শোনাচ্ছেন সেখানেও কৃষ্ণের জন্মকথায় এক মেয়ে যে একপ্রকার কাব্যে উপেক্ষিতাই। যে মেয়েকে মাশুল গুনতে হয়েছিল সেই ভরা ভাদ্রের নিকষকালো বর্ষণমুখর কৃষ্ণাষ্টমীর রাতে। সেও যেন যোগমায়ার দৈববলেই। (Yogamaya)
দ্বাপর যুগে যশোদার গর্ভের এই কন্যার কারণে বেঁচে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। পুরাণ মতে, তখন মথুরার রাজা নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসক কংস নিজের পিতা উগ্রসেনকে বন্দী করে স্তব্ধ করেছেন জনগণের প্রতিবাদ। শুনেছেন নিজ ভাগ্নের হাতে নিহত হওয়ার অমোঘ দৈববাণী। শত্রুর শেষ রাখতে নেই। নিজ ভগ্নী দেবকী আর ভগ্নীপতি বসুদেবকেও কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন। ভগ্নীর শিশু সন্তানদের একের পর এক নিহত করে পথের কাঁটা উপড়াতে মরিয়া সে। দেবকীর বুকফাটা কান্নায় বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই দুর্বিনীত কংসের। (Yogamaya)

এদিকে ভাদ্রমাসের কৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে গোকুলে নন্দপত্নী যশোদার গর্ভে জন্ম নেয় এক অপরূপ লাবণ্যবতী কন্যা।
থৈ থৈ বর্ষার ঘনঘটায় আচ্ছন্ন মথুরাপুরী। প্রমাদ গুনলেন কংস। এই বুঝি সে আসে। কংসের কারাগারে সেদিন রাত্রির ঘন অন্ধকার। দেবকীর সুখপ্রসবে কংসের বহু প্রতীক্ষিত অষ্টম গর্ভের পুত্রসন্তান কৃষ্ণের জন্ম হল। শঙ্খ-উলুধ্বনি কিছুই হল না সেই মাহেন্দ্রক্ষণে। (Yogamaya)
মথুরার আকাশে মেঘের ঘোর ঘনঘটা, মুহুর্মুহু বিদ্যুতের ঝিলিক। কোনও এক যোগ বলে কারাগারের প্রহরীরা সেই বর্ষণমুখর রাতে মরণ ঘুমে আচ্ছন্ন তখন। আর সেই সুযোগেই দেবকীর কোল থেকে তাকে ছিনিয়ে দুর্যোগের রাতেই দৈবানুগৃহীত কৃষ্ণপিতা বসুদেব নিজের মাথায় করে সদ্যোজাত কৃষ্ণকে নিয়ে মথুরা থেকে উত্তাল যমুনা পেরিয়ে সদ্যোজাত পুত্রটিকে রেখে এসেছিলেন গোপকুলে। সেখানে আরেক সদ্যোজাতার গর্ভধারিণী যশোদার কোল শূন্য রইল না। বসুদেব নিজের পুত্রটিকে রাখলেন সেখানে। আর এই সদ্যোজাতা মানে যশোদাগর্ভসম্ভূতাং নন্দগোপকুলেজাত সেই যোগকন্যাই দেবকীর কোলে ঠাই পেল সেই রাতে। (Yogamaya)
অষ্টভুজা দেবীমূর্তির রূপ ধারণ করে স্বমহিমায় আত্মপ্রকাশ করে বলেছিল “তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে”
তিনিই যোগমায়া। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর আখ্যানে, মাহাত্ম্য বর্ণনায় তাঁকে ভুলিনি কিন্তু আমরা। কথা ছিল দেবকীর অষ্টমগর্ভের পুত্রটি বাঁচাতে নিষ্ঠুর কংসের হাতে বলিদান হবে সেই একরত্তি কন্যা কিন্তু ভগবতীর অংশ যোগমায়া তো সামান্য মেয়ে নয়, দেবীর আধার তাই কংস যখন তাকে শিলায় আছাড় মারতে উদ্যত হলেন তখন সেই মেয়ে হাত ফসকে যোগ বলে শূন্যে উঠে গিয়ে অষ্টভুজা দেবীমূর্তির রূপ ধারণ করে স্বমহিমায় আত্মপ্রকাশ করে বলেছিল “তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে” সেটিও কিন্তু একাধারে সনাতন ঐতিহ্যের পরাকাষ্ঠা স্বরূপ, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের বার্তাই দেয়। (Yogamaya)
এখন কংস সেই মুহূর্তে আকাশে সেই দেবীমূর্তি চাক্ষুষ করেছিল নাকি করেনি তা ব্যাখ্যার ধৃষ্টতা আমার নেই। এ ঘটনা কংসের হ্যালুসিনেশন হলেও হতে পারে কারণ, একে একে দেবকীর ৭টি পুত্র সে নিজের হাতে হত্যা করে ফেলেছে। আর রথ চালিয়ে এই কংসই যখন নববিবাহিত দেবকী-বসুদেবকে মথুরায় নিয়ে আসছিল তখন সেই দৈববাণীও সে বিস্মৃত হয়নি। (Yogamaya)
ভাগবতে রয়েছে “অস্যাস্ত্বামষ্টমো গর্ভো হন্তা যাং বহসেহোবুধ” অর্থাৎ তুই যার রথের সারথি হয়েছিস তার অষ্টমগর্ভের সন্তানই তোকে বধ করবে। (Yogamaya)
এবার বলি প্রজাপতির অংশ থেকে উৎপন্ন যোগমায়া নামের যে যোগকন্যার জন্য বেঁচে গেছিলেন কৃষ্ণ তিনিই হলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ এবং বলরামের মধ্যিখানে উপবিষ্টা সাক্ষাৎ সুভদ্রা। আবার তিনিই বিন্ধ্যবাসিনী দেবী যিনি দেবী দুর্গার আরেক রূপ একানংশা। হরিবংশে রয়েছে কংসের কারাগারে শিশুকন্যা থেকে যোগমায়া দেবী রূপে উত্তরণের সেই কথা। প্রজাপতির অংশ থেকে এই যোগকন্যার উত্পত্তি কৃষ্ণকে রক্ষা করার জন্যই। আর তখনই মনে হয় তাহলে আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়ন নতুন নয়। পুরুষ দেবতাকে বাঁচিয়ে রাখার পেছনে দেবীর ভূমিকাও কম নয়। (Yogamaya)
“ডাঃ সুকুমার সেনের মতে প্রকৃত শব্দটি একানংশা না একাংনসা। যার অর্থ কুমারী বা অবিবাহিতা স্ত্রী। এই নাম ক্রমে বিলুপ্ত হয়ে ভদ্রা বা সুভদ্রায় পরিণত হয়েছে কালেকালে।”
আর সেই থেকে অষ্টভুজারূপে গোকুলে জাত সেই কন্যা যোগমায়া দেবী বিন্ধ্যাচলে অবস্থান করেন এবং বিন্ধ্যাচলে বসবাস করায় বিন্ধ্যবাসিনী নামে পরিচিত হন। (Yogamaya)
এই দেবী একানংশা বিদ্যুতের ন্যায় গাত্রবর্ণা, সূর্যের ন্যায় নেত্র বিশিষ্টা, আলুলায়িতকুন্তলা, দিব্যমালাপরিহিতা, সর্বাঙ্গ হারে এবং উজ্জ্বল মুকুটে শোভিতা, নীলপীত বস্ত্র পরিহিতা। দেবীপুরাণে বলা হয়েছে দেবীর নামের ব্যাখ্যা। ইনি সমুদয় লোক ব্যাপ্ত করে আছেন পূর্ণরূপে, এক নয়, অংশরূপেও নয়। ডাঃ সুকুমার সেনের মতে প্রকৃত শব্দটি একানংশা না একাংনসা। যার অর্থ কুমারী বা অবিবাহিতা স্ত্রী। এই নাম ক্রমে বিলুপ্ত হয়ে ভদ্রা বা সুভদ্রায় পরিণত হয়েছে কালেকালে। কৃষ্ণের এই ভগিনীকেই কিন্তু মহাভারতের অর্জুন বিবাহ করেছিলেন। (Yogamaya)

বরাহমিহিরের বৃহৎসংহিতায় একানংশা কখনও দ্বিভুজা, কখনও চতুর্ভুজা আবার কখনও অষ্টভুজা। তবে দেবীর হাতে ধরা বস্তুগুলির নিরিখে তিনি সরস্বতী ও লক্ষ্মীর সম্মিলিত রূপ। (Yogamaya)
দুর্গাপুজো যদিও বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব কিন্তু ইতিহাস বলছে আসমুদ্রহিমাচল দেবী দুর্গার বৈচিত্রপূর্ণ প্রকাশ এবং ব্যাপক বিস্তৃতির কথা। মহিষাসুরমর্দিনী-দুর্গার সঙ্গে নবদুর্গা, কাত্যায়নী-দুর্গা, নীলকণ্ঠী-দুর্গা, ক্ষেমঙ্করী-দুর্গা, হরসিদ্ধি-দুর্গা, রুদ্রাংশ-দুর্গা, বনদুর্গা, অগ্নিদুর্গা, রিপুমারি-দুর্গা, অপরাজিতা-দুর্গার পাশাপাশি রয়েছেন। কিন্তু বিন্ধ্যবাসিনী-দুর্গা। বঙ্গদেশের ‘দুর্গা’র অনুরূপ বিন্ধ্যচলে ‘বিন্ধ্যবাসিনী’র পুজোর অত্যন্ত সমাদর। (Yogamaya)
“মহিষাসুরবধের কথা শুম্ভ ও নিশুম্ভ জানতে পারলে তারা দেবীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে বিন্ধ্যাচলে যায়। সেখানেই দেবী কৌশিকী (বিন্ধ্যবাসিনী) তাদের বধ করেন।”
স্কন্দপুরাণে এই বিন্ধ্যবাসিনীই কৌশিকী যিনি পার্বতী ও কালীর অংশ সম্ভূতা। আদ্যাশক্তির কোশসমূহ থেকে উৎপন্ন হওয়ায় তাঁর আরেক নাম কৌশিকী। মহিষাসুর বধের পর দুর্গার তেজ থেকে তিনি আবির্ভূতা হয়েছিলেন বিন্ধ্যপর্বত শিখরেই। মহিষাসুরবধের কথা শুম্ভ ও নিশুম্ভ জানতে পারলে তারা দেবীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে বিন্ধ্যাচলে যায়। সেখানেই দেবী কৌশিকী (বিন্ধ্যবাসিনী) তাদের বধ করেন। (Yogamaya)
স্কন্দপুরাণ অনুসারে এই দেবী দুর্গাসুরকে বধ করেন। তিনি সহস্র মহাবাহু। প্রতি হাতে ভীষণ সমরাস্ত্রে সজ্জিত। আবার দেবীপুরাণ অনুসারে তিনি দুন্দভী নামে এক ভয়ংকর অসুরকে নিহত করেছিলেন। (Yogamaya)
নবদ্বীপ মহারাসযাত্রায় এই দুটি উপাখ্যান মিলিত হয়ে বিন্ধ্যবাসিনী মাতার রূপ বর্ণিত হয়েছে। এখানে মাতা অষ্টভুজা-ত্রিনেত্রা-নীলবর্ণা। সিংহের উপর পদযুগল রেখে উপবিষ্টা। দুই পাশে দুই সখী, জয়া ও বিজয়া। অষ্টভুজা দেবী শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুর বিনাসে যুদ্ধরত। তবে সব জায়গায় দেবীর গাত্রবর্ণ নীল হয় না। (Yogamaya)
কেউ বলেন বিন্ধ্যবাসিনী-দুর্গা পদ্মাসনা, ত্রিনয়না ও চতুর্ভুজা। শঙ্খ, চক্র, বর ও অভয় মুদ্রা তার চার হাতে। কপালে অর্ধচন্দ্র। সালংকারা এই দেবীকে ঘিরে স্তব করেন ইন্দ্রাদি দেবতারা। দেবীর বাহন সিংহ পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। (Yogamaya)
“এখানে লোকালয় থেকে কিছু দূরে এক জনহীন পাহাড়ে একটি ছোট পাহাড়ি টিলার উপরে অষ্টভুজা দেবীর ছোট্ট মন্দির দেখতে এখনও মানুষের ভিড় জমে।”
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধযাত্রার প্রাক্কালে কৃষ্ণের পরামর্শে অর্জুনকে আমরা দেখি দুর্গাস্তব করতে। সেখানে দেবিকে যেমন তিনি প্রণাম করছেন মহাকালি, কপালি, করালী, কৃষ্ণপিঙ্গলে, দুর্গে বলে তেমনি কৌশিকী, গোপেন্দ্রানুজে ও নন্দগোপকুলসম্ভবে বলতেও ভোলেননি। (Yogamaya)
শোনা যায়, বিন্ধ্যপর্বতে এই দেবীর খ্যাতি নাকি ছড়িয়ে পড়েছিল সুদূর কাশ্মীর পর্যন্ত। কলহন তাঁর রাজতরঙ্গিনী গ্রন্থে লিখছেন, বিন্ধ্যাচলের অরণ্যে ভ্রামরী দেবীর অধিষ্ঠান। অর্থাৎ তখন তিনি ভ্রামরী নামেও জনপ্রিয় ছিলেন।
পুরাণমতে কংসের প্রতারণার পরই দেবী বিন্ধ্যাচলকে তাঁর আবাসরূপে বেছে নিলেও দেবী ভাগবত পুরাণ, দেবীমাহাত্ম্য বা শ্রীশ্রীচণ্ডী, মার্কণ্ডেয় পুরাণ এবং অন্য সব দেবীগাথা বলছে, বিন্ধ্যাচল হল সেই স্থান যেখানে অবতীর্ণ হয়ে দুর্গা মহাপরাক্রমশালী দানববীরদের সংহার করেন একে একে। (Yogamaya)

এখানে লোকালয় থেকে কিছু দূরে এক জনহীন পাহাড়ে একটি ছোট পাহাড়ি টিলার উপরে অষ্টভুজা দেবীর ছোট্ট মন্দির দেখতে এখনও মানুষের ভিড় জমে। (Yogamaya)
বুন্দেলখন্ড জায়গাটির নাম তা থেকেই। বুন্দেল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতাদের আরাধ্য দেবী বিন্ধ্যবাসিনী। জনশ্রুতি বলে, বুন্দেল সর্দার হেমকরণ বিন্ধ্যবাসিনী দেবীর তপস্যা শুরু করেন। দীর্ঘদিন তপস্যার পরেও দেবীর সাড়া না পেয়ে তিনি আত্মাহুতি দেবেন বলে ঠিক করেন। এই উদ্দেশ্যে নিজের শরীরে আঘাত করতেই এক ফোঁটা রক্ত মাটিতে পড়ে। তখন দেবী বিন্ধ্যবাসিনী তাঁকে দেখা দেন। বুন্দেল সর্দারের বংশধরদের রাজা হওয়ার বর দেন দেবী। এই ‘বুন্দ’ বা রক্তের ফোঁটা থেকে যেহেতু এই রাজবংশের উৎপত্তি, সে কারণে তার নাম হয় ‘বুন্দেলা’। (Yogamaya)
আর উত্তর চব্বিশপরগণার আড়িয়াদহের ভূমিকন্যা এহেন লেখকের দেখা একমাত্র বিন্ধ্যবাসিনীর পুজোটি ঐতিহ্যবাহী বিন্ধ্যবাসিনীতলায় প্রতিবছর মহাসমারোহে পালিত হয় জৈষ্ঠ্যমাসের শুক্লপক্ষের অরণ্যষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠীর দিনটিতে। মায়েদের মুখে সেই গল্পই শুনে আসা। আক্ষরিক অর্থে বিন্ধ্যপর্বতে বাস যে দেবীর তিনিই যে বিন্ধ্যাসুরের সংহারক আর ভগবতীর ষষ্ঠ্যাংশ স্বরূপিণী মা ষষ্ঠীও, যিনি দুর্গার এক অবতাররূপে যোগকন্যা যোগমায়া হয়েই অবতীর্ণ হয়েছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ থাকে না। (Yogamaya)
তথ্যসূত্রঃ
1.ভাগবত কথা – স্বামী গীতানন্দ ( উদ্বোধন কার্যালয় )
2.দুর্গা রূপে রূপান্তরে – পূর্বা সেনগুপ্ত ( মিত্র ও ঘোষ)
3.কালীপ্রসন্ন সিংহ অনূদিত মহাভারত (ভীষ্মপর্ব – অধ্যায় ২৩)
4. anandabazar.com / আনন্দ উৎসব – ১৬ নভেম্বর ২০২৩
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
অলংকরণ- আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়
রসায়নের ছাত্রী ইন্দিরা আদ্যোপান্ত হোমমেকার। তবে গত এক দশকেরও বেশি সময় যাবৎ সাহিত্যচর্চা করছেন নিয়মিত। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায় এবং প্রথম উপন্যাস সানন্দায় প্রকাশিত হয়। বেশ কিছু বইও প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। সব নামীদামি পত্রিকা এবং ই-ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখেন ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, রম্যরচনা ও প্রবন্ধ।