আগের পর্ব পড়তে: [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০]
বাংলার সুলতানি পর্বের ইতিহাস (Bengal Sultanate) আলোচনা করতে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় যে পাঠান-আফগান শাসকদের আমলে বাংলার সুলতানি সিংহাসনের দখল নিয়ে বারংবার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন বিভিন্ন সুলতান ও অভিজাত সম্প্রদায়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ প্রজা এবং হাবশি প্রহরীরাও পূর্ববর্তী সুলতানকে হত্যা করে সিংহাসন দখল করেছেন। সাত দিন বা মাত্র এক দিনের জন্য সিংহাসনে বসেছেন, এমন সুলতানের নজিরও রয়েছে বাংলার সুলতানি ইতিহাসে।
এই পর্বে আমরা আলোচনা করবো গুণমন্ত মসজিদ ও তার নির্মাতা সুলতানের কথা। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, ওই গুণমন্ত মসজিদ যে সুলতানের আমলে তৈরি হয়েছিল, সেই ফতে শাহ মাত্র ছ’ বছর রাজত্ব করতে পেরেছিলেন।
আরও পড়ুন: এক রাজ-নর্তকীর অর্থে নির্মিত হয়েছিল লোটন মসজিদ
গুণমন্ত মসজিদ:
লোটন মসজিদের পশ্চিম দিকে মদহিপুরের দিকে যাওয়ার পথে চৌকাপাড়া মৌজায় এই মসজিদটা অবস্থিত। গুণমন্ত মসজিদকে গৌড় নগরীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ বলা হয়ে থাকে। যদিও বর্তমানে এই মসজিদ একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে, তথাপি এর আয়তন এবং চারপাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন স্থাপত্যের অংশ দেখে এটার বিশালত্ব অনুমান করা যায়। ‘এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল’-এর ১৭৭৫ সাধারণাব্দের কার্যবিবরণী উদ্ধৃত করে আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম তাঁর প্রতিবেদনে লিখেছেন যে, মূল মসজিদের গায়ে কোনও ফলক পাওয়া যায়নি বলে প্রাথমিক ভাবে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। পরে এক স্থানীয় মসজিদের সামনে একটা বড় পাথরের ফলক পাওয়া যায়। সেই ফলক অনুসারে জানা যায় যে, সুলতান ফতে শাহর রাজত্বকালে ওয়াজির-ই-লস্কর খান দৌলত খান কর্তৃক ৮৮৯ হিজরি, অর্থাৎ, ১৪৮৪ সাধারণাব্দে নির্মিত হয়েছিল গুণমন্ত মসজিদ।
ওই পাথরের ফলকটা নিয়ে একটা কাহিনিও আছে। মূল মসজিদের গায়ে ওই প্রতিষ্ঠা ফলকটা ছিল না। গৌড় পরিত্যক্ত হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন এবং ইংরেজরাও বিভিন্ন স্থাপত্য তৈরির সময়ে গৌড়ের বিভিন্ন মসজিদের পাথর খুলে অন্যত্র ব্যবহার করেছিল। সম্ভবত সেই সময়ে মসজিদটা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ই, মসজিদের প্রতিষ্ঠা-ফলকটাও উপড়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে চোরেদের পক্ষে ওই ফলক বেশি দূরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তারা কাছাকাছি একটা জায়গায় সেটা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে কোনও এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী স্থানীয় ব্যক্তি সেটা নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু পাথর বাড়িতে নিয়ে আসার অল্পদিনের মধ্যে কাকতালীয় ভাবে ওই ব্যক্তির এক ছেলে মারা যায়। তিনি তখন পাথরটাকে অশুভ মনে করে স্থানীয় একটা মসজিদের সামনে রেখে যান। যেহেতু সেই জায়গাটা গুণমন্ত মসজিদের খুব কাছে, তাই ধরে নেওয়া হয় ওটাই গুণমন্ত মসজিদের প্রতিষ্ঠা-ফলক।

ক্যানিংহামের লেখা বিবরণ অনুসারে, এই মসজিদের ভূমি নকশা অনেকটা হজরৎ পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদের মতো। আয়তনের বিচারে গুণমন্ত মসজিদকে গৌড়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ বলা হয়। এর ৫১ ফুট লম্বা ও ১৬ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়া কেন্দ্রীয় প্রকোষ্ঠটা সামনে থেকে পিছনের দেওয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত। তার মাথায় যে ছাদটা রয়েছে, তা সমতল নয় বরং পিপে অর্থাৎ Vault-এর মতো। প্রকোষ্ঠের দু’পাশে ১২টা করে মোট ২৪টা গম্বুজ ছিল। মসজিদের উত্তর দিকের অনেকগুলোই এখন আর নেই। স্তম্ভ ও খিলানের পাথর খুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য গম্বুজগুলো ভেঙে পড়ে গেছে। তবে এই মসজিদের নির্মাণগত বৈশিষ্ট্য হল, পুরো মসজিদটা পাথরের তৈরি নয়, মসজিদের নিচের দিকের স্তম্ভগুলো অমসৃণ পাথরের তৈরি হলেও, খিলান এবং গম্বুজগুলো তৈরি করা হয়েছিল ইট দিয়ে। গৌড়ের অন্য কোনও মসজিদে এমন অমসৃণ পাথর ব্যবহার করা হয়নি।
গৌড় সুলতানির দ্বিতীয় ইলিয়াস শাহী বংশের সূচনা করেন নাসির শাহ। একটু স্পষ্ট করে বললে, তিনি আদতে মনোনীত সুলতান। সেই সময়ে গৌড়-বাংলার রাজধানী ছিল পাণ্ডুয়াতে। আনুমানিক ১৪৩৫-৩৬ সাধারণাব্দে গৌড়ের অমাত্য ও অভিজাতরা নাসির শাহ অর্থাৎ নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহকে সুলতান নির্বাচিত করেন। তিনিই সম্ভবত ১৪৫০ সাধারণাব্দের কাছাকাছি কোনও এক সময়ে পাণ্ডুয়া থেকে পূর্বতন রাজধানী-নগরী লক্ষ্মণাবতীর নিকটবর্তী গৌড় নগরীতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
‘এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল’-এর ১৭৭৫ সাধারণাব্দের কার্যবিবরণী উদ্ধৃত করে আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম তাঁর প্রতিবেদনে লিখেছেন যে, মূল মসজিদের গায়ে কোনও ফলক পাওয়া যায়নি বলে প্রাথমিক ভাবে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। পরে এক স্থানীয় মসজিদের সামনে একটা বড় পাথরের ফলক পাওয়া যায়। সেই ফলক অনুসারে জানা যায় যে, সুলতান ফতে শাহর রাজত্বকালে ওয়াজির-ই-লস্কর খান দৌলত খান কর্তৃক ৮৮৯ হিজরি, অর্থাৎ, ১৪৮৪ সাধারণাব্দে নির্মিত হয়েছিল গুণমন্ত মসজিদ।
নাসির শাহর পরে সুলতান পদে বসেন রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ। তিনি ছিলেন গৌড়ের সুশাসকদের মধ্যে অন্যতম। সম্ভবত তাঁর আমলেই তৈরি হয়েছিল গৌড়ের সুলতানি প্রাসাদ এবং তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় কবি কৃত্তিবাস ওঝা রচনা করেছিলেন ‘শ্রীরাম পাঁচালী’ কাব্য। বারবাক শাহর পরে তাঁর ছেলে ইউসুফ শাহ সুলতান হন। বলা হয়ে থাকে লোট্টন বাঈ বা লোটন বাঈ ছিলেন তাঁর রাজসভার নর্তকী। ইউসুফ শাহ মাত্র আট বছর রাজত্ব করেন। রহস্যজনকভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। তাঁর মৃত্যুর পর গৌড়ের সিংহাসনে বসেন সিকেন্দার শাহ, কিন্তু অল্পকাল পরেই তিনি নিজের ভাই ফতেহ শাহ কর্তৃক সিংহাসনচ্যুত হন।

জালাউদ্দিন ফতেহ শাহ:
প্রাপ্ত প্রস্তর-ফলক অনুসারে মনে করা হয়, গুণমন্ত মসজিদ নির্মিত হয়েছিল ফতেহ শাহর দ্বারা। তিনি ছিলেন উচ্চাকাঙ্খী। সিকেন্দার শাহর আমলে তিনি বিদ্রোহী হয়ে নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন। কিন্তু বছর ছয়-সাতের বেশি রাজত্ব করতে পারেননি। তার অন্যতম কারণ হল, পূর্ববর্তী বারবাক শাহের আমল থেকে হাবশি প্রহরী ও সেনাদের বাড়বাড়ন্ত। বারবাক শাহ হাবশিদের প্রভূত ক্ষমতা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সুলতানেরা কেউই তাদের ক্ষমতায় হ্রাস টানতে সক্ষম হননি। শেষ অবধি সেই এক হাবশি শাহজাদা বারবাক তাঁকে হত্যা করে গৌড়ের সুলতানি সিংহাসন দখল করে। উল্লেখ্য, ওই জালাউদ্দিন ফতেহ শাহর রাজত্বকালেই, ১৪৮৬ সাধারণাব্দে নবদ্বীপে বিশ্বম্ভর মিশ্র তথা কৃষ্ণচৈতন্য ভারতীর জন্ম হয়।

কোতওয়ালি দরওয়াজা:
একদা গৌড় নগরীর অন্যতম সুন্দর স্থাপত্য ছিল কোতওয়ালি দরওয়াজা। অনুমান করা হয়, নগরীর গড় অঞ্চলের দক্ষিণ অংশের প্রধান প্রবেশপথ ছিল ওই দরজা বা তোরণ। বর্তমান মাহদীপুরের কাছে অবস্থিত ওই তোরণের ছবি এঁকেছিলেন হেনরি ক্রেইটন। আরও কয়েকজনও ওই তোরণের ছবি আঁকেন। জন র্যাভেনশ’র তোলা আলোকচিত্রে একটা অত্যন্ত ভাঙা তোরণের অবয়ব। যদিও পরবর্তীকালে ওই তোরণের সংস্কার করা হয়েছিল, কিন্তু সেখান থেকে তার আসল স্থাপত্যগত বৈশিষ্ট বোঝা সম্ভব নয়। ক্যানিংহামের প্রতিবেদন এবং রজনীকান্ত চক্রবর্তী, আবিদ আলি খান প্রমুখ ইতিহাসবিদদের লেখায় এর কিছু বর্ণনা আছে। সেই অনুসারে বলা যেতে পারে, ওই তোরণ ছিল ৩০ ফুট উঁচু ও ১৬ ৩/৪ ফুট চওড়া। ওই তোরণের স্থাপত্যশৈলী দেখে ইতিহাসবিদেরা বলেছেন, গৌড় নগরীর অন্যান্য স্থাপত্যের থেকে কোতওয়ালি দরওয়াজার স্থাপত্য অনেকটাই ভিন্ন।
ভেঙে যাওয়া তোরণের ভেতর ও বাইরে দু’দিকেই দুটো করে ৬ ফুট পরিধির অর্ধ বৃত্তাকার মিনার ক্রমে কোণাকুণিভাবে নিচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই দুই মিনারের দু’দিকে ছুঁচালো খিলানের ভেতরে কারুকার্য করা খাদ রয়েছে এবং সেগুলো গিয়ে মিশেছে দুটো নকশা করা স্থম্ভের পাশে। সেটা দিল্লির প্রথম যুগের মুসলিম স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য। সে সূত্রে ক্যানিংহাম অনুমান করেছেন, গৌড়ের কোতওয়ালি দরওয়াজা ১২৩৫ থেকে ১৩১৫ সাধারণাব্দের মধ্যে আলাউদ্দীন খিলজির মৃত্য পর্যন্ত কোনও এক সময়ে হয়ে থাকবে। সেই সময়ে লখনৌতি নগরের স্থাপত্যে দিল্লির প্রভাব ছিল।

বলা হয়ে থাকে, ওটা ছিল তৎকালীন নগর-কোটালের থানা। সে জন্য ওই তোরণকে কোতোয়ালি দরওয়াজা বলা হয়। ওই জায়গায় নাকি শাস্তিপ্রাপ্ত দুষ্কৃতিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হত। ওই তোরণ এখন ভারত-বাংলাদেশ মাহদীপুর সীমান্ত দরওয়াজা হিসেবে চিহ্নিত।
ইখতিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি নদিয়া-বিজয়ের পর সরাসরি উত্তর দিকে চলে আসেন সেন-রাজবংশের প্রধান রাজধানী নগর লক্ষ্মণাবতী দখল করতে। ইখতিয়ার লক্ষ্মণাবতী দখল করলেও সেখানে বেশিদিন বসবাস করেননি, রাজ্য জয়ের নেশায় তিনি কামরূপ, তিব্বত প্রভৃতি জায়গায় অভিযান করেন, কিন্তু বেশিরভাগ যুদ্ধেই তিনি পরাজিত হন। পরে অসুস্থ অবস্থায় দেবকোটে নিজের অনুচরের হাতে নিহত হন। দিনাজপুরের বাণগড় প্রত্নক্ষেত্রের কাছে রয়েছে তাঁর সমাধি। জায়গাটা স্থানীয়ভাবে পিরপাল নামে পরিচিত।

সেন রাজাদের রাজধানী, বিশেষ করে বল্লাল সেন ও লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী লক্ষ্মণাবতী হলেও, তাঁরা অনেক দক্ষিণে নদিয়াতে চলে আসেন, সম্ভবত নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে লক্ষ্মণাবতী ক্রমে বাস-অযোগ্য হয়ে পড়ছিল বলে। ইখতিয়ারউদ্দিনও সম্ভবত সেই কারণেই দেবকোটে চলে যান। ইখতিয়ারের মৃত্যুর পর তাঁর সিংহাসনের উত্তরাধিকারীরা নিজেদের মধ্যে কলহে লিপ্ত হয়। ওই পর্বে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য সুলতান স্থায়ী ভাবে রাজ্য স্থাপন করতে পারেননি। ইখতিয়ার লক্ষ্মণাবতী দখল করে তার নাম দেন লখনৌতি। তিনি সেখানে বেশিদিন না থাকলেও পরবর্তী এক সুলতান গিয়াসুদ্দিন ইয়াজ ফিরোজ আবার লখনৌতিতেই রাজধানী ফিরিয়ে আনেন। সেখানে তিনি একটা প্রাসাদ তৈরি করেন, যদিও তার অস্তিত্ব এখন আর নেই। এ ছাড়া নদীর ক্রমাগত গতি পরিবর্তন আটকাতে তিনি একটা লম্বা বাঁধ তৈরি করেন। কিন্তু তাতেও লখনৌতির অবস্থার উন্নতি হয়নি, এবং এক সময়ে সেটা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত তা পরিত্যক্ত হয়। ১৩৪৩ সাধারণাব্দে হাজি ইলিয়াস শাহ পাণ্ডুয়াতে নতুন রাজধানী স্থাপন করলেন।
গ্রন্থঋণ:
১। রজনীকান্ত চক্রবর্তী, গৌড়ের ইতিহাস, দে‘জ পাবলিশিং কলকাতা ৭০০০৭৩
২। মালদহ: জেলা লোকসংস্কৃতি পরিচয় গ্রন্থ, লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র
৩। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙ্গালার ইতিহাস (অখণ্ড সংস্করণ), দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা
৪। নীহাররঞ্জন রায়, বাঙ্গালীর ইতিহাস: আদি পর্ব, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা
৫। কেদারনাথ গুপ্ত, গৌরবময় গৌড়বঙ্গ, সোপান, কলকাতা
৬। অনিরুদ্ধ রায়, মধ্যযুগের ভারতীয় শহর, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা
৭। প্রদ্যোৎ ঘোষ, মালদহ জেলার ইতিহাস: প্রথম পর্ব, পুস্তক বিপণি, কলকাতা
৮। সুখময় মুখোপাধ্যায়, বাংলার ইতিহাসের দু’শো বছর: স্বাধীন সুলতানদের আমল (১৩৩৮—১৫৩৮), ভারতী বুক স্টল, কলকাতা
৯। Alexander Cunningham, ASI Report of A Tour in Bihar and Bengal in 1879-80 from Patna to Sunargaon_Volume XV, ASI, New Delhi
১০। Creighton Henry, The Ruins of Gour described and represented in eighteen views; with a topographical map, Londan
১১। John Henry Ravenshaw, Gaur its Ruins and Inscriptions, C. Kegan Paul & Co. London.
১২। Khan Sahib M. Abid Ali Khan, Memoirs of Gour and Pandua, Bengal Secretariat Book depot, Calcutta.
১৩। Ghulam Husain Salim, The Riyazu-S-Salatin: A History of Bengal, Asiatic Society, Calcutta (মূল বইটা ফার্সি ভাষায় লেখা। ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন Maulavi Abdus Salam.)
ছবি সৌজন্য: লেখক
*পরবর্তী অংশ প্রকাশ পাবে জুন, ২০২৪
গৌতম বসুমল্লিকের জন্ম ১৯৬৪ সালে, কলকাতায়। আজন্ম কলকাতাবাসী এই সাংবাদিকের গ্রামে গ্রামে ঘুরে-বেড়ানো আঞ্চলিক ইতিহাস-চর্চার সুবাদে। মূলত কলকাতার ইতিহাস নিয়ে কাজ করলেও, এখনও বাংলার বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান ইতিহাস, স্থাপত্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ [UGC, Human Resource Development Centre (HRDC)]-র আমন্ত্রিত অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়াচ্ছেন দীর্ঘকাল। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কলকাতার পারিবারিক দুর্গাপুজো’।