(Bengali Novel)
খাওয়া শেষ করে মোহনা ঘরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, একবার নিজেকে ভাল করে দেখে নিল। অফিসে একটা মিটিং রয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় পাবলিশিং হাউজের সঙ্গে। চৌধুরী সাহিত্য কুটিরের জনপ্রিয় বইগুলোর ইংরেজি ভার্সন তাঁদের সঙ্গে জয়েন্টলি যদি মার্কেটিং করা যায় তবে একটা বড় অঙ্কের ব্যবসা ধরে ফেলা যাবে। (Bengali Novel)
সে আরেকবার আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখে নিল, ভাল করে। কর্পোরেট চাকরি করার সময় থেকেই একটা জিনিস খুব ভাল করে বুঝেছে, মেয়েদের শরীরের সৌন্দর্য, বুদ্ধি, মেধা এই তিনটের যদি সঠিক মেলবন্ধন ঘটানো যায় তবে কোনও কিছুই তার উত্থান থেকে সরাতে পারবে না। (Bengali Novel)
আরও পড়ুন: জলকে চল: দ্বিতীয় পর্ব
শিক্ষিত ও ক্ষমতাবান পুরুষ শুধু শরীরে মুগ্ধ হয় না। তারা বুদ্ধিমতী ও মেধাবী মেয়েদের সম্মান করতেও জানে। আর একটা জিনিস বুঝেছিল, ফিটনেস ইজ বিউটি। স্বাস্থ্যই সম্পদ। বিবেকানন্দ এদেশে এই ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও আমেরিকানরা একে একেবারে আয়ত্ত করে ফেলেছে। ভোর থেকেই তাদের ফিটনেস ট্রেনিং শুরু হয়ে যায়। কেউ রোজ দশ মাইল দৌড়াচ্ছে, কেউ সুবিধা মতো জিমে ঘাম ঝরাচ্ছে ঘণ্টা দুয়েক। (Bengali Novel)
সে নিজেও জিম যায় রোজ। ভোরে উঠে এটাই তার প্রথম কাজ। শরীরে বাড়তি মেদ তার একেবারেই অপছন্দের। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের শরীর ভাল করে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাচ্ছে খানিকটা মেদ জমেছে পেটে। এটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। সিল্কের শাড়িতে অতটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু এখন থেকে লাগাম না দিলে বাড়তেই থাকবে, নিজের মনেই বলে মুখে আরেকবার ফেস পাউডারের পাফটা বুলিয়ে পারফিউম লাগাল। এবার বেরতে হবে। রাইমা বাথরুমে। সে চিৎকার করে বলল- ‘রাই আমি বেরচ্ছি’।
বাথরুম থেকে উত্তর এল- দু’মিনিট মা। হয়ে গেছে আমার। (Bengali Novel)
“আগে তবু কলেজটা ছিল, এখন ক্লাস অনলাইনে। হায়ার স্টাডির প্রস্তুতি চলছে। বাড়ি থেকে বেরতে না পারার কারণে তার একটা চাপা ডিপ্রেশন জন্ম নিয়েছে সেটাও বুঝতে পারে মোহনা।”
একটু বিরক্ত হলেও দাঁড়িয়ে গেল মোহনা। সকালে মেয়েকে একবার ভাল করে আদর করে না গেলে, মেয়েটার মনটা ভাল থাকে না। ও ছাড়া তার আর আছেই বা কে! বাবার সঙ্গে শুধু সপ্তাহান্তে টেলিফোনিক কথা-বার্তা, ভিডিও কলেই দায় সাড়া। (Bengali Novel)
আগে তবু কলেজটা ছিল, এখন ক্লাস অনলাইনে। হায়ার স্টাডির প্রস্তুতি চলছে। বাড়ি থেকে বেরতে না পারার কারণে তার একটা চাপা ডিপ্রেশন জন্ম নিয়েছে সেটাও বুঝতে পারে মোহনা। তাই এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে নষ্ট করে না সে। (Bengali Novel)

-হল? দেরি হয়ে যাচ্ছে তো, বাবু হর্ন দিচ্ছে। আরেকবার হাঁক দিল সে।
বাথরুমের দরজা খুলে রাই বেরিয়ে এসে মায়ের বুকে মাথা রেখে প্রশ্ন করল- মা কখন ফিরবে?
-কাজ হলেই ফিরে আসব।
তোমার তো কাজ শেষই হয় না। টিফিন নিয়েছ?
-নিয়েছি।
-অফিসে এক সঙ্গে অনেক মানুষের সঙ্গে বসবে না। জ্বর, কাশি হচ্ছে সকলের, এটা ছোঁয়াচে। সেক্ষেত্রে মাস্ক পরে নিও। তোমার ঘরে অন্য কেউ এলে এসি বন্ধ করে, জানলা দরজা খুলে দিয়ে মিটিং করবে।
-মিটিং? (Bengali Novel)
রাই বুকের থেকে মাথা তুলে বলল, অবাক হলে আমি কি করে বুঝলাম ভেবে? এটা কমন সেন্স মা। তোমার ড্রেস বলছে এ-কথা যে আজ কোনও অনুষ্ঠান বা মিটিং কিছু একটা আছে। বলে মাকে হামি দিয়ে রাই বলল- সাবধানে যেও। (Bengali Novel)
“তারপর তাকে কোলে নিয়ে মা ওয়াশিংটন চলে গেল। ওখানেই ঠাম্মা- দাদুর সঙ্গে ভিডিও কল চলাকালীন একদিন ঠাম্মা ওপ্রান্ত থেকে নিজের দিকে আঙুল দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল- বলতো দিদুভাই আমি কে?”
-সোনা মেয়ে। খেয়ে নিও সময় মতো। আম্মাকে জ্বালাবে না।
-ডোন্ট ওরি। খেয়ে নেব। দুগ্গা দুগ্গা, বলে মায়ের সঙ্গে গেট অবধি এল। বাই মা। তাড়াতাড়ি ফিরো। আবার বলল রাই।
-বাই।
ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিয়ে নীচে নামল মোহনা। (Bengali Novel)
মোহনাকে গেট অবধি এগিয়ে দিয়ে রাই নিজের ঘরের দিকে এগুলো। তার ঘরে ঢোকার আগেই আম্মার ঘর। সে যে কেন ঠাম্মাকে আম্মা বলে কে জানে! অবাঙালিরা আম্মা বলে মাকে। অনেকে ভালবেসে আম্মুও বলে। মায়ের ঢাকা শহরের বান্ধবী ফারহানা অ্যান্টির ছেলে শুভদা আন্টিকে আম্মু বলে, সে আবার মোহনাকেও ছোট আম্মু বলে ডাকে। ফারহানা আন্টিকে সেও আম্মু বলেই ডাকে। কিন্তু ঠাম্মাকে আম্মা কেন বলে এই নিয়ে তার নিজের মনেই অজস্র কৌতূহল। (Bengali Novel)
মা বলে, তার যখন জন্ম হয়, তখন ‘এখানে আকাশ নীল’ বলে একটা সিরিয়াল হত। দীর্ঘদিন ধরে সেটা চলেছিল। তারপর তাকে কোলে নিয়ে মা ওয়াশিংটন চলে গেল। ওখানেই ঠাম্মা-দাদুর সঙ্গে ভিডিও কল চলাকালীন একদিন ঠাম্মা ওপ্রান্ত থেকে নিজের দিকে আঙুল দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল- বলতো দিদুভাই আমি কে? (Bengali Novel)
“সত্যি তো, মেয়েটা রক্তের না হয়েও নিজের বাবা মার প্রতি যত না কর্তব্য করে, তার থেকে অনেক বেশি কর্তব্য করে তাঁর প্রতি। মনে মনে ঈশ্বরকে বলেন- এমন মেয়ে যেন প্রতিটি মায়ের গর্ভে জন্মায়।”
সে উত্তর দিয়েছিল- আ…ম্মা।
সেই থেকে স্নেহলতা হলেন তার আম্মা। মা বলে, পেটে থাকাকালীণ বোধহয় শুনেছিল ঠাম্মাকে সবাই আম্মা ডাকছে। তাই বেরিয়ে কথা বলতে শিখেই বলে দিল আম্মা। (Bengali Novel)
তার অবশ্য এখন ইন্সটাতে বাচ্চাদের নানা ভিডিও দেখতে দেখতে মনে হয়, বাচ্চারা আ… মা… এইসব শব্দগুলো দ্রুত শিখে যায়। সেও হয়তো তেমন কিছু বলতে চেয়েছিল, হয়ে গেল আম্মা। (Bengali Novel)
রাই এসব ভাবতে ভাবতে স্নেহলতার ঘরে ঢুকল। স্নেহলতা এই সময় স্নানে ঢোকার আগে কিছু যোগ ব্যায়াম করেন হাঁটু, পা, হাতকে সচল রাখার জন্য। গত পাঁচ বছরে এ নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। নিজে সচল না থাকলে বিছানায় পড়ে গেলে কারোরই যে ভাল লাগবে না, এ কথা তিনি জানেন। তাছাড়া স্বামী চলে যাওয়ার পর তার তো তেমন কিছু করারও নেই। পেটের ছেলে খবর পেয়ে সাতদিনের জন্য এসেছিল। ‘ছুটি পাইনি’ বলে চলে গেল। অবশ্য বলেছিল, ‘চিন্তা করো না। টাকা পাঠিয়ে দেব।’ (Bengali Novel)
কিন্তু মোহনার আপত্তি তার নজর এড়ায়নি। স্নেহলতা সত্তর বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝতে শিখেছে প্রমিত এদেশে ফিরবে না। তাকে নয় একা অথবা মোহনার ভরসাতেই থাকতে হবে। মোহনা তার যত্ন আত্তির কোনও খামতি রাখেনি। এমনকি সে শ্বশুরের প্রতিও শেষ মুহূর্ত অবধি যাবতীয় দায়-দায়িত্ব কর্তব্য মিটিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষটা যোগ্য মেয়ের হাতে সংস্থাকে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে যেতে পেরেছেন। (Bengali Novel)

কাজেই তাকে চটিয়ে ছেলের কাছে টাকা নিতে, নিজেরও বিশেষ ইচ্ছা ছিল না। তাছাড়া এই সংস্থার একজন অংশীদার তিনিও। ফলে প্রাপ্ত টাকা মোহনা তাঁকে প্রতি মাসেই বুঝিয়ে দেয়। সে টাকা অবশ্য তিনি রাইয়ের নামেই ফিক্সড করে দেন। সংসারে তাঁকে কোনও খরচ করতে দেয় না মোহনা। বেশি বললে বলে, পেটে ধরোনি বলে নিতে চাইছ না? যদি আমি তোমার ছেলে বা মেয়ে হতাম তবে কী এভাবে না করতে! মোহনার এই কথার পর আর তিনি এ বিষয়ে কথা বাড়াননি। সত্যি তো, মেয়েটা রক্তের না হয়েও নিজের বাবা মার প্রতি যত না কর্তব্য করে, তার থেকে অনেক বেশি কর্তব্য করে তাঁর প্রতি। মনে মনে ঈশ্বরকে বলেন- এমন মেয়ে যেন প্রতিটি মায়ের গর্ভে জন্মায়। এমন মেয়েরাই পারবে চিরকালীন শাশুড়ি–বউমার ঝগড়া, শত্রুতার গল্প শেষ করে এক মধুর সম্পর্কের বন্ধন তৈরি করতে। (Bengali Novel)
রাই ঘরে ঢুকে- আম্মা গুড মর্নিং, বলে স্নেহলতার গলা জড়িয়ে ধরল।
-মর্নিং আর কোথায় সোনা? এখন তো গুড আফটার নুন। চা খেলে?
-এই যে করব। তুমি খাবে?
-দিও একটু।
-ওকে বস্, বলে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল রাই। (Bengali Novel)
“ধীরে ধীরে ছেলের সঙ্গে কেজো কথার বাইরে আর কথা খুঁজে পেতেন না তাঁরা। বরং মোহনার সঙ্গেই প্রাণ খুলে কথা হত। ক্রমশ বুঝতে পারছিলেন ছেলে আর বউমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।”
রাইয়ের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল স্নেহলতা। রাই তাঁর প্রাণ। নিজের ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ কমতে কমতে প্রায় তলানিতে। নাতনিই মাঝে-মধ্যে ভিডিও কলে ধরিয়ে দেয় বাবাকে। দু-একটি মামুলি কথা ছাড়া বিশেষ কিছু বলা হয়ে ওঠে না। কিংবা কী বলবে সেটাও বুঝে উঠতে পারেন না। খোকার বাবা বলতেন, কথা হচ্ছে এমন একটা জিনিস, যত চর্চা হবে তত বাড়বে। কথার পিঠে কথা… এই বাক্যটাই সেভাবে এসেছে। যদি একবার কারোর সঙ্গে কথা কমতে থাকে তবে হাজার চেষ্টা করেও দেখবে বলার কিছু খুঁজে পাবে না। (Bengali Novel)
এই কথাটা যে কী নিদারুণ সত্য তা প্রমিতের বিদেশ চলে যাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই টের পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রথম প্রথম প্রতিদিন ফোনে কথা হত। তখনও মোবাইল কম্পিউটার আসেনি এদেশে। তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত ছেলের ফোন আসার। বিদেশে কী খাচ্ছে, সাবধানে যাতায়াত করছে কী না, বাড়ি কখন ফিরল, শরীর ঠিক আছে কী না– গড়পড়তা মায়ের মতোই প্রশ্ন করতেন। প্রমিত দু-একটা উত্তর দিয়ে- এই নাও মোহনার সঙ্গে কথা বলো, আমি বেরোচ্ছি, গাড়ি এসে গেছে, বলে ফোন মোহনাকে ধরিয়ে দিত। (Bengali Novel)
“এখন তো ভাবে মোহনা যদি দেশে ফিরে না আসত, রাই যদি ওখানেই থেকে যেত তবে তাঁর দিন কীভাবে কাটত! ভাবতেই ভয় লাগে!”
ধীরে ধীরে ছেলের সঙ্গে কেজো কথার বাইরে আর কথা খুঁজে পেতেন না তাঁরা। বরং মোহনার সঙ্গেই প্রাণ খুলে কথা হত। ক্রমশ বুঝতে পারছিলেন ছেলে আর বউমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। কী নিয়ে না বুঝলেও অনুমান করতে চেষ্টা করতেন। স্কুল জীবন থেকে প্রেম করে বিয়ে তাদের। তারা একবাক্যেই মেনে নিয়েছিলেন এই সম্পর্কটাকে। অথচ তার পরেও কীসের শীতলতা এল, তা কি মেটবার যোগ্য নয়? এসব চিন্তা মাথায় ঘুরত। (Bengali Novel)
কিন্তু প্রমিতের বাবা বলেছিলেন, এই বিষয়ে আমরা নিজে থেকে কখনও দু’জনের কাছেই জানতে চাইব না। তারা নিজেরা বললে বলবে, যদি অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মতামত জানতে চায় তখন দু-পক্ষের কথা শুনে যদি মনে হয় কিছু বলার বলব। এখন আর এত দূর থেকে আমাদের এসব ঝামেলায় না জড়ানোই ভাল। (Bengali Novel)

মোহনা বা প্রমিত এই নিয়ে কিছুই বলেনি। তবে মায়ের মন বুঝেছিল তাদের সম্পর্কটা একেবারেই ভেঙে গেছে। মোহনা যখন এদেশে রাইকে নিয়ে ফিরে এসে তাদের বাড়িতেই উঠল, অবাক হয়েছিলেন দু’জনেই। তবু কোনও প্রশ্ন করেননি। সাদরে মোহনা আর রাইকে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন। ক্রমশ উপলব্ধি করেছিলেন, এ মেয়ে আর পাঁচটা মেয়ের মতো নয়। শক্ত ধাতুতে তৈরি। মনের মধ্যে যাবতীয় যন্ত্রণা লুকিয়ে রেখে হাসিমুখে কাজ করে যাওয়ায় বিশ্বাসী। তাই তাকে না ঘাঁটিয়ে প্রশ্রয়ই দিয়েছেন। (Bengali Novel)
অমিত বলেছিলেন, “বুঝতেই তো পারছ কিছু একটা ঘটেছে। খোকা আর ফিরবে না। বউমাকে কারণ জিজ্ঞেস করে বিব্রত না করাই ভাল। যে ফিরবে না তার জন্য দুঃখ করো না। যে এসেছে তাকে নিয়ে আনন্দে বাঁচার চেষ্টা করাটাই জীবন। তাছাড়া রাই সুন্দরী এসেছে মায়ের সঙ্গে। সে আমাদের ছেলেরই অংশ। বংশধর। তাকে নিয়ে দিব্বি কেটে যাবে। একটাই চাওয়া বউমা যেন রাইকে হোস্টেলে দিয়ে না দেয়।” (Bengali Novel)
আরও পড়ুন: জলকে চল: প্রথম পর্ব
প্রথম প্রথম এই নিয়ে দু’জনের মনে একটা ভয় ছিল। কিন্তু মোহনাই চাইল না মেয়ে ছোট থেকে বাইরে থাক। সে বলেছিল- বাবা, আমি মেয়েকে নিয়ে এখানেই থাকতে চাই। ও বাবাকে না পেলেও যাতে তোমাদের ভালবাসা, স্নেহ, আদর সবচেয়ে বড় কথা একটা পরিবারের মধ্যে হেসে খেলে বড় হয়, এটাই চাই। তোমাদের আপত্তি নেই তো! (Bengali Novel)
সেদিন তাদের বুকের ওপর থেকে কী ভীষণ এক পাথর নেমে গিয়েছিল, তা তারাই জানে।
এখন তো ভাবে মোহনা যদি দেশে ফিরে না আসত, রাই যদি ওখানেই থেকে যেত তবে তাঁর দিন কীভাবে কাটত! ভাবতেই ভয় লাগে! (Bengali Novel)
(ক্রমশ)
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
অলংকরণ- আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়
বিতস্তা ঘোষাল ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। আধুনিক ইতিহাসে এম এ, লাইব্রেরি সায়েন্সে বিলিস। কলেজে সাময়িক অধ্যাপনা। প্রকাশনা সংস্থা ভাষা সংসদের কর্ণধার। ও অনুবাদ সাহিত্যের একমাত্র পত্রিকা ‘অনুবাদ পত্রিকা’-র সম্পাদক।
'বাংলা আকাডেমি', 'সারস্বত সম্মান', 'বিবেকানন্দ যুব সম্মান', ‘একান্তর কথাসাহিত্যিক পুরস্কার', 'কেতকী' কবি সম্মান, ‘চলন্তিকা’, 'দুই বাংলা সেরা কবি সম্মান', 'বিজয়া সর্বজয়া', 'মদন মোহন তর্কালঙ্কার সম্মান', 'বই বন্ধু সেরা লেখক ২০২৪' সহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মান প্রাপ্ত।
বিতস্তার প্রকাশিত বই ৩৪টি। তাঁর কবিতা ও গল্প হিন্দি, ওড়িয়া, অসমিয়া ও ইংরেজি,ইতালি, গ্রীক ও স্প্যানিশে অনুবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ওড়িয়া ভাষায় প্রকাশিত তার গল্প সংকলন রূপকথার রাজকন্যারা।
দেশ বিদেশে কবিতা ও গল্প পড়ার ডাক পেয়েছেন একাধিকবার।বাংলা সবকটি জনপ্রিয় পত্রিকা ও সংবাদপত্রে তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত।
নিজের কাজের গণ্ডীর বাইরে অফিস ও পরিবারেই স্বচ্ছন্দ বিতস্তা কাজের ফাঁকে অবসর সময় কাটান নানান সামাজিক কাজে।
ভালোবাসা ছাড়া বাকি সব কাজ গুরুত্বপূর্ণহীন। তার নিজের কথায় ভালোবাসা ছাড়া কেউ কি বাঁচে?