(Bengali Novel)
আধ ঘণ্টার মধ্যেই মিটিংটা হয়ে গেল মোহনার সঙ্গে নর্থ-ইস্ট বুক পাবলিশার্সের রাহুলের। গুগল মিটে। ওদের হেড অফিস আসাম। পশ্চিমবঙ্গে এখন আসা ওদের সম্ভব নয়। সেখানে এখন নতুন সরকার, তাদের গুড বুকে থাকার একটা প্রচেষ্টা চলছে, তার থেকেও বড় কথা এই মুহূর্তে বই নিয়ে গিয়ে যে খুব লাভ হবে এমনটাও নয়। (Bengali Novel)
রাহুল স্পষ্ট বক্তা। টার্ম এ্যান্ড কন্ডিসান ঠিক করে এগ্রিমেন্ট করা রইল। আরও দুটি সংস্থার সঙ্গেও সে একই পলিসি নিয়েছে, এটাও জানিয়ে দিল।
আরও পড়ুন: জলকে চল: সপ্তম পর্ব
যদিও সংস্থা দুটোর নাম সে জানায়নি, তবে মোহনার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না কারা হতে পারে। যদিও এই নিয়ে তার কোনও সমস্যা নেই। সে রাহুলের পাঠানো সব কাগজ ও এতক্ষণ ধরে চলা আলোচনা থেকে একটা সহজ জিনিস বুঝে নিয়েছে। শুরু করা গেলে ভবিষ্যতে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবেই। (Bengali Novel)
মিটিং শেষ করে বেল বাজিয়ে চা চাইল মোহনা। এই পেশায় এসে তার চায়ের আসক্তি প্রচন্ড বেড়ে গেছে। অবশ্য গ্রিন টি। চেয়ারে বসেই সে মোবাইল থেকে রিং করল আলোক কাকুকে। আজকের আলোচনার কথা জানাতে হবে তাঁকে। মাঝে মাঝে সে ভাবে, আলোক কাকু না থাকলে সে কি এত দ্রুত সব সামলে নিতে পারত, নাকি জানত এই বই রিলেটেড সকল খুঁটিনাটি! (Bengali Novel)

পাঁচ বছর আগে যখন সে ঠিক করেছিল এখানে যোগ দেবে, কিছুই তো জানত না প্রকাশনা সম্পর্কে। শ্বশুরমশাই প্রায় সবটাই ছেড়ে রেখেছিলেন কর্মচারীদের ওপর। তারাই সিদ্ধান্ত নিত কী হবে, কী হবে না। অফিসে যাতায়াত শুরু করার পরই মোহনা বুঝেছিল অফিসের কেউ তার আসাটা ভাল মনে নেয়নি। পত্রিকা কেন নিয়মিত ছাপা হচ্ছে না জানতে চেয়ে জেনেছিল- বিজ্ঞাপন নিয়মিত আসে না। (Bengali Novel)
“আগে কত বিজ্ঞাপন আসত। পাতায় পাতায় খালি বিজ্ঞাপন। এক এক সময় এমন হত যে বিজ্ঞাপন ছাপতে গিয়ে লেখা বাদ দিতে হত, কিংবা এমনি যত পাতা তার থেকে বেশি পাতার করতে হত। লোকে বলত ‘সাগরিকা’য় বিজ্ঞাপন দিলে তার প্রোডাক্ট নাকি বাজারে হু হু করে বিক্রি হয়।”
-বিজ্ঞাপন কে দেখেন?
-অমরদা।
-একটু ডেকে দেবেন? আমার কিছু জানার আছে ওঁর থেকে।
-তিনি তো আসেন না রোজ। যদি কোনও ম্যাটার আসে, মেল করে দেন।
অমিতবাবু মানে শ্বশুরমশাইকে জিজ্ঞেস করেছিল সে।
-বাবা, অমরবাবু আমাদের পার্মানেন্ট স্টাফ নয়?
-পার্মানেন্ট-ই তো।এখানে অস্থায়ী কোনও সদস্য নেই। ফ্রিল্যান্স যারা করে তাদের পারফর্মেন্স ভাল হয় না বউমা।
-স্থায়ী স্টাফ হলে রোজ অফিসে আসা জরুরি। তিনি নিয়মিত আসেন না শুনলাম।
-হ্যাঁ। বয়স হয়েছে। আর রোজ আসতে পারে না বেচারা। আমিই বলেছি ম্যাটার এলে পাঠিয়ে দিতে।
-কিন্তু আমাদের শেষ দু-বছরের সংখ্যা দেখলাম। তেমন কোনও বিজ্ঞাপন নেই। রেগুলার বিজ্ঞাপন না এলে পত্রিকা অনিয়মিত হবে। (Bengali Novel)
-সে তো হয়ে গেছেই। তুমি দেখেছ বউমা? আগে কত বিজ্ঞাপন আসত। পাতায় পাতায় খালি বিজ্ঞাপন। এক এক সময় এমন হত যে বিজ্ঞাপন ছাপতে গিয়ে লেখা বাদ দিতে হত, কিংবা এমনি যত পাতা তার থেকে বেশি পাতার করতে হত। লোকে বলত ‘সাগরিকা’য় বিজ্ঞাপন দিলে তার প্রোডাক্ট নাকি বাজারে হু হু করে বিক্রি হয়। তাছাড়া তখন সরকারি বিজ্ঞাপনও অঢেল পেতাম।
-তখন কে বা কারা এই বিজ্ঞাপন সংগ্রহের কাজগুলো করতেন? (Bengali Novel)
-প্রথম দশ বছর আমি সক্রিয়ভাবে নিজেই করতাম। বাবা আমাকে বলেছিলেন, নিজেই যাবে। তাহলে ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আমিও তাই প্রতি সংখ্যা বেরনোমাত্র বিভিন্ন দপ্তরে পত্রিকা দিয়ে আসতাম আর গল্পের ফাঁকে পরের সংখ্যার ম্যাটারও নিয়ে নিতাম। তখন তো এসব মেইল, আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না। লেটার প্রেসে ছাপা। ফলে অনেক আগে থেকে রেডি না করলে বিপদ হয়ে যেত। কী সব দিন গেছে! তোমাকে গল্প করলে ভাববে বাড়িয়ে বলছি।
-না বাবা, আমি এসব ভাবব না। কিন্তু একটা বিষয় বুঝতে পারছি না, আপনি যাওয়া বন্ধ করার পরেও তো পত্রিকায় ভালই বিজ্ঞাপন এসেছে। তবে এখন এই হাল কেন? (Bengali Novel)
-আসলে একটা কথা কী জানো বউমা, যে কোনও দপ্তরে যে ধরো সর্বোচ্চ পজিসনে বসে আছেন, এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়ে তাঁর একটা মত থাকে। তাঁর সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক, তিনি যতদিন চেয়ারে থাকবেন আমি যাই, না যাই সেই বিজ্ঞাপনটা পাবই। এবার তিনি অবসর নিলেন। তাঁর জায়গায় যিনি এলেন তাঁর সঙ্গে হয়তো আমার তেমন সম্পর্ক নেই, বা ছিল না, প্রয়োজনও হয়নি। এখন তাঁর কাছে গেলাম। তিনি দুটি কাজ করতে পারেন, এক- হেসে চা খাওয়ালেন, খানিক গল্প করলেন, দিয়ে বললেন, ‘কাগজ পত্র রেখে যান। আমি একটু দেখে নিয়ে জানিয়ে দেব। আর নয়তো আরেকটি কাজ করবেন। নির্দ্ধিধায় বলে দিতে পারেন, অমুক বাবু সাহিত্যপ্রেমী ছিলেন, তিনি নিজের ভালো-লাগা থেকে এগুলো দিতেন। এতে কোম্পানির লস হলে ব্যক্তিগতভাবে সেটা মিটিয়ে দিতেন। আমি অত সাহিত্য বুঝি না, আমাকে ব্যাবসা করার কথা ভাবতে হবে।’ (Bengali Novel)

আসলে লস বা লাভ নয়, তিনি যেহেতু আগের জনের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক ছিল, তাই ইগো সমস্যায় ভদ্র ভাষায় না করে দিলেন। এই বিষয়টা দীর্ঘদিন ভাল লাগেনি বউমা। হয়তো পত্রিকার স্বার্থে করা উচিত ছিল, কিন্তু দম্ভ- আমি কী সাধারণ মানুষ! আমি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকার সম্পাদক, এখানে লেখার জন্য লেখকদের ভিড়। আমাকে কী না তুচ্ছ তাচ্ছিল্য! তাই লোক রাখলাম।
-লোক রেখে কী আগের মতো হচ্ছিল? (Bengali Novel)
“মোহনা সেদিন বুঝে গেছিল, শ্বশুরমশাই নামেই এটাকে চালান, আসলে তিনি এতটুকুও দেখেন না। আর সেই ফাঁকে নিয়মিত স্যালারি নিয়েও কোনও কাজ করেন না সহকর্মীরা।”
-হ্যাঁ। এই অমর যখন যোগ দিল বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম দিকে ভালই আনছিল। আমার আনাগুলো তো ছিলই, তার সঙ্গে সেও যথেষ্ট পরিশ্রম করত। তারপর ধীরে ধীরে পত্রিকার প্রসার কমতে লাগল, বিজ্ঞাপনও কমল। আর এখন তো নিজের চোখেই দেখছ কী অবস্থা!
-পত্রিকার বিষয় না হয় বুঝতে পারলাম। কিন্তু প্রকাশনার হাল এমন কেন? গত পাঁচ বছর যত বই হয়েছে, তার কোনও বিক্রি নেই। ম্যানেজারবাবু বললেন, বড়দাকে যে এসে বলেছে বই বের করে দিতে, তিনি তার বই-ই প্রকাশ করে দিয়েছেন। কিন্তু সেসব বইয়ের বিক্রি নেই। (Bengali Novel)
-না না, ঠিক তা নয়। আগে আমাদের বই বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটার নিয়ে যেতেন, জেলায় জেলায় বইয়ের দোকানে সেগুলো বিক্রি হত। কিন্তু এখন শুনছি সেখানে নাকি শুধু পড়ার বই বিক্রি হয়, সাহিত্য সংক্রান্ত বই পড়ার চল নাকি আগের মতো আর নেই।
-আপনি নিজে গিয়ে সেগুলো খোঁজ করেছেন?
-আমি! না। এই বয়সে অত দৌড় ঝাঁপ আর সহ্য হয় না। তবে হলধর যায়। তার-ই দায়িত্ব বইয়ের বিপণনের। বিভিন্ন দোকানের সঙ্গে সংযোগ মূলত সেই করে।
-বাবা আমি আজ যে কদিন এখানে আসছি, এক দিনও তাঁকে দেখিনি।
-আসছে না? আমাকে তো কেউ বলেনি সে আসছে না
-আমাদের এখানে রেগুলার এ্যাটেন্ডেণ্ট খাতা মেইন্টেন হয় না? মানে হাজিরা খাতা।
-না বউমা। ওসব স্কুল কলেজ সরকারি, বেসরকারি অফিসে হয়। এখানে এসব করা মানে কর্মীদের সন্দেহ করা। (Bengali Novel)
আরও পড়ুন: জলকে চল: পঞ্চম পর্ব
মোহনা সেদিন বুঝে গেছিল, শ্বশুরমশাই নামেই এটাকে চালান, আসলে তিনি এতটুকুও দেখেন না। আর সেই ফাঁকে নিয়মিত স্যালারি নিয়েও কোনও কাজ করেন না সহকর্মীরা।
তাও সে নিজের মতো করে হলধর বাবুর সঙ্গে কয়েকবার বসে ঠিক কোন জায়গায় আছে বইয়ের ডিস্ট্রিবিউশন বোঝার চেষ্টা করল। (Bengali Novel)
-আপনাদের স্টক রেজিস্ট্রেশন খাতা আছে?
-ছিল, কিন্তু এখন আর কাউন্ট করা হয় না।
-কেন?
-বই বিক্রি হলে তো স্টক কমবে, বিক্রিই নেই।
-আপনার কাছে যারা যারা আমাদের বই আগে নিতেন তাদের ফোন নাম্বার আছে?
-তা ছিল। তবে এখন খুঁজে দেখতে হবে।
-খুঁজতে হবে কেন? ফোন নাম্বার তো অফিসে নিশ্চয়ই কোথাও লিখে রাখা হয়। অন্তত তাই হওয়া উচিত। (Bengali Novel)
“মোহনা অবাক হয়ে গেছিল এসব শুনে। এই প্রতিষ্ঠানটা বাঁচাবার জন্য অমিতবাবুর রাতের ঘুম উড়ে গেছে, কীভাবে এতগুলো কর্মীর মাইনে দেবেন, তিনি না থাকলে এরা কীভাবে সামলাবে এসব নিয়ে তিনি রীতিমত চিন্তিত, আর এরা!”
-আগে লিখে রাখা হত। এখন হয় কী না ঠিক জানি না। আসলে আগে তো দোকানের মালিকের সঙ্গে গিয়ে সরাসরি কথা বলে বই দিয়ে আসা হত। এখন আর সরাসরি গেলে মালিকের সঙ্গে দেখা হয় না। কর্মচারীরা দেখাশোনা করে, বলে মালিক এলে বলে দেব ফোন করে নিতে। আর মালিকদের এখন আর ল্যান্ড লাইন নেই। সবার মোবাইল। সেগুলো আর লিখে রাখা হয়নি।
-বেশ। কোথায় কোথায় বই দিতেন সেই দোকানগুলোর নাম, বা ঠিকানা?
-সে টা কি একটা! অনেক। অত দোকানই এখন আর নেই। আপনি বরং বড়দার থেকেই এসব ভাল জানতে পারবেন। (Bengali Novel)

হলধরবাবুর থেকেও যে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাবে না, মোহনা সেদিনই বুঝে গেছিল। এটাও বুঝতে পারছিল, এই পুরোনো স্টাফেরা তার অফিসে আসা- ভাল মনে নিচ্ছে না। কিন্তু একবার যখন এখানে ঢুকে পড়েছে তখন পিছিয়ে আসার কোনও শখ তার নেই। এর মধ্যেই তার কানে এসেছে– আরে এ ব্যবসা সামলানো কী অত সহজ? যতই এম বি এ হও, কর্পোরেট হাউসে চাকরি করো, এখানে টিকে থাকা অত সোজা নয়। রূপ দেখিয়ে টিকে থাকা যাবে না। খাটতে হবে। বাজারে ঘুরে দেখ বাপু, বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল! সে আরও শুনেছে, হলধরবাবু বিশু বাবুকে বলছে- স্টক দেখবে? তোকে দেখাব কেন? তুই আমার মালিক? (Bengali Novel)
বিশু বলছিল- কিন্তু উনি তো এই প্রতিষ্ঠানেরই। প্রমিতদা ফিরে এসে এর কর্ণধার হবেন। কাজেই খোঁজ তো নিতেই পারেন…
-আরে না না, আমার কাছে খবর আছে, ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। প্রমিত এদেশে ফিরবে না। আর এও সময় কাটাবার জন্য কদিন আসছে। দু-মাস ছুটি নিয়েছে অফিসে। চাকরি ছাড়েনি।
-তুমি নিশ্চিত?
-হ্যাঁ রে বাবা! বড়দা চলে গেলে এ সংস্থা গেল। আমাদের আর কী! প্রভিডেন্ড ফান্ড, টাকা সব তো পেয়ে যাব। তারপর যা হওয়ার হোক। (Bengali Novel)
মোহনা অবাক হয়ে গেছিল এসব শুনে। এই প্রতিষ্ঠানটা বাঁচাবার জন্য অমিতবাবুর রাতের ঘুম উড়ে গেছে, কীভাবে এতগুলো কর্মীর মাইনে দেবেন, তিনি না থাকলে এরা কীভাবে সামলাবে এসব নিয়ে তিনি রীতিমত চিন্তিত, আর এরা! (Bengali Novel)
(ক্রমশ)
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
অলংকরণ- আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়
বিতস্তা ঘোষাল ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। আধুনিক ইতিহাসে এম এ, লাইব্রেরি সায়েন্সে বিলিস। কলেজে সাময়িক অধ্যাপনা। প্রকাশনা সংস্থা ভাষা সংসদের কর্ণধার। ও অনুবাদ সাহিত্যের একমাত্র পত্রিকা ‘অনুবাদ পত্রিকা’-র সম্পাদক।
'বাংলা আকাডেমি', 'সারস্বত সম্মান', 'বিবেকানন্দ যুব সম্মান', ‘একান্তর কথাসাহিত্যিক পুরস্কার', 'কেতকী' কবি সম্মান, ‘চলন্তিকা’, 'দুই বাংলা সেরা কবি সম্মান', 'বিজয়া সর্বজয়া', 'মদন মোহন তর্কালঙ্কার সম্মান', 'বই বন্ধু সেরা লেখক ২০২৪' সহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মান প্রাপ্ত।
বিতস্তার প্রকাশিত বই ৩৪টি। তাঁর কবিতা ও গল্প হিন্দি, ওড়িয়া, অসমিয়া ও ইংরেজি,ইতালি, গ্রীক ও স্প্যানিশে অনুবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ওড়িয়া ভাষায় প্রকাশিত তার গল্প সংকলন রূপকথার রাজকন্যারা।
দেশ বিদেশে কবিতা ও গল্প পড়ার ডাক পেয়েছেন একাধিকবার।বাংলা সবকটি জনপ্রিয় পত্রিকা ও সংবাদপত্রে তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত।
নিজের কাজের গণ্ডীর বাইরে অফিস ও পরিবারেই স্বচ্ছন্দ বিতস্তা কাজের ফাঁকে অবসর সময় কাটান নানান সামাজিক কাজে।
ভালোবাসা ছাড়া বাকি সব কাজ গুরুত্বপূর্ণহীন। তার নিজের কথায় ভালোবাসা ছাড়া কেউ কি বাঁচে?
