














(Chhau Mask) ছৌ-নাচের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রাম। প্রখ্যাত ছৌ-নাচ শিল্পী পদ্মশ্রী গম্ভীর সিং মুরার সঙ্গে এই গ্রামের সম্পর্ক অতি গভীর। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে চড়িদা। এখানে প্রায় একশো পরিবারের বাস। গ্রামটি ছৌ-নাচের মুখোশের জন্মস্থান। কয়েক প্রজন্ম ধরে এদের একটাই জীবিকা, ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি করা। ছোট ছোট বাড়িতে সার দিয়ে সাজানো রঙবেরঙের মুখোশ। (Chhau Mask)
রাস্তার দুই পাশে শিল্পীদের কর্মশালা। দেয়ালে সুসজ্জিত মুখোশগুলির প্রদর্শন। দোলের আগে এখানে ছৌ মুখোশ মেলা হয়। মূলত ছৌ নাচের প্রয়োজনে দেবদেবী, রাক্ষস ইত্যাদির মুখোশ তৈরি হলেও আদিবাসী দম্পতি, বিভিন্ন পশুর মুখোশও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মুখোশ তৈরির মূল প্রক্রিয়ার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। (Chhau Mask)
ফটোস্টোরি: গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা
প্রথমে, নরম কাগজের আট থেকে দশটি স্তর পাতলা আঠাতে ডুবিয়ে ছাঁচে একের পর এক পেস্ট করা হয়। কাদা ও কাপড়ের একটি বিশেষ স্তর প্রয়োগ করা হয় এবং তারপর মুখোশটি রোদে শুকানো হয়। শুকিয়ে গেলে কাদামাটি ব্যবহার করে হাত দিয়ে মুখের সঠিক আকার আনা হয়। এরপর রঙ করে মুখোশগুলি পুঁতি, ফিতা, কৃত্রিম ফুল এবং পাতা দিয়ে সাজানো হয়। অবশেষে নাক এবং চোখের গর্তগুলি ড্রিল করা হয়।
তবে সময়ের সাথে সাথে প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। নল ও দড়ির জায়গা নিয়েছে প্লাস্টিকের উপকরণ। প্রাকৃতিক রঙের বদলে এসেছে সিন্থেটিক পেইন্ট। শিল্পীরা এখন ছোট মুখোশ তৈরিতে বেশি আগ্রহী। দামে সস্তা চাহিদা প্রচুর।শিল্পীরা শীতকালে বিভিন্ন মেলায় মুখোশ বিক্রিও করছেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর।পেশায় শিক্ষক। বেলুড় বিদ্যামন্দিরের ফোটোগ্রাফির ডিপ্লোমা। ভালোবাসেন বেড়াতে, ছবি তুলতে আর পুরোনো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।
2 Responses
Good attempt
Good attempts