সময়, তোমার শব্দ
জলের গভীর লিখি। লিখি এ জীবন দুঃখময়।
মনের ভিতরে শব্দ
রাত ন’টায় শাটার নামানোর;
প্যাডেল ঘোরায় রিক্সা, এ পাড়া, ও পাড়া।
তোমার চোখের মধ্যে দেখি মফসসল পাড়া
বড় বেশি একলা হয়ে আছে।
রাতের গভীরে শুনি কারা কারা হেঁটে যায়
সেই সব পথে। তারা, কড়াও নাড়ে না।
তুমি শ্বাস নাও, শ্বাস ফেলো-
যেন একবুক
আশাবাদ নিয়ে তুমি ডুব-সাঁতারে পেরোচ্ছ শহর
আর পিছু পিছু আসছে
ধর্ম, দল, নির্বাচন, রাতের বাজার।
আমাদের মাঝখানে শুয়ে থাকে নির্বিকার খবর কাগজ।
প্রতিরক্ষা
একটি অসহায় বেশ্যা ঘরবদল করে প্রতি রাতে;
তাকে ভোগ করে রোজ কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী, কবি ও ভিক্ষুক।
তার মুখে জমে থাকে দুঃখ আর খিদে,-
আর দ্যাখো গলির মুখটায়
বেগুনি-সবুজ-নীল রঙমাখা মুখ ঘাপটি মেরে
তোমায় রূপের দেশে নিয়ে যাবে বলে মৃদু দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ওকে চিনে রেখো; লোকে রাজনীতি ব’লে ডাকে
আসলে দালাল। খায় সকলের দেহ।
কখনও ঘরের মধ্যে ঢুকিও না, ঘর ভেঙে যাবে।
খুব খিদে পেলে খেও নিজেকেই, একটু একটু করে।
প্রেমের কবিতা
যে কাব্য আঁধার নয়, তাকে আমি সন্দেহের চোখে
সেই কবে বাতিল করেছি;
এত আলো কোথা থেকে পাও? বলে, রাতের মাতাল।
আমিও বুঝি না তাকে, দু’জনেই অবিশ্বাস করি।
ত্রিফলা ল্যাম্পের নীচে রক্তহীন সাদা আলো পড়ে থাকে,-
বড় বেওয়ারিশ।
দেখি অন্নপূর্ণা তাঁর শেষ রাতের ভাত বেড়ে
খাওয়াচ্ছেন পাগল স্বামীকে।
কীভাবে দরদর করে ঘেমে যায় প্রেম, জানে তারা।
হায় রাত্রি এসো ঘুম পাড়াও লেখার মধ্যে
লিরিকাল হও।
জীবন খসখস করে পোকা কাটা পুরনো পাতায়।
এত রাতে তাকে আর বিরক্ত কোরও না…

লীলা
ঈশ্বর পাথর নন, আসলে ছটফটে এক তরুণী প্রেমিকা;
প্রেমিকের ব্যবহার আশা করে তোমার ভিতরে-
যেমন বৃষ্টির কাছে নেচে ওঠে পুরনো ময়ূর;
বিরহে সৈকত ভাঙে সমুদ্রের আদরের জলে।
হায় ভক্ত, তুমি তবু স্থানু বড়, খুঁজেছ মন্দির-
তোমার আশ্রয়; যেন চারদেওয়াল বিবাহের পরে
সংসার গড়েছে, তার শয়নকক্ষে প্রেমিকার শব
একাকী দিয়েছে বরাভয়।
বৃষ্টিপাত ছাড়া কোনও শস্যক্ষেতে ফসল ফলে কি?
দাগ
সমস্ত পায়ের ছাপ মায়াবী, অদৃশ্য হয়ে যায়
ভাবি দাগ রেখে যাওয়া গেল;
ভাস্কর যেভাবে তার বেদনা খোদাই করে রাখে।
পড়ে থাকে রক্তদাগ, খিদে, স্বপ্ন, প্রেম,-
নশ্বরতা কিছুতেই অতিক্রম করে না নিজেকে।
নিজের আয়নার দিকে হেঁটে যেতে যেতে সেও
নিজেকেই অবিশ্বাস করে;
সমস্ত পায়ের ছাপ মুছে যায় জেনে,-
এসো আজ দেখা হোক, পাশাপাশি হেঁটে যাই
রোদ প’ড়ে এলে।
অভিসার
যে কোনও দূরত্ব ডাকে
রাস্তাই আসল প্রেম
দু’জনেই দু’জনের পায়ে শুনি
স্রোত লেগে আছে
পৌঁছে গেলে বোঝা যায়
এত কাছে না থাকলেও হত-
দূরত্ব পেরনো যায়, রাস্তাটুকু নয়

অধিকার
অনন্তপাপীর মতো আমিও তোমাকে আঁকড়ে ধরি
এ পাপ গ্রহণ করো- আর কিছু নেই
এত রাস্তা হেঁটে এসে হিংসা ও বিদ্বেষ ছাড়া কী আছে যা
ছেঁটে ফেলতে পারি;
বাকি যা রয়েছে সব ভোগ, শান্তিজল।
বিশ্বাস করিনি কিছু, ভেবেছি যেটুকু তুমি, সমস্ত আমার।
কোনও জন্ম সত্য নয়, মোহানাও নয়
শুধু তোমার চোখের মধ্যে চেয়ে থাকা ভালো।
এ পাপ গ্রহণ করো, আপাদমস্তক আমি
তোমার খাবার হয়ে সুস্বাদু হয়েছি।
আমাকে না খেলে আমি কীভাবে তোমার গর্ভে যাব!
আহ্নিক
ধূপের ধোঁয়াটি সরু, অল্প একটু গিয়ে, ভেঙে যায়
ভেসে আসে কোলাহল, বেসামাল বারান্দায় কৌতূহলগুলি;
সংসার ঘরোয়া তাঁর, তবু
ঠাকুর-দেবতার ছবি সামনে নিয়ে মাতৃমূর্তি, পুজোয় বসেন।
যেন সেই বালিকাটি আজও রান্নাবাটি খে’লে
কত না মনের কথা বলছে তার পুতুলের কাছে।
প্রাণের পুতুল তার, কতজন্ম পেরনো ঈশ্বর
না-শুনে না-বলে কতদিন বলো চুপচাপ থাকেন?
ঝড় আসে, বৃষ্টি আসে, রোদ বুড়ো হয়।
মা-আমার পুজোয় বসেন।
ধূপের ধোঁয়াটি, শুধু, অল্প একটু গিয়ে, ভেঙে যায়
ছুটি
রঙিন পতাকা ওড়া দেশে চলে যাব-
পিছনে পাইনবন, কতদিন পা পড়ে না সেখানে কারোর
হয়তো কুয়াশা তার মুখ ধুইয়ে দিয়ে চলে যায়-
আমার বিরহ ঝরে, ফোঁটা ফোঁটা ফুলে;
আমিও তোমার সঙ্গে চলে আসব পাহাড়ি বর্ষায়
যেমন বেড়াতে আসে দুঃখগুলো ছুটির সময়
কয়েকদিন মাত্র, তার পর ঘণ্টা বাজে
কে জানে দুঃখই কিনা প্রকৃত ঈশ্বর তবু-
মানত করেছি আমি লাল পতাকায়
ভালোবাসি তোমাকেই, চলো আরও কিছুদিন
শুকনো কাঠ-পাতা জড়ো করে জ্বালি অন্ধকারগুলো।
ঘণ্টা যত বাজে, তত রাত কমে যায়।
ইতিহাস
শুধু প্রতিধ্বনি শুনি, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে, একাকী দেওয়ালে
পুরনো হাতের ছাপ, কবেকার গল্প সব, দাগ লেগে আছে-
আর কী নতুন কথা বলতে পারি সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে
আমিই তো উঠেছি এসে, আমিই সম্রাট আর আমিই সৈনিক
আমিই ফাঁসুড়ে আর ওই শোনো ফাঁসির আসামী
বাইরে তার জাতিস্মর লিখে রাখছে পূর্ব সব স্মৃতি
শুধু প্রতিধ্বনি বাজলে আমরা হেমন্তকাল বুঝি
বুঝি পাতা ঝরে যায়, মনে হয়, হয়তো বা চেনা
এই ঝরে যাওয়াটুকু, – ওই তো সমাধি আর
ওই তো এই মাত্র কেউ দাগ রেখে গেল!

এপিফ্যানি
যে কোনও পাহাড়ি বাঁক আমার নিজের মনে হয়;
তুমি ওই পথ ধরে আসবে ভাবি বহুকাল ধরে
অচেনা হলুদ ফুল ফুটে থাকে রাস্তার ধারেই।
কয়েকদিন মাত্র তার আয়ু।
আমরা তো এমনভাবে বেঁচে আছি অচেনার মতো-
তারপর ঘুরিয়েছি আশ্চর্য সাইকেল-
দিগন্তে যাবে না এই রাস্তা তবু ফুলের উপর
ধ্যানস্থ মৌমাছি দেখি আচমন করে।
যে কোনও পাহাড়ি বাঁকে আমাদের
দেখা হতে পারে।
বাড়িওয়ালা
সময়, তোমার শব্দ একা একটি ঘরে বেজে ওঠে।
অথবা ভিড়ের মধ্যে, চকিতে সাবধানবাণী যেন;
নিশুতি রাতের মধ্যে, কুয়াশায়, বৃষ্টির ভিতর
সমস্ত নির্জন গাছ নীরবতা জানায় প্রকৃত।
একাকী মানুষ যায় ঘরের বাইরে, আর
ঘরের ভিতরে ছোটে যারা বাইরে আছে।
নিজের সমস্ত আয়ু খেতে খেতে একা
সময়, পুরনো লোক, শান্ত, হেঁটে যায়।
বাজার, দোকান, রাস্তা, প্রেম, আয়ু, নগদবিদায়
দরজায় দরজায় ঘোরে, ভাবে ঘর ফাঁকা পাওয়া যাবে।
অদৃশ্য
ভেঙেছ দুপুর, যার কার্নিশে অপেক্ষা করে অবলা গোধূলি।
মায়াবী সাহস চাই, বলেছিল বিধিলিপি হারানো পাগল-
সে কোন অদৃশ্যে বোনে আঁকাবাঁকা সরু সুতো, গোপন সোয়েটার;
অতিথিনিবাস যেন রাস্তাঘাটে আমাদের চন্দ্রাহত প্রেম।
সৈকত নিঃসঙ্গ হলে সমুদ্র, একাকী ভাষা লোভাতুর জিভে
তোমাকেও টেনে নেয়, ভাবো কারা আসে আর কারা চলে যায়
বাউল, সহজ ভাব, প্রস্তুতি ছাড়াই সব নোঙর ওঠায়।
অন্ধকার সত্য নয়, আলো লেখো, আমরণ হাতে তুলে নাও
বাঁশির হ্যামলিন হাত, তাকে বলো- ভালোবাসি, যেটুকু আঁধার
দেখেছ জানলায়, তার বাহুবলী মুখের আড়ালে
পাগল, দুপুর ছেঁড়ে, জুড়ে দেয়, গিঁট পাকায়, স্বভাবসম্মত!
ভেঙেছ দুপুর, তার শব্দে শোনও পাড় ভেঙে যায়
রহস্য
উন্মাদ বৃষ্টির মধ্যে ট্রামের জলরঙ তুমি, তোমাকে বুঝি না।
বুঝি না বলেই আমি ভালোবাসি, যত গর্জে তত সে বিদ্যুত!
বিদেশি আবহ বাজে তোমার দুচোখে-
রহস্যফাইলে বন্দি ধোঁয়াটে কেসের গায়ে প্রামাণ্য কিছুই
লেখেনি কাহিনিকার, জীবন যেমন
নিজের দিকেই বড় বোকা হয়ে থাকে।
কিছুই কি চাওয়া যায়? তোমার বুকের মধ্যে হাজার ভিড়েও
ধর্মঘটগামী এক শহরের বডি পড়ে আছে।
গোপনে লোপাট করো, প্রমাণ রেখো না

ব্রেক
আমাদের মধ্যে এক চোরা দরজা ঠেলে রোজ
ঢুকে পড়ে বিজ্ঞাপনী গান
ভাবি কোথা থেকে এলো এত আশাবাদ
সে এক নাছোড় সুর, মনভোলানো ভূতগ্রস্ত বাঁশি-
বাঘ ও হরিণ জল খায় একঘাটে।
আমরা গোপন করি দুঃখগুলো, সুন্দরী যেমন
চোখের বিষাদ ঢাকে নিপুণ কাজলে।
প্রমোদবাগানে বসে মাথা কুটি বেহুঁশ শহরে;
একে অপরের চোখে জমে ওঠে অমোঘ কুয়াশা।
হেমন্ত আচমকা আসে, দরজা ভেঙে
মনখারাপ চৌকাঠ ডিঙোয়।
একটি দৃশ্যের নীচে আরও কত চোখ শুয়ে থাকে।
সীমান্ত
তোমাকে দেখেছি তাই, মন আজ পাথরে বাউল;
আসা থেকে যাওয়ার মাঝখানে
যেটুকু চোখের সামনে রাস্তা আজ,
সেটুকুই আমাদের দেখা হতে পারে;
এছাড়া যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই, আর-
গেলে ফিরে আসা অসম্ভব।
চিরুনি তল্লাশি নয়, দেখি চোখ মেলে।
দু’দিকে দিগন্ত তবু বড় বেশি সন্ন্যাসপ্রবণ-
যেন সব জানে!
আসক্তি
নিজস্ব প্রলাপ লিখি, ঘর ভাঙে, কৃত্রিম খেলার ফাঁকে কেউ
কানে কানে বলে যায়, এবার চমকপ্রদ কিছু লেখো
শ্রাবণ তো খালি গায়ে বৃষ্টির ভিতর ছুটে যাওয়া
ভিজে যাওয়া মাটি পায়ে পিছলে যাওয়া মুঠো করে ঘাস
পাশে কাঁটাঝোপ হাসছে, মজা তারা কম পায়নি এতে
ঘনঘন বাজ পড়লে আকাশ যেমন দ্বিখণ্ডিত হয়
আমিও তেমন ভেঙে যাই, কিছুটা তোমার মধ্যে, কিছুটা আমার
এমন বৃষ্টির দিনে সবকিছু ভিজে যায়, মৃত্যুও, আপাদমস্তক
আগুন আড়াল করে এই সব লজ্জাগুলি, তার দ্বিধা নেই কোনও-
এসব লেখার কিছু নেই, হে কিশোরী, তুমি জলছবি আমার
প্রজাপতি দেখে তুমি অসবর্ণ বিয়ে ভাবতে পারো
এমন বৃষ্টির দিনে, এবার চমকপ্রদ
বেহালা বাজুক, মন, বাতিল সফর হয়ে পড়ে আছে কুমিরডাঙায়…
ময়দান
খেলার প্রতিভা জানি, খেলা শেষ হলে ভেঙে যায়;
এই নিয়ে দুঃখ করে লাভ নেই, সকলই নশ্বর
তোমার আমার মতো পায়চারি করতে করতে কে বা কার
হিসেব রেখেছে! তার চেয়ে ঘাম ঝরাও, শরীর কাঁদুক
যে কোনও খেলার কোনও শুরু আর শেষ নেই বলে
বুকের উপরে উঠে আসে সাপ, ফণা তুলে ধরে
তোমার দু’চোখ জানে কীভাবে সাপের চোখে চোখ রেখে তাকে
খেলে যেতে হয়; তার মাঠে নামা মানে
খেলাই তোমার বন্ধু, প্রতিদ্বন্দ্বী, অথবা দর্শক।

দেবী
ঘুমন্ত রাস্তার দিকে ও মাতাল, মূর্খ বলে যদি
আমাকে ডেকেই থাকো, আমি কি ঘাতকসম চোখে
মাটি শুঁকে শুঁকে বলব- অপরাধ নিও না পরিজন
তোমাকে অনুসরণ করে যায় কী নিয়তি চোখের পলকে
অলক্ষ্যে বাঁশির শব্দ বমি করে আলো হাওয়া জলধিপ্রভায়
আমি তার বার্তা শুধু, পূর্ণচাঁদ যেমন পাগল
ঘর আহা ঘর তার কিছু নেই বোন গেছে দুঃখ-ক্যারাভানে
মায়ের মুখের আলো দাও দাও ভোর তুমি দ্যাখো
সবার শরীরে জ্বলছে নীরব তুষের মন ভাগ্য নিরুপায়
ধিকিধিকি শিশু বুড়ো কষ্ট প্রেম একটু জল হরিহর-মুখ
ওই তো ডোমের হাত ছাই মেখে নিল কার কে ভেসেছে জলে
এসব ভেব না তুমি বেঁচে নাও যে কদিন যতদিন পারো
আমি তো চরম মূর্খ, মূর্ছিত চাতকপাখি জলের ভিতর
দেখে চাঁদ ভেঙে গেছে, টুকরো টুকরো পূর্ণিমায় অন্ধ কাপালিক
আবার প্রতিষ্ঠা করছে প্রাণ তাকে শব্দ দাও মাতৃঋণ লেখ
নেকড়ে
বিদ্যুৎ, তোমার খিদে। আমি বলি বৃক্ষ বৃক্ষ আশা
রেখো না কী করবে ভাবো কপালে ভোকাট্টা ঘুড়ি অন্যের বাগানে
নেমে যায়।
তোমার হাতে তো থাকে সুতো ছেঁড়া লাটাই, বালক
মধু ও মৌচাক থেকে বিন্দু বিন্দু কী মসৃণ স্বাদ গন্ধ টিপটপ জীবন
বলি সেই ছোট্ট থেকে হচ্ছে না কিছুই তবু সন্দেহ সন্দেহ
কোথাও রয়েছে শত্রু কেউ চায় না কপালের চাঁদ
ভাসাও কাগজনৌকো তবে, জলে নিজের ছায়ায়
প্রণাম ভাসাও তুমি, দ্যাখো স্নান আসলে যুবক
আমিও প্রস্তুত তুমি শুয়ে পড় ভাসমান, দিগন্তে কাপড় ঝুলছে
আমি নারায়ণ বলব চুপিচুপি ঝুঁকে শুষে নিয়ে
অগস্ত্য-ইচ্ছের কাছে কোনও প্রতিরোধ তুমি ভাসিয়ে দেবে না
এবার বিবাহ হলে বিদ্যুৎ তোমার কাছে পেতে দেব অসংযত মাঠ
*ছবি সৌজন্য: Pixabay
হিন্দোল ভট্টাচার্যের কবিতা লেখার শুরু নয়ের দশকে। কবি ও লেখক হিসেবে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা দুইই পেয়েছেন বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে। মোংপো লামার গল্প, সব গল্প কাল্পনিক, রুদ্রবীণা বাজো, বিপন্ন বিস্ময়গুলি, এসো ছুঁয়ে থাকি এই লেখকের কিছু পূর্বপ্রকাশিত বই।
One Response
পড়ে আনন্দ পেলাম