রোমানিয়া: ১৪৪৩-১৪৫৬
১
ভ্লাদ ড্রাকুলা আর তাঁর ভাই রাদুকে সুলতান মুরাদের কাছে গচ্ছিত রেখে ড্রাকুল তো ওয়ালাচিয়ায় ফিরে এলেন। মন ভার। দুই প্রিয় সন্তানকে রেখে আসতে হয়েছে শত্রুর হাতে। জানেন না, তাঁদের আয়ু কতদিন। তাই সই করে এসেছেন অনাক্রমণ আর অনুগত থাকার চুক্তিতে। কিন্তু ঘটনা হল, যে অর্ডার অফ ড্রাগনের সেনাপতি তিনি, তাদের উদ্দেশ্যই হল তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
তাই দেশে ফিরে ড্রাকুলের এই নরমভাব দেখে তাঁর দলের মধ্যেই বিদ্রোহ শুরু হল। ড্রাকুলকে রোমান সম্রাট বলেই দিলেন, হয় তিনি তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিন অথবা রাজপদ ত্যাগ করুন। ফলে ছেলেদের কথা ভেবেই রাজ্য খোওয়া যাবার ভয়ে তিনি আবার তুর্কিদের বিরোধিতা করতে রাজি হলেন। তাঁকে পোপের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। পোপ মন্ত্রপূত জল ছিটিয়ে বিধর্মী মুরাদের কাছে দেওয়া তাঁর প্রতিজ্ঞাকে নস্যাৎ করে দিলেন।
[the_ad id=”266918″]
এদিকে জন হুনিয়াদি নামে ট্রানসিলভানিয়ার এক সামন্ত বলকান প্রদেশে ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছিলেন। সার্বিয়ার রাজপুত্র ব্রাঙ্কোভিকের দুই শিশুপুত্রকে মুরাদ গরম লোহার শিক দিয়ে অন্ধ করে দিলে তিনি হুনিয়াদিকে মুরাদের বিরুদ্ধে সৈন্য জমায়েতের দায়িত্ব দেন। এই ব্রাঙ্কোভিক এককালে মুরাদের কাছের লোক ছিলেন। পরে রোমান সম্রাটের পক্ষে যাওয়ার অপরাধে তাঁর ছেলেদের এই শাস্তি পেতে হল। ড্রাকুল জানতেন, হয়তো তাঁর ছেলেদের জন্যও একই ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। হুনিয়াদি তাঁর থেকে সৈন্য চাইলে তিনি ১৪৪৩ -এর শরৎকালে ব্রাসভ শহরের অভিজাতদের এক দীর্ঘ আবেগভরা চিঠি লেখেন, “ দয়া করে বুঝুন, সরাসরি লড়াইতে গেলে আমার দুই সন্তানকে খ্রিস্টধর্মের নামে তুর্কিদের হাতে বলি হতে হবে। আমি এবং আমার দেশ রোমান শাসকদের সঙ্গেই আছি। কিন্তু যুদ্ধে সৈন্য পাঠানো এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।”

কিন্তু বাবার দুর্বলতার কিছুমাত্র ছিল না বড় ছেলে মিরসিয়ার মধ্যে। তাঁর দুই ভাই আর দেশে না ফিরলে তাঁর বরং পথের কাঁটা দূর হবে। ড্রাকুলের পর তিনিই হবেন একচ্ছত্র অধিপতি। বরং মুরাদ ভাইদের খুন করলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। নিজের হাত রক্তাক্ত করতে হবে না, আবার মুরাদের বিরুদ্ধে সৈন্য যোগাড়ে সুবিধাও হবে বিস্তর। ১৪৪৩-এর শীত আসতে না আসতে মিরসিয়া তাই তলে তলে মুরাদের রাজ্য আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলেন। ওয়ালাচিয়ার ইতিহাসে এমন সফল আক্রমণ খুব কমই হয়েছিল। তুর্কিদের দখল নেওয়া ড্রাকুলের বাবার দুর্গটি পুনরুদ্ধার করা হল। বালগেরিয়াতে তুর্কিদের ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া গেল অনেকটাই।
অন্যদিকে ১৪৪৪ সালের আক্রমণে হুনিয়াদি চরমভাবে বিফল হলেন। কৃষ্ণ সাগরের তীরে যুদ্ধে তুর্কিরা তাঁদের গো হারা হারাল। যুদ্ধের অন্যতম নেতা, পোল্যান্ডের রাজা তৃতীয় লাদিসলাস যুদ্ধেই মারা গেলেন। নেহাত ওয়ালাচিয়ার পাহাড়ি পাকদণ্ডী হাতের তালুর মতো চিনতেন হুনিয়াদি, তাই তিনি পালিয়ে বাঁচলেন। বাকি সবাই মারা গেল। ড্রাকুল আর মিরসিয়া দু’জনেই এই হারের জন্য সরাসরি হুনিয়াদিকে দায়ী করলেন। রোমান সম্রাটের নেতৃত্বে বিচারসভা বসল। মিরসিয়া আর ড্রাকুল দু’জনেই হুনিয়াদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন। বিচারে তাঁর প্রাণদণ্ড হল।
[the_ad id=”266919″]
কথিত আছে, ঠিক এই জায়গায় হুনিয়াদিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাঁর শেষ বক্তব্য কী? তিনি এক দীর্ঘ বক্তৃতা দেন, রোমান সম্রাটের প্রতি তাঁর আনুগত্যের ইতিহাস বর্ণনা করে। বিচারকরা তাঁদের বিচার বদলে দেন। তাঁকে প্রাণদান করা হয়। তাঁকে নিরাপত্তার সঙ্গে ট্রানসিলভানিয়ায় পৌঁছে দেবার দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বয়ং ড্রাকুলকে। হুনিয়াদি এই সাক্ষীদের ভুলতে পারেননি। তক্কে তক্কে ছিলেন, কখন সুযোগ আসে। খুব বেশিদিন অপেক্ষাও করতে হল না তাঁকে।
২
দেশে ফিরেই গোপনে হুনিয়াদি ড্রাকুল আর মিরসিয়ার সঙ্গে তুর্কিদের যোগাযোগের প্রমাণ সংগ্রহে নেমে গেলেন। ড্রাকুলের দুর্গ, সেনাবাহিনীতে ছড়িয়ে দিলেন গুপ্তচরদের। তারা অকাট্য প্রমাণ নিয়ে এল। হুনিয়াদি সে প্রমাণ পেশ করলেন রোমান সম্রাটের কাছে, “দেখলেন তো সম্রাট, আসলে কে আপনার অনুগত আর কে নয়।” সম্রাট আগেই কিছু আভাস পেয়েছিলেন, এবার প্রমাণ পেয়ে হুনিয়াদিকে পুরো ক্ষমতা দিয়ে দিলেন, “যা ইচ্ছে করতে পার।” আর হুনিয়াদিও প্রতিশোধ নেবার এত ভাল সুযোগ ছাড়লেন না।
এক বিচারসভা বসালেন। তাতে ড্রাকুল আর মিরসিয়াকে বিশ্বাসঘাতক সাব্যস্ত করে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিলেন। গরম লোহার শিক দিয়ে তাঁদের অন্ধ করে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হল। ওয়ালাচিয়ার নতুন রাজা হলেন দ্বিতীয় ভ্লাদিস্লাভ— আলেকজান্দ্রু আলদিয়ার নাতি। সেই আলদিয়া, যাকে সরিয়ে ড্রাকুল রাজা হয়েছিলেন। ইতিহাস বৃত্তাকারে ফিরে এল।
সার্বিয়ার রাজপুত্র ব্রাঙ্কোভিকের দুই শিশুপুত্রকে মুরাদ গরম লোহার শিক দিয়ে অন্ধ করে দিলে তিনি হুনিয়াদিকে মুরাদের বিরুদ্ধে সৈন্য জমায়েতের দায়িত্ব দেন। এই ব্রাঙ্কোভিক এককালে মুরাদের কাছের লোক ছিলেন।
আমাদের কাহিনির নায়ক ভ্লাদ ড্রাকুলা তখন কী করছিলেন? তুর্কি হারেমে বন্দি থাকাকালীনই ১৪৪৮-এর শীতের সকালে খবর পেলেন, তাঁর বাবা আর বড় ভাইকে মেরে ফেলেছে হুনিয়াদি। রাজ্যও হাতছাড়া। সুলতানকে অনুরোধ করলেন তাঁকে ছেড়ে দিতে। কথা দিলেন, কোনওদিন রাজ্য দখল করলে সুলতানের অনুগতই থাকবেন। রাজ্যহারা ড্রাকুলাকে বসিয়ে খাওয়ানোর কোনও ইচ্ছে সুলতানের ছিল না, বরং যেমন বলছে, তাতেই সুলতানের লাভ। তিনি ড্রাকুলাকে ছেড়ে দিলেন।
ছাড়া তো পেলেন, কিন্তু ড্রাকুলা যাবেন কোথায়? দেশে ফেরার পথ বন্ধ। তুর্কিদের কাছে থেকে যাওয়ারও কোন মানে নেই। ড্রাকুলা পাড়ি দিলেন তাঁর মাসির শ্বশুরবাড়ির রাজ্য মোলডাভিয়াতে। সেখানের রাজপুত্র স্টিফেন ড্রাকুলার তুতো ভাই। স্টিফেন একবাক্যে ড্রাকুলাকে আশ্রয় দেন। কথা দেন তাঁকে রাজ্য ফিরিয়ে দেবেন।
[the_ad id=”270084″]
১৪৪৮-৫১, এই পাঁচ বছর ড্রাকুলা মোলডাভিয়ায় ঘাপটি মেরে রইলেন। তবে একেবারে সময় নষ্ট করেননি। সেই পাঁচ বছর নিবিড় এক পড়াশুনো চলেছিল বাইজেন্টাইন গির্জার মঠে, সন্ন্যাসীদের তত্ত্বাবধানে। ১৪৫১ -র অক্টোবরে ড্রাকুলার ভাগ্যাকাশে আবার সূর্য উঠল। মোলডাভিয়ার রাজা বোগদান খুন হলেন, স্টিফেন রাজা হলেন। আর তার চেয়েও বড় ব্যাপার ওয়ালাচিয়ার ভাদিস্লাভ তুর্কিদের সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি করলেন।
ড্রাকুলা দেখলেন এই সুযোগ। তিনি গোপনে হুনিয়াদির সঙ্গে যোগাযোগ করে খ্রিস্টধর্মের প্রতি চিরঅনুগত থাকার আর তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শপথ নিলেন। বুদ্ধিমান হুনিয়াদি এ সুযোগ ছাড়লেন না। বলা যায় না, কে কখন পালটি খায়। তিনি ড্রাকুলাকেও হাতে রাখতে চাইলেন। ভাদিস্লাভ তুর্কিদের অনুগত হয়ে গেলে একে কাজে লাগানো যাবে। বিশ্বাস নয়, স্বার্থ দুই চরম শত্রুকে একমঞ্চে নিয়ে এল।
কথিত আছে, ঠিক এই জায়গায় হুনিয়াদিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাঁর শেষ বক্তব্য কী? তিনি এক দীর্ঘ বক্তৃতা দেন, রোমান সম্রাটের প্রতি তাঁর আনুগত্যের ইতিহাস বর্ণনা করে।
ভ্লাদের একটা গুণ ছিল। সহজেই সে অন্যের বিশ্বাসভাজন হতে পারত (তাঁর বাবার মতো)। কিছুদিন পরেই তাঁর বাবার আততায়ী হুনিয়াদি তাঁর শিক্ষকে পরিণত হলেন। ভ্লাদ তাঁর থেকে শিখলেন সমরবিদ্যা, রাজনীতি, কূটনীতির জটিল শিক্ষা। হুনিয়াদিও বড্ড খুশি ছিলেন তাঁর এই নতুন ছাত্রকে নিয়ে। শিক্ষান্তে হুনিয়াদি নিজে তাঁকে নিয়ে গেলেন হাঙ্গেরির রাজা পঞ্চম লেডিসলাসের সঙ্গে পরিচয় করাতে। ড্রাকুলা যোগ দিলেন তুর্কিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযানে। সেখানে ড্রাকুলার বীরত্ব মুগ্ধ করল হুনিয়াদিকে। আর তাই তিনি নিজে রোমান সম্রাটের কাছে দরবার করলেন যাতে ড্রাকুলাকে আবার ট্রানসিলভানিয়ার সিংহাসন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ড্রাকুলার জীবনের সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল, তা কখনই গতে বাঁধা পথে চলেনি। যখনই মনে হয়েছে এবার তাঁর জীবনে স্থায়িত্ব আসতে চলেছে, তখনই সব হিসেব উলটে পালটে গেছে নিয়তির পরিহাসে।

১৪৫৬-তে হুনিয়াদি আচমকা প্লেগে মারা গেলেন। হুনিয়াদির ছেলে ম্যাথিয়াস বুঝলেন ড্রাকুলাকে রাখা বিষাক্ত সাপ পোষার চেয়ে কম কিছু না (তিনি যে সত্যি কথাই ভেবেছিলেন, সে প্রমাণ হাতেনাতে পেয়েছিলেন পরে)। বাবা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তিনি ড্রাকুলাকে বললেন এবার মানে মানে কেটে পড়। ড্রাকুলাও তাঁর অধীন সামান্য কিছু সৈন্য নিয়ে আশ্রয় নিলেন ওয়ালাচিয়ার সীমান্তে জার্মান অধ্যুষিত সিবিউ গ্রামে। সিবিউতে পৌঁছতেই কানে এল সব ওলটপালট হয়ে গেছে। তুর্কিদের হাতে কনস্টান্টিনোপলের পতন ঘটেছে। রোমান সম্রাট নবম প্যালিওলোগাস সরাসরি যুদ্ধে মারা গেছেন। রোম এখন তুর্কিদের হাতে। রোম থেকে পালিয়ে আসা এক বিশপ, স্যামুয়েল এ খবরও নিয়ে এলেন, তুর্কিরা নাকি প্রথমেই সিবিউ গ্রাম আক্রমণের ছক কষছে। এই গ্রাম হাতে এলে একসঙ্গে ওয়ালাচিয়া, ট্রানসিলভানিয়া আর মোলডাভিয়ার ওপর নজর রাখা যাবে।
[the_ad id=”270085″]
ড্রাকুলা দেখলেন এই ডামাডোলের মধ্যেই রাজত্ব হাসিল করতে হবে। তিনি সৈন্যসামন্ত নিয়ে ওয়ালাচিয়া আক্রমণ করলেন। হতভম্ব রাজা ভাদিস্লাভ কিছু বোঝার আগেই হেরে গেলেন। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। ১৪৫৬-র জুন মাসে ভ্লাদ ড্রাকুলা সিংহাসনে বসলেন। তাঁর সিংহাসন আরোহণের দিনটা ঐতিহাসিক। চিনা আর ইউরোপীয় জ্যোতির্বিদরা একত্রে আকাশে এক অদ্ভুত জিনিস দেখতে পেলেন। তারা নয়। উল্কা নয়। ঝাঁটার মত দেখতে। সেই বস্তুটার দুটো লেজ। একটা পুব দিকে মুখ করা, একটা পশ্চিমে। মনে হচ্ছে দূর আকাশে যেন আগুনের মশাল জ্বেলেছে কেউ।
সিবিউতে পৌঁছতেই কানে এল তুর্কিদের হাতে কনস্টান্টিনোপলের পতন ঘটেছে। রোমান সম্রাট নবম প্যালিওলোগাস সরাসরি যুদ্ধে মারা গেছেন।
দলে দলে লোক ভীত হয়ে উঠলেন। নিশ্চয়ই অশুভ কিছু ঘটছে। আকাশের দেবতারা রুষ্ট হয়েছেন। কিন্তু ড্রাকুলার অনুগামীরা খুশি হলেন। ঈশ্বরের আশীর্বাদ আছে ড্রাকুলার ওপর। তিনি তাই এই অদ্ভুত বস্তুকে পাঠিয়েছেন। ভবিষ্যতে যাকে সবাই হ্যালির ধূমকেতু বলে চিনবে, তার প্রথম লিখিত দলিল পাওয়া গেছিল ড্রাকুলার সিংহাসন আরোহণের দিনই। সঙ্গে জ্যোতিষরা এটাও লিখেছিলেন আগামী পাঁচ বছর কোনও ভয়ংকর অভিশাপ নেমে আসতে চলেছে। একেবারে ঠিক বলেছিলেন। কিন্তু এটা বলতে পারেননি, প্লেগ, মহামারী বা দুর্ভিক্ষ না, এই অভিশাপের নাম ভ্লাদ ড্রাকুলা।
*ছবি সৌজন্য: wikipedia, military.com, pinterest
*আগের পর্বের লিংক: [পর্ব ১], [পর্ব ২], [পর্ব ৩]
তথ্যঋণ:
১। ফ্লোরেস্কু, রাদু অ্যান্ড ম্যাকনালি, রেমন্ড টি, ইন সার্চ অফ ড্রাকুলা: দ্য হিস্ট্রি অফ ড্রাকুলা অ্যান্ড ভ্যামপায়ারস (১৯৯৪), হটন মিলিফিন কোং
২। ফ্লোরেস্কু, রাদু অ্যান্ড ম্যাকনালি, রেমন্ড টি, ড্রাকুলা: আ বায়োগ্রাফি অফ ভ্লাড দ্য ইমপেলর (১৯৭৩), হথর্ন
৩। লেদারডেল, ক্লাইভ, ড্রাকুলা, দ্য নভেল অ্যান্ড দ্য লেজেন্ড: আ স্টাডি অফ ব্র্যাম স্টোকার্স গথিক মাস্টারপিস (১৯৮৫), উইলিংবরো নর্থহ্যামপ্টনশায়ার, ইউকে
৪। রিকার্ডো, মার্টিন, ভ্যাম্পায়ার্স আনআর্থড (১৯৮৩), গারল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক
৫। ট্রেপ্টো, কার্ট এডিটেড ড্রাকুলা এসেজ অন দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ ভ্লাড টেপেস (১৯৯১), কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস
জন্ম ১৯৮১-তে কলকাতায়। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি-তে স্বর্ণপদক। নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারক। ধান্য গবেষণা কেন্দ্র, চুঁচুড়ায় বৈজ্ঞানিক পদে কর্মরত। জার্মানি থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা গবেষণাগ্রন্থ Discovering Friendly Bacteria: A Quest (২০১২)। তাঁর লেখা ‘কমিকস ইতিবৃত্ত’ (২০১৫), 'হোমসনামা' (২০১৮),'মগজাস্ত্র' (২০১৮), ' জেমস বন্ড জমজমাট'(২০১৯), ' তোপসের নোটবুক' (২০১৯), 'কুড়িয়ে বাড়িয়ে' (২০১৯) 'নোলা' (২০২০) এবং সূর্যতামসী (২০২০) সুধীজনের প্রশংসাধন্য। সম্পাদনা করেছেন ‘সিদ্ধার্থ ঘোষ প্রবন্ধ সংগ্রহ’ (২০১৭, ২০১৮)'ফুড কাহিনি '(২০১৯) ও 'কলকাতার রাত্রি রহস্য' (২০২০)।