










(Dry Fish) শুকনো মাছ— প্রধানত ‘শুটকি’ নামে জনপ্রিয়, উচ্চারণভেদে ‘শুঁটকি মাছ’। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, রোমান সাম্রাজ্যের যুগ থেকে শুরু করে আইসল্যান্ডের সংস্কৃতিতেও মানুষ বুঝে গিয়েছিল যে টাটকা মাছ বেশিদিন থাকে না। সদ্য ধরা মাছের মধ্যে থাকা জল খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়ার আঁতুর ঘর হয়ে ওঠে, আর স্থানবিশেষে আবহাওয়ার কারণে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই তা পচে যেতে পারে।
এই সমস্যার সমাধানে একটাই পথ—মাছ থেকে সম্পূর্ণভাবে জল সরিয়ে ফেলা। আর্দ্রতা দূর করাটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। আর এই সমস্যার সমাধানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ খুঁজে পেয়েছিল তাদের নিজস্ব পদ্ধতি। কেউ লবণ দিয়ে মাছ শুকিয়ে ফেলতো, কেউবা রোদে শুকিয়ে রাখতো; আবার অনেকে মাছ ফারমেন্ট করতো বা ধোঁয়ায় শুকিয়ে সংরক্ষণ করতো দীর্ঘদিনের জন্য। (Dry Fish)
লবণ দিয়ে শুকনো মাছের সূচনা হয়েছিল এশিয়ায়, একসময় যাকে বলা হতো “গরিবের খাবার”। সমুদ্রের ধারে বসবাসকারী মানুষজন, যাদের কাছে মাছ ছিল সহজলভ্য, তারা অতিরিক্ত মাছ লবণ দিয়ে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করত। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে শুরু করে পাহাড়ি এলাকা—যেখানে জল, সেখানে মাছ; আর যেখানে মাছ, সেখানে শুটকি থাকবেই।
মধ্যযুগীয় সময়কাল থেকেই বাংলায় শুটকির চল। প্রথমে মাছ বাছাই করে মাছের চামড়ার কাদা ও ময়লা পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলে বাতাসে ও রোদে শুকোতে দেওয়া হয়। বাংলায় শুটকি তৈরির পদ্ধতির কিছু ছবি দেখুন ছবিকথায়।
নেশা ও পেশা ফটোগ্রাফি। ডকুমেন্টারি স্টোরি টেলিং, স্ট্রিট ও ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী।