“বাস বিতরণ কুসুমের ব্রত
সে ব্রত পালিয়া মরিয়া যায়
কাঁদে কি কুসুম মানবের মতো
বিপরীত রীতি দেখি ধরায়”
– রাজশেখর বসু
‘রাসায়নিক’ সাহিত্যিক না হলেও, রসরাজ সাহিত্যিক হিসেবে পরশুরামের বিকল্প পরবর্তীকালে প্রায় কেউই আসেননি। এর কারণ সম্ভবত, পরশুরামের গল্প বা উপন্যাস বা অন্যান্য গদ্য শ্লেষ, কশাঘাত, ব্যঙ্গ, নির্মল আনন্দ এবং গভীর সমাজবীক্ষণের এক রসায়ন। ৪২ বছর বয়সে প্রকাশিত প্রথম গল্পটি সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে অনেক কোম্পানি রাতারাতি গড়ে ওঠে, আবার ডুবেও যায়। অসাধু ব্যবসায়ীদের সেই ব্যঙ্গচিত্র আঁকাই তাঁর উদ্দেশ্য। তাঁর প্রায় প্রত্যেকটিই গল্প সে সময়ের সমাজ, অর্থনীতির অবক্ষয়ের চেহারাটি তুলে ধরে। এ প্রসঙ্গে রাজশেখর বসুর তুলনা চার্লি চ্যাপলিন বা পি জি উডহাউসের সঙ্গেও করা যায়।
যদি তুলনামূলক সাহিত্যের প্রসঙ্গে আসতেই হয়, তাহলে, রাজশেখর বসুর গল্পগুলি সেই সময়ের বিশ্বসাহিত্যেরই এক একটি সম্পদ, সে বিষয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। এখনও সেই সব গল্পের আবেদন একটুও কমেনি। বরং, সন্দেহ, ক্রমশ বাড়বে সেই সব গল্পের প্রাসঙ্গিকতা। কারণ একজন গভীর অন্তদৃষ্টি সম্পন্ন সাহিত্যিক আসলে অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে পান।
নিজস্ব কাব্যভাষা বলতে যা বোঝায়, তা তৈরি করার কোনও চেষ্টা করেননি রাজশেখর বসু। হয়তো কবি নিয়ে তিনি সেভাবে নিষ্ঠাবান ছিলেন না, যেভাবে গল্প এবং গদ্যসংক্রান্ত বিষয়ে ছিলেন।
১৮৮০ সালে জন্ম যে সাহিত্যিকের, তিনি ১৯২২ সালে তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশ করলেও, সে লেখা ১৯২২-এর সময়খণ্ডকে তুলে ধরার পাশাপাশি কোথাও হয়তো ২০২২ সালেরও ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে। ‘বিরিঞ্চিবাবা’ গল্পটি আর ক’দিন পরে যদি এই ভারতবর্ষে ব্যান হয়ে যায়, তাহলে আমি অন্তত আশ্চর্য হব না। ‘কশাঘাত’ যাঁর অস্ত্র, পরশুরামের কুঠারের মতোই তাঁর ভাষা যে মিছরির ছুরিতে খণ্ডবিখণ্ড করবে উডহাউজ়ীয় স্বাভাবিকতায়, সে কথা বলা বাহুল্য।
রাজশেখর বসুর কবিতার মধ্যেও এই শ্লেষের অনবদ্য ব্যবহার মিশে থাকত। কোথাও আবার মিশে থাকত অশ্রুর নোনাজল। তাঁর কবিতা সম্পর্কে যে সব কথা জানা যায়, তা হল, ১২ বছর বয়সে রাজশেখর পড়তে বসে কবিতা লিখতেন আর সেই সব কবিতা দলাপাকিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। বড়ভাই শশীশেখরের স্ত্রী ১৩ বছরের বৌঠান সরোজিনী সেই সব দলাপাকানো কাগজ সংগ্রহ করে রাখতেন। নতুন একটি খাতায় টুকে রাখতেন। সেই খাতার নাম ‘মেজো ঠাকুরপোর কবিতা’। দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেই দু’টি খাতাই সরোজিনী জলে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন।
রাজশেখর বসুর কোনও কবিতার বইয়ের খোঁজ পাওয়া যায় না। কিন্তু তিনি যে কবিতা লিখতেন না, তা নয়। তাঁর কবিতা ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। কবিতা বা ছড়াতেও, বলা যায়, তিনিই শ্লেষাত্মক এক ধারা তৈরি করেছিলেন। কিছুটা ননসেন্স এবং কিছুটা ব্যঙ্গের মিশ্রণে লেখা সেই সব কবিতা আপাতভাবে সহজ। কিন্তু ভিতরে ঢুকলে অন্যরকম। এ কথা বলতে চাইছি না, রাজশেখর বসুর কবিতা বাংলা কবিতায় গুরুত্বের এক অন্য অধ্যায় তৈরি করবে। কিন্তু তাঁর কবিতাগুলি রাজশেখর বসুর একটি অন্যধরনের রূপ তুলে ধরে তো বটেই।

বিশেষ করে, এ কথা তো বোঝাই যায়, তাঁর নিভৃত মনের সংলাপগুলি কবিতার মধ্যে ফুটে উঠত। যদিও সে সব নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশের কথা তিনি বা তাঁর পরবর্তীকালে কারওরই মনে হয়নি। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার অবতারণা করতেই হয়। মেয়ে-জামাইয়ের পরপর মৃত্যুর পর তিনি ‘সতী’ নামে কবিতায় লিখেছিলেন, “চকিতে উঠিয়া রথে বসে সীমন্তিনী/ বিদ্যুৎ-প্রতিমা সম। শিরে হানি’ কর/ বলে যম — ‘কি করিলে কি করিলে দেবী!/ নামো নামো এ রথ তোমার তরে নয়।”
নিজস্ব কাব্যভাষা বলতে যা বোঝায়, তা তৈরি করার কোনও চেষ্টা করেননি রাজশেখর বসু। হয়তো কবিতা নিয়ে তিনি সেভাবে নিষ্ঠাবান ছিলেন না, যেভাবে গল্প এবং গদ্যসংক্রান্ত বিষয়ে ছিলেন। কিন্তু না-কাটা হিরের মতো তাঁর কবিতার মধ্যেও দেখা যায় রাজশেখর বসুর পরশুরাম-সুলভ ব্যক্তিত্ব। যেমন,
কালিপদ ডলিকোসেফালিক
বউ তার ব্র্যাকিসেফালিকা
কালো দাঁতে হাসে ফিকফিক
খ্যাঁদা নাক উটকপালিকা।
কালিপদ দীর্ঘকপালিক
মন দুখে হল কাপালিক
বলি দিল হাজার শালিখ
মন্দিরের হইল মালিক
বসাইল দেবী কঙ্কালিকা।
তার পর মোটরচালিকা
এল এক নেপালিবালিকা
চটপটে, অতি আধুনিকা
বলিল সে,- আমি সাবালিকা
কর মোরে তব কাপালিকা।
কালিপদ দীর্ঘরোটিক
মাথা তার হইল বেঠিক
বুঝিল না, এই নেপালিকা
তারই বউ ব্র্যাকিসেফালিকা
রং মেখে সেজে আধুনিকা ।
(কালিপদ ডলিকোসেফালিক)
আরেকটি কবিতা:
ফুল্ল কমলদল মানস সরসে
ধীর বিকম্পিত মারুত পরশে
বিম্বিত গিরি শির তুষার নীরে
অমল ধবল জল চঞ্চল ধীরে।
ভাসিত রবিকর দূর দিগন্তে
রঞ্জিত লোহিত তরুশির অন্তে
পবন প্রবাহিত কুসুম সুবাস
পূরিত গিরিবর বিলাস আশ।
প্রণত তপন কর পদযুগ পদ্মে
রাজিত পদতল সরসিজ সদ্মে
অপর চরণতল মরাল অঙ্গে
ধবল ধবল পর শোভিত রঙ্গে।…
(সরস্বতী)
এই আপাতভাবে পৃথক কাব্যভাষার দু’টি কবিতা তুলে ধরার কারণ হল, মূলত এই দুই ভিন্ন ধরনেই লিখতেন রাজশেখর বসু। সরস্বতীর মতো কতিপয় কিছু কবিতা বাদ দিলে কাব্যভাষায় ধ্রুপদী সংস্কৃতর ছায়া-অবলম্বনে রচিত কবিতাগুলিতেও দেখা গেছে শ্লেষের ছায়া। আবার, যে কবিতাগুলি একেবারেই রাজশেখরীয়, সেই কবিতাগুলিতে তাঁর অভিপ্রায় নিজের মতোই নির্মাণ করে নিয়েছে তাঁর কবিতার ভাষা।
১২ বছর বয়সে রাজশেখর পড়তে বসে কবিতা লিখতেন আর সেই সব কবিতা দলাপাকিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। শশিশেখরের স্ত্রী ১৩ বছরের বৌঠান সরোজিনী সেই সব দলাপাকানো কাগজ সংগ্রহ করে রাখতেন।
পাঠক হিসেবে, আমার কাছে যে কবিতাগুলিতে তিনি তাঁর ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তীব্র শ্লেষ এবং ননসেন্সের মিশ্রণে, সেই কবিতাগুলিতেই রাজশেখরের আত্মা রয়েছে। বাকি কবিতাগুলিতে তিনি ঐতিহ্য-অনুসারী, বা বলা ভাল সমসাময়িক কাব্যপ্রচেষ্টাগুলির অনুসারী। এমনকী কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্র-সমসাময়িক কবিদের প্রভাব থাকলেও, তিনি তাঁর নিজস্ব অননুকরণীয় কবিতাগুলিতে সেই সব প্রভাবও পেরিয়ে গেছেন।
খুব সূক্ষ্ম ভাবে ভাবলে, হয়তো সেই কবিতাগুলি বাংলা কাব্যসংসারকে তেমনভাবে কিছু দিতে পারছে না। কিন্তু রাজশেখরের ব্যক্তিত্বের আর একটা দিককে উন্মোচিত করছে তো বটেই। মনে রাখতে হবে, তিনি এই কবিতাগুলি লিখছেন তাঁর গদ্য লেখারও অনেক আগে থেকে। ফলে, যে রাজশেখর বসুর ব্যক্তিত্ব আমরা খুঁজে পাচ্ছি গদ্যে, তার প্রকাশ বহু আগে ঘটেছিল তাঁর কবিতাগুলিতে।
এ হেন পরিস্থিতিতে আমরা বলতেই পারি যে, রাজশেখর বসুর কবিতায় আসলে দু’জন ব্যক্তি অবস্থান করেন। একজন রাজশেখর এবং অন্যজন পরশুরাম। পরশুরামের কাব্যব্যক্তিত্বের একটি উদাহরণ তাহলে দেখা যাক। ‘হবুচন্দ্র-গবুচন্দ্র’ নামের একটি কবিতায় অবক্ষয়ের অর্থনীতির এক রূপ উঠে আসে। যেমন-
… তোমাদের নালিশ মিথ্যে আদ্যন্ত
স্বয়ং গবুচন্দ্র করেছেন তদন্ত
কিঞ্চিৎ এটা-ওটা-সেটা দরকার
আছে তা অবশ্যই মানি।
শীঘ্রই হবে তার প্রতিকার।
স্বর্গ থেকে আসছে মালী একদল,
সঙ্গে নিয়ে কল্পতরুর বীজ,
ষাট বছরে ফলবে তার ফসল
পাবে তখন হরেকরকম চীজ।
তদ্দিন বাপু সয়ে থাক চক্ষু মুদে,
বাজে খরচ কমাও,
দেদার টাকা জমাও
আমার কাছে রাখ আড়াই-পার্সেন্ট সুদে।
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে এই কবিতাটি কখন লেখা? এই কবিতাটির নীচে তারিখ দেওয়া আছে ৮/২/১৯৪৬। এর থেকে ষাট বছর পরের দেশের অর্থনীতির কথা ভেবে দেখুন, ভেবে দেখুন গ্লোবালাইজেশনের কথা। উদার -অর্থনীতির কথা, ভোগবাদের কথাও ভেবে দেখতে পারেন। প্রশ্ন হল, তাহলে কি রাশভারী পরশুরাম আন্দাজ করতে পেরেছিলেন ভুবনায়নের অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিকেও? ব্র্যাকিসেফালিকার রঙিন হয়ে নেপালিকা ও আধুনিকা হয়ে ওঠার যে ভুবনায়ন, তাকেও যেমন আমরা দেখতে পাচ্ছি, তেমন দেখতে পাচ্ছি এই স্বর্গ থেকে মালির বীজ বপনকেও।
সমাজতাত্ত্বিকরা আরও ভাল করে হয়তো ব্যাখ্যা করতে পারবেন। কিন্তু আমাদের মতো রসেই মাতাল লোকেদের কাছেও এই ইঙ্গিতগুলো বড় বেশি বিস্ময়ের। ওদিকে তখনই তো জীবনানন্দ লিখছেন ‘আমাদের সোনারুপো নেই, তবু আমরা কে কার ক্রীতদাস?’ কবিতার প্রেক্ষিতে এই দু’জনের কোনও তুলনা না করা গেলেও, এ কথা বোঝাই যায়, দু’জনেই তাঁর সমসময়কে পড়ে নিয়েছিলেন এমনভাবেই, যে আগামী যুগের পৃথিবী সম্পর্কেও একটা আন্দাজ করে নিয়েছিলেন সহজেই।

রাজশেখর বসুর কবিতায় বরং এই তীব্রতা নেই। সেখানে তিনি কেবলই বন্দনারত, ভাষায় সমসময়ের কাব্যভাষা দ্বারা প্রভাবিত, কোথাও একটা আটকে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মধ্যে যে রয়েছেন সেই পরশুরাম, যিনি কুঠার হাতে সদাই প্রস্তুত। জগতের সব রাজার বিরুদ্ধে যিনি খড়গহস্ত। সেই পরশুরাম যখনই ঝিলিক দিয়ে উঠেছে, তখনই মেধা ও মননে তিনি হয়ে উঠেছেন অপরাজেয়। তীব্র কশাঘাতে তিনি বিদ্ধ করেছেন তাঁর সমাজকে, সময়কে এবং পাঠককেও।
যে কাজ তিনি তাঁর গদ্যে করে গেছেন আজীবন, সে কাজ যে তাঁকে ছেড়ে যাবে না কবিতাতেও, এ কথা তো অনস্বীকার্য। কিন্তু পরশুরামের এ হেন আগ্রাসী মনোভাব থাকা সত্ত্বেও, তিনি নিজে জানতেন, তাঁর কাব্যভাষা আগামী সময়ের কাব্যভাষা নয়। এই জন্যই তিনি তাঁর কবিতার কোনও গ্রন্থ প্রকাশ করে যাননি। তীব্র মেধাসম্পন্ন এই সাহিত্যিক জানতেন, কোনটা প্রকাশ করা যায়, সময়ের কাছে রেখে যাওয়া যায় এবং কী কী সকলের অজ্ঞাতেই রেখে যেতে হয়।
তবু এই লেখা শেষ করব রাজশেখর বসুর একটি অসামান্য কবিতা দিয়ে, যা তাঁর মেয়ে ও জামাইয়ের মৃত্যুর পরে লেখা। তাঁর নাতি দীপঙ্কর বসুর লেখা অনুযায়ী, ‘এ কবিতার মূল্যায়ন আমার সাধ্যাতীত। তবু বলতে পারি, এ কবিতা সৃষ্টির পটভূমি, এর দর্শন ও তার পরের স্বল্পতম উক্তিই রাজশেখরের সারাজীবনের কর্ম ও প্রতিভা ছাপিয়ে ওঠা মূল মন্ত্র।’
‘সতী’ কবিতা দিয়েই এই লেখার শেষ হোক…
“নিশিশেষে কৃতান্ত কহিল দ্বার-ঠেলি–
ছাড় পথ হে কল্যাণী, আনিয়াছি রথ,
জীর্ণ দেহ হতে আজি পতিরে তোমার
মুক্তি দিব। ধৈর্য ধর, শান্ত কর মন।
কৌতূকে কহিল সতী,-দেখি, দেখি রথ।
সসম্ভ্রমে বলে যম,-‘দেখ দেখি দেবী
রথশয্যা মাতৃঅঙ্কসম সুকোমল
ব্যথাহীন, শান্তিময় বিশ্রাম-নিলয়,
কোনও চিন্তা করিও না, হে মমতাময়ী।‘
চকিতে উঠিয়া রথে বসে সীমন্তিনী
বিদ্যুৎ-প্রতিমাসম, শিরে হানি কর
বলে যম,-‘কী করিলে কী করিলে দেবী!
নামো, নামো, এ রথ তোমার তরে নয়।
দৃপ্তস্বরে বলে সতী, -‘চালাও সারথি,
বিলম্ব না সহে মোর, বেলা বহে যায়।‘
বিমূঢ় শমন কহে,- ‘যথা আজ্ঞা সতী।‘
উল্কাসম চলে রথ জ্যোতির্ময় পথে,
স্তব্ধ বসুন্ধরা দ্যাখে কোটি চক্ষু মেলি।
প্রবেশি অমরলোকে জিজ্ঞাসে শমন—
‘হে সাবিত্রীসমা, বল আর কী করিব?’
কহে সতী,-‘ফিরে যাও আলয়ে আমার,
যার তরে গিয়াছিলে, আন শীঘ্র তারে।‘
কৃতান্ত কহিল, ‘অয়ি মৃত্যু-বিজয়িনী,
নিমেষে যাইব আর আসিব ফিরিয়া।‘
হিন্দোল ভট্টাচার্যের কবিতা লেখার শুরু নয়ের দশকে। কবি ও লেখক হিসেবে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা দুইই পেয়েছেন বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে। মোংপো লামার গল্প, সব গল্প কাল্পনিক, রুদ্রবীণা বাজো, বিপন্ন বিস্ময়গুলি, এসো ছুঁয়ে থাকি এই লেখকের কিছু পূর্বপ্রকাশিত বই।
2 Responses
ভীষণ ভালো লাগলো সমৃদ্ধ হলাম!
শশি শেখর বসুর”যা দেখেছি,যা শুনেছি”বইটি সকলকে পড়তে অনুরোধ করবো।শশিশেখোর,রাজশেখর বসু র দাদা।সারাজীবন ইংরিজি তে লেখার পর পরিণত বয়সে বাংলায় লেখেন।অত্যন্ত উপভোগ্য রচনা