(Falta)
আষাঢ়ের মেঘ ছায়া ফেলে যাচ্ছে অহরহ। গঙ্গার জলজ হাওয়ার সঙ্গে ভেজা মেঘের স্যাঁতস্যাঁতে হাওয়া মিলমিশে একাকার। যত দূর দেখা যাচ্ছে, দিগন্ত। নদী-আকাশ মিলমিশ। নাগরিক কোলাহল পেছনে ফেলে, অনেকটা সময় এই গঙ্গা পাড়ে বসেছিলাম। বর্ষার নদী, অথৈ জল, কয়েকটা নৌকা, খন্ড খন্ড ধূসর মেঘ জলের ওপরে। নদীর পাড়ে, এই আষাঢ়ে, এই ঘাটে বসে আনমনা কতো গল্প মনে আসে। হোগলার ছাউনি দেওয়া বাঁশের মাচায় বসেই যেন অবলীলায় জাগতিক বিষয় থেকে সাময়িক বিচ্ছিন্ন হওয়া যায়।

আজ সমস্ত যাত্রাপথটাই, আকাশে মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরি চলছিল। গাড়ির সামনের কাচে ওয়াইপার চলছে। মুছে যাচ্ছে জলের দাগ। ফিকে দেখাচ্ছে চৌদিক। খুব কিছু একটা দুরত্ব তো নয় মোটেই। আমাদের কলকাতার ঠিকানা থেকে ৩৮ কিলোমিটার মাত্র। টলিগঞ্জ মহাত্মা গান্ধি রোড, জেমস লং সরনী, ডায়মন্ড হারবার রোড, জোকা মেট্রো, পৈলান, স্বামীনারায়ণ মন্দির, আমতলা, সিরাকোল, বিষ্ণুপুর, সাহারাহাট এইসব জনপদ পেরিয়ে সরিষা। সরিষা হাট এসে ডানহাতি পথ ধরে আরও কিছু পথ পেরিয়ে ‘ফলতা স্পেশাল ইকোনমিক জোন’।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে কয়েকটি দিন
মূলত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটির সূত্রপাত হয় ২৮০ একর জমির ওপর। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি এবং স্থানীয় কৃষিজীবিদের জমি অধিগ্রহণ করেই এই শিল্পাঞ্চলটি গড়ে ওঠে। রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানা ও উৎপাদন কেন্দ্র। যার মধ্যে বস্ত্রশিল্প, বয়নশিল্প, ইটভাটা, টালিভাটা, প্লাস্টিকজাত শিল্প, লেপ-তোষক জাতীয় শিল্প, কটস্পিন শিল্প ইত্যাদি। প্রায় হাজার চারেক জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটি মামুদপুর, রাজারামপুর, বাসুলাট, চক ধানুমন্ডল, চান্দিদেউল, বেলসিংহ, চালুয়ারি, বঙ্গনগর, জফরপুর গ্রামগুলি নিয়েই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতা সি.ডি. ব্লক। (Falta)
পাকা সড়ক, দোকানপাট, বাজার, স্কুল, নার্সারি, ছোট ছোট পিকনিক স্পট, কারখানা, কিছু হোটেল-রিসর্ট রয়েছে। তবু যেন মুছে যায়নি প্রকৃতির অকৃত্রিমতা। শিরশিরে হাওয়া আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি। গন্তব্যপথ শেষে যা পড়ে রইলো, সেটাই হলো গঙ্গার কোলে ছোট্ট এক প্রাচীন শিল্পগ্রাম ফলতা।
ফলতার কিছু বর্ণময় অতীত ইতিহাস আছে। শোনা যায়, ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজদৌল্লা কলকাতা দখল কালে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীরা কলকাতা থেকে নদীর উপকন্ঠে এই ফলতায় পালিয়ে আসেন। এদিকে আবার হুগলী নদীর ধার ঘেঁষে ওলন্দাজরাও ফলতায় ব্যবসা বাণিজ্য চালাতেন।
আমাদের দেড় দিনের আস্তানা, ফলতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার, সেক্টর চার এলাকায়, গঙ্গা নদী পাড়ে, ‘রাজহংস হোটেল ও রিসর্ট’। বর্ষার জল পেয়ে চারদিকের গাছগাছালি আরও সবুজ। সেই শ্যামলিমাই জীবন্ত করে তুলেছে প্রকৃতিকে। মেঘে-কুয়াশায় পাতারা গাঢ় সবুজ। যদিও আমাদের দোতলা ঘরের জানলা থেকে গাছেদের মগডালের ঝাঁপিয়ে ওঠা সবজে পাতার জন্য গঙ্গা দৃশ্য ঠিকভাবে চাক্ষুষ হচ্ছিল না। তবে পাঁচতলা রিসর্টটির ওপরের গঙ্গামুখি ঘরগুলো থেকে নিশ্চয়ই অপরূপ দেখায়। একটু যেন আফসোস রয়ে গেল, সে ঘর না পাওয়ায়। (Falta)
১৯৯৪ সালে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই হোটেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সেই ফলকনামাটিও মজুদ রিসর্টের দোরগোরায়। যথেষ্ঠ পুরোনো রিসর্ট হলেও এখন বেশ আধুনিক ও ছিমছাম। মেঘলা হয়ে আছে চারপাশ। রোদের তাত নেই একটুও। রিসর্টের একতলায় রেস্তোরাঁয় জমিয়ে মধ্যাহ্ন আহার সেরেই রিসর্টের ঠিক উল্টোদিকে রাস্তার ওপারেই ‘রাজহংস পার্কের’ লোহার বড় গেট খুলে অন্দরে প্রবেশ করলাম।
সাজানো-গোছানো পার্কটি। মাঝে মাঝে বাঁশ ও হোগলার ছাউনি দেওয়া বসার জায়গা। নীল রঙা দুটি দোলনা দেখেই ছেলেমানুষি পেয়ে বসে। ঘাসের লন, উপযুক্ত তদারকির ফলে প্রশান্ত হয়ে রয়েছে। হরেক প্রকার গাছগাছালি ঘেরা ইটের গাঁথনি দেওয়া টালি বাঁধানো পথটি চলে গেছে নদীকে পাশে রেখে। গঙ্গার উথালপাতাল বাতাস এসে স্পর্শ করে শরীর। তাকে ডেকে বলি, “ওগো তোমরা শুনছো? গঙ্গার ওপারের ঠিকানা জানো কি? জানো কি নদীর কুল ভাঙার গল্পগাছা?” (Falta)

ফলতার কিছু বর্ণময় অতীত ইতিহাস আছে। শোনা যায়, ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজদৌল্লা কলকাতা দখল কালে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীরা কলকাতা থেকে নদীর উপকন্ঠে এই ফলতায় পালিয়ে আসেন। এদিকে আবার হুগলী নদীর ধার ঘেঁষে ওলন্দাজরাও ফলতায় ব্যবসা বাণিজ্য চালাতেন। বিরাট এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারখানাও গড়ে ওঠে এখানে। (Falta)
আবার রেল ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, McLeod’s Light Railways (MLR) সংস্থা কালিঘাট-ফলতা পর্যন্ত ন্যারোগেজ রেলপথ চালু ছিল এখানে। যেটি আজকের মাঝেরহাট স্টেশন থেকে এই ফলতা গঙ্গা পাড় পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। সেকালে ‘বাণিজ্য নগরী’ হিসেবেও খ্যাত ছিল ফলতা। বন্দর থেকে বন্দরে যেত অতিকায় মালবাহী জাহাজ। এখনও যায়। আর সেই রাজকীয় চলনে, ঢেউয়ের ধাক্কায় টাল খেতে খেতে দূরে সরে যায় ধীবরদের নৌকাগুলো। (Falta)
এক ধীবর, পাড়ের কাছেই বুক-জলে দাঁড়িয়ে নিজের মাথার ওপর হলুদ রঙা নাইলনের জালটি তিন চক্কর ঘুরিয়েই জলের সীমানায় ছুঁড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তারপর জলের ভেতরেই খানিক দূরে সরে সরে যাচ্ছেন সেই জালটি গোটাতে গোটাতে। পাড়ের ওপর দূরে দাঁড়িয়ে, ওই জালে মাছ উঠেছে কিনা ঠিক ঠাহর করতে পারছি না।
চুপ বসে থাকার সামিল না হয়ে, স্থানীয় টোটো ভাড়া করে ঘুরে আসি কাছেপিঠে। আমাদের গন্তব্য ইতিউতি ঘুরে দেখা। ফলতা ফেরিঘাটের পাশেই একটি বাগানবাড়ি। ‘গাছেদের প্রাণ আছে’ সেই অস্তিত্বের আবিষ্কারক, আচার্য জগদীশচন্দ্র বোসের বাড়ি কাছেই। এখানেই তিনি তাঁর বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারটি করেছিলেন। এই বাগানবাড়িটি এখন বিখ্যাত ‘বোস ইনিস্টিটিউট’, ১৯১৭ সালে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক আচার্য জগদীশচন্দ্র বোসের স্মারক। এশিয়ার প্রথম আধুনিক গবেষণা কেন্দ্রটিতে ২০০৮ সালে ফলতা এক্সপেরিমেন্টাল ফার্মে গ্রামীণ বায়োটেকনোলজি প্রোগ্রাম চালু হয়। এখানে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার না থাকলেও, আচার্য জগদীশচন্দ্র বোসের জন্মদিন, ৩০শে নভেম্বর খুলে দেওয়া হয়। (Falta)

ফলতার কেল্লাটি সম্পর্কে ইতিহাস জানায়, নবাব সিরাজদৌল্লা কলকাতা আক্রমণকালে ব্রিটিশ সেনারা এই কেল্লাটি নির্মাণ করে থাকতে শুরু করেন। তবে এখন এটি এক্কেবারেই ভগ্নস্তূপ। কেল্লার ভেতর স্থানীয়দের দুর্গাপুজো ও কালিপুজো হয়। এখানে একটি নতুন জেটি রয়েছে, যদিও সেটি পোর্ট ট্রাস্টের নিজস্ব জেটি। সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার মতো এলাকা গঙ্গাপাড়ের ফলতায় একটি পর্যটনস্থল করার কথা হলেও, এখনও ফলপ্রসু হয়নি। (Falta)

বিকেলের রোদ রাঙা হয়ে পড়ছে। রিসর্ট থেকে বেরিয়ে ডানদিক বরাবর যে রাস্তাটা চলে গেছে, সেই রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকি। তার বাঁ পাড়ে গঙ্গা। ছোট একটা মন্দির, মাছের ভেড়ি, শ্মশানের কালো কুচকুচে পুরনো চিতা আর ডাইনে মেরিন স্কুল, কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট, চা-চিপস-কোল্ড ড্রিংসের স্টল। গঙ্গার জোয়ার-ভাটার পাড় ভাঙার প্রকোপ রয়েছে। ঢালে গোড়ালি ছোঁয়া কাদামাটির পলি। কালো মেঘ জমেছে আকাশে। কালো মেঘের ফাঁকে সূর্য পাটে যাবার সময়কালের লাল আকাশ। নদীর জলে অস্তগামী সূর্যের নিস্তেজ দীর্ঘ ছায়া।
খানিক ছায়ায় মায়ায় দু পাড়ের গাছগাছালি আর সান্ধ্য ঘোর। সন্ধ্যের অন্ধকারে আরও একটু রাস্তায় ঘুরবো ফিরবো কিনা ইতস্তত করছি। দূরে দোকানগুলোয় বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্যুৎ রয়েছে। রাস্তা কিন্তু অন্ধকার। রিসর্টে ফিরে ঘরে মজুত ইলেকট্রিক কেটলিতে জল ফুটিয়ে চায়ের স্যাসে ঢেলে চা খেয়ে ডায়েরি লিখতে বসলাম। (Falta)

রাতের আহার শেষে, হোটেল চত্বরের নীচে চেয়ার পেতে বসেছিলাম প্রায় ঘন্টাখানেক। জলজ ঠান্ডা হাওয়ায় গাছের পাতারা তিরতির কেঁপে উঠছে। প্রতিটি গাছের সঙ্গে গাছের এক গভীর সখ্য। মৃদুমন্দ হাওয়ার স্পর্শ মেখে বসে থাকতে বেশ লাগছে। আজ গোটা রিসর্টে পর্যটক বলতে কেবল আমরা আর এক যুগল এবং পাঁচ-ছয় জনের পুরুষের দলটি। রিসর্টে ঢোকার মুখেই ভেতরে একটি বাঁধানো চাতালে ছোট্ট কালিমন্দির। কিন্তু সাদা কাপড়ে ছোট্ট মন্দিরটি ঢাকা। সিকিউরিটিতে থাকা ভদ্রলোক জানালেন, ‘অম্বুবাচি’ চলছে, তাই মাতৃমুর্তি আড়াল করা রয়েছে। (Falta)
আরও পড়ুন: ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন ও ছোট রেল
রাতে পরিপাটি ঘুমের পর সকাল হতেই আবার নীচে চলে এসেছি। ভেতর দিকটার এই রাস্তায় যানবাহন বলে কিছু নেই। টোটোই ভরসা। স্থানীয় যাঁরা এখান থেকে শহরের দিকে যান জীবিকার স্বার্থে, তাঁদের নিজস্ব বাহন সাইকেল বা মোটরবাইকেই যান। আবারও চলে এসেছি গঙ্গাপাড়ে। নদী ও গ্রামের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব যেন ফলতার প্রতিটি কোনায়। (Falta)
এক ধীবর, পাড়ের কাছেই বুক-জলে দাঁড়িয়ে নিজের মাথার ওপর হলুদ রঙা নাইলনের জালটি তিন চক্কর ঘুরিয়েই জলের সীমানায় ছুঁড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তারপর জলের ভেতরেই খানিক দূরে সরে সরে যাচ্ছেন সেই জালটি গোটাতে গোটাতে। পাড়ের ওপর দূরে দাঁড়িয়ে, ওই জালে মাছ উঠেছে কিনা ঠিক ঠাহর করতে পারছি না। তবে মানুষটি এবার আরও বেশ কিছুটা দূরে সরে গিয়ে আবারও সেই একই কায়দায় মাথার ওপর জালটি তিন পাক ঘুরিয়ে জলে ছুঁড়ে দিলেন। (Falta)

আরও একটু ডানদিকের রাস্তায় এগিয়ে দেখি, কয়েকটি জেলে নৌকা পাড়ে এসে ভিড়েছে। সেইসব নৌকার গলুইয়ে স্তূপীকৃত মাছ। পাঁশুটে রূপালী আঁশ। সকালের নরম রোদ্দুরের আদর তাদের শরীরে। দূরে অসংখ্য নৌকা ভাসছে। কখনও ডাইনে-বাঁয়ে বয়ে চলা ভ্রাম্যমান মালবাহী জাহাজের ভোঁ শোনা যাচ্ছে। কৃষ্ণবর্ণ মেঘের প্রতিচ্ছবি জলে পড়ে মায়াময় হয়ে উঠছে। আবার যেই মাত্র মেঘ চিরে মৃদু সূর্যরশ্মি বেরিয়ে এলো, সে সৌন্দর্য অন্যরকম। (Falta)
এমনতর ছোট্ট ভ্রমণগুলি সার্থক হয়ে ওঠে নিসর্গ ও সৃষ্টির প্রহরে। এভাবেই, আজন্মকাল। বহমান জীবন ও বাড়ির রোজনামচা ভুলে যাই। ফিরতি পথে কলকাতার মাটি ছুঁতেই টনক নড়লো, আবারও সেই যাঁতাকল জীবনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা। (Falta)
প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি :
যাওয়া আসা – সড়কপথে কলকাতা থেকে ফলতার দূরত্ব ৩৬ কিলোমিটার মতো। সময় লাগে কমবেশি ঘন্টা দেড়েক। রেলপথে ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে নেমে টোটো ভাড়া করে ১৯ কিলোমিটার দূরে ফলতা।
থাকা–খাওয়া – এখানে কয়েকটি হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে। সেখানেই খাওয়ার জন্য লাগোয়া রেস্তোরাঁ রয়েছে। অনলাইনে বুক করে নেওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে সারাদিন হইহুল্লোরের জন্য গঙ্গার কোলে অনেকগুলি পিকনিক স্পট।
সেরা সময়– বছরের যেকোনও সময় যাওয়া যেতে পারে। তবে বর্ষায় যখন ধূসর মেঘ কুন্ডুলী পাকিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তখন। আর শীতকাল মানেই তো ভ্রমণের পালে হাওয়া লাগে।
ছবি:লেখক, Wikimedia Commons, Wikimedia Commons, Wikimedia Commons, Wikimedia Commons
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, মধুছন্দার পাঠকসমাজে পরিচিতি মূলত ভ্রমণকথা, গদ্যলিখন ও কবিতার আনুকূল্যে। বাংলা ও বর্হিবঙ্গের প্রায় সমস্ত প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন, লিটল ম্যাগাজিনের নিয়মিত লেখক মধুছন্দার জায়মান অনুভবে ভ্রমণ আখ্যানের অনায়াস যাতায়াত। নিজস্ব ভ্রামণিক অভিজ্ঞতার নিরিখে উপলব্ধিগত জীবন ও অনুভবকে অক্ষরযাপনের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে দেন আত্মমগ্ন উচ্চারণে।