বেড়াতে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বেড়ানোর আনন্দই মাটি। বেশিরভাগ সময় হাতের কাছে ডাক্তারও পাওয়া যায় না। তাই সামলাতে হয় নিজেকেই। গুগলের বদান্যতায় এখনকার যুগে কোথায় কী করতে হবে, কী ওষুধ দিতে হবে তা সবারই মোটামুটি জানা। তবু আরও একবার তা ঝালিয়ে নেওয়া যাক। যেকোনও চিকিৎসার বেসিক শিক্ষাই হল প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড।বেড়াতে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন? কী করবেন?
প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রাথমিক চিকিৎসা হল কোনও আহত বা অসুস্থ ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে পৌঁছনোর আগেই জরুরি-ভিত্তিতে চিকিৎসা করা। তা সে মুমূর্ষু রোগীকে Cardiopulmonary Resuscitation (CPR) করে বাঁচানোই হোক বা আঙুলের চাপে রক্তপাত বন্ধ করাই হোক কিংবা ভাঙা হাড়ে splint করে immobilize করাই হোক- সবই জীবনদায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা।
কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন (Cardiopulmonary Resuscitation)
অনেক সময় বেড়াতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের মুমূর্ষু রোগীর সম্মুখীন হতে হয়। তা সে দুর্ঘটনাই হোক বা যেকোনও কারণে শ্বাসকষ্ট হয়ে নেতিয়ে পড়াই হোক বা নাকমুখ দিয়ে রক্তপাতই হোক। বাঁচাতে হলে তাকে প্রথমেই দিতে হবেবেসিক লাইফ সাপোর্ট। হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে হবে মস্তিষ্ক, ফুসফুস, কিডনি, লিভার ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে। অর্থাৎ এয়ার প্যাসেজটা যে করেই হোক খুলে রাখতে হবে Cardiopulmonary Resuscitation এর মাধ্যমে, যা A অর্থাৎ Airway ,B অর্থাৎ Breathing, আর C মানে Circulation পরপর তিনটে Procedure এর ওপর দাঁড়িয়ে।
A- Airway- সবার আগে রোগীর শ্বাসনালীতে বাতাস মানে অক্সিজেন ঢোকার বন্দোবস্ত করতে হবে। রোগীকে শক্ত মাটি বা বিছানায় চিৎ করে শুইয়ে মাথা পিছনে করে চোয়ালে টান মেরে মুখ খুলে জিভ ও দাঁতের মধ্যে শক্ত চামচ বা ধাতব দণ্ড ঢুকিয়ে মুখ হাঁ করিয়ে ভেতরটা যতটা সম্ভব পরিষ্কার করে দিতে হবে।
B-Breathing- যদি এর পরেও রোগীর স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস চালু না হয়,তবে পরবর্তী পদক্ষেপ হলো Mouth to mouth Respiration অর্থাৎ রোগীর মুখে নিজের মুখ দিয়ে ১০ থেকে ১২ বার ফুঁ দিয়ে জোরে হাওয়া ঢোকাতে হবে যাতে রোগীর অবরুদ্ধ বা সংকুচিত শ্বাসনালী দিয়ে অন্তত ৫০০/৬০০ মিলি লিটার হাওয়া ঢুকতে পারে।
C-Circulation- আগের প্রক্রিয়াতেও যদি রোগী সাড়া না দেয়,তবে তাকে External Cardiac Massage করতে হবে। দু’হাতের তালু রোগীর বুকের মাঝখানে Sternum এর উপরে রেখে এক থেকে দু ইঞ্চি নীচে চাপ দিতে হবে মিনিটে ৭০ থেকে ৮০ বার। এবং প্রতি চারবার Cardiac Massage এর পরে একবার করে Mouth to Mouth Respiration দিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না তার ফুসফুস বা হৃৎপিণ্ড স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছে।

ব্যস,এইটুকু করলেই বেঁচে যাবে অনেক অমূল্য জীবন। এবার কিছু অতি সাধারণ সমস্যার সমাধান দেখে নেওয়া যাক এক নজরে। কেটে ছড়ে গেলে ক্ষতস্থান পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে যেকোনও Antibiotic মলম লাগিয়ে Tetenus Toxoid নিয়ে নিতে হবে। ক্ষতস্থান খোলা রাখাই সবচেয়ে ভাল,তবে ধুলো এড়াতে হাল্কা ব্যাণ্ডেজ লাগানো যেতে পারে। রক্ত পড়লে Internal Bleeding বাদ দিয়ে সাধারণত ছোটখাটো রক্তপাত হাতের আঙুল দিয়ে মিনিট দশেক চেপে ধরলেই বন্ধ হয়ে যায়।
চোখে ধুলোবালি বা পোকা পড়লে
সবার আগে পরিষ্কার জলে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। স্যালাইন জল সবচেয়ে ভাল। তবে বেড়াতে গিয়ে তা পাওয়া মুস্কিল। পাহাড়ি ঝরনার জলও চোখ পরিষ্কার করার পক্ষে ভীষণ ভাল। Contact Lens পরে থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। এর পরেও যদি ধুলো বা পোকামাকড় থেকে যায়,তাহলে টিস্যু পেপার বা তুলো ভিজিয়ে একটু পাকিয়ে সাবধানে বের করতে হবে যেন চোখের মণিতে আঘাত না লাগে। চোখ লাল হয়ে জল পড়লে ঠাণ্ডা যেকোনো চোখের ড্রপ লাগিয়ে আইপ্যাড দিয়ে চোখ বেঁধে রাখতে হবে।
পা মচকালে বা হাড় ভেঙে গেলে
পা মচকানো আর হাড় ভাঙার প্রাথমিক চিকিৎসা মোটামুটি এক।এক্সরে ছাড়া ভাঙা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যায় না। আঘাতের স্থান থেকে যদি রক্তপাত হয় তবে প্রথমে চাপ দিয়ে তা বন্ধ করতে হবে। যদি তাতেও রক্ত পড়া বন্ধ না হয় তাহলে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের একটু ওপরে টুর্নিকেট (Tourniquet) বেঁধে রক্ত বন্ধ করতে হবে। রক্তপড়া বন্ধ হয়ে গেলে প্রতি কুড়ি মিনিট অন্তর টুর্নিকেট আলগা করে সেই অঙ্গে রক্ত চলাচলের বন্দোবস্ত করতে হবে। এরপর আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বরফ সেঁক দিয়ে লাঠি,কাঠি বা কোনও শক্ত জিনিস দিয়ে এক সরলরেখায় বেঁধে অর্থাৎ Splint করে দিতে হবে যাতে অঙ্গটি নড়াচড়া না করতে পারে (Immobilize)। এরপর ডাক্তার দেখানো, এক্সরে করা তো আছেই।
গতি অসুস্থতা অর্থাৎ Motion Sickness
অনেকেরই বাস, গাড়ি, জাহাজ বা প্লেনে চাপলে বমি হয়। একেই Motion Sickness বলে। গতি ও ঝাঁকুনির কারণে Inner Ear এ জলীয় পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় ঘটনাটি ঘটে। যার গতি অসুস্থতা আছে বেড়ানোর সময় তাকে এমন জায়গায় বসতে হবে যেখানে ঝাঁকুনি কম হয়। যেমন – বাসে চাপলে একটু সামনের দিকে, জাহাজ এ ডেকের কাছে আর প্লেনে ডানার কাছে বসলে ভাল হয়। গাড়িতে উঠে বই পড়া বা সিনেমা দেখা যেমন উচিৎ নয়, তেমনি ভ্রমণের আগে মদ বা ভাজাভুজি খাওয়া উচিৎ নয়। গাড়িতে ওঠার আগে হাল্কা খাবার খাওয়াই ভাল। কিছু কিছু ওষুধ Motion Sickness এ কাজ করে। তবে তা খেতে হবে গাড়িতে ওঠার ঘন্টাখানেক আগে। কার্যকরী ওষুধগুলি হল Promethazine,Dimenhydrinate,Mecclizine,Buclizine ইত্যাদি।ভ্রমণ সময় বেশি হলে প্রয়োজনে ওষুধগুলি দ্বিতীয়বার খাওয়া যেতে পারে।
ডায়রিয়া
সাধারণত ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি পেটে ব্যথা, গা বমিভাব বা জ্বর বা মাংসপেশীতে টান, সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়ে তবে Travellers Diarrhoea বলে ধরা হয়। বেশিরভাগ সময় তিন থেকে চারদিনের মধ্যে নিজেই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়। শুধু Dehydration এর দিকে নজর দিতে হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে নুন,চিনির জল বা Oral Rehydration Solution অর্থাৎ ORS খাওয়ালেই বিপদ এড়ানো যায়। এক লিটার জলে এক প্যাকেট ORS গুলে চার ঘন্টার মধ্যে খাইয়ে দিতে হবে। হাতের কাছে ORS না থাকলে একমুঠো চিনি আর এক চিমটে নুন জলে গুলে খাওয়ালেও হবে। সঙ্গে স্যুপ,ফলের রস জাতীয় জলীয় পদার্থ খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি ভাত,খিচুড়ির মতো শক্ত খাবারও দিতে হবে।
জ্বর
হঠাৎ করে জ্বর এলে প্রথমে পোষাক খুলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ভাল করে গা স্পঞ্জ বা স্নান করিয়ে দিতে হবে। জ্বর খুব বাড়লে বরফ জলেও স্নান করানো যায়। তাতেও না কমলে বা একই সঙ্গে 15mg/kg বডিওয়েট হিসেবে Paracetamol দেওয়া যেতে পারে।

কিছু বিশেষ পরিস্থিতির মোকাবিলা
অতিরিক্ত গরমে অথবা মরুভূমি অঞ্চলে বেড়াতে গিয়ে প্রচণ্ড বেশি তাপমাত্রা ও গরম হাওয়ায় অনেক সময় Heat Related Illness অর্থাৎ উত্তাপজনিত অসুস্থতার মুখোমুখি হতে হয়। শরীরে জলীয় পদার্থের পরিমাণ কমে গিয়ে এই ধরনের বিপত্তি ঘটে। সময়মত ব্যবস্থা না নিলে রোগী ক্রমশ Severe Disease এর দিকে যেতে থাকে। তার ধাপগুলি হল Heat Rash, Heat Fatigue, Heat Syncope, Heat Cramp Heat Exhaustion এবং রোগীর ক্রমশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে যাওয়া। ক্লান্তি,অবসন্নভাব,মাথা ধরা,পাতলা পায়খানা, চোখমুখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে জ্বর, পেশীতে টান, খিঁচুনি,অজ্ঞান হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মারাত্মক উপসর্গ দেখা দেয়।
বাঁচার উপায়: উপরে উল্লিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই পর্যটককে শীতল জায়গায় নিয়ে এসে ঠাণ্ডা জলে গা স্পঞ্জ বা স্নান করিয়ে বগলের তলায় ও কুঁচকিতে বরফ প্যাক দিতে হবে। পাশাপাশি জল,ফলের রস,ORS খাওয়াতে হবে। আসলে পাহাড়ের মতোই মরুদেশে যেতে হলেও Acclimatize করা প্রয়োজন।
আবার পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েও বিশেষ করে অধিক উচ্চতায় অনেক সময় পর্যটকরা শীতলতাজনিত ব্যাধির কবলে পড়েন। সারাক্ষণ বরফ,তুষারঝড়,প্রবল ঠাণ্ডা হাওয়ায় অনেক সময় শরীরের আভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে নেমে গেলে রোগী Hypothermia য় আক্রান্ত হয়। ঝিমিয়ে পড়ে রোগী ঠকঠক করে কাঁপতে থাকে, ঘনঘন শ্বাস চলে, হৃদস্পন্দের গতি স্লথ হয়ে আসে,ক্রমশ জ্ঞান হারায়।
বাঁচার উপায়: আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বরফ ও ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে বাঁচিয়ে তুলনামূলক বন্ধ জায়গায় নিয়ে এসে শরীর গরম করার ব্যবস্থা করতে হবে। স্লিপিং ব্যাগ সঙ্গে থাকলে দ্রুত তার ভিতরে রোগীকে ঢুকিয়ে দিতে হবে। না থাকলে, লেপ, কম্বল, চাদর– হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং গরম দুধ, স্যুপ বা যেকোনও গরম পানীয় খাইয়ে দিতে হবে। এই অবস্থায় আরও বেশি উচ্চতায় ওঠার তো প্রশ্নই ওঠে না,বরং নীচের দিকে নামতে হবে।
High Altitude ট্রেকিং ও Mountaineering এর অভিযাত্রীদের ক্রমাগত ব’য়ে চলা প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়া ও তুষারঝড়ের কারণে অনেক সময় হাতে,পায়ে Chillblain,Trench বা Immersion Foot অথবা Frost Bite হয়। অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগগুলি মারাত্মক আকার ধারণ করে। বাঁচাতে হলে সবার আগে খুঁজতে হবে আশ্রয়। তুলনামূলক উষ্ণ জায়গায় নিয়ে এসে অভিযাত্রীর ভিজে কাপড়চোপড় ও গয়নাগাঁটি খুলে লেপ, কম্বল বা শীতের পোশাক শরীরে জড়িয়ে দিয়ে ক্ষতস্থান ভাল করে ব্যাণ্ডেজ দিয়ে এমনভাবে মুড়ে দিতে হবে যাতে হাত,পায়ের আঙুলগুলি জুড়ে না যায়,পৃথক থাকে। তারপর জল গরম করে একটা কাপড় ডুবিয়ে প্রতি ২০/৩০ মিনিট ছাড়া ছড়া তা দিয়ে গরম সেঁক দিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না চামড়ার সাদাভাব কেটে গিয়ে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কঞ্জাংটিভাইটিস অথবা জয় বাংলা
পর্বতারোহীদের আরেক মারাত্মক সমস্যা Snow ব্লাইণ্ডনেস বা UV কেরাতিতিস বা Photokeratitis। High Altitude এ বরফের মধ্যে খালি চোখে চলাফেরা করলে অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে কর্নিয়া জ্বলে যায়।প্রথমে চোখে ব্যথা হয়ে ফুলে ওঠে, ব্যবস্থা না নিলে ক্রমশ দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে হতে হারিয়ে যায়।
বাঁচার উপায়: Carboxymethyl Cellulose বা Artificial Tear ড্রপ চোখে দিয়ে Eyepad লাগিয়ে কিছুদিন ব্যাণ্ডেজ করে রেখে দিলে চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক হয়।
তবে পর্বতারোহী ও High Altitude Trekker দের মারাত্নক বিপজ্জনক পরিস্থিতি হলো Acute Mountaineering Sickness বা AMS– এক জীবন ঘাতক ব্যাধি। তাই অধিক উচ্চতায় পাহাড়ে গিয়ে যদি কারও শ্বাসকষ্ট বা ভুল বকা,ঝিমিয়ে পড়া যাই হোক না কেন High Altitude Pulmonary Odema বা Cerebral Odema আশঙ্কা করে যত শীঘ্র সম্ভব নীচে নামিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি Acetazolamide জাতীয় ওষুধ খাইয়ে দিতে হবে।
উপসর্গভিত্তিক কিছু ওষুধ যা সঙ্গে রাখা যায়
১.জ্বর, মাথা,গা ব্যথা – Paracetamol প্রয়োজন মতো ৩ থেকে ৪ বার খাওয়া যায়।
২.সর্দি,গলা খুসখুস – Levocetrizine 5; ১ বার
৩.আঘাত লেগে বা পড়ে গিয়ে ব্যথা – Ibuprofen 400; ২ থেকে ৩ বার
৪.বমি – Domperidone10/ Ondancetron 4; ২ থেকে ৩ বার
৫.পেটে ব্যথা – Dicyclomine 10/Drotaverine 80; ২ থেকে ৩ বার
৬. পাতলা পায়খানা – ORS এর পাশাপাশি খুব দরকারে Loperamide ২ থেকে ৩বার
৭. অম্বল,গ্যাস – যেকোনও Antacid / Ranitidine 150; ২ বার
৮. আমাশয় – Metronidazole 400; ৩ বার
৯. মাথা ঘোরা – Cinnerizine 25/ Betahistine 8 ৩ বার।
১০. এলার্জি – Levocetrizine 5; ১ বার।
এ ছাড়া যদি High Blood Pressure বা Diabetes বা Heart Disease বা Bronchial Asthma কিংবা COPD থাকে তাহলে আপনার ডাক্তারবাবু আপনাকে যে যে ওষুধ বা Inhaler প্রতিদিন নিতে বলেছেন সেইভাবেই বেড়াতে গিয়েও ওষুধগুলো সময়মত খেতে হবে,তাহলে বাইরে গিয়ে অযথা ঝামেলায় হয়তো পড়তে হবে না।
ছবি সৌজন্য: Pixabay
পেশায় পালমোনোলজিস্ট ডা: অর্পণ রায় চৌধুরীর মূল নেশা বেড়ানো ও ছবি তোলা। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি লেখালিখি করতে ভালোবাসেন। ইতিমধ্যে তাঁর প্রকাশিত ভ্রমণ বইয়ের সংখ্যা ছয়। ট্রাভেল রাইটার্স ফোরামের সদস্য।