জ্বালানী তৈল প্রকৃতপক্ষেই হাড়জ্বালানী হইয়া উঠিয়াছে। প্রবল গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়া সে সেঞ্চুরি হাঁকাইতেছে। মধ্যবিত্তের বাহনবিলাসে ব্যাগড়া দিয়া, তাঁহাদের প্রাণে গরম তৈলে বার্তাকুর মতো ছ্যাঁকা দিয়ে সে আরও ঊর্ধ্বাগমনের প্রস্তুতি করিতেছে। সরকার বাহাদুর বলিয়াছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তৈলের দামের সঙ্গে সাযুজ্য রাখিয়াই এই ঊর্ধ্বগতি। ফলে আশু নিম্নাগমের কোনও আশা দেখা যাইতেছে না।
এদিকে নিত্যনতুন ভাইরাসও ভারতবাসীর পশ্চাদ্দেশে ছ্যাঁকা দিয়াই চলিয়াছে ক্রমাগত। করোনাভাইরাস এক্ষণে পিছনে পড়িয়াছে। সম্মুখে ডেল্টা নামক মহাসমর। তদুপরি বিভিন্ন রংবেরঙের ছত্রাক ভয়াবহ ইনফেকশন লইয়া উসেইন বোল্টের মতো তীব্র গতিতে ছুটিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায় জ্বালানী তৈলের এই সেঞ্চুরি ভারতবাসীর কাছে বিছুটির জ্বলন অপেক্ষাও দুর্বিষহ হইয়া উঠিয়াছে। কাজেই তামাম ভারতবাসী আপন-পর ভুলিয়া রাত জাগিয়া ইউরো কাপ নামক রবারের গোলা লইয়া প্রাপ্তবয়স্কদের দাপাদাপি লাফালাফি দেখিয়া প্রাণে হর্ষের সঞ্চার করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন।