দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার প্রাণের ওপারে
এ শরীর হানাবাড়ি; তক্ষক ডেকে যায়
হাসছে গুবরেপোকা; ফুল খোলো সখি
নীরপতত্রী কুয়াশা, শীতডোবা রাত
যেমন রয়েছে ঝুলে বাইল্যার বাসা
গাড়ি-গ্রাম থেকে দূরে বহু দূরে
একলা খেজুরগাছে ঝুলে আছে হাঁড়ি
রসের ভাণ্ডটি চেটে খাচ্ছে পোকা
বসিয়ে দিয়েছি আমি মুখ-আন্ধারি
সন্ধেবেলাটিকে রাত্তিরের কোলে
কালো কারে ঘুনসিতে বেঁধে রাখো
মন্ত্রপূত জল ঢেলে শুদ্ধ করো বস
নজর না লগ যায়ে কহি
গ্যাসফানুসের মতো উড়ে যায় লেখা
বৃশ্চিকচিহ্ন দাগা এ মলাট
ধাতব গরুড়পাখি, সে-ও ওড়ে
রোয়াব দেখিয়ে হাসে নিমবর্ণ হাসি
সমুদ্র-শহর থেকে এনেছ ঝিনুক
অকাজের কাজি এক, পিঠ চুলকায়
এই জিভ লবণাক্ত, রক্তচাপ বেড়ে যাবে সোনা
আউশ ধানের শীষে জার লাগে, কুবাতাস
কোকিল-প্রহর থেকে গোলালো ঠোঁটের থেকে
তোমাকে ডেকেছি আমি পচাইয়ের ঠেকে
বিনবাতাসের রাতে জ’রে যাচ্ছে মধুপত্রী চাঁদ
*ছবি সৌজন্য: Pixabay
সৌমনা দাশগুপ্ত শূন্য দশকের কবি। এ যাবৎ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ছটি কবিতাগ্রন্থ। ২০০৮ সালে "কৃত্তিবাস" পুরস্কার পেয়েছেন "বেদ পয়স্বিনী" বইটির জন্য। এছাড়া উল্লেখযোগ্য বই: দ্রাক্ষাফলের গান, ঢেউ এবং সংকেত, অন্ধ আমার আলোপোকা ইত্যাদি। ২০২০ সালে প্রতাশিত হয়েছে উপন্যাস 'মাশান রহস্য।'
2 Responses
আপনার লেখার গুনমুগ্ধ প্রথম থেকেই
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা…