Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

ভয় এসেছিল ৬ আগস্ট সকাল সোয়া আটটায়

কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

আগস্ট ১৩, ২০২৪

Kingshuk Banerjee
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

(আজ থেকে উনআশি বছর আগের এমনই এক আগস্ট মাসের সকালে দুনিয়া ভয়ের বিশ্বরূপ দর্শন করেছিল। এ তারই এক আলেখ্য) (Hiroshima)

ঠিক সোয়া আটটায় বোমা ফেলা হল। বোমা ফেলার পর বলা হয়েছিল তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে বাঁচতে সেখান থেকে দ্রুত চলে আসতে হবে। তাও দুটো বিস্ফোরণের তরঙ্গের ধাক্কা বিমানের উপর এসে পড়ল। কী হল দেখার জন্য পিছনে ফিরে চাইলাম। আমাদের চোখের সামনে হিরোশিমা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল-ক্যাপ্টেন রবার্ট লুইস, সহ পাইলট, এনোলা গে

ভয়।
ভয়ের কোনও রূপ হয়? তাকে দেখা যায়?
ভয় কি সর্বাত্মক ধ্বংসের এক প্রলয়ঙ্কর রূপ যখন বিদ্যুতের মতো সূর্যের আলো যেন আকাশ চিরে দেয়, পৃথিবী যেন দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়তে চায়, এক সর্বব্যাপী অগ্নিবলয় সব কিছু গ্রাস করে রাখ করে দিতে চায়, লক্ষ লক্ষ জীবনের পৃথিবী এক নিমেষে ধ্বংস্বস্তুপে পরিণত হয়? ভয় কি বিশাল এক ব্যাঙের ছাতার মতো অতিকায় মেঘ যা বিশ্বকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়?

কিংবা ভয় কি আতঙ্কেরই অন্য নাম? তার কথা ভাবলেই কি ঠাণ্ডা স্রোত শিরদাঁড়া দিয়ে নামতে শুরু করে? তাকে বছরের পর বছর ধরে সেই আতঙ্ক কি তাড়া করে বেড়ায়? সেই আতঙ্কের কোনও স্মৃতি কি বহু বছর পরেও দুঃস্বপ্নের মতো পিছু ছাড়ে না?
২০২৩ সালে হলিউডের প্রথিতযশা চিত্রপরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের ছবি ’ওপেনহাইমার’ সারা বিশ্বে চর্চার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছিল। ছবিটি দুনিয়ায় কত হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে সেটা এখানে অবশ্য আলোচ্য নয়। পৃথিবীর সামনে এতদিন ধরে ঝাঁপিতে বন্ধ থাকা যে ভয়টা ছিল, তাকেই নোলান তাঁর ছবির মাধ্যমে আবার যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছেন, সেটা নিয়েই আলোকপাত এখানে।

১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট সকাল সোয়া ৮টায় হিরোশিমাতে সেই ভয়ই দেখা দিয়েছিল।
কেমন সেই ভয়?

‘হিরোশিমা’র আগের কথা

মার্কিন সাংবাদিক জন রিচার্ড হার্সে তাঁর ১৯৪৬ সালে লেখা ‘হিরোশিমা’ বইতে সেই ভয়ের ছবি এঁকেছেন। কী সেই আতঙ্কের ছবি তা নিয়ে কথা বলার আগে ‘হিরোশিমা’ বইয়ের হয়ে ওঠার কাহিনিও কম চমকপ্রদ নয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পড়ন্ত বেলায় হার্সের তখন সমর সাংবাদিকতায় বেশ নামডাক। ডাকাবুকো এই তরুণ রণাঙ্গণে যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করেন তাই নয় (চার চার বার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছেন), ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় সিসিলিতে এক ইতালীয়-মার্কিন যোদ্ধার জবানীতে লেখা ‘বেল ফর অ্যাডেনো’ উপন্যাসের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার অবধি পেয়েছেন।

নিউইয়র্কার পত্রিকার তৎকালীন সহ সম্পাদক উইলিয়াম শন (পরে ১৯৫১ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত নিউ ইয়র্কারের মুখ্য সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি) ঠিক করলেন তাঁর পত্রিকাতে পারমাণবিক বোমা নিয়ে সাংবাদিক প্রতিবেদন বের হবে কিন্তু সেটা শুধু গড়পড়তা ক্ষতি আর ধ্বংসের বিবরণ হবে না। যারা এই পারমাণবিক বিষ্ফোরণের মারণ ছোবল থেকে কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছেন তাদের নিয়ে লেখাটা হবে। অর্থ্যাৎ পারমাণবিক বিস্ফোরনের ভয়াবহতা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ। আর এই প্রতিবেদন লেখার ভার দিলেন হার্সেকে।

সেই মতো নিউইয়র্কারের সঙ্গে চুক্তি করে বছর একত্রিশের হার্সে ১৯৪৬ সালের মে মাসে জাপান গেলেন। তবে লেখাটা কেমন করে লিখবেন তা নিয়ে হার্সের মনে চিন্তা চলছিল। যুদ্ধের সাংবাদিকতা করা হার্সে নিজে হাড়ে হাড়ে জানতেন রণাঙ্গণের ভয়াবহতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের গুয়াদালকানাল দ্বীপে জাপানিদের সঙ্গে মিত্রপক্ষের ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। রণাঙ্গণে থেকে সেই যুদ্ধের প্রতিবেদন সমর সাংবাদিক হিসাবে লেখেন হার্সে। পরে তা ‘অফ মেন অ্যান্ড ওয়ার’ নামে প্রকাশিত হয়। এখানে সাদামাটা যুদ্ধের বিবরণ না লিখে হার্সে সেনাদের নিজেদের বয়ানেই যুদ্ধের বিভৎসতাকে সামনে আনেন। (এই বইয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ হল তৎকালীন সেনা লেফটানেন্ট জন এফ কেনেডির বীরত্বের কাহিনি। ১৯৪৩ সালের আগস্ট মাসের এক রাতে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ব্র্যাকেট প্রণালীতে কেনেডির নেতৃত্বাধীন টহলদারী নৌকায় জাপানিরা হামলা চালায়। এই ঘটনার ১৭ বছর বাদে যিনি হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে আসীন হবেন, সেই কেনেডি নিজের জীবন বাজি রেখে সহযোদ্ধাদের বাঁচান)।

আরও একটা ঘটনা হার্সেকে প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দীতে প্রতিবেদন লিখতে অণুপ্রাণিত করে। জাহাজে জাপান যাওয়ার সময় হার্সে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই তাঁর হাতে আসে ১৯২৮ সালের মার্কিন লেখক থর্নটন ওয়াইল্ডারের পুলিৎজার জেতা উপন্যাস ‘দ্য ব্রিজ অফ সান লুইস রে’ যেখানে ১৭১৪ সালে পেরুর এক খাদের উপর দড়ির সেতু ছিঁড়ে পাঁচজন মারা যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যাজক ব্রাদার জুনিপার এই মৃতদের পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলেন ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্য।

ওয়াইল্ডারের এই কারুর চোখ দিয়ে ঘটনা দেখার শৈলী হার্সের মনে ধরে। তিনিও ঠিক করেন সাদামাটা প্রতিবেদন না লিখে পারমাণবিক বিস্ফোণের বর্ষপূর্তিতে হিরোশিমায় যারা বেঁচে আছেন তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলা। জানার চেষ্টা করা ওই কালান্তক ৬ আগস্টের সকাল সোয়া আটটায় (ওইসময় ইনোলা গে নামের বি ২৯ বোমারু বিমান থেকে ‘লিটল বয়’ ফেলা হয় হিরোশিমার উপরে) তাঁরা ঠিক কী করছিলেন। এই কাহিনি বলার শৈলীতে প্রতিবেদনকে সাংবাদিকতার পরিভাষায় ‘নয়া সাংবদিকতা’ বলে। হার্সে ছিলেন এই শৈলীর অন্যতম পথীকৃত।
যা ভাবা সেই কাজ। দুই যাজক রেভারেন্ড কিয়োশি তানিমোতো আর ফাদার উইলহেলম ক্লিয়েনসর্গ, দুই ডাক্তার মাসাকাজো ফুজি আর তেরুফুমি সাসাকি, এক সংস্থার মহিলা কর্মী তোশিনকি সাসাকি আর এক প্রয়াত দর্জির বিধবা স্ত্রী হাতসুয়ো নাকামুরা- মোট এই ৬ জনের বেঁচে থাকার কাহিনি নিয়ে হার্সে তাঁর প্রতিবেদন লিখলেন। হাজার তিরিশেক শব্দের এই কাহিনি নিয়ে নিউইর্য়কারের একটা গোটা সংখ্যা বেরোল। ১৯৪৬ সালে হিরোশিমা নামে বই হিসাবে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বন্দিত হয় যুদ্ধবিরোধী সর্বোত্তম দলিল হিসাবে। শোনা যায় আইনস্টাইন বইটার হাজার কপি কিনে সেটা বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।

সোয়া আটটা

‘হিরোশিমা’ শুরুই হচ্ছে এই হাফ ডজন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ দিয়ে।
“১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট, জাপানি সময় ঠিক সকাল সোয়া আটটায় হিরোশিমার আকাশে যখন পারমাণবিক বিস্ফোরণ হল, তখন ইস্ট এশিয়া টিন ওয়ার্কসের কর্মী বিভাগের মহিলা করণিক তোশিনকি সাসাকি সবেমাত্র নিজের চেয়ারে বসে পাশের মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ঘাড় ঘুরিয়েছিলেন। ঠিক ওই সময়ে নদীর ধারে তাঁর হাসপাতালের বারান্দায় হাঁটু মুড়ে বসে ওসাকা আশাহি পড়তে যাচ্ছিলেন চিকিৎসক মাসাকাজো ফুজি। প্রয়াত দর্জির বিধবা স্ত্রী হাতসুয়ো নাকামুরা আবার রান্নাঘরের জানলা দিয়ে দেখছিলেন পড়শি তার বাড়ির একাংশ ভাঙছে কারণ সেটা বোমা আক্রমণ রোখার সীমা অতিক্রম করছে। অন্যদিকে ঠিক ওই সময় জার্মান যাজক ফাদার উইলহেলম ক্লিয়েনসর্গ তাঁর সোসাইটি অফ জেসাসের গীর্জার তিনতলার ছাদে এক খাটে শুয়ে একটা ধর্মীয় পত্রিকা উল্টে পাল্টে দেখছিলেন। শহরের নতুন ঝাঁ চকচকে রেডক্রস হাসপাতালের বারান্দা দিয়ে পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা নিয়ে যাচ্ছিলেন ডাক্তার তেরুফুমি সাসাকি। অন্যদিকে হিরোশিমা মেথডিস্ট চার্চের রেভারেন্ড কিয়োশি তানিমোতো গিয়েছেন পশ্চিম শহরতলী কোই এলাকায় এক সম্পন্ন বাসিন্দার বাড়িতে। শহরে যে কোনও সময় বোমাবর্ষন হতে পারে। তাই এই বাড়িতে কিছু জিনিস রাখতে এসেছেন তানিমোতো।“

তারপর এসেছে কাহিনির চরম মুহূর্ত- “গত কয়েকদিন ধরে মার্কিন বোমারু বিমানগুলো হিরোশিমার উপর দিয়ে স্রেফ উড়ে যাচ্ছিল। বার বার বিমানহানার সাইরেন শুনতে শুনতে শহরের লোকেরাও কেমন যেন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছিল। ওদিকে শহর জুড়ে তখন জোর গুজব যে মার্কিনীরা বিশেষ কিছু করবে বলেই চুপচাপ রয়েছে।
৬ আগস্টের সকালে তাই মোটে তিনটে বিমান শহরের দিকে এগোচ্ছে দেখে জাপানি রাডার অপারেটররা সেটাকে ধর্তব্যের মধ্যেই ধরেনি। ঘড়িতে তখন সোয়া আটটা। শান্ত সকাল। চারিদিকে তেমন কোনও কোলাহল নেই। হিরোশিমা মেথডিস্ট চার্চের যাজক রেভারেন্ড কিয়োশি তানিমোতোর পরিষ্কার মনে আছে সারা আকাশ জুড়ে এক প্রচণ্ড বিদ্যুতের ঝলকানি হল। শহর থেকে পাহাড়ের দিকে ছুটে গেল সেটা। ঠিক যেন সূ্র্যের একটা অংশ।

কোনও বিস্ফোরণের শব্দ কিন্তু তানিমোতো পাননি। সত্যি বলতে তা কোনও হিরোশিমাবাসীই পাননি। তানিমোতো শুধু এক অসম্ভব চাপ অনুভব করেছিলেন। মনে হয়েছিল সারা পৃথিবী দুমড়ে মুচড়ে তার উপর এসে পড়ল বলে। সত্যি সত্যিই যেন আকাশ ভেঙে পড়ল তাঁর মাথায়। যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন তার পিছনের বাড়িটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। তার ইটকাঠের তলায় চাপা পড়লেন তানিমোতো। শুধু হিরোশিমা থেকে বিশ কিলোমিটার দূরের সমুদ্রে এক জেলে তাঁর সম্পানে বসে দেখলেন আকাশ জুড়ে আলোর ঝলকানি, কানে এল এক গগনবিদারী বিস্ফোরণের শব্দ।“
ভয়াবহতার ছবি লেখক এঁকেছেন তারপরই- “সাত সকালেই সারা শহরে অন্ধকার নেমে এসেছে। চারিদিকে বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ, ধিকিধিকি আগুনের শিখা জ্বলছে আর সেই সব ধ্বংসস্তুপের তলা থেকে ভেসে আসছে আর্তনাদ। বহু মানুষ ইট কাঠের তলায় চাপা পড়েছেন। কিন্তু কে তাদের উদ্ধার করবে? যারা উদ্ধার করবে তারাই তো মৃত। তবে ধ্বংসের পরিমাপ সম্বন্ধে কোনও ধারণাই তার ছিল না। ধ্বংসস্তুপ থেকে বেরিয়েও তানিমোতোর ধারণা ছিল মাত্র কয়েকটা বোমা ফেলতে পেরেছে মার্কিনী বোমারু বিমানগুলো। তাই হয়তো তিনি শহরের যে দিকটায় রয়েছেন, সেই অঞ্চলেই ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু উঁচু টিলায় উঠে তানিমোতো যখন দেখলেন, যতদূর চোখ যায় শুধু ধ্বংসের ছবি, তখন তাঁর মন অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠল। এ যে সাধারণ কোনও বোমা করতে পারে না, সেই সার সত্য তার বুঝতে দেরি হয়নি।

শহর তখন জীবন্ত নরক। তারই মধ্যে ব্যথায় আর্তনাদ করতে করতে রক্তস্নাত এক বৃদ্ধা টলমল পায়ে চলেছেন এক তিন- চার বছরের ছেলের হাত ধরে। তবে শুধু সেই বৃদ্ধা নন, রাস্তায় শয়ে শয়ে আহত রক্তাক্ত মানুষ ছিন্নভিন্ন পোশাক পরিধানে টলমল পায়ে, চলেছেন হাসপাতালের দিকে।

রেড ক্রশ হাসপাতালের ডাক্তার তেরুফুমি সাসাকি প্রথমে ভেবেছিলেন বোমা পড়েছে হাসপাতালের ধারে কাছেই। তাই প্রাথমিক হতভম্ব পর্ব কাটিয়ে পুরোদমে হাসপাতালের যারা আহত হয়েছেন তাদের শুশ্রুষায় লেগে পড়েছিলেন।

পরিসংখ্যান বলে, আড়াই লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে হিরোশিমার লাখ খানেক প্রাণ পারমাণবিক বোমা নিয়েছিল। নানাভাবে আহত হয়েছিলেন আরও লাখ খানেক। তার মধ্যে হাজার দশেক চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন রেড ক্রশ হাসপাতালেই। কিন্তু হাসপাতালের তখন নিজেরই শোচনীয় দশা। বোমার ঘায়ে হাসপাতালের বেশ কিছু অংশ তখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত। জনা তিরিশেক ডাক্তারের মধ্যে সাসাকিকে নিয়ে মাত্র ৬ জন চিকিৎসক রোগী দেখার অবস্থায় আছেন। শ’ দুয়েক নার্সের মধ্যে মাত্র জনা দশেক কর্মক্ষম। ওষুধপত্রের স্টোররুমে চারিদিকে ছত্রাখান হয়ে পড়ে রয়েছে ওষুধ। বোতল ভেঙে ওষুধের নদী বইছে।

তাই সাসাকির ভুল ভাঙতে অবশ্য দেরি হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আহতদের জনস্রোত আছড়ে পড়ল হাসপাতালে। শোক করার মতো বিলাসিতা তখন ডাক্তারদের নেই। প্রাণপনে যুদ্ধ করতে লাগলেন আহতদের চিকিৎসা করতে। তাও চোখের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে প্রচুর মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন।

(ক্রমশ)

তথ্য সূত্র: জন রিচার্ড হার্সে-‘হিরোশিমা’

kingshuk banerjee

মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে

Picture of কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে
Picture of কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com