সুড়ঙ্গ উদ্ধারে এ যেন যুদ্ধজয়ের নতুন ইতিহাস— ফেলে আসা বছরের ঠিক শেষদিকে যার সাক্ষী রইলাম আমরা। ১২ থেকে ২৭ নভেম্বর, টানা ১৭ দিন স্নায়ুর লড়াই শেষে যন্ত্রকে পেছনে ফেলে মানুষ বের করে আনল মানুষকে (Human rescue)। যুদ্ধই বটে। সেদিন হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের হলদেরি গ্রামের ৬০ ফুট গভীর গর্ত থেকে ৫০ ঘণ্টার লড়াই শেষে সেনাবাহিনী যখন প্রিন্সকে উদ্ধার করল, টেলিভিশনের দর্শকের মিটার বোধ হয় শিখর ছুঁয়েছিল। উদ্ধারের শেষ প্রহরে টেলিভিশনের দর্শক-সংখ্যা বিশ্বকাপ ফাইনালের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল কিনা বলা মুশকিল। কিন্তু বিভীষিকার ১৭ দিন শেষে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনেত্রি জাতীয় সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা-বারকোট নির্মীয়মান সুড়ঙ্গ থেকে বিশেষ স্ট্রেচারে ৪১ জন সহ-নাগরিককে মুক্তির আলো দেখালেন র্যাট মাইনার্সরা। যবনিকা পতনে যন্ত্র নয়, মানবিকতার জয় হল। ১২ নভেম্বর দীপাবলির আলোর মাঝে যে অন্ধকার নেমে এসেছিল, ২৭ নভেম্বর রাত ৭টা ৫২ মিনিটে যখন প্রথম শ্রমিক বেরিয়ে আসছেন, মনে হচ্ছিল যেন দেশজুড়ে অকাল দীপাবলি। মানুষের হাতের কোদাল বেলচা ছেনি বাটালি আর অক্সিজেন সহ ম্যানুয়াল ড্রিলিং এবং হাতুড়ির পাল্লায় টানটান উত্তেজনায় ইতি টানল। উত্তরকাশির এই ঘটনা কিন্তু নতুন নয়, দেশ বিদেশের নানা প্রান্তে গুহা বিশেষজ্ঞ থেকে শ্রমিকেরা নানার সময়ে আটকে পড়েছেন আর সুড়ঙ্গ কেটে তাদের বের করে আনা হয়েছে। (Human rescue)

কিন্তু শুধু উত্তরকাশি বা কুরুক্ষেত্রের প্রিন্স উদ্ধার নয়, সুড়ঙ্গে মানুষ আটকে পড়ার ইতিহাসের নথিভুক্তির ঘটনার শতবর্ষ পার হতে চলেছে আগামী বছরেই। ঠিক ১০০ বছর আগে এভাবেই খনিতে গবেষণা করতে নেমে আর ফিরে আসেননি, মার্কিন মুলকের গুহা বিশেষজ্ঞ ফ্লয়েড কলিন্স। এমনিতে আমেরিকার যুক্তরাজ্য কেন্টাকিতে হাজারেরও বেশি গুহা রয়েছে। সেখানকার একটিতেই ৫৫ ফুট তলিয়ে যান কলিন্স। চারদিনের দিন নামল ধস। যে গর্তে তিনি পড়লেন, তাও গুহার মুখ থেকে ১২৫ ফুট দূরে। কলিন্স বেরতেই পারেননি, কারণ তখন ১১ কেজির একটি পাথর এসে পড়েছে কলিন্সের পায়ে। দুমাস পর যখন তাঁকে উদ্ধার করা হয়, কাঁধ পর্যন্ত তাঁর শরীর গর্তে ডুবে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রয়াণ শতবর্ষে রোন্টজেন ও এক্স-রশ্মির কাহিনি
সুড়ঙ্গ উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম দিকেই থাকবে থাইল্যান্ডের ওয়াইল্ড বোয়ার্স জুনিয়র ফুটবল টিমের ১২ জন সদস্যের উদ্ধারের ঘটনা। জন্মদিনের পার্টির উল্লাস করতে করতে সে দেশের দই ন্যানং পর্বতের থাম লুয়াং ন্যাং নন গুহায় ঢুকে পড়েছিল তারা। বাইরে হঠাৎ প্রবল বর্ষণ, নেমেছে ধস। ২০১৮-এর ২৩ জুন থেকে ১০ জুলাই— টানা ১৮ দিন। ২০০০ সেনা, ৪০০ পুলিশ, ১০০ জন ডুবুরি, ১০ টি হেলিকপ্টার, ১০ হাজার স্থানীয় মানুষ এবং ডুবুরিদের জন্য ব্যবহৃত ৭০০টি সিলিন্ডার ব্যবহার করে তাদের উদ্ধার করা হলেও রয়্যাল থাই নেভি অফিসার সমান কুনান তাদের বার করে আনতে গিয়ে নিজেই জলে ডুবে মারা যান। উদ্ধারের জন্য গুহার বাইরে দীর্ঘকায় বিশাল জলাধার তৈরি করে ১০০ কোটি লিটার জল পাম্প করে বের করতে হয়েছিল। ভরসা ছিল শুধুই বার্থডে পার্টির জমানো সামান্য কিছু পচা খাবার।

সাসপেন্স আছে, থ্রিলার আছে, রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত আছে, একের পর এক স্তর পেরিয়ে যাওয়া আছে— একটা জমাটি উদ্ধারের ঘটনা কে না পছন্দ করে! দেওঘর থেকে কুরুক্ষেত্র, থাইল্যান্ড থেকে মার্কিন মুলুক কিংবা জার্মানি বা সৌদি আরব, উদ্ধারের কর্মযজ্ঞে হয়ত সক্রিয়ভাবে সামিল হয় কিছু মানুষ। কিন্তু পরোক্ষভাবে জুড়ে যায় হাজার হাজার মানুষের চোখ, মন, অপেক্ষা, তিতিক্ষা। হলিউড থেকে বলিউড, উদ্ধারকাহিনির স্ক্রিপ্ট পেলে, প্রযোজক-নির্দেশকরা ঝাঁপিয়ে পড়বেনই। ১৯৮৯ সালে রানিগঞ্জ কয়লাখনিতে সুড়ঙ্গ কেটে ৬৫ জন শ্রমিক উদ্ধারের অপারেশন নিয়ে তো ‘অপারেশন রানিগঞ্জ’ নামে বক্স-অফিস হিট করা সিনেমা পর্যন্ত করে ফেললেন অক্ষয় কুমার। ১৩ নভেম্বরের দুপু্রে হঠাৎ প্রবল জলোচ্ছ্বাস, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের মহাবীর কয়লা খনিতে আটকে গেলেন ২৩২ জন কয়লা শ্রমিক। ১৬১ জনকে বের করে আনা সম্ভব হলেও ৭১ জন আটকে রইলেন। এগিয়ে এলেন মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার যশোবন্ত গিল। ৭ ফুট উঁচু এবং ২২ ফুট চওড়া ইস্পাতের তৈরি একটি ক্যাপসুল তৈরি করলেন তিনি। তারপর খনি থেকে দূরে লম্বালম্বিভাবে একটি গর্ত করতে করতে খনির শেষ প্রান্তের মুখে পৌঁছলেন গিল। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরমন ১৯৯১ সালে গিলকে ‘সর্বোত্তম জীবনরক্ষা পদক’ দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন।

সুড়ঙ্গ কেটে মানুষ উদ্ধারের ঘটনায় বহু বছর শিরোনামে থাকবে ২০১০ সালের চিলির ঘটনাটি। চিলি বরাবর পৃথিবীর অন্যতম তামা-সরবরাহকারী দেশ। সেই উত্তর চিলিতে আটা কামা মরুভূমির সান জোশ খনিতে সোনা ও তামার খোঁজে নেমেছিলেন ৩৩ জন শ্রমিক। সে দেশের সরকার যখন এই দুর্ঘটনার খবর পাচ্ছে, ততক্ষণে তারা ২,৩০০ ফুট গভীরে আর খনির মুখ থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। বাইরে ধুলোর প্রবল ঝড়। একজন শ্রমিক ওই ধুলো-ঝড়ের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে কোনওভাবে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন বলে বাকি ৩২ জনের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর সাহায্য করে নাসা স্পেস এজেন্সি। শেষমেশ কিছুটা দূরে ড্রিল করে সুড়ঙ্গ কেটে পাইপ ঢুকিয়ে ওই ৩২ জনের কাছে শব্দ পৌঁছচ্ছে কিনা দেখা হয়। উদ্ধারকার্যে সময় লেগেছিল ৬৯ দিন।

গ্রামে বা অন্য কোথাও পরিত্যক্ত নলকূপ বা কুয়ো দেখলে আজও মনে পড়ে যায় আমাদের দেশেরই তিন শিশু উদ্ধারের ঘটনা। ২০০৬-এ হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার প্রিন্স, ২০১৯-এর পুনের আম্বিগাও তালুকার থোরানডালে গ্রামের রবি পণ্ডিত আর ছত্তিসগড়ের জঞ্জীর-চম্পা জেলার ১১ বছরের মূক ও বধির কিশোর রাহুল। প্রিন্সকে বের করে আনতে সেদিন সময় লেগেছিল ৫০ ঘণ্টা। আর এবার ১০৪ ঘণ্টার লড়াই শেষে রাহুলকে ফিরিয়ে এনে নজির গড়ল সেনাবাহিনি। ৮০ ফুট গভীর কুয়োর ৬০ ফুটে আটকে ছিল ছেলেটি। কুয়ো থেকে উদ্ধার এর আগেও অনেক হয়েছে। কিন্তু মূক, বধির এক বালককে ১০৪ ঘণ্টা নিরন্তর লড়াই করে জীবন্ত উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর ফিরিয়ে আনার ইতিহাস এই প্রথম। ১০৪ ঘণ্টা ধরে ওই গর্তে ওর (উদ্ধার হওয়া কিশোর) সঙ্গে ছিল একটা সাপ ও ব্যাঙ। সমস্ত উদ্ধারকারী দলের মিলিত সহযোগিতার কারণেই রাহুলকে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রিন্স ৬০ ফুট আর রবি ২০০ ফুট গর্তে পড়ে যায়। প্রিন্সকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রথমেই সেনাবাহিনীর নজরে আসে, ৩ ফুট দূরেই রয়েছে এরকম আর একটি মরণফাঁদ নলকূপ। সেই কূপ দিয়ে সমান্তরাল পথ কেটে, ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ইস্পাতের পাইপ দিয়ে সারাক্ষণ প্রিন্সের কূপে অক্সিজেন সরবরাহ করেছিল সেনাবাহিনী, যা অভিনব।
অক্সফোর্ডের দর্শনের কৃতি ছাত্র নীল মসের সুড়ঙ্গ-মৃত্যুর ঘটনায় আজও ব্রিটিশরা শোকাহত। ১৯৫৯ সালের ২৩ মার্চ, ডার্বিশায়ারের পিক ক্যাভার্ন গুহার একটি সরু সুড়ঙ্গে হাজার ফুট গভীরে তলিয়ে যান বছর কুড়ির এই ছাত্র। এসেছিলেন ‘সুড়ঙ্গ খননে এডমন্ড হিলারি’ নামে বিখ্যাত বব লিকিও। এদিকে গুহায় দ্রুত কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে চলেছে। শেষ পর্যন্ত মসের বাবা বললেন, ছেলেকে উদ্ধারের এই ব্যর্থ প্রচেষ্টা বন্ধ হোক। ওর সমাধি হয়ে যাক এখানেই। পরবর্তীকালে সেই গুহা বন্ধ করে মস-এর নামে সেই গুহামুখে স্মৃতিফলক বসিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

১৩ আগস্ট ১৯৫২। ফ্রান্সের ২১৭০ ফুট গভীর লা ভেরনা গুহায় আটকে পড়েছিলেন গুহা বিশেষজ্ঞ মার্সেল লাউভেন্স এবং তাঁর সহযোগীরা। না, সেই ১১৩৫ ফুট গভীর থেকে মার্সেলকে সেদিন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ৩৬ ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু ঘটে। কিন্তু পৃথিবীর চিকিৎসার ইতিহাসে ফ্রান্সের এই ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে, কারণ এই ঘটনায় প্রথম বাইরে থেকে কাউকে রক্তদানের চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রচণ্ড কম তাপমাত্রায় মার্সেলের দেহ ঠান্ডা হয়ে আসছিল। ফলে শুরু হয়ে গিয়েছিল রক্তক্ষরণ।
দক্ষিণ আমেরিকার মেক্সিকোর লিচুগুইলা গুহা সেদেশের গভীরতম গুহা। সেখানেই নতুন পথ খুঁজতে গিয়ে ১৯৯১ সালে আটকে যান গুহা বিশেষজ্ঞ এমিলি ডেভিস মবলে। বাকি চার বন্ধু বেরিয়ে আসতে পারলেও এক বিরাট পাথরের চাঁই পড়ে তাঁর পায়ের হাড় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় সমস্ত নড়াচড়া বন্ধ। সুড়ঙ্গ কেটে কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। সময় লেগেছিল ৯১ দিন।

অস্ট্রিয়ার সীমায় আল্পসের কোলে জার্মানির গভীরতম এবং দীর্ঘতম গুহা, রিসেন্ডিং কেভ। সালটা ২০১৪ এর ৮ জুন। গুহা বিশেষজ্ঞ জন ওয়েস্ট হাউজার ও তাঁর দুই সহযোগী নেমে পড়েছিলেন ৩,৬৬৭ ফুট গভীর এবং ৬৩ হাজার ফুট লম্বা এই গুহায়। ৩,৩০০ ফুট নামার পর হাউজারের মাথায় পড়ল বিরাট এক পাথরের চাঁই। মস্তিষ্কে ট্রমা। সহযোগীদের একজন উঠে আসতে পারলেও বাকিজন আরও গভীরে তলিয়ে যান। সেই গুহাতেই পাশাপাশি সুড়ঙ্গ কেটে ১১ জনকে যাবতীয় সরঞ্জাম-সহ নামানো হয়েছিল। শেষে পৌঁছলেন একজন চিকিৎসক। খাড়াই গুহা বলে কোনও স্ট্রেচার পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়নি। বলতে গেলে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেঁধেই ওয়েস্ট হাউজারকে তুলে আনা হয়।
১৯৯৭ সালে মার্কিন মুলুকের আলাবামা স্টেটের ম্যাকব্রাইডস গুহা থেকে উদ্ধার পেলেন জেরাল্ড মনি। মনি এবং তাঁর দল ম্যাকব্রাইডস গুহায় প্রবেশ করেন। কিন্তু আকস্মিক বন্যার কারণে গুহার পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। প্রবল প্রবাহে প্লাবিত একটি গর্ত কীভাবে পেরোবেন, সেই নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করার সময়, জেরাল্ড ভুল করে গর্তে নামার জন্য প্রয়োজনীয় দুটি দড়ির মধ্যে একটিকে ধরেছিলেন। ফলশ্রুতিতে নীচে পড়ে গিয়ে তাঁর ফেমার হাড় ভেঙে যায়। উদ্ধারকারী দল যখন অবশেষে মনির কাছে পৌঁছায়, তখন তাঁকে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে রাখা হয়েছিল। ১৮ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর জেরাল্ডকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আল্পস কিংবা হিমালয়, পাহাড় পর্বতের বুক চিরে একের পর এক সুড়ঙ্গ সব ঋতুতে চলার মতো রাস্তা তৈরি হচ্ছে, এর ফলে একের পর এক বিপর্যয় নেমে আসছে বলে মনে করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। অনেকে অবশ্য বিভিন্ন গুহার নতুন পথ খুঁজতে গিয়েও আটকে পড়েন পাহাড়ি সুড়ঙ্গ পথে। ভারতের ইতিহাসের বৃহত্তম উদ্ধারকার্য সফল হওয়ার পরেও প্রশ্ন থেকেই যায়, এই সমস্ত প্রকল্পের সুরক্ষার মূল্যায়ন কি আদৌ হবে?
*ছবি সৌজন্য: Needpix, Wikimedia Commons, Facebook, Wikipedia, Flickr,
লেখক দীর্ঘদিনের প্রাক্তন সাংবাদিক এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ-তথ্য আধিকারিক ও সরকারি মুখপত্র ‘পশ্চিমবঙ্গ’-এর সহ-সম্পাদক। সেইসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের ডক্টরেট। লেখকের অন্যতম আকর্ষণের বিষয় ‘বিজ্ঞান সাংবাদিকতা’। এই বিষয়ে বিভিন্ন বই এবং বহু গবেষণাপত্রের লেখক। অল ইন্ডিয়া রেডিওতেও ধারাবাহিক বহু কথিকা ইতিমধ্যেই সম্প্রচারিত।