সদ্য–প্রস্তাবিত কৃষি বিল সংক্রান্ত কিছু ধারণা ও তার সত্যাসত্য বিচার করার উদ্দেশ্যেই এই প্রবন্ধটি লেখা হয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক ভারত সরকারের প্রস্তাবিত কৃষি বিলের ব্যাপারে জনমানসে কী কী ধারণা জন্ম নিয়েছে এবং আদতে তার যাথার্থ্য কতখানি।
- এই কৃষি বিলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (Minimum Support Price বা MSP) কোনও উল্লেখ নেই।
বিলে এর সংস্থান রয়েছে।
ফারমার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাশিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০২০–র ৫ নং পয়েন্ট দ্রষ্টব্য‒ সেখানে নিশ্চিত মূল্য (গ্যারান্টিড প্রাইস) বা অন্য যুতসই মানদণ্ডের উল্লেখ আছে, যাকে প্রকারান্তরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বলা চলে।
- কর্পোরেট কৃষকদের কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নেবে
এটা অসম্ভব। কারণ এই আইনে কৃষকরা সুরক্ষাপ্রাপ্ত। (৮ নং পয়েন্ট দ্রষ্টব্য)
- ভারতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে পঞ্জাব হল নেতৃত্বাধীন রাজ্য।
২০১৯–২০ সালে ভারতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রথম পাঁচটি রাজ্য (উৎস: রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া স্ট্যাটিসটিক্যাল ডেটা, ২০১৯–২০)
উত্তরপ্রদেশ: ৫৫ লক্ষ টন
মধ্যপ্রদেশ: ৩৩ লক্ষ টন
পঞ্জাব: ৩০ লক্ষ টন
রাজস্থান: ২৩ লক্ষ টন
হরিয়ানা: ১৮ লক্ষ টন
মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ পঞ্জাবের থেকে বেশি উৎপাদন করে।
[the_ad id=”266918″]
- পঞ্জাবের সর্বাধিক স্থূল মূল্য সংযোজন (জিভিএ) (Gross Value Added) রয়েছে
স্থূল মূল্য সংযোজন: কৃষি এবং সহযোগী শিল্প (জিভিএ হল বিক্রয়মূল্য থেকে উৎপাদন ব্যয় বিয়োগ করলে যে অঙ্ক পাওয়া যায়। )। সহজ কথায় এটি হল মোট লাভের অঙ্ক। উৎপাদনের নিরিখে আমাদের দেশীয় রাজ্যগুলির ক্রম হল: পঞ্জাব: ০.৯, মহারাষ্ট্র: ১.৯, অন্ধ্রপ্রদেশ: ১.৮, পশ্চিমবঙ্গ: ১.৪, তামিলনাড়ু: ১.২
তামিলনাড়ু পঞ্জাবের মোট উৎপাদনের মাত্র এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে, কিন্তু পঞ্জাবের চেয়ে বেশি মুনাফা অর্জন করে।
- ইউপিএ–র তুলনায় এনডিএ বেশি হারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করছে না
প্রতি কুইন্টাল ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP)
২০০৯–১০: ৯৫০ টাকা
২০১৩–১৪: ১৩১০ টাকা
২০২০–২১: ১৮৬৮ টাকা
ইউপিএ-২ আমলে ৩৬০ টাকা বৃদ্ধি হয়েছিল, যেখানে এনডিএ আমলে বৃদ্ধি হয়েছে ৫৬৮ টাকা।
প্রতি কুইন্টাল গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP)
২০০৯–১০: ১০৮০ টাকা
২০১৩–১৪: ১৩৫০ টাকা
২০২০–২১: ১৯২৫ টাকা
ইউপিএ-২ আমলে ২৭০ টাকা বৃদ্ধি হয়েছিল, যেখানে এনডিএ আমলে বৃদ্ধির পরিমাণ ৫৭৫ টাকা
- এনডিএ কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি আরও বেশি পরিমাণে ফসল কিনছে না
গম কেনার ক্ষেত্রে, ইউপিএ-২–এর তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে ২০০% বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বর্তমান (এনডিএ) সরকার ২০১৪–১৯–এর মধ্যে ৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের গম ক্রয় করেছে।

ইউপিএ-২–এর তুলনায় এনডিএ সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৫০% বেশি ধান ক্রয় করেছে। এনডিএ সরকার ৫ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ধান ক্রয় করেছে, যা ইউপিএ-২ যে পরিমাণ ধান কিনেছে, তার চেয়ে আড়াইগুণ বেশি।
ইউপিএ-২–এর তুলনায় এনডিএ সরকারের আমলে ডালজাতীয় শস্য কেনার ক্ষেত্রে বিপুল বৃদ্ধি চোখে পড়েছে। এই সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ডালজাতীয় শস্য ক্রয় করেছে, যা ইউপিএ-২ আমলে এই খাতে ব্যয়িত ৬৫০ কোটি টাকার ৭৬.৯২ গুণ।
- উপভোক্তা মূল্য সূচক (Consumer Price Index) কৃষকদের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে
উপভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) হল এমন একটি মাপকাঠি, যা পরিবহণ, খাদ্য এবং চিকিৎসার মতো নির্দিষ্ট কিছু ভোগ্যপণ্য এবং পরিষেবার মূল্য পরিবর্তনের গড় (Weighted average)।
২০০৮–০৯: ৪৫০
২০১৩–১৪: ৭৫০
২০১৯–২০: ৯৮০
[the_ad id=”266919″]
এনডিএ আমলে ৫.৫%-এর তুলনায় ইউপিএ-২ আমলে সিপিআই ১১% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর অর্থ হল, এনডিএ আমলে কৃষকদের খরচ বৃদ্ধির হার অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। ফড়ে বা দালাল শ্রেণি বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
- কৃষক বিক্ষোভের সঙ্গে কোনও কায়েমি স্বার্থ জড়িত নেই।
এফসিআই (ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া) ফড়ে বা দালালদের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য়ের দাম দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল। প্রতি লেনদেনের জন্য তাদের ২.৫% করে কমিশন দেওয়া হত।
শুধুমাত্র ধান ও গমের জন্য পঞ্জাবে এই ফড়ে বা দালালরা প্রায় ৩৩৩০ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করেছে। এই হিসেবে ডালজাতীয় শস্য, খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, আখ এবং শাকসবজি ধরা হয়নি। ফড়ে বা দালালদের সংগঠনগুলি খুবই শক্তিশালী এবং কৃষকরা তাদের এড়াতে পারেন না। সাধারণতঃ ফড়ে বা দালালরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য–র মাত্র ৩০ শতাংশ কৃষকদের দিয়ে থাকে। কাজেই, পঞ্জাবে একজন ফড়ে বা দালাল হতে পারা দ্বিগুণ লাভের ব্যাপার। আর দালালদের বিলুপ্তির অর্থ রাজস্বের বিরাট ক্ষতি। প্রতি বছর রাজ্য সরকারকে ১৮০০ মান্ডি করের ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে।
- নতুন কৃষি বিলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মহারাষ্ট্রের সয়াবিন চাষিরা এপিএমসি চুক্তি থেকে অনেকটাই লাভবান হতে পেরেছে্ন। মহারাষ্ট্রের কৃষিজ দ্রব্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির (এফপিসি বা Farmer Producing Companies) পৃষ্ঠপোষক সংগঠনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে এই আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে চারটি জেলার এফপিসি, মান্ডির বাইরে ব্যবসা করে ১০ কোটি টাকা আয় করেছে।
- শুধুমাত্র কর্পোরেটদের সুবিধে করে দিতেই এই বিল তৈরি করা হয়েছে।
২০১২ সালে, প্রথমবার একটি হিসেবে দেখা গিয়েছিল যে, উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে ৯২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়। একইসময়ে ভারতে রিটেল চেনগুলির রমরমা বাড়তে শুরু করে এবং সেগুলি বিকল্প সংরক্ষণ–স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। অর্থাৎ, তারা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে বা এফসিআই–এর মাধ্যমে কৃষিজ পণ্য কিনতে শুরু করে, যার ফলে খাদ্যপণ্য নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কিছুটা হলেও কমে যায়।
- চুক্তিচাষ কৃষকের পক্ষে ক্ষতিকারক।
চুক্তিচাষ যদি ক্ষতিকারকই হবে, তা হলে পঞ্জাব–হরিয়ানার কৃষকরা এত বেশি আয় করছেন কীভাবে? তাঁরা তো মূলত চুক্তিচাষের উপরেই নির্ভর করেন। চুক্তিচাষ কার্যকর হলে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল মান্ডির পাশাপাশি অন্যত্রও বিক্রি করতে পারবেন। যার ফলে অনেক বেশি বিকল্পের সুযোগ তৈরি হবে।
- এনডিএ মান্ডি ধ্বংস করতে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য–র অবসান ঘটাতে চাইছে।
যদি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য–র অবসান ঘটানোই সরকারের উদ্দেশ্য হবে, তবে তারা কেন ক্রমাগত এর হার বাড়িয়েই চলেছে এবং প্রতি বছরই কৃষকদের কাছ থেকে অধিক পরিমাণ ফসল কিনছে? যদি সরকার মান্ডি বন্ধই করে দিতেই চায়, তবে সেগুলিকে কেন ই–নাম (e-NAM) পোর্টালে ডিজিটাইজ় করা হচ্ছে? এখনও পর্যন্ত এক হাজার মান্ডি এই পোর্টালে নথিভুক্ত হয়েছে।
- ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হল কৃষকের কাছে নিরবচ্ছিন্ন আশীর্বাদস্বরূপ।
বর্তমানে, অধিকাংশ ভারতীয় ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বিশ্ববাজারের দামের তুলনায় বেশি। সেই কারণেই রফতানি ক্ষেত্রে ভারত পিছিয়ে পড়ছে।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের হার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উৎপাদিত দ্রব্যের গুণমান বিষয়টি সম্পূর্ণ আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কেউ কথা বলছেন না যে উৎপাদন নিম্নমানের হলে তা কিনবে কে। সেই দ্রব্যের দাম কেমন হওয়া উচিত? ক্রমবর্ধমান উৎপাদন-ব্যয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সহায়ক মূল্য আরও বাড়ানোর দাবি বিশ্ববাজারের দামকে তুলনামূলকভাবে অনেক কম করে দেবে। এর ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলি ভারতীয় কৃষকদের উৎপাদিত দ্রব্য কেনার পরিবর্তে বেশি পরিমাণে আমদানি করবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ৭০% ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। সূর্যমুখীর চাষ কার্যত অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, কারণ আমদানিকৃত ফসলের কম দামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তারা টিঁকতে পারেনি।
[the_ad id=”270085″]
একই কারণে তিল এবং বাদাম তেলের চাহিদাও বিপজ্জনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এমনকী, চিনি শিল্পও এখন সমস্যার সম্মুখীন। কারণ, ভর্তুকি ছাড়া ভারত চিনি রফতানি করতে পারে না। ভারত প্রতি বছর ৪৫ লক্ষ টন ভুট্টা রফতানি করত। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির ফলে তা এখন ৫ লক্ষ টনের কমে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববাজারে ভুট্টার দাম এখন ভারতের অর্ধেক, যার ফলে ভুট্টা–চাষিরা ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমাদের রফতানির চেয়ে আমদানি দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি ভারতে কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ের পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও ক্রমে বাড়তে থাকে, তবে যে–কোনও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিতে অংশ নেওয়া ভারতের পক্ষে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
স্বামীনাথন কমিটি প্রস্তাবিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সূত্রটি অদক্ষ উৎপাদনে উৎসাহ জুগিয়েছে। উৎপাদন ব্যয় যত বেশি হবে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য–ও তত বেশি হবে। জৈব কৃষিকাজের জন্য কম সম্পদ প্রয়োজন এবং উৎপাদন ব্যয়ও কম। সিএসিপি (কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস)-ভিত্তিক স্বামীনাথন সূত্র অনুযায়ী, যদি উৎপাদন ব্যয় কম হয়, তবে তাঁদের কম ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া উচিত এবং এতে উৎপাদনশীলতার কোনও ক্ষতি হয় না।
*ছবি সৌজন্যে Pixabay
ড. সুমনকুমার মুখোপাধ্যায় একজন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। সুদীর্ঘ ৪৬ ধরে তিনি অধ্যাপক এবং গবেষক হিসেবে বিভিন্ন দেশী বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যার মধ্যে এক্সএলআরআই, আইআইএসডব্লুবিএম, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা, আইআইটি দিল্লি, উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও সুমন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলকাতা, সেন্ট স্টিফেনস দিল্লি ও দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিকসের প্রাক্তনী। বর্তমানে অ্যাডভাইসরি বোর্ড অন অডুকেশন, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য, চেয়ারম্যান ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস কমিউনিটির সদস্য, ফেডারেশন অফ স্মল অ্যান্ড মিডিয়ম ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইকনমিকস সাব কমিটি, বিসিসিঅ্যান্ডআই, এমসিসিঅ্যান্ডআই, অ্যাসোচ্যাম ইত্যাদি বোর্ডের সদস্য। তিনি সেনার্স-কে নামক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ের গবেষকদের সংগঠনের আজীবন সদস্য। বর্তমানে ভবানীপুর গুজরাটি এডুকেশন সোসাইটি কলেজের ডিরেক্টর জেনেরাল।
3 Responses
এতই যদি ভাল তবে কোনো আালোচনা ছাড়াই জোর করে চোরাগোপ্তা পাশ করাতে হল কেন? আর যে কৃষকদের জন্য তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে কি? যা যা তথ্য দেয়া হচ্ছে সব ভাঁওতা। ন্যুনতম সহায়ক মুল্য বিলে নেই কোথাও, মুখে প্রধানন্ত্রী বলছেন, লিখে দেবেননা, কেন? কোথাও কোনো চাষী চুক্তিচাষে লাভবান হয়নি, হলে তারা নিজেরাই চুক্তি করবে বিল চাপাতে হবেনা। আর আইন আদালতের অধিকার নেই কেন বিলে?
আপনার দেওয়া তথ্য গুলো ভুলে পরিপূর্ণ এবং প্রকৃত তথ্য কে এড়িয়ে গিয়ে…. এটা ঠিক না…. কোনো সিস্টেম কে সমর্থন করে
লেখাতে কোনো দোষ নেই, তথ্য টা ন্যায্য হতে হবে… এটাই আপনার ভবিষ্যত কলমে আশা রাখবো 🙏
আপনার দেওয়া তথ্য গুলো ভুলে পরিপূর্ণ এবং প্রকৃত তথ্য কে এড়িয়ে গিয়ে…. এটা ঠিক না…. কোনো সিস্টেম কে সমর্থন করে
লেখাতে কোনো দোষ নেই, তথ্য টা ন্যায্য হতে হবে… এটাই আপনার ভবিষ্যত কলমে আশা রাখবো 🙏