







































প্রতিবন্ধীদের (Persons with Disabilities) পাশে দাঁড়ানো আরেকজন প্রতিবন্ধীর গল্প। বালি নিশ্চিন্দার বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন সরকার। এলাকার লোকজনের কাছে তিনি পরিচিত ‘মনু’ নামেই। যাকে ফ্ল্যাগ ম্যান নামেই অনেকেই চেনেন এবং জানেন। গত ১৬ বছর ধরে রাস্তা থেকে তেরঙা কুড়িয়ে নিজের বাড়িতে জমাচ্ছেন বিশেষভাবে সক্ষম এই যুবক। (Persons with Disabilities)
সাধারণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো বিশেষ দিনে আমরা ব্যবহার করে থাকি জাতীয় পতাকা। কিন্তু দিনের শেষে ব্যবহৃত দেশের জাতীয় পতাকাগুলো যখন রাস্তায় লুটোপুটি খায় তাঁর খোঁজ কতজনই বা রাখে? রাস্তায় পরে থাকা তেরঙা খুঁজে খুঁজে বের করাই হল প্রিয়রঞ্জনের কাজ। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। (Persons with Disabilities)
এই প্রিয়রঞ্জন সরকার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে অঙ্গহীন মানুষদের কৃত্রিম অঙ্গের ব্যবস্থা করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসতে সাহায্য করেন। আর তাঁর এই প্রয়াসের পাশে আছে মহাবীর সেবা সদন। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামর্থ্য এবং স্বাধীন জীবনের দিকে সাহায্য করার দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা চালিত এক সংস্থা।
এঁদের সহযোগিতায় কলকাতা শহরের সীমা ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজে ব্রতী প্রিয়রঞ্জন সরকার। শারীরিকভাবে অক্ষম, কেউ দুর্ঘটনায় তাদের পা বা হাত হারিয়েছেন এবং কেউ জন্মের সময় থেকেই অঙ্গহীন- আমাদের সমাজে এ ধরনের মানুষ সাধারণত অবহেলিত বলেই পরিচিত।
এদের কৃত্রিম হাত বা পা দিয়ে স্বাবলম্বী করা হয়। আর এই কৃত্রিম অঙ্গগুলো তারাই তৈরি করেন যারা নিজেরাই এক সময় অঙ্গহানির শিকার। একজন প্রতিবন্ধী আরেকজন প্রতিবন্ধীর কষ্ট সবচেয়ে ভালো বোঝেন।
প্রিয়রঞ্জন দুর্ঘটনায় বা জন্মগতভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়েছেন এমন লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি এসব মানুষদের বিনামূল্যে কৃত্রিম হাত বা পা দিয়ে সাহায্য করেন। ২০২৪ সালের মধ্যে, প্রিয়রঞ্জন বিনামূল্যে ১৫০০ থেকে ২০০০ জনের হাত ও পা প্রতিস্থাপন করতে চান। প্রিয়রঞ্জন সরকারের এই পদক্ষেপ বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া আরামবাগ সহ বিভিন্ন জেলায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের অনেক সাহায্য করেছে।
নেশা ও পেশা ফটোগ্রাফি। ডকুমেন্টারি স্টোরি টেলিং, স্ট্রিট ও ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী।