কুম্ভে যায় ধর্মভীরু হিন্দু, সাধু সন্ন্যাসী, ধর্মব্যবসায়ী, নানা শ্রেণীর খবর সন্ধানী ও আলোকচিত্রীর দল। আমি এর কোনওটাই নই। কাগজে কোটি কোটি কুম্ভযাত্রীর সংখ্যা দেখেছি এতদিন। তার সঙ্গে আমার নম্বরটাও যুক্ত হবে এমন ধারনা ছিলনা। হরিদ্বারে ২০১০-এর পূর্ণকুম্ভের মেলায় যাবার জন্য সুমিত তোড়জোড় শুরু করা মাত্রই হঠাৎ আমার ভয়ানক ইচ্ছে হল। এত বড় সুযোগ! ঘরের লোক যাচ্ছে, এবার শুধু বোঁচকা বাঁধার অপেক্ষা। সুমিতের ফোটোগ্রাফি চর্চার কারণে বহু তীর্থস্থানে গিয়েছি কিন্তু কুম্ভমেলার কথা ভাবতেই ভয় করত। এর আগে প্রয়াগের কুম্ভ মেলায় সুমিত সেইজন্য একাই গিয়েছিল এক নামকরা ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে। সঙ্গম থেকে বহুদূরে হোটেলে থাকার জন্য সেবার যাওয়ার উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হয়। এবার ঠিক হল আমরা থাকব একেবারে সাধুদের তাঁবুর মধ্যে। তবেই মেলার আসল স্পিরিটটা বোঝা যাবে। গ্রাম্যযোগাশ্রমের তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা ঠিক হয়ে গেল কলকাতায় বসেই।
১২ তারিখ শিবচতুর্দশী। সেইদিন শাহী স্নান। অমৃতকুম্ভ চুরি করে দেবরাজ ইন্দ্রের ছেলে জয়ন্ত যখন পালাচ্ছিল তখন চারটি জায়গায় সে চোরাই মাল রেখেছিল। উজ্জয়িনী, ত্র্যাম্বকেশ্বর বা নাসিক, প্রয়াগ ও হরিদ্বার। এই চারটি জায়গাতেই উছলে পড়েছিল অমৃত। সূর্য ও বৃহস্পতি একসঙ্গে নাকি ওই অপকর্মে সহায়তা করেছিল। তাই এই দুই দেবতার বিশেষ বিশেষ রাশিতে অবস্থানের সময় ধরে কুম্ভ মেলার স্থান নির্দিষ্ট হয়। অসুরদের ঠকিয়ে এই মহাবিদ্যার প্রয়োগ অপকর্ম না পূণ্যকর্ম তার ব্যাখ্যা কালভেদে বদলে গেলেও রাশিচক্রতে তাদের যুগলবন্দীর জেরে ভারতবাসী ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসে এই চারটি তীর্থস্থানে। সূর্য ও বৃহস্পতি যখন কর্কট ও সিংহ রাশিতে প্রবেশ করে তখন নাসিকে। তুলা ও বৃশ্চিকে প্রবেশ করলে উজ্জয়িনীতে, মকর ও বৃষতে হলে প্রয়াগে আর মেষ ও কুম্ভ রাশিতে অবস্থানকালে হরিদ্বারে। এরমধ্যে গ্রহ-নক্ষত্রের আরও বিরল কিছু যোগাযোগ এক একটি স্নানকে কয়েকশো বছরের দুষ্প্রাপ্যতা এনে দেয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ কোটি কোটি মানুষ যেভাবে পতিত পাবনী গঙ্গায় একটি ডুব দেবার জন্য জমায়েত হয় এর তুলনা সারা পৃথিবীতে মেলা ভার।
পূণ্যভূমিতে শুভ লগ্নে এতগুলি ভক্ত মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে থাকব ভেবে খুবই ভাল লাগছিল আবার তাঁবুতে খড়ের বিছানায় হরিদ্বারের প্রচন্ড ঠান্ডায় সেই ভাললাগা কতক্ষণ টিঁকে থাকবে সেটা নিয়ে মনে সন্দেহও ছিল না এমন নয়।
১০ই ফেব্রুয়ারী হরিদ্বার পৌঁছানোর কথা। সাত তারিখ থেকে আকাশ কালো হয়ে এল। আট তারিখ থেকে প্রচন্ড বৃষ্টির খবর পেলাম। তারপর থেকে ক্রমাগত দুঃসংবাদ। কুম্ভের তাঁবু নগরীতে আলো নেই। সেখানে থাকা ক্রমশই অসম্ভব হয়ে উঠছে। আমি অবশ্য খুব একটা কাবু হলাম না কারণ আমাদের ভ্রমণের সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের গভীর সখ্যতা আছে। তা সত্ত্বেও প্রবাসে দৈবের বশে জীবতারাটি এতদিনেও খসেনি যখন তখন আর একটু অকুতোভয় হতে বাধা কী?
শেষ মুহূর্তে হোটেল পাওয়া অসম্ভব তবু সেই চেষ্টা শুরু হল। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ট্রেন। তার মধ্যে থাকার ব্যাপারটাই অনিশ্চিত হয়ে উঠল। আমি হরিদ্বারের সঙ্গে বিন্দুমাত্র যোগাযোগ আছে এমন গৃহবাসীদের দ্বারে দ্বারে ব্যাকুল করাঘাত করেও কোন সুবিধা করতে না পেরে হাল ছেড়ে ভাবলাম কত লোক তো কোন ব্যবস্থা না করেই চলে যায়। আমাদের তো অন্তত কানামামা আছে। ’ জয় বাবা’ বলে বেরিয়ে তো পড়ি, তারপর যা আছে কপালে।
হর কি পৌরীর পাশে গৌঘাটে ঠিক গঙ্গার উপরে একটা হোটেলে একটি মাত্র ঘর কীভাবে যেন খালি পড়েছিল। কি হইতে কী হইয়া গেল, আমরা ঘরটি পেয়ে গেলাম। এই রকম করে কে যেন সবকিছু সহজ করে দেন।
হরিদ্বারমুখী শতাব্দী এক্সপ্রেসে উঠে বুঝলাম কুম্ভের ভিড় কাকে বলে। চার থেকে চুরাশী যতরকম ভ্যারাইটি হয় তত রকম মানুষ আর তত বিচিত্র তাদের লটবহর। ততই অনর্গল তার শব্দপ্রবাহ। শুরু হয়ে গেল একসঙ্গে বৃহৎ কাষ্ঠাসনে কুম্ভযাত্রা।
স্টেশনের বাইরে এক ভদ্রলোককে লাঠি হাতে খুব হম্বিতম্বি করতে দেখে ভাবলাম সাদা পোশাকের পুলিশ ।মানুষ ও শব্দের বিরাট ঘূর্ণিপাকের মধ্যে পড়ে দিশাহারা হয়ে তাঁকে অনুরোধ করলাম ন্যায্য ভাড়ায় একটা রিকশা ঠিক করে দেবার জন্য। উনি মহা সমাদরে সাহায্য করবেন আশা দিয়ে আমাদের স্টেশনের পাশে একটা দোকানে বেঞ্চ খালি করে বসিয়ে দিলেন। ক্রমশ জানলাম তিনি পুলিশ নন এই দোকানটিরই মালিক। ত্বরিতগতিতে তিনি আমাকে তার বহিনজী এবং তার ছেলের বুয়া বানিয়ে ফেললেন এবং সবিনয় জানালেন চা না খাইয়ে কিছুতেই ছাড়বেন না। তখন রাত নটা বাজে। সমানে বলতে লাগলেন ভিড় পাতলা হলে উনি চেনা রিক্সা ঠিক করে দেবেন। সে সহী ভাড়ায় যতটা সম্ভব আমাদের হোটেলের নজদিক নিয়ে যাবে। রিকশা পাওয়া না গেলে ছেলে স্কুটারে করে তার নতুন বুয়াকে হোটেলে পৌঁছে দেবে।
তরুণ ছেলেটি আচমকা এত আন্তরিকতার চাপে বিব্রত। সুমিত বিরক্ত। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ততক্ষণে খাওয়া হয়ে গিয়েছে।ওঁর নির্ধারিত ভাড়ায় রিক্সা পাবার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। শেষে আমাদের যখন নিজের বাড়িতে ধরে নিয়ে যাবার তোড়জোড় শুরু করে দিলেন তখন সুমিত নিজেই মরিয়া হয়ে এক রিকশা ধরে নিয়ে এল। আমার নবলব্ধ ভাই আমাদের দুজনের হাত ধরে ফিরতি পথে তার বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করব কথা আদায় করে রিকশা ছাড়ার অনুমতি দিলেন। এত অতিথিবাৎসল্য ও সহৃদয়তা যে তরলের গুণে সেটা অবশ্য আমি ছাড়া বাকি সবাই বুঝেছিল।
প্রায় দু কিলোমিটার হাঁটার জন্য পিঠে ব্যাগ বেঁধে তৈরি হয়ে রিকশা থেকে নামলাম। সামনেই ব্যারিকেড। তার ওধারে কোনওরকম যানবাহন নিষিদ্ধ। তাও একটি রিকশা কীভাবে যেন পুলিশের চোখ এড়িয়ে লক্ষণরেখার বাইরে থেকে গিয়েছিল বোধহয় আমাদের সেবায় লাগবে বলেই। তাতে চড়ে নির্বিঘ্নে একেবারে হোটেলের দরজায় এসে নামলাম। তীর্থযাত্রার প্রথম ধাপ কোনওরকম কষ্ট ছাড়াই পেরিয়ে গেলাম। তীর্থের সঙ্গে কষ্টস্বীকারের এমন একটা মনিকাঞ্চন যোগ আছে যে সেটা না হলে কেমন যেন লাগে।
হোটেলটা দেখে মন জুড়িয়ে গেল। খুব সাধারণ তবে একদম ঘাটের ওপর। ঠিক সামনে তিনশো বছরের পুরনো গাছের নিচে ভস্মমাখা জটাজুটধারী কৌপীনসম্বল সাধু। সামনে ধুনি জ্বলছে। লাগাতার ভক্ত সমাগম আর গঞ্জিকা সেবন। একপাশে শিবমন্দির। সকাল সন্ধে আরতি। সামনের ঘাটে এই রাতেও স্নানার্থীর ভীড়। রীতিমত হ্যাপেনিং প্লেস।
গঙ্গা এখানে মূর্তিমতী দেবী। ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতীক। ভক্ত মানুষ এখানে আসেই একটা ডুব দিতে। একটি ডুবেই যত লুকোন পাপ ভ্যানিশ। আবার পাপ আবার ডুব। এই চলে আসছে আদিকাল থেকে। সেইজন্য এক মুহূর্তের জন্য ঘাট স্নানার্থীহীন হয় না।
পরদিন সকালে আমরা রওনা দিলাম যেখানে থাকার কথা ছিল সেই যোগাশ্রমের উদ্দেশে। ওদিকেই বিভিন্ন আখড়ার আর প্রেস সরকারি আমলা ও নানা প্রশাসনিক কাজের হরেক রকম তাঁবু।
তাঁবু দিয়েই চেনা যাচ্ছে কোন বাবার কত স্ট্রেংথ। শুরুতেই রবিশঙ্করজীর তাঁবু। বাউন্ডারি ওয়ালে গুরুজীর প্রশান্ত মুখশ্রীর বিরাট পোস্টার। ভেতরে কর্মযজ্ঞ চলছে। যেহেতু এপ্রিল পর্যন্ত কুম্ভপর্ব চলবে তাই অনেক তাঁবুই এখনও পর্যন্ত খালি। পাইলট বাবার তাঁবুকে তাঁবু না বলে একটা ছোটখাটো শহর বললেই হয়। ইন্টারনেটের সুবিধার বিজ্ঞপ্তি দেখেই চমকে গিয়েছিলাম। পরে আরও চমক অপেক্ষা করছিল। বাউন্ডারি ওয়ালের গায়ে সারি দিয়ে বাবার মহিমা প্রচার করে রঙিন ঝলমলে পোস্টার লাগানো। মস্কো ইটালি জাপানে বাবা বিদেশী ভক্তদের মাঝে মধ্যমণি। বলিউডের অভিনেত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের ভক্তি গদ্গদ ছবি বাবার সঙ্গে। বাবার জলসমাধির চার অবস্থা-জলে ঢাকা,অর্দ্ধপ্রকাশ, সম্পূর্ণ প্রকাশ এবং উত্থান। গুরুস্নান -এক শিষ্য স্নান করাচ্ছে পাইলটবাবাকে তাও দেখলাম চার পর্বে।
তাঁবুর প্রবেশ দ্বারের পাশে এক বিদেশিনী স্টল সাজাচ্ছে। টি-শার্ট সিডি রুদ্রাক্ষের মালা শিবলিঙ্গ ইত্যাদি গিফট আইটেম। তারপরে বইয়ের স্টল। মাঝখানে বিরাট কনফারেন্স হল। সেখানে বিভিন্ন ভাষায় লেকচারের নির্ঘন্ট। ভেতরে কর্মব্যস্ত সাহেবমেমের দল। রাজকীয় বৈভবে চোখ ধাঁধিয়ে বাইরে আসা মাত্র শোরগোল শুনি-’বাবা’’ বাবা’। এক ভক্ত দম্পতি আমাদের তাড়া দিলেন-শিগগিরি যান। বাবা চলে যাচ্ছেন।
ছবি তোলার জন্য দৌড়ে গিয়ে দেখি কালো রংয়ের কোয়ালিস গাড়িতে বসে বাবা জরুরী নির্দেশ দিচ্ছেন কর্মীদের। সুমিত ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে বাবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য একটা ব্যাকুল ‘বাবা’ডাক ভাসিয়ে দিল। বাবা ঘাড় ঘুরিয়ে বরাভয় দান করতেই সে একটা নমস্কার ঠুকে পরপর ছবি তুলতে লাগল। দেখলাম দলপতি হবার সবকটি গুণই রয়েছে তাঁর মধ্যে।বিশাল চেহারা। পরণে সিল্কের গেরুয়া। চওড়া কব্জিতে হীরে বোঝাই ঘড়ি। সাধারণ মানুষকে আবিষ্ট করে বাবা বিদায় নিলেন।
এর তুলনায় গ্রাম্য যোগাশ্রমের তাঁবু মেট্রো সিটির পাশে অজ পাড়া গাঁ। প্রবেশদ্বারের পাশেই আরাধ্য গুরু দেবতার ছবি দিয়ে তাঁবু মন্দির। চার-পাঁচটি তাঁবু ভক্ত মানুষদের থাকার জন্য। এঁদের সঙ্গেই আমাদের থাকার কথা ছিল।
হাসনাবাদ খালাপোতা থেকে আসা একদল ভক্তের সঙ্গে আলাপ হল যাঁরা প্রসাদ ছাড়া কিছু খান না। পাঁচ দিন ধরে বাড়ি থেকে প্রসাদ করে নিয়ে আসা চিঁড়ে খাচ্ছেন। ভক্ত মানুষের নিজস্ব একটি ভাষা আছে। তারা বলেন দেখা নয় ‘দর্শন’, সাধুর সঙ্গে আলাপচারিতা ‘সঙ্গ করা’ প্রসাদ খাই নয় ‘পাই’। লম্বা তালিকা শুনলাম কী কী ‘পান’ আর কী কী ‘পান না’। ওরা বলছিলেন সংসারে থাকলেও তাঁদের নিজেদের থালা বাসন আলাদা।পাঁচদিন পর সেদিনই প্রথম অন্নভোগ দিতে পেরেছেন বলে আমাদেরও ওঁদের সঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করতে অনুরোধ করলেন। ওঁরা এমন শান্তভাবে গভীর ভক্তি আর বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের ভগবত অনুভূতির কথা বলছিলেন যে বড় লোভ হচ্ছিল সেই অনুভবের শরিক হতে।
ওখানেই দেখা হলো আরেক সাধুর সঙ্গে। নানা ভবিষ্যৎবাণী করে সবার মনযোগ আকর্ষণ করছিলেন। এক মহিলাকে তার একমাত্র ছেলের সম্বন্ধে ‘আর মাত্র তিনদিন’ এই বাক্যটি রহস্যময় ভাবে উচ্চারণ করে একেবারে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিলেন।শেষে ছেলের মঙ্গলকামনায় মহিলাটি সাড়ে পাঁচশো টাকা দিয়ে একটি মন্ত্রপূত রুদ্রাক্ষ কিনে শান্তি পেলেন।
মুখোমুখি খেতে বসে খুবই অসংলগ্ন কথা বলতে লাগলেন ওই গেরুয়াধারী। একবার বললেন ডাক্তার ছিলেন। পরক্ষণেই বললেন ইংলিশ অনার্স নিয়ে পাশ করেছেন। এটা যে অসম্ভব বিনীতভাবে সে কথা জানানো মাত্র পূর্বজন্মের কথা মনে করতে কষ্ট হয় বলে সমাধিস্থ হলেন।
শাহী স্নানের আগের দিন থেকে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে আমাদের মন খারাপ হয়ে গেল। আগে থেকে ব্যবস্থা না করলে মিডিয়া কার্ড বা পরিচয় পত্র পাওয়া অসম্ভব। আর ও দুটো না থাকলে ব্রহ্মকুণ্ডের কাছাকাছি যাওয়া যাবে না। সাধুদের মিছিল যে কোন পথে আসবে সেটাও ভালো করে কেউ বলে না। হর কী পৌরী ঘাটে সিগারেট দেশলাই পর্যন্ত নিতে দিচ্ছেনা। স্নিফার ডগ ঘুরছে।ভিখিরিদের ঝোলা পর্যন্ত তল্লাশি থেকে বাদ যাচ্ছে না। এত কড়াকড়ি। ক্যামেরা থাকলে ব্যাটারি খুলে ফেলতে হবে ভেবে সুমিত বিমর্ষ হয়ে রইল সারাক্ষণ।
বাংলা সাহিত্য নিয়ে শান্তিনিকেতন ও প্রেসিডেন্সিতে পড়াশোনা। পরে শিক্ষাঙ্গনকেই বেছে নিয়েছেন কর্মজগত্ হিসেবে। তবে লেখালিখিই প্রথম ভালবাসা। ছোটদের ও বড়দের –-- দু'রকম লেখাতেই সমান স্বচ্ছন্দ। ছোটদের ও বড়দের গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের মেয়েদের হস্টেল জীবন নিয়ে তাঁর লেখা 'শ্রীসদনের শ্রীমতীরা' পাঠকসমাজে সমাদৃত। প্রিয় বিষয় সিনেমা, নাটক, রহস্য ও ইতিহাস।