(Sir Arthur Conan Doyle)
এডিনবরা রয়্যাল ইনফার্মারি। ডাক্তারির ক্লাস চলছে। শিক্ষককে ঘিরে পড়ুয়ারা। ছাত্র আর শিক্ষক ছাড়া, উপস্থিত আরও এক ব্যক্তি। তিনি মেডিক্যাল কলেজে এসেছেন পা ফোলার সমস্যা নিয়ে। আগন্তুকের মাথায় টুপি, ঋজু চেহারা। সংক্ষেপে সমস্যার কথা জানালেন। শিক্ষক শুনলেন। তারপর প্রশ্ন করলেন,
—আপনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন?
—হ্যাঁ, স্যার।
—কিছুদিন আগে অবসর, তাই না?
—ঠিকই বলেছেন।
—অফিসার পদে ছিলেন?
—হ্যাঁ, স্যার।
—পোস্টিং বার্বাডোজে?
—হ্যাঁ, স্যার।
এমন কথোপকথন অনেকেরই চেনা। বিশেষ করে যাঁরা শার্লক হোমসের কাহিনি পড়েন। বেকার স্ট্রিটের বসার ঘরে নতুন মক্কেল এলে, শার্লক গড়গড় করে অনেক কিছু বলে দেন। টুপি, জুতো, ছড়ি, হাতের গড়ন, উচ্চারণের ধরন, গাত্রবর্ণ— এ সব থেকে আগন্তুক সম্পর্কে হোমস অনেক কিছু জানিয়ে দিচ্ছেন, এমন উদাহরণ পাওয়া যায়। উপরের কথোপকথন সমগোত্রীয় হলেও এটি হোমসের কাহিনি নয়। তবে, এটি শার্লক-স্রষ্টা আর্থার কোনান ডয়েলেরই লেখা। (Sir Arthur Conan Doyle)

কোনান ডয়েল ডাক্তারি পড়েছেন। তাঁর অন্যতম শিক্ষক ডক্টর জোসেফ বেল। পড়াতেন ওই এডিনবরা রয়্যাল ইনফার্মারিতে। কোনান ডয়েলকে বিশেষভাবে পছন্দ করতেন ডক্টর বেল। রোগী দেখা হোক, বা ওয়ার্ডে টহল, সঙ্গে নিতেন আর্থারকে। ডাক্তারি ক্লাসে কেস স্টাডি হিসেবে কোনও রোগীকে হাজির করানোর দায়িত্বও থাকত আর্থারের উপর। এমনই এক রোগীকে ডক্টর বেলের সামনে হাজির করানোর পর একটি দিনের কথাবার্তা কোনান ডয়েল লিখে রেখেছেন তাঁর ‘মেমোরিজ অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার্স’-এ। ডক্টর বেলের চেহারা ছিল রোগাপাতলা, হাঁটতেন সামান্য খুঁড়িয়ে। কিন্তু এই রোগাপাতলা মানুষটিরই আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল রোগীকে এক ঝলক দেখে তাঁর সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য বলে দেওয়ার। যেমনটি বলেছিলেন ওই প্রাক্তন ফৌজি সম্পর্কে। (Sir Arthur Conan Doyle)
কীভাবে? বেলের ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ করেছেন ডয়েল। আগন্তুক টুপি পরে ছিলেন, ডাক্তারের সামনে এসেও তা খোলেননি। টুপি পরে থাকা সামরিক অভ্যাস। বেশিদিন অবসর নেননি বলে সামরিক অভ্যাস রয়ে গিয়েছে, বদলায়নি। আগন্তুকের চেহারা এবং ব্যক্তিত্ব দেখে অনুমান করা যায় তিনি সাধারণ সৈন্য ছিলেন না বরং পদমর্যাদায় অফিসার। আর সব শেষে, তাঁর যা সমস্যা, অর্থাৎ পা-ফোলা, সেটি সাম্প্রতিক অতীতে বার্বাডোজেই বেশি দেখা গিয়েছে। ফলে বেলের অন্তিম অনুমানও অব্যর্থ। (Sir Arthur Conan Doyle)
মক্কেল চলে যাওয়ার পর ডক্টর ওয়াটসনকে ঠিক এইভাবেই নিজের অনুমানের ভিত্তিগুলি বুঝিয়ে দিতেন শার্লক হোমস। পাঠকও, শার্লকের মুখে যা শুনে প্রথমে ভাবতেন ম্যাজিক, তা যুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখে মনে-মনে বাহবা দিয়ে থাকেন। যে বাহবা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে আজও। (Sir Arthur Conan Doyle)

শার্লক-স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের জন্ম এডিনবরাতে, ১৮৫৯ সালের ২২ মে। ডাক্তারি পড়লেও, শেষমেষ তাঁর লেখক পরিচিতিই ছাপিয়ে যায় সবকিছুকে। শার্লক হোমসের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু লিখেছেন ডয়েল। কিন্তু তর্কাতীতভাবে হোমসের সুবাদেই তিনি আজ অমর। শার্লক হোমসের আত্মপ্রকাশ ১৮৮৭ সালে, ‘আ স্টাডি ইন স্কারলেট’ কাহিনিতে। তার আগে পর্যন্ত চিকিৎসক এবং লেখক, এই দুই ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য বেশ কসরত করতে হয়েছে ডয়েলকে। ‘আ স্টাডি ইন স্কারলেট’ প্রকাশিত হওয়ার পর ধীরে-ধীরে হাওয়া ঘুরতে থাকে। পরের ইতিহাস আমাদের জানা। দুনিয়াজোড়া খ্যাতি, পরপর এডিশন, নানা ভাষায় অনুবাদ, হোমস কাহিনির জন্য মোটা অঙ্কের চুক্তি, ফিরে তাকাতে হয়নি কোনান ডয়েলকে। সেই হিসেবে ১৮৮৭ সালটি আর্থারের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। (Sir Arthur Conan Doyle)
১৮৮৭ সাল শুধু শার্লক হোমসের আত্মপ্রকাশের বছর নয়, আরও একটি কারণে ডয়েলের জীবনে উল্লেখযোগ্য। ‘মেমোরিজ অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার্স’-এর মতো আত্মজীবনীমূলক বইয়ে শার্লক হোমসকে গড়ে তোলার নেপথ্যে ডক্টর বেলের অবদানের কথা বলে গেলেও তিনি যেন কিছুটা অনালোচিতই থেকে গিয়েছেন। তেমনই ১৮৮৭ সালের দ্বিতীয় মাইল-ফলকটি কোনান ডয়েল চর্চায় কিছুটা ফিকে হয়েই রয়েছে। যদিও বর্ণময় কোনান ডয়েলের জীবনে সেটির জৌলুসও কম নয়। (Sir Arthur Conan Doyle)
১৮৮৭ সালে ফ্রিম্যাসনারিতে যোগ দেন আর্থার কোনান ডয়েল। পোর্টসমুথের ২৫৭ নম্বর ফিনিক্স লজে দীক্ষিত হন তিনি। বিশ্বের প্রাচীন সঙ্ঘ বা সমিতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ফ্রিম্যাসনারি। হলিউডের সিনেমা কিংবা থ্রিলার কাহিনির সুবাদে ম্যাসনদের পরিচিতি ‘গুপ্তসমিতি’ হিসেবে। যে কোনও সমিতিরই নির্দিষ্ট কিছু রীতিনীতি থাকে। যা সর্বসাধারণের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত বা প্রকাশ্য নয়। ফ্রিম্যাসনারিতে অন্তর্ভুক্তি বা দীক্ষা এমনই একটি রীতি। পাশাপাশি রয়েছে নানা ম্যাসনিক পদে উন্নীত হওয়ার অনুষ্ঠান। এইসব অনুষ্ঠানে লজের সদস্য কিংবা ম্যাসন হতে ইচ্ছুক প্রার্থীরাই যোগ দিতে পারেন, অন্য কেউ নন। এই সব নানা কারণে বহু দিন ধরে ফ্রিম্যাসনারি নিয়ে জনমানসে রহস্যের মায়াজাল রয়ে গিয়েছে। ‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড’-এর মতো কাহিনিগুলি যার বুনন আরও মজবুত করেছে। (Sir Arthur Conan Doyle)

কেন ফ্রিম্যাসন হয়েছিলেন কোনান ডয়েল? জীবনীকারদের হাতে প্রত্যক্ষ কোনও উত্তর নেই। রয়েছে কয়েকটি অনুমান। সেই অনুমানগুলির নেপথ্যে রয়েছে ডয়েলের জীবনের ঘটনাক্রম, তাঁর রহস্যপ্রিয়তা এবং প্রথাগত ধর্মমতগুলির পাশাপাশি জীবন এবং মানব অস্তিত্বকে আর কোন-কোন পথে বুঝে নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখার প্রবণতা। এক ফ্রিম্যাসনের জীবনে কিছু মন্ত্রগুপ্তি থাকে। রহস্যপ্রিয় ডয়েলকে হয়তো এই মন্ত্রগুপ্তি আকর্ষণ করেছে, আন্দাজ করা যায়। আগ্রহী পাঠকরা লক্ষ্য করে থাকবেন, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শার্লক কাহিনিতে বেশ কয়েকটি ফ্রিম্যাসনারির উল্লেখ রয়েছে। (Sir Arthur Conan Doyle)
আমরা ডক্টর জোসেফ বেলের কথা জেনেছি। তাঁর ডিটেকশনের পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে আর্থার কোনান ডয়েল কাছ থেকে দেখেছিলেন। বেলের পর্যবেক্ষণের ধারা, যুক্তিনির্ভর অনুমান ডয়েলের মনে গভীর রেখাপাত করে। শার্লক কাহিনিতে যার ছায়া প্রায়শই দেখেছেন পাঠক। শুধু তাই নয়, ডয়েল নিজেও বেশ কয়েকটি তদন্তের কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। (Sir Arthur Conan Doyle)
এই দুটি রহস্য নিয়ে আলোচনা করা না গেলেও অন্য এক ঘটনার অবশ্যই উল্লেখ করা যেতে পারে। কেন না, ঘটনাটি বেশ আকর্ষণীয় এবং তাতে কোনান ডয়েলের ভূমিকা সামান্য হলেও, তাঁর জীবন সম্পর্কে বেশ ইঙ্গিতবাহী। ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর। বিকালে বাড়ি থেকে বেরোন আগাথা ক্রিস্টি। কিন্তু তারপর মানুষটি যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন। ক্রিস্টি জনপ্রিয় লেখিকা। তাঁর অন্তর্ধানে রীতিমতো হইচই শুরু হল। খবরের কাগজে সমালোচিত হতে থাকল ব্রিটিশ পুলিশ। সত্যিই পুলিশ রহস্য সমাধানে হালে পানি পাচ্ছিল না। নিরুপায় পুলিশ আর্থার কোনান ডয়েলের সাহায্য চাইল। (Sir Arthur Conan Doyle)
শার্লক-স্রষ্টা আগাথা ক্রিস্টিকে খোঁজার ব্যাপারে ঠিক কী করেছিলেন, তা নিয়ে রকমারি মত আছে। অধিকাংশের বিশ্বাস, ডয়েল এক মিডিয়ামের সাহায্য নিয়েছিলেন, এবং প্ল্যানচেট জাতীয় কিছু একটা করে জানতে চেয়েছিলেন আগাথা ক্রিস্টির কী হয়েছে। সে যাই হোক, অন্তর্ধানের ১১ দিনের মাথায় ১৪ ডিসেম্বর, পুলিশ এবং পাঠকদের স্বস্তি দিয়ে, হ্যারোগেটের এক হোটেলে খোঁজ মেলে আগাথার। (Sir Arthur Conan Doyle)
কেন ‘হারিয়ে’ গিয়েছিলেন আগাথা ক্রিস্টি? সহজ এবং সর্বজনগ্রাহ্য কোনও উত্তর নেই। আত্মজীবনীতে আগাথা এই প্রসঙ্গ কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছিলেন তিনি সাময়িক স্মৃতিভ্রংশের শিকার। ফলে ১১ দিনে তিনি কী করেছেন, কেন করেছেন, কিচ্ছুটি তাঁর মনে নেই। রহস্য-লেখিকার জীবনে এটা সম্ভবত সবচেয়ে বড় রহস্য, যা আজও রয়ে গিয়েছে। (Sir Arthur Conan Doyle)
আগাথা ক্রিস্টি থেকে আমরা আবার ফিরে যাই আর্থার কোনান ডয়েলের কাছে। এই ঘটনা থেকে একটা বিষয় প্রতীয়মান, ডয়েলের আগ্রহ যেমন রহস্যে, তেমনই তাঁর আস্থা অতীন্দ্রিয়বাদ এবং পরলোকচর্চায়। বস্তুত, খ্যাতির মধ্যগগনে থাকার সময়ে কোনান ডয়েল নিয়মিত প্ল্যানচেটের আসরে যেতেন। কিংবদন্তি জাদুকর হ্যারি হুডিনির সঙ্গে তাঁর বন্ধুতা এবং বিচ্ছেদের নেপথ্যেও রয়েছে প্ল্যানচেটের ঘটনা। অতিপ্রাকৃত, পরলোকচর্চা, অতীন্দ্রিয়বাদে কেন বিশ্বাসী ছিলেন ডয়েল? জীবনীকারদের কারও-কারও মত, নিজের সন্তান, ভাই, আত্মীয়দের পরপর মৃত্যু ডয়েলকে এই প্রবণতার দিকে ঠেলে দেয়। যা সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে দৃঢ়তর হয় শার্লক-স্রষ্টার মনে। (Sir Arthur Conan Doyle)

প্ল্যানচেটের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী আগ্রহ থাকলেও ফ্রিম্যাসনারি নিয়ে কোনান ডয়েলের সম্ভবত কিছুটা সংশয় ছিল। ১৮৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি ফ্রিম্যাসনারিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ১৮৮৯ সালে ফিনিক্স লজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ডয়েল। কিন্তু বিচ্ছেদ ছিল সাময়িক। ম্যাসনিক নথিতে দেখা যাচ্ছে পরের বছরই ডয়েল ফ্রিম্যাসনদের সভায় যোগ দিয়েছেন। অবশ্য সেটা ব্রিটেনে নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায়। বুয়র যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক ডাক্তার হিসেবে ব্লুমফনটেনে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন। সেখানকার রাইজিং স্টার লজের অধিবেশনে অংশ নেন। সেই অধিবেশনে ছিলেন আর এক দিকপাল লেখক এবং ফ্রিম্যাসন রুডইয়ার্ড কিপলিং। (Sir Arthur Conan Doyle)
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে ইতিহাসের পাতায় যাঁদের নাম বারবার দেখা যায়, তেমন রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক থেকে সমাজচিন্তক, তাঁরা অনেকেই ফ্রিম্যাসন। সাহিত্যের কিপলিং আর ডয়েলের কথা আমরা জানলাম। উইনস্টন চার্চিল ফ্রিম্যাসন ছিলেন, তাঁর নোবেল সাহিত্যে। আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, থিওডর রুজভেল্ট, হ্যারি ট্রুম্যান ম্যাসন সঙ্ঘের সদস্য ছিলেন। মহাকবি যোহান ভলফগ্যাঙ ফন গোয়েতে কিংবা সুরকার ভলফগ্যাঙ আমাদেউস মোতসার্ট বা বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং— সকলেই ছিলেন ‘ব্রাদার’, ফ্রিম্যাসন। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার অ্যাঙ্কর অ্যান্ড হোপ লজে বেশ কিছুটা সময় যুক্ত ছিলেন। ফ্রিম্যাসনারিতে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ১৮৮৪ সালে। (Sir Arthur Conan Doyle)
ডয়েল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে ১৯০১ সালে এডিনবরা লজের সাম্মানিক সদস্য হন। পরের বছর ফের যোগ দেন ফিনিক্স লজে। ফ্রিম্যাসনারিতে তিনি তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত উন্নীত হয়েছিলেন। ১৯১১ সালে পুনরায় ম্যাসনিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন ডয়েল। (Sir Arthur Conan Doyle)
ডয়েলের অন্যতম বন্ধু ছিলেন মেজর অ্যালফ্রেড হারবার্ট উড। শুধু বন্ধু নয়, ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত হারবার্ট, সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন ডয়েলের। হারবার্ট ছিলেন সক্রিয় ফ্রিম্যাসন। যুক্ত ছিলেন ফিনিক্স লজেই। জেমস ওয়াটসন নামে এক ‘ব্রাদার’-এর সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল ডয়েলের। তাই ডক্টর ওয়াটসন নামটি খুঁজে পেতে ডয়েলকে বিশেষ খোঁজাখুজি করতে হয়নি, এটুকু অনুমান করাই যায়। (Sir Arthur Conan Doyle)
তথ্যসূত্র –
১. Sir Arthur Conan Doyle, Memories and Adventures, Published by Little, Brown, and Company, Boston 1924
২. Michael Sims, Arthur and Sherlock, Published by Bloomsburry, London 2017
৩. Print Records, Museum of Freemasonry, London
৪. Christie’s Catalogue, The Conan Doyle Collection, London 2004
৫. কৌশিক মজুমদার, হোমসনামা, প্রকাশক বুকফার্ম, কলকাতা ২০২০
৬. Philip Gardiner, What Wise Men Do, Published by The Temple Publication, The UK 2009
জন্ম এবং স্কুলজীবন রিষড়ায়। পড়াশুনো রিষড়া হাইস্কুল, শ্রীরামপুর কলেজ এবং নেদারল্যান্ডস-এর এডা ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়ান্সেস-এ। পড়াশোনা, গবেষণার জন্য একাধিক ফেলোশিপ প্রাপ্তি। আড়াই দশকের সাংবাদিকতায় কাজ করেছেন ‘এই সময়’, ‘এবিপি আনন্দ’, ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ। বর্তমানে উদ্বোধন এবং সেন্টার ফর ইন্ডোলজিক্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ-এর সঙ্গে যুক্ত। নেশা দেশ দেখা, ছবি তোলা এবং বই সংগ্রহ।