‘Poet Laureate of Limerick’, এডওয়ার্ড লিয়রের রচনার হাত ধরেই বলা যেতে পারে সাহিত্যে ননসেন্সের প্রথম অনুপ্রবেশ।’লিমেরিক’ নামে পরিচিত মাত্র পাঁচ পংক্তির ছড়ার সীমিত পরিসরে যে নির্ভেজাল কৌতুকরস তিনি পরিবেশন করেছেন , তৈরী করেছেন যে অসম্ভবের দুনিয়া – তা সত্যিই নজিরবিহীন। লিমেরিকের জন্যই তাঁর বিশেষ খ্যাতি, তবে লিমেরিক ছাড়াও অসাধারণ কিছু ননসেন্স বড়ো কবিতা এবং গদ্য লিখে গেছেন তিনি – যেগুলো সংকলিত হয়েছে তাঁর ‘A Book Of Nonsense’ এবং অন্যান্য বইগুলোতে। শুধু ছড়া লেখাই নয়, ছবি আঁকিয়ে লিয়র তাঁর প্রত্যেকটি ছড়াকে সমৃদ্ধ করেছেন নিজে হাতে আঁকা ছবির সম্ভারে। সেই ভিক্টোরিয়ান যুগে নানা অনুশাসনের বেড়াজালে বাঁধা পড়ে থাকা শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য ছড়া ও ছবির মেলবন্ধনে যে অনন্য উপহার তিনি তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন – আজও তা আমাদের অনন্ত আনন্দের সন্ধান দিয়ে চলেছে। আজ দুশো আটতম জন্মদিনে বাংলা লাইভের পক্ষ থেকে এই মানুষটির জন্য রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য।
১
বাহারী এক টুপি মাথায় কন্যে ভারি লক্ষ্মী
বসলো এসে টুপিতে তার ডজনখানেক পক্ষী –
ছিঁড়লো টুপি এক নিমেষে
কন্যে দেখে বললে হেসে –
‘বেঁচে গেলাম, রইলো না আর টুপি খোলার ঝক্কি।’
২
গোলমেলে স্বভাবের মাসি
বয়সটা মাত্র বিরাশি
ঘিলু গেছে ঘুলিয়ে
তাই ঠ্যাং ঝুলিয়ে–
গাছে বসে বাজাচ্ছে বাঁশি।
৩
দ্যাখো চেয়ে বুড়ো চলে লাঠি ঠক্ ঠক্
গোড়ালিতে ভর দিয়ে, যেন এক বক;
আমি বলি – ‘হলোটা কি
হাঁটতে শেখোনি নাকি?’
বুড়ো বলে – ‘থামাও হে ননসেন্স টক।’
৪
চৌকোমুখো মেমটিকে যাও দেখে
মাথার ভারে গেছেন তিনি বেঁকে;
সূয্যি যখন ছড়ায় আলোক
গুঁজে মাথায় সোনার পালক,
দেখান যতো পাড়ার লোকে ডেকে।
ভূগোলের অধ্যাপিকা। ছোটবেলা থেকেই আঁকা-লেখার সৃজনশীল জগতে আনন্দ খুঁজে পান। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম বই "দাড়িওয়ালা বুড়োটার"। এডওয়ার্ড লিয়রের ননসেন্স লিমেরিক ও ছড়ার বাংলা রূপান্তরের এই সংকলনের অলংকরণও তাঁর নিজের করা।
One Response
প্রতিটা ছবি প্রতিটা ছড়া কি চমৎকার ❤️ 👏❤️ কি চমৎকার ❤️👏❤️