প্রতিটি চুম্বনের শব্দে গেঁথে দিয়েছ
বিচ্ছেদের নীল পেরেক
ক্ষতমুখে রক্ত-পুঁজ ঝরে অনিবার
নিশ্ছিদ্র সন্ধের ঊর্ণাময় বুনোটে
ছটফট করেছি একবুক শ্বাস নেব বলে
তখন তোমার ইচ্ছেঘরে এক্কাদোক্কা খেলেছে
চঞ্চল পায়ের পাতা
অন্যমনে ছিটকে গেছে ঘুঁটি
তুমি খেলার মদে বুঁদ হয়ে থেকেছ
শক্ত মলাটের মতো জীবনের ভেতর
প্রতিটি হলদেটে পাতা পোকা-কাটা
তবু অ্যান্টিক বলে
সোনার জলে বাঁধানো চামড়া
চেপে বসে মাঝরাতে
আমি অনঙ্গ সঙ্গম সেরে নিই
শব্দবন্ধে, শব্দহীনতার আরও গভীরে।
ছবি সৌজন্যে Pixabay
অন্তরার জন্ম ১৯৮১-তে, বর্ধমানের পালসিট গ্রামে। রাজ কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়র স্নাতোকোত্তর, বর্তমানে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিকা হিসাবে স্কুলে কর্মরত। কবিতাজ্বরের শুরু শৈশবেই। পরবর্তীতে 'আলোবাতাস', 'কয়লাকুঠি' 'শ্রুতিবাক' 'অংশুমালী' 'প্রথম আলো','রোদরঙ' 'তাঁতঘর' 'আনন্দমুখর', 'সংবাদ প্রভাতী' 'ইসক্রা' 'পৃথ্বী' প্রভৃতি অনেক পত্রপত্রিকায় কালক্রমে প্রকাশিত হয়েছে কবিতা, গদ্য, অণুগল্প, ছোটগল্প। প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'শিকড়ে শিকড়ে অস্তিত্বসুখ' প্রকাশিত হয়েছে আলোবাতাস প্রকাশনা থেকে ২০১৮ সালে। কুমুদরঞ্জন মল্লিক সম্মান পেয়েছেন ২০২০ সালে। শখ বই পড়া, গান শোনা আর ছবি তোলা।
One Response
Asadharan lekhoni apnper ,antaratma ke chunye gelo