কীসের মায়ায় তুমি এমন অনড় থাকো?
শরীর কাঁপিয়ে তবু কোন অপেক্ষায় দিন গোনো?
আমাদের জলবায়ু, আবহাওয়া একেবারেই জেনো
প্রতিকূল নয়; নয় বলেই বিগত আট বছর ধরে
মাসিকচক্রের যন্ত্রণা নীরবে সহ্য করেছ তুমি।
তোমার শরীরে ঐশ্বর্যের বিচিত্র প্রকাশ
সুকোমল আবরণে পেলব রেখেছ তুমি
এমন আদর্শবাদ তোমাকে আবর্তন করে
গর্ভধারিনীও প্রতিযোগী ভেবে নেয় কখনও তোমাকে
কন্যে সকাশে যার নাচ শেখা– তাকেও তুমি
সতীত্বের মায়াভ্রমে দীর্ঘকাতর সঞ্চার করো
অথচ বসন্ত এসে গেছে জেনেও তুমি
পৃথিবীর যাপনপর্ব থেকে বেশকিছু মুহূর্ত
নিজেকেও বঞ্চিত করে চলো, তাকেও।
হে আদিম জননী–
তোমার নিরাভরণ মগ্নতা ও মমতার টানে
যোনির গভীরে কেন শূন্যক্ষয় বয়ে চলো
আপন অপত্যসৃজন কেন করো এমন আড়াল?
কুমার কিংবা কুমারীপ্রসবা হতে
এত ছদ্মকুণ্ঠা কেন বাঁচিয়ে চলো চারপাশে বৃথা?
মানুষ প্রথম কবে এসেছিল এ পৃথিবীতে
সে হিসেব কেউ রাখে না
কোনওকিছুই অবিনশ্বর নয়
সে সত্য জেনেও
আমাদের চারিপাশে গড়ে তুলি নিয়মনিগড়
আমরা মনে করতে চাই না
আমাদের পূর্বপুরুষেরা মহীয়ান ছিলেন
অপত্যসৃজনে কুণ্ঠাবোধ ছিল না তাঁদের
সে আদিম মানবিকতার ধারক হয়েও
ছদ্মসংযমে তুমি
নিজেকে বঞ্চিত রাখো
তোমার প্রেমের পাত্রকেও রাখো যন্ত্রণাকাতর।
ছবি সৌজন্য: Pixabay
মনোরঞ্জন নস্কর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। পেশা অধ্যাপনা। সিটি কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বাংলার অধ্যাপক। প্রবন্ধ এবং কবিতা লেখেন।