












(Mongol Prodip) ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমে প্রতি বছর ঘটা করে পালন করা হয় রাখের উপবাস। কেবল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকনাথ ভক্তরা এই উৎসবে যোগ দিতে ছুটে আসেন এই আশ্রমে। সেই প্রার্থনাই পরিচিত ‘রাখের উপবাস’ বা ‘কার্তিক ব্রত’ নামে। কেউ কেউ ‘গোসাইর উপবাস’ বা ‘ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বালন’ উৎসব বলেও ডাকেন। (Mongol Prodip)
ওপার বাংলার মতো এপার বাংলায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের রীতির মধ্য দিয়ে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্মস্থান চাকলা এবং কচুয়া ধামের পুন্যার্থীরা আপনজনের মঙ্গল কামনায় কার্তিক মাসের শেষার্ধের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার উপবাস পালন করেন। চাকলা এবং কচুয়া লোকনাথ আশ্রমে সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালন শেষে তারা উপবাস ভাঙেন। এ উৎসব ‘গোসাই ব্রত, কার্তিক ব্রত, মঙ্গল প্রদীপ বিভিন্ন নামেই পরিচিত। (Mongol Prodip)
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে আলোকিত হয় চারিদিক। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বহু দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। সন্ধ্যে নামতেই জ্বলে উঠলো হাজার হাজার প্রদীপ। মঙ্গল কামনায় প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রিয়জনের শুভকামনায় ব্রতী হন অসংখ্য ভক্ত। প্রদীপ এবং ধুনোর ধোঁওয়া সব মিলিয়ে যেন এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি হয় লোকনাথ মন্দিরে। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষে মঙ্গলদীপ জ্বালানোর রীতি চলে আসছে বহু বছর ধরে।
গত ৯ নভেম্বর ২০২৪, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপনগরের কচুয়াতে (নিকটবর্তী স্টেশন ‘কাঁকড়া মির্জানগর’) উদযাপন করা হয়েছে কার্তিক ব্রত বা মঙ্গল প্রদীপ উৎসব। আগামী ১৬ নভেম্বর ২০২৪, কার্তিক মাসের শেষ শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চাকলা ধামে (নিকটবর্তী স্টেশন ‘গুমা’) মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হবে।
নেশা ও পেশা ফটোগ্রাফি। ডকুমেন্টারি স্টোরি টেলিং, স্ট্রিট ও ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী।