‘এই দেখেছ!’ শীতের ভোরে গাড়িতে উঠে বেশ গুছিয়ে বসতে না বসতেই সীমা তার হাতের ফোনে একটা খবর দেখে চমকে উঠল। সায়ন বলল, ‘কী হল আবার?’
— তাহলে আমরা তো ঝাড়খণ্ডের দিকেই যাচ্ছি ফাইনালি।
— তো?
— না মানে, সেখানেই আরেকটা সাংঘাতিক রকমের ইন্টারেস্টিং জায়গা আবিষ্কার হয়েছে… এই দেখ ছবিটা।
সায়ন বলে, ‘গাড়ি চালাতে চালাতে এসব দেখা সম্ভব নয়। কতবার বলেছি তোমাকে। লিংকটা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে রাখো। পরে দেখে নেব।’
‘ভেরি সরি’। সীমা বলল। ‘আসলে এত এক্সাইটেড হয়ে যাই…’
‘তা সে জায়গাটার নাম কী শুনি?’ সায়ন বলে। তারও যথেষ্টই ইন্টারেস্ট আছে বলেই সীমা সেই প্রসঙ্গ তুলেছিল।
— ‘নবরত্নগড়।’
— ‘মানে সেখানেও কি কালিদাস টালিদাস? বিক্রমাদিত্যের রাজসভার খোঁজ পেলে?’ সায়ন বলল।
— ‘আরে নাহ! নবরত্নগড় নামের একটা বিশাল প্রাসাদ এতদিন চাপা পড়েছিল মাটির নীচে। বিশাল এক্সক্যাভেশান প্রজেক্ট। সঙ্গে গলগল করে বেরিয়ে আসছে আস্ত ইতিহাসের গল্প।’ সীমার খুশিতে সায়নও আহ্লাদে প্রায় ন’খানা হয়ে পড়ল।
— ‘তা সেই জায়গাটা ঝাড়খণ্ডের কোথায় শুনি? তোমার কাছে তো পুরী আর দার্জিলিং সব সমান। গুগল ম্যাপে লোকেশন অন করে দেখে ফেলো তো! আমরা যাব মলুটী। সেটা ঝড়খন্ডের দুমকা জেলায়। আর নবরত্নগড়? ঠিক কোথায়? সেখান থেকে ডিস্ট্যান্সটা দেখ।’
— ‘সে আর তুমি বলবে? সে গুড়ে বালি। নবরত্নগড় হল ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায়। আমি দেখে নিয়েছি তো। দুমকা থেকে গুমলা অনেকটাই দূর। ঝাড়খণ্ড কি আর এইটুকুনি? আরও আট ন’ঘণ্টা সেখান থেকে ড্রাইভ করে যেতে হয় নবরত্নগড়। অলরেডি গুগল ম্যাপে কেউ চিহ্নিত করে ফেলেছে সেই দুর্গকে।’
সায়ন বলে, ‘তাহলে ক্ষ্যান্ত দাও এবার বাপু। অত গাড়ি চালাতে পারব না তিনটে দিনের মধ্যে।’
সীমার মনখারাপ দেখে সায়ন আবারও বলে— ‘ঠিক আছে। ওটা আমরা না হয় ট্রেনে করে পরে আবার যখন হোক চলে যাব।’

সীমা বিফল মনোরথ হয়ে গাড়ির বাঁদিকের সামনের সিট হেলিয়ে দিয়ে, সিটবেল্ট বেঁধে টেধে বেশ আরামে বসে চলতে লাগল আবার।
দিস ইজ লাইফ। একটু অবসর, আধটু বেড়ানো… ট্যোটালি রিল্যাক্সড। কাচের জানলার বাইরে চোখ রাখতে রাখতে মাঝেমধ্যেই হাতের ফোনে সেই নবরত্নগড়ের কথা পড়ে সে আর পড়ে শোনায় সায়নকে। তার শয়নে, স্বপনে, জাগরণে ভাসছে একটাই ছবি। মাটির নীচে সদ্য আবিষ্কৃত নবরত্নগড়। স্প্লেন্ডিড! মারভেলাস! এসব বিশেষণ বললেও কম বলা হবে।
নবরত্ন জুয়েলারি, বিক্রমাদিত্যের রাজসভায় নবরত্ন, রেস্তোরাঁর নবরত্ন কোর্মার পরে আবার নবরত্নগড় বা দুর্গ? ভাবা যায় না জাস্ট। সত্যজিৎ রায় বেঁচে থাকলে ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায় এই নবরত্নগড়ে সোনার কেল্লার দ্বিতীয় ভার্সন হয়ে যেত নির্ঘাত।
হাতের মুঠোয় সব পোর্টালের গরম গরম খবর সেদিন। নিউজে যা পড়ল সীমা তাতে বোঝা যায়, নাগবংশী সাম্রাজ্যের শেষ স্বাধীন রাজা দুর্জন শালের বানানো এই নবরত্নগড় দুর্গ। ছোটনাগপুরের নবরতনগড় থেকে নাগবংশের শাসনকার্য দেখতেন সেখানকার ৪৫তম রাজা দুর্জন শাল। এটি সাড়ে পাঁচশো বছর আগের ধ্বংসাবশেষ। ন’তলা এই দুর্গের নাম তিনি রেখেছিলেন নবরত্নগড়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৭১ সালে মানে দুর্জন শালের শাসনকালের আগেই তৈরি হয়েছিল দুর্গটি, যার মাটির উপরে ৯টি তল ছাড়াও ছিল মাটির নীচে বেশ কয়েকটি গুপ্ত কক্ষ। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের খননকার্যে প্রাচীন ওই পরিকাঠামো দেখে জানা গেছে এসবের খোঁজ। গড়গড় করে খবরের কাগজ থেকে পড়ে বলতে থাকে সীমা। ভেরি ইন্টারেস্টিং… তাই না?
— ‘জানো, মূলতঃ মোঘল সাম্রাজ্য থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন নাকি নাগবংশীয়রা! এখানে কীসব গোপন সুড়ঙ্গেরও সন্ধান মিলেছে। প্রাসাদের কোনও একটি কক্ষে দুর্জন শাল লুকিয়ে রেখেছিলেন প্রচুর ধনরত্ন। বিশাল ধনসম্পদের মালিক হয়েও মোঘলদের খাজনা মেটাতেন না তিনি। মাটি খোঁড়া শেষ হলে নাকি মিলবে আরও অনেক কিছু। দেখো, দেখো!’
সায়ন গাড়ি থামিয়ে বলে, ‘তুমি বরং গাড়িটা চালাও এবার। আমি দেখি।’
— ‘ভালোই তো আরও এগোক এই কেঁচো খোঁড়া। খুঁড়তে খুঁড়তে আরও অনেক কিছু বেরোক, তারপরেই নাহয় যাব আমরা।’
‘সাপ না বেরোলেই হল, কী বল?’ সীমা ইয়ার্কি করে।
সায়নের খুব অপছন্দ সাপ। সীমা বলে, আর তোমার কপালেই এক নাগকন্যা জুটেছে! সীমার বিয়ের আগের পদবী যে নাগ। সীমার এই হাইব্রিড পদবী ‘নাগ চৌধুরী’তে খুব অস্বস্তি সায়নের।

সীমা বলে— ‘জানো? এই নবরত্নগড়ে রানিমহল থেকে মঠ-মন্দির, রাজদরবার থেকে তেহখানা, সিংহদরজা থেকে শুরু করে রাজগুরু সমাধিস্থল এমনকী সরোবর থেকে শুরু করে নবরতনগড়ের পিছনে পাহাড়ের কোলে জলেশ্বরনাথ শিবলিঙ্গ… এত কিছু আছে এখানে! ভাবা যায়? খুব ইন্টারেস্টিং না গো?’ সীমার কথায় সায়নও বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।
ঝিমুনি আসে সীমার। সেই ভোরে উঠে তৈরি হয়ে বেরনো। আরামে দুচোখের পাতায় ঘুম লেপটে পড়ে। তবুও ফোনের স্ক্রিনে আঙুলের নাড়াচাড়া অব্যাহত… পড়তেই থাকে।
— ‘ছোটনাগপুরের এই নাগবংশীয়দের একটা দারুণ ঐতিহ্য রয়েছে। বুঝলে!’
ফোনের মধ্যে এতসব খবর পড়তে পড়তে সীমা যেন ঘুমের মধ্যেও দেখতে পায় সেই নবরত্নগড়ের চূড়া। কবে যাবে তারা? শুধুই এটুকুই? নাহ! সেও যে সেই অর্থে লতায়-পাতায় সেই নাগবংশীয়, অর্থাৎ নাগ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাই বুঝি তার এত ইন্টারেস্ট এই খবরে। স্টিয়ারিং হুইলের মালিক সায়নের চোখ আপাতত মলুটীর পথে। হাইওয়ের ওপরে গাড়ি চালানোর সময় সজাগ থাকে সে। দু লেনের হাইওয়ের ওপরেও নিস্তার নেই। উল্টোদিক থেকে সমানেই গাড়ি এসে যায়। কেউ আর নিয়ম মানতে শিখল না।
সীমা আধোঘুমে আধো জাগরণে… আবারও হাতের ফোনে মনোনিবেশ করে।
আবার ওঠে ধড়মড়িয়ে…
— ‘জানো? আরও পেছন দিকে তাকালে জানা যায় আফগানিস্তানের গান্ধার প্রদেশের বাসিন্দা ছিল এই নাগবংশীয়রা। এক ট্রাইবাল জনগোষ্ঠী। এই গান্ধারের রাজকন্যা গান্ধারী এসেছিলেন ভারতে কুরুকুলের বৌ হয়ে। গান্ধারের নাগবংশীয় প্রধান তক্ষক নাগ হস্তিনাপুর আক্রমণ করে অর্জুনের নাতি পরীক্ষিতকে দংশন করে মেরে ফেলেছিল। সেই প্রতিশোধ নিতে তাঁর পুত্র জনমেজয় এক সর্পনিধন মহাযজ্ঞ আয়োজন করলেন। ফলে হাজার হাজার নাগের মৃত্যু হল। নাগ উপজাতির বংশের বিলুপ্তি ঘটবে সেই কথা ভেবে তক্ষকের উত্তরসূরি পুণ্ডরীক নাগ তাঁর দলবল নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন এই জঙ্গলে। পুণ্ডরীকের বিবাহ হয় পার্বতী নামে এক ব্রাহ্মণ কন্যার সঙ্গে। তাঁদের বংশধরেরাই ছোটনাগপুর এলাকার মুন্ডা উপজাতি। তাঁরাই নাকি নাগবংশের রাজা।’
সীমার উত্তেজনায় সায়ন কিছুটা ডুব দিয়ে বলে উঠল, ‘তবে আর কী? এঁরাই আমার শ্বশুরকুল। আমি তাঁদের আত্মীয়। কী ঠিক তো?’
সীমা সেই ইয়ার্কিতে কান না দিয়ে বেশ উৎফুল্ল হয়ে বলল, ‘এই নাগবংশীদের লুকোনো রাজধানীই হল লুপ্ত নবরত্নগড়, বুঝেছ! গুমলা পাহাড়ের ঘেরাটোপে কে খবর পাবে তার? সবটাই ছিল মোঘলদের চোখের আড়ালে, বুঝলে!’

বছর কয়েক আগে সীমাদের মফস্বলের বাড়ির কোলাপসিবল গেটে জড়িয়েছিল মস্ত এক ঢ্যামনা সাপ। খোলা ড্রেন সেখানে। নদীনালা অজস্র। গাছপালাও খুব। যদিও বিষাক্ত নয় সাপটা, কিন্তু তাকে দেখামাত্রই সীমার মা আনন্দে লাফিয়ে উঠে সেদিন নিজের বেয়ানকে ফোন করে ফেলেছিলেন।
— জানেন? এবার সীমার একটা সুখবর আমরা পাবই। সায়নের শহুরে মা আবার এসব বিশ্বাস করেন না। তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘তাহলেই হয়েছে। আমার ছেলে আর আপনার মেয়ের ওসব ভাববার সময় নেই। এসব হল যুগধর্ম। নিজেদের ছাড়া নতুন করে আর কারও দায়িত্ব নেবে না এখনকার ছেলেপুলেরা, বুঝলেন! আপনাদের নাগপরিবারের ওসব মেয়েলি গসিপ রাখুন তো বেয়ান! ওসব গপ্পো এ যুগে অচল।’
তা অবশ্য ঠিক। বাড়িতে সাপ আসা মানেই যে সুখবর আসবে বা কোনও শুভ ঘটনা ঘটবে কিংবা বংশবৃদ্ধি হবে এসব কথা আজকাল কেউ মানেই না। সীমার মাও সেবার তেমনি বিশ্বাস করেছিলেন। কারণ তাঁর বাড়িতে সেই সাপ আগমনের পর গোটা দুটো বছর কেটে গেছে। এসব ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই তাঁর মেয়ে জামাইয়ের।
গাড়িতে যেতে যেতে সীমার সেদিন এসব মনে পড়ে যাচ্ছিল বৈ কি। নাগ অর্থাৎ সাপ প্রসঙ্গ থেকে জনমেজয়ের সর্পসত্র মহাযজ্ঞ… এসব পড়তে পড়তে। ল অফ অ্যাসোসিয়েশনের কারণ বুঝি এটাই।
সীমা নাগ চৌধুরী ঘুমের ঘোরে তখন। হাতের মুঠোয় সংবাদপত্রের সেই নবরত্নগড়ের ছবিটি তার দুচোখ জুড়ে। সীমা যেন পরিক্রমা করছে সেই গড়। সে ভেতরে ঢুকবে কী না ভাবছিল। আর তখুনি সেই নাগিনী এগিয়ে এল তার সামনে। সীমা কিন্তু একটুও ভয় পেল না। সেও তো একই গোত্রীয় কি না! ভয় পাবার কী আছে? ভাবল সে। বরং দুর্গের ভেতরটা ন্যাভিগেট করে নিয়ে যাচ্ছিল সেই নাগিনী। বেশ বন্ধুতায়। আতিথেয়তায়। আদিবাসী উপজাতিরা সাধারণত মাড হাউজ বা পাথরের বাড়ি বানিয়ে থাকতে অভ্যস্ত। তাই বলে এত্ত বড় প্রাসাদোপম গড়? যে সাপটি এগিয়ে আসছিল তার দিকে তার ভঙ্গিমা বড় সুন্দর। আসছিল হিলহিলিয়ে। কী চমৎকার তার ভঙ্গি। সুললিত, তৈলাক্ত গড়ন দেখে মনে হয় সে যেন কোনও নাগিনীই হবে। যেন স্বচ্ছ শিফনের ছাপা শাড়িতে ঢেকে রাখা শরীর সেই লাবণ্যময়ী রাজেন্দ্রাণীর। তারপরেই যা দেখতে পেল তা সত্যিই রোমহর্ষক। ও বাবা! অত সুন্দর লাল রঙের নবরত্নগড়ের ছাদের প্যারাপেটে পরপর ছোট, বড় সাপেরা ফণা তুলে দাঁড়িয়ে তখন। নবরত্নগড়ের সেই নাগিনীকে অভিবাদন জানাতে ব্যস্ত বাকি নাগেরা। ঠিক যেন চিত্রপট। সীমার চোখে দেখা সেই হস্তশিল্প মেলায় বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার টেরাকোটার মনসাচালির অপূর্ব পোড়ামাটির কারুকার্য। গড় পরিক্রমণে ব্যস্ত তখন সীমা। আর মন তার উথালপাথাল সংবাদপত্রের সেই খবরে।

সীমা ভাবল, আচ্ছা নাগবংশীয়রা তবে সত্যিই আফগানিস্তানের উপজাতি? মানে ট্রাইব? তার মানে, এই নাগবংশীয়রাই ঘুরতে ঘুরতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে নিজেদের বাসস্থান গড়ে তুলল। তাই এই অঞ্চলের নাম নাগপুর। সেখান থেকেই ছোটানাগপুর। সীমা নিজেও তবে এই নাগেদেরই উত্তরসূরি। তবে তারা তো শুনে এসেছে কায়স্থ। অবিশ্যি সমাজের মূলস্রোতে উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার লক্ষে মানুষই তো নিজেকে কখনও কায়স্থ, কখনও ক্ষত্রিয় বলে দাবি করত। যাক সে সব। এখন মূল কথা হল সীমা নাগ নামে ফিজিক্সের দিদিমণিকে সাপে পেয়ে বসেছে। এসব নিয়ে সে আজ অবধি ভাববার অবকাশ পায়নি। বেশ মজা পাচ্ছে তাই।
আসল কথা হল সাপ হোক বা ট্রাইব, তারা চিরকালই বঞ্চিত। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে। যুগে যুগে। সাপেদের দেবী মনসাও তো মেইন স্ট্রিম দেবদেবীর সঙ্গে পঙক্তিভোজে বসার সুযোগ পান না। সেই লৌকিক দেবী হয়েই তিনি থেকে গেলেন আজন্মকাল। শুধুই বঞ্চনা আর তুচ্ছ তাচ্ছিল্য। যুগে যুগে ট্রাইবালদের কী করুণ অবস্থা!
সীমার স্বপ্ন জমে উঠছিল। হঠাৎ সায়ন জোরে গাড়ির ব্রেক কষতেই ঘুমটা ভেঙে গেল তার। চিৎকার করে বলল, ‘কী হল?’
সায়ন বলল, ‘কী আবার? সামনে দেখো। বিশাল অয়েল ট্যাংকার। আরেকটু হলেই আমার গাড়িতে লাগত। তুমি তো ঘুমিয়েই খালাস। এই জার্নিটা যে কী বোরিং! বলেই গাড়ির এফ এম রেডিওটা অন করে দিল সে। ফিজিক্সের দিদিমণি কী না ইতিহাস চর্চা করছেন বেড়াতে বেরিয়ে।’
‘তুমি না সবসময়ই আমার ওপর এক হাত নাও।’ বয়সে একটু বড় বলেই সীমার এ যেন প্রচ্ছন্ন অভিমান সায়নের ওপর।
অলংকরণ: শুভ্রনীল ঘোষ
*পরের পর্ব প্রকাশ পাবে ১৫ মার্চ, ২০২৩
রসায়নের ছাত্রী ইন্দিরা আদ্যোপান্ত হোমমেকার। তবে গত এক দশকেরও বেশি সময় যাবৎ সাহিত্যচর্চা করছেন নিয়মিত। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায় এবং প্রথম উপন্যাস সানন্দায় প্রকাশিত হয়। বেশ কিছু বইও প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। সব নামীদামি পত্রিকা এবং ই-ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখেন ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, রম্যরচনা ও প্রবন্ধ।