Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

প্রকৃতি ভবন‌ আর উড ফসিল পার্ক

রমেশ দাস

নভেম্বর ১৭, ২০২৩

Nature Art Museum and Wood fossil park travel
Nature Art Museum and Wood fossil park travel
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

বোলপুর (শান্তিনিকেতন) স্টেশনের পরের স্টেশন প্রান্তিক। এর কাছাকাছি রয়েছে কঙ্কালীতলা— শান্তিনিকেতন ভ্রমণার্থীদের ক্ষেত্রে একটা দর্শনীয় স্থান।‌ তবে বহুবার আসা এই দিকে এবার আসার অন্যতম কারণ, একেবারেই না দেখা দুটো দ্রষ্টব্য চাক্ষুষ করা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই সিনিয়র মাউন্টেন লাভার্স ফোরামের ২৭ জনের একটা দল রওনা হয়েছিলাম। কলকাতা থেকে সকাল সকাল রেলপথে রওনা হয়ে এখানে নামলাম একটু বেলা করে।

অটোরিকশা ভাড়া করে গিয়ে ওঠা হল আগে থেকে সংরক্ষণ করে রাখা ‌দুটো সুন্দর বাড়িতে। আরেকটু স্বাচ্ছন্দের জন্য‌ দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ভ্রমণসঙ্গী অপূর্বকে নিয়ে আমি দলনেতার অনুমতি সাপেক্ষে পাশেই মালঞ্চ-২ হোটেলে একটা ঘর নিলাম। এটাও বেশ ঘরোয়া পরিবেশ। বাউন্ডারিতে কয়েকটা নারকেল গাছ রয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি সুবিধার্থে স্টেশনের বাইরে একটু তফাতে মোড়ের মাথায় সনতের হোটেল থেকে নেওয়া হয়েছিল প্রাতরাশের প্যাকেট, এবার তার সদ্ব্যবহার করা হল।

প্রকৃতি ভবন বিহার

স্নান ও দ্বিপ্রাহরিক আহার সেরে আমরা অটো ধরে গেলাম ‘প্রকৃতি ভবন বিহার’-এ। এর আরেকটি পরিচিতি ‘নেচার আর্ট মিউজিয়াম’ (Nature Art Museum)। অবস্থান শান্তিনিকেতনে। আমাদের হোটেল থেকে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট। জানা যায়, বিশ্বের অনন্য প্রাকৃতিক ভাস্কর্যের মধ্যে এটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। 

Team
মাউন্টেন লাভার্স ফোরামের সদস্য আমরা

বিভিন্ন গ্যালারি রয়েছে এখানে। তার মধ্যে ১, ২, ৩ নম্বর গ্যালারির বিষয় অন্তর্মুখী। চত্বরের নানা স্থানে কিছু অংশ জুড়ে নানান শৈল্পিক মাধুর্য। গ্যালারিতে বোঝানোর জন্য যথেষ্ট যত্ন নিয়ে সাহায্য করেন গাইড। এখানে রয়েছে ‘উড ফসিল’ তথা ‘উদ্ভিদ জীবাশ্ম’। এখানে রাখা জীবাশ্মগুলি অদ্ভুত সুন্দর আকৃতির। যেন প্রকৃতি দেবীর নিজের হাতে আপন খেয়ালে বানানো। অপূর্ব গঠন সব ফসিলগুলোর। অনুভব বা কল্পনায় এর গড়ন মিলে যায় এমন অনেক কিছুর সঙ্গে, তখন বিস্ময়ের অবকাশ থাকে না। যেমন একটি ফসিলের গঠন দেবমূর্তি গণেশ-এর মতো, এমনকি বাহন ইঁদুরও রয়েছে। এরকম রবীন্দ্রনাথ, উটপাখি, ঋষি, কালপুরুষ-সদৃশ ফসিল দেখা গেল গ্যালারিতে। ফসিলের (মূর্তির) নীচে লেখা রয়েছে ইংরেজিতে তার বর্ণনা বা পরিচিতি— ছোট ছোট অক্ষরে। ফসিলগুলো পাথরের মতো শক্ত। কাঠ বলে যেন মনেই হয় না। যুদ্ধরত অর্জুন, চা গাছের কাণ্ড থেকে নীচের শিকড়ের ভাস্কর্য— এমন কত কিছু যে রয়েছে দেখবার! এই সব মূর্তির গায়ে তথা ভাস্কর্যে মানুষের হাতের কোনও ছেনি হাতুড়ি পড়েনি। এর ভাস্কর প্রকৃতিদেবী স্বয়ং। মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।

এখানে আরও রয়েছে— ঢেউয়ের চুম্বন, ইন্দির ঠাকরুণ, হাঁস, চুম্বন, ভাগাড়ে শকুন ও গরুর ঠ্যাং, শকুন্তলা ও হরিণ, চাঁদের বুড়ি ইত্যাদি। সমতট প্রকাশনের ‘সমতট’ পত্রিকার কপি পাওয়া যায় এখানে। দাম ৫০ টাকা মাত্র। ফসিলের উপর লেখা ও আলোকচিত্রের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা সমতটের বিশেষ সংখ্যা। সুন্দর বাঁধাই। সংগ্রহে রাখার মতো বই। সব শেষে, লিকার চা ও বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করলেন কর্তৃপক্ষ। এটা আমাদের কাছে আশাতীত ছিল। জানি না, এতজনকে দামি চায়ে আপ্যায়ন কমপ্লিমেন্টারি, না কম্পালসরি! ‘প্রকৃতি ভবন বিহার’ (Nature Art Museum) ঘুরে দেখার জন্য একটা প্রবেশ মূল্য লাগে, সেটা এমন‌ কিছু বেশি নয়।

Wood-fossil
'উড ফসিল' তথা 'উদ্ভিদ জীবাশ্ম'

প্রকৃতি ভবন বিহারের সাইনবোর্ড থেকে একটা স্তবক উদ্ধৃত করছি—

‘খ্যাপা খুঁজে ফেরে পরশপাথর’ শিরোনামের ঠিক নীচে:

“প্রকৃতি ভবন বিহারে মানুষ খু্ঁজে পাবে মনের গভীরের সেই ক্ষ্যাপারে যে অন্বেষণ করে চলছে যুগ যুগান্তর ধরে সেই ঐক্যশক্তি এক খণ্ড প্রেম যে আছে ব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্রে, সর্বজীবে সর্ব ভূতে। তারই প্রকাশ আমারা দেখতে পাই অসংখ্য কায়ার সৃষ্টি ধ্বংসের মাঝে। এখানকার প্রকৃতি ভাস্কর্যরূপ আকার প্রকৃতির হাতে সৃষ্টি। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের সৃজনী কল্পনা আর স্বার্থজয়ী হৃদয়দৃষ্টি। আশা করি আপনারা খুঁজে পাবেন সেই অন্বেষণের বিস্ময় আনন্দ অন্তর বাহিরের যোগে। 

— সুব্রত বসু/প্রকৃতি ভবন/ শান্তিনিকেতন”।

Nature art museum

উদ্ভিদ জীবাশ্ম উদ্যান

আমাদের পরবর্তী দ্রষ্টব্য ছিল আমখই গ্রামের ‘উদ্ভিদ জীবাশ্ম উদ্যান’ (Wood fossil park)। ওই দিনের সন্ধেটা সবাই মিলে ঘুরে এলাম বিশ্ববাংলা হাটে। আমাদের আস্তানার বিপরীত দিকে— গেলাম পায়ে পায়ে। পথিমধ্যে বাঁ পাশে একটা লেক। তখন সন্ধের কারণে লেকের মেন গেট বন্ধ ছিল। বিশ্ববাংলা হাটে অনেকটা পরিসর নিয়ে সুসজ্জিত নানান স্টল। পোশাকের দোকান বেশি হলেও মনিহারি, রেস্তরাঁ, হাতের কাজ আর আসবাবপত্রর দোকানপাটও রয়েছে। পরদিন প্রাতরাশের পর রওনা হলাম আমখই‌ গ্রামে।‌ নিতান্ত সাধারণ, বাংলার আর পাঁচটা গ্রামের মতো। কিন্তু রাতারাতি ওই গ্রামকে বিখ্যাত করেছে এই উদ্ভিদ জীবাশ্ম উদ্যান।

আরও পড়ুন: হরশিল ও বাগোরি গ্রাম

প্রবেশের আগে প্রথমে জেনে নিই উদ্ভিদ জীবাশ্ম কী? মাটির নীচে বৃষ্টির জল পলির স্তর ভেদ করে চলে যায়। গাছের গুঁড়ির মতো দ্রবীভূত কঠিন বস্তুর সংস্পর্শে আসে। সেই সময় ক্যালসাইট, সিলিকা, ধাতুমক্ষিক বা উপল এবং অন্যান্য অজৈব মিনারেলের সংগঠন গাছের গুঁড়ির গঠন রাখে অপরিবর্তিত। এর মধ্যে ধীরে ধীরে গাছ রূপান্তরিত হয়ে যায় পাথরে। কাঠ এবং সেলুলার স্ট্রাকচার ভেতর ও বাইরের সংগঠনকে অপরিবর্তিত রাখে। তখনই উদ্ভিদ থেকে জীবাশ্মের সৃষ্টি। এই রূপান্তরকরণের নাম হল মিনারাইজেশন। আর রূপান্তরিত গাছকে বলা হয় পেট্রিফায়েড উড। এই শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ রুট পেট্রো থেকে। এক কথায়‌, গাছের পাথর হয়ে যাওয়া। আমরা একটা কথা প্রায়শই বলে থাকি‌, গাছ-পাথর— বয়সের গাছ-পাথর নেই… ইত্যাদি। কথাটার উৎপত্তি এখান থেকেই। পেট্রোলিয়ামের নাম শুনেছি। ওর মধ্যে পেট্রো শব্দটি রয়েছে। পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি যেসব আমরা জ্বালানীর কাজে ব্যবহার করি তা উদ্ভিদ জীবাশ্ম ছাড়া আর কিছু নয়।

Petrified Wood
'পেট্রিফায়েড উড' বা উদ্ভিদ জীবাশ্ম

আমাদের দেশের নানা অঞ্চলে উদ্ভিদ জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। সাধারণত পাললিক শিলার ক্ষেত্রে এই জীবাশ্ম মেলার সম্ভাবনা বেশি। যেখানে পলি বেশি, সেখানে পাললিক শিলার সম্ভাবনা। আর যেখানে বহু বছর আগে গভীর বন-জঙ্গল ছিল সেখানে, অর্থাৎ দুয়ের মেলবন্ধনে। আর সেই সঙ্গে দরকার অনুকূল চাপ ও তাপমাত্রা। এই শর্ত মিলে গেলেই সম্ভাবনার শতাংশ প্রায় পুরোটাই। অশ্মীকরণের (জীবাশ্ম বা ফসিল হওয়ার) জন্য অপরিহার্য পলির স্তর, অক্সিজেন, প্রাণীর দ্বারা বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ও। কোটি কোটি বছর পূর্বে ভূতাত্ত্বিক বিভিন্ন ক্রিয়ার দ্বারা, মূলত প্রাকৃতিক কারণে এমনটা সৃষ্টি। আমাদের রাজ্যের মধ্যে বীরভূম, অখণ্ড বর্ধমান জেলা, অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার মধ্যে এমন জীবাশ্ম (উড ফসিল) দেখা গিয়েছে। আর আছে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায়। আর হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থানেও এমন জীবাশ্ম পাওয়া যায়। দক্ষিণে তামিলনাড়ু বা পশ্চিমে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা ছাড়াও রয়েছে গুজরাটে। দেশের বাইরে মায়ানমার (পূর্বতন বার্মা) এবং মালয়েশিয়া উল্লেখযোগ্য। তবে বেশি দূরে আমাদের তো যাবার দরকার নেই!

এই রাঢ়বঙ্গে ‘রাঙা মাটির দেশ’ বলে খ্যাত আমাদের ঘরের কাছে বোলপুর শান্তিনিকেতন। আর এখানেই অনতিদূরে ইলামবাজার ব্লকে গড়ে উঠেছে আস্ত একটা উদ্ভিদ জীবাশ্ম উদ্যান— আমখই উড ফসিল পার্ক (Wood fossil park)। গ্রামের নাম ‘আমখই’ বসেছে শিরোনাম-এর অগ্রভাগে। এখানকার জীবাশ্ম কোটি বছর আগের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওগুলো মায়োসিন যুগের সাক্ষ্য বহন করে। এ সব গবেষণাপ্রসূত মতামত।

Wood fossil park

এখন দুটো ধারণায় উপনীত হওয়া চলে— হয় এই এলাকায় গহীন অরণ্য ছিল, অথবা নদীর বন্যার তোড়ে রাজমহল বা ছোটনাগপুরের মালভূমি অঞ্চল থেকে ভেসে আসে অরণ্য-সম্পদ। তারপর রুক্ষ রাঢ়বঙ্গের বালি জল কাদা চাপা পড়ে এর সৃষ্টি। বীরভূম জেলার একেবারে পাণ্ডববর্জিত এঁদো অখ্যাত গ্রাম আমখই। গ্রীষ্মে পরিচিত‌ জলকষ্টের হাহাকার! ইদানীংকালে সেখানে গ্রীষ্মের দাবদাহের সময় এলাকার পশু-পাখিদের তেষ্টা নিবারণের জন্য পুকুর খনন করতে গিয়ে কিছু নিদর্শন উঠে আসে। তারপর সরকারের প্রচেষ্টায় খননকার্য চালিয়ে যাওয়া হয়। গবেষণার জন্য আসেন বিজ্ঞানীরা। এর জন্য রাজ্যের বন দফতরের ইতিবাচক মনোভাব প্রশংসনীয়। কেননা, তাঁদের জন্যই রাজ্যের একমাত্র উড ফসিল পার্ক (উদ্ভিদ জীবাশ্ম উদ্যান) গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসী-মাত্রই গর্ব করতে পারেন।

এই তো সেদিন, মাত্র ২০১৬ সালের ঘটনা। সপুষ্পক উদ্ভিদের কাষ্ঠ জীবাশ্ম মেলার পর থেকেই বদলে যায় আমখই গ্রামের গুরুত্ব। যদিও ইলামবাজারের আওতায় এই গ্রাম, তবে প্রান্তিক বা বোলপুর (শান্তিনিকেতন) নেমে সেখান থেকে ঘোরার ক্ষেত্রে সুবিধা রয়েছে। কেননা, থাকা খাওয়ার ব্যাপারটা হল পর্যটন কেন্দ্রের প্রথম শর্ত। সেটা পর্যাপ্ত রয়েছে উপরোক্ত স্থানগুলোতে। সেই সঙ্গে শান্তিনিকেতন-এর প্রকৃতি ভবন দেখা যায় সহজেই। এই জীবাশ্ম উদ্যান আর প্রকৃতি ভবন আসলে একে অপরের পরিপূরক। প্রকৃতি ভবনেই স্থানান্তরিত হয় কিছু উদ্ভিদ জীবাশ্ম। তাঁদের সংগ্রহগুলো শিক্ষিত গাইড ঘুরে ঘুরে দেখায়। যত্ন নিয়ে বোঝায়। যার কথা এই রচনার শুরুতেই আছে।

Wood fossil park2

আমখই উদ্ভিদ জীবাশ্ম উদ্যান স্থাপিত হয় ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে। এখানকার ১০ হেক্টর জমিতে নানান ধরনের গাছের চারা লাগানোর জন্য এটা আরও সৌন্দর্য্য ও বৈচিত্র্য নিয়ে হাজির। জীবাশ্মগুলো সুন্দরভাবে সাজানো— সেগুলো ঘুরে দেখার সময় দর্শনার্থীদের বোঝানোর জন্য গাইড হিসেবে কাজ করেন কর্মীদের কেউ কেউ। গাইড না থাকলেও অসুবিধা নেই। সব কিছুই লিপিবদ্ধ করা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়। বর্ণনার সঙ্গে সংবাদ তুলে ধরা আছে। গবেষণার মাধ্যমে এই জীবাশ্মগুলোর বয়স নির্ধারণ সম্ভব হয়েছে। এখানে এমন অনেক কিছু লেখা আছে যা লিখতে গেলে দীর্ঘ রচনা হয়ে যাবে। তাই এবার অব্যহতি চাইছি।

আমখই জীবাশ্ম উদ্যান দেখতে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে। তবে সবিনয়ে জানাই, আমরা যখন যাই ২০১৮ সাল নাগাদ, কাউন্টারে কোনও কর্মী ছিলেন না। তাই বিনে পয়সায় দেখার সুযোগ মিলেছিল। শান্তিনিকেতনের নেচার আর্ট মিউজিয়াম তথা প্রকৃতি ভবনে অনেক কর্মী সদা ব্যস্ত। ওখানে প্রবেশমূল্য জন প্রতি ২০ টাকা। খোলা থাকে ৯:০০টা থকে বিকেল ৪:০০ টা পর্যন্ত। এটাও সেরকমই কিছু হবে। ওখানে ফসিলগুলোর মধ্যে যেন রাবীন্দ্রিক শৈলী মিলেমিশে রয়েছে, যা দেখতে দেখতে বিস্ময়ের অবধি থাকে না। এখানকার মতো এমন কিছু জীবাশ্ম উদ্যান থেকে বাছাই করা সংগ্রহ। আর আমখই অপেক্ষা করছে অবাছাই যাবতীয় উদ্ভিদ জীবাশ্ম দেখাতে, চেনাতে আর গবেষণা করতে।

Aamkhai Wood fossil park
উড ফসিল পার্ক বা উদ্ভিদ জীবাশ্ম উদ্যান

এখানে ঘোরার জন্য গাড়ি/অটো/টোটো চুক্তিতে। ঘণ্টাখানেক যথেষ্ট চোখের দেখা দেখতে। নেচার আর্ট মিউজিয়ামও তাই। তবে বিশেষ ভাবে ভালবেসে আগ্রহ নিয়ে বা গবেষণার কাজে এলে সময়ের গাছ-পাথর থাকে না। ফসিল হয়ে যেতে পারে সময়টা তখন। উভয় দ্রষ্টব্যর সড়কের সময় দূরত্ব (গাড়িতে) আধা ঘণ্টার সামান্য বেশি। আশপাশের আরও দ্রষ্টব্য দেখা যেতে পারে ৩-৪ দিন অতিরিক্ত রাখলে। যেমন — সোনাঝুরি বা খোয়াইয়ের হাট, বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক, কঙ্কালীতলা, সবুজবন (রসুলপুর), সুরুল রাজবাড়ি, ফুল্লরাপীঠ সহ তারাশঙ্করের জন্মস্থান লাভপুর ইত্যাদি। জয়দেব কেঁদুলি, দুবরাজপুর-এর মামা-ভাগ্না পাহাড়, তিলপাড়া ও মসাঞ্জোর ব্যারেজ, বক্রেশ্বর, সাঁইথিয়া, নলহাটি, তারাপীঠ ইত্যাদি। আর অবশ্যই বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন ।

কীভাবে যাবেন- রেলপথ ও সড়কপথে বোলপুর-শান্তিনিকেতন যাওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে। রেলপথের জন্য প্রচুর মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন হাওড়া/ শিয়ালদহ/ কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়ছে অহরহ। সরাসরি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়াও বর্ধমান স্টেশন নেমে সফর ভেঙে যাওয়া যায়। সড়কপথে বাস/ গাড়ি/ অ্যাপচালিত গাড়ির সুবিধা নেওয়া যায়। ট্রেনে ঘণ্টা ৩-৪ লাগে বোলপুর যেতে।
রাত্রিবাসের জন্য বেছে নিন বোলপুর/ শান্তিনিকেতন/ প্রান্তিক যে কোনও একটা জায়গা।

 

ছবি সৌজন্য: লেখক, Wikimedia Commons

Author Ramesh Das

প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশ‌ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। আপাতত এক কুড়ি গ্রন্থের প্রণেতা। বাংলা গ্রন্থ জগতে ভ্রমণ, রেল, রেল-ভ্রমণ, রহস্য-ভ্রমণ ও অরণ্য-ভ্রমণের ওপরে নজর কেড়েছেন । প্রণীত করেছেন ভ্রমণ কাব্যগ্রন্থও।

Picture of রমেশ দাস

রমেশ দাস

প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশ‌ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। আপাতত এক কুড়ি গ্রন্থের প্রণেতা। বাংলা গ্রন্থ জগতে ভ্রমণ, রেল, রেল-ভ্রমণ, রহস্য-ভ্রমণ ও অরণ্য-ভ্রমণের ওপরে নজর কেড়েছেন । প্রণীত করেছেন ভ্রমণ কাব্যগ্রন্থও।
Picture of রমেশ দাস

রমেশ দাস

প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশ‌ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। আপাতত এক কুড়ি গ্রন্থের প্রণেতা। বাংলা গ্রন্থ জগতে ভ্রমণ, রেল, রেল-ভ্রমণ, রহস্য-ভ্রমণ ও অরণ্য-ভ্রমণের ওপরে নজর কেড়েছেন । প্রণীত করেছেন ভ্রমণ কাব্যগ্রন্থও।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com