(Batasia Loop)
দিনে অন্তত দু’বার বাতাসিয়া লুপের রূপ অবিশ্বাস্য পাল্টে যায়। এ তো একেবারে অজানা। হলুদ গাঁদা এবং গোলাপি কসমস ফুলের মাঝে তখন প্রতিদিনই দেখা যায় দু’টো টয় ট্রেন পরপর দাঁড়িয়ে। মাঝখানে পঞ্চাশ মিটারের ব্যবধান, ওই গোলাকার বৃত্ত আরও স্বর্গীয় দেখায় তখন।
দু’টো টয় ট্রেন ওখানে একসঙ্গে করছে কী? জোড়া ট্রেনের কাকে বেশি ভালোবাসবে বাতাসিয়া? (Batasia Loop)
লাল এবং নীল রঙের পাহাড়ি নারী ও পুরুষের পোশাকে অনেকে ছবি তুলে চলে সকাল থেকে। এখন যেন সংখ্যাটা আরও বেশি, ওই দু’টো ট্রেনকে ঘিরে। দার্জিলিং থেকে দিনে দু’বার প্রায় পরপর দু’টো ডিজেল ইঞ্জিনের ট্রেন ছাড়ায় এমন স্বর্গীয় ছবি দেখা যায়। পরেরটা এসে না পৌঁছলে আগেরটা ছাড়বে না বাতাসিয়া থেকে। ঘনঘন শব্দ করবে শুধু। (Batasia Loop)
আরও পড়ুন: প্রয়াণের এক যুগ পরেও মান্নার প্রেমের গান অমর
মাঝে মাঝেই বাঁদিকের জনমানবহীন দু’টো পাইনবনময় পাহাড় দায়িত্ব নিয়ে মেঘের দল পাঠায় বাতাসিয়ার ওপর। বাতাসিয়া তাতে দমে না। সে যেন জানে, তার চারপাশে শূন্যতা বিশাল। বাতাস খেলে বেড়ায় শুধু। তাই নাম বাতাসিয়া। সে কেন মেঘের দলকে ভয় পেতে যাবে শুধু শুধু?
বিজ্ঞান এবং প্রকৃতি একসঙ্গে যেন দায়িত্ব নিয়েছে বাতাসিয়া লুপের রূপের মাহাত্ম্যকে নতুন করে তুলে ধরার। (Batasia Loop)

বাঙালির প্রাণের দার্জিলিং, তিনটে ডানার উপর ভর করে উড়ে যায় বহুদিন ধরে। কাঞ্চনজঙ্ঘা, ম্যাল এবং এই বাতাসিয়া লুপ। কাঞ্চনজঙ্ঘাকে প্রতিদিন দেখা যায় না। বাতাসিয়াকে যায়। ভোর রাত থেকে মধ্যরাত, যেভাবে প্রকৃতির হাত ধরে নিজে রূপটান দেয় বাতাসিয়া, তা দেখেও আনন্দ। (Batasia Loop)
বাতাসিয়াকে আরও বেশি করে দেখার আকাঙ্খায় তার ঠিক মাথার উপরের একটি হোটেলে আস্তানা গেড়েছিলাম দিন তিনেক। মিনিট পনেরো অন্তরই জানলার সামনে গিয়ে দেখা যাচ্ছিল, বারবার বদলে যাচ্ছে চারদিকের দৃশ্যমালা। শুধু মাঝখানে দাঁড়ানো পাথরের গোর্থা মূর্তিটি স্থির। তিরিশ বছর হল বাতাসিয়ার ঠিক মাঝে তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত গোর্খা সৈনিকদের স্মৃতিতে এই স্তম্ভ। (Batasia Loop)
“লুপের মাঝে রেল লাইনটা ছড়িয়ে রয়েছে ইংরেজি ইউ বা শূন্যর মতো। তার পাশেই, বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে দোকানদাররা বসে। সন্ধ্যে হব হব এই অবস্থায় একদিন দেখি, তাঁরা সব জিনিসপত্র ট্রলির মধ্যে নিয়ে রেললাইন ধরে বাইরে আসছেন। যেন এটাই একটা ট্রেন।”
ঘুম থেকে দার্জিলিং যাতায়াতের জয় রাইডের আটটা ট্রেনের মধ্যে এখন চারবার স্টিম ইঞ্জিন চলে, চারবার ডিজেল। স্টিমের সওয়ারি হওয়ার ভাড়া বেশি, ১৫০০ টাকা। ডিজেলে সেখানে ১০০০ টাকা। স্টিম ইঞ্জিন সেখানে শব্দ করতে করতে বাতাসিয়ায় চক্কর কাটছে, এমন দৃশ্য অভিভূত করে যাচ্ছিল প্রতিবার। স্টিম ইঞ্জিনের ধোঁয়া প্রতিবার মেঘেদের সঙ্গে, কুয়াশার সঙ্গে মিশে যায়। ছোট্ট ব্রিজের তলা দিয়ে যাওয়ার সময়, সেই ছোট্ট ট্রেনের ইঞ্জিনের গর্জন পুরোনো আমলের ছুঁচোল মুখের কানাডিয়ান ইঞ্জিনের শব্দকে মনে করিয়ে দেয়। ইঞ্জিন যেন আরও মজা পেয়েছে বাতাসিয়াকে কাছে পেয়ে। কতদিন ধরে তার সঙ্গে মনের কথা বলে চলা। (Batasia Loop)
ভোর ছ’টায় বাতাসিয়া লুপ দরজা খুলে দেয় হাট করে। আর সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই দেখি, বেশ কিছু লোক ওই ঠান্ডার মাঝে বাতাসিয়া পরিষ্কার করতে নেমে পড়েছে। দার্জিলিংয়ের দিকে একটা জায়গায় দূরবীণ নিয়ে বসে থাকেন জনা পাঁচেক লোক। পর্যটকদের তাঁরা চেনান কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রতিটি শৃঙ্গ, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন মাইলফলক। (Batasia Loop)
আরও পড়ুন: বদলে যাওয়া মানচিত্রে বিস্মিত লালদীঘি!
যতবারই এঁদের দেখি, প্রশ্ন জাগে, কাঞ্চনজঙ্ঘা মেঘে ঢাকা পড়ে গেলে এঁদের রোজগার হয়? কাঞ্চনজঙ্ঘা তো সারা বছরই ঢাকা থাকে। তবে কথা বলে মনে হল, তাঁদের বেশি রোজগার সকালের দিকেই। টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখে অধিকাংশ পর্যটক সাত সকালেই ঢুকে পড়েন বাতাসিয়ায়। (Batasia Loop)
লুপের মাঝে রেল লাইনটা ছড়িয়ে রয়েছে ইংরেজি ইউ বা শূন্যর মতো। তার পাশেই, বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে দোকানদাররা বসে। সন্ধ্যে হব হব এই অবস্থায় একদিন দেখি, তাঁরা সব জিনিসপত্র ট্রলির মধ্যে নিয়ে রেললাইন ধরে বাইরে আসছেন। যেন এটাই একটা ট্রেন। (Batasia Loop)

এবং সকাল সোয়া সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা, বাতাসিয়া লুপ নিজেই, অজান্তে হয়ে ওঠে আর একটি রেলস্টেশন। দার্জিলিং ও ঘুমের মাঝে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের তালিকায় এটাকে স্টেশন বলে রাখা নেই। হলুদ বোর্ডও নেই বাতাসিয়া লেখা। তবু দার্জিলিং থেকে আসা সব ট্রেন এখানে মিনিট দশেক দাঁড়ায়। যাত্রীরা নামেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা জেগে থাকলে তার ছবি তোলেন, ফুলের সঙ্গে ছবি তোলেন, ট্রেনের সঙ্গে ছবি তোলেন। তারপরে ট্রেন চলে যায় ঘুমের দিকে। (Batasia Loop)
মজা হল, আবার ঘুমের দিক থেকে যখন ট্রেন ফিরে আসে, তখন কিন্তু আর থামাথামির ব্যাপার নেই। সোজা দার্জিলিং। সে সময় আর বেশি চেঁচামেচি করে না ইঞ্জিন। আশপাশের বাড়ির লোকেরাও বুঝতে পারে না, নিঃশব্দে ট্রেন কখন বেরিয়ে চলে গেল। (Batasia Loop)
“সর্বোচ্চ স্টেশন ঘুম থেকে দার্জিলিং নামার সময় নামতে হত অনেকটা। প্রায় ১৪০ ফিট। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক করলেন প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরাবেন ট্রেন লাইনকে। যেলাইন দিয়ে ট্রেনটা এসেছে, তার নিচ দিয়ে তাকে নিয়ে যাবেন দার্জিলিং।”
রাত সাতটার সময় যদি উপর থেকে বাতাসিয়ার দিকে তাকানো যায়, দেখা যাবে মেঘ এসে দখলদারি চালানোর চেষ্টা করছে অনেকটাই। যে বিশাল জাতীয় পতাকাটা সৈন্যদের স্মারক স্তম্ভের ওপরে ওড়ে, সেখানে অন্ধকারেই আলো ছড়়ায়। দু’টো ছাউনি রয়েছে বাতাসিয়ার মাঝে। দু’টো ট্রেন এসে দাঁড়ালে দু’টো ছাউনির কাছে দাঁড়ায়। সেখানে দু’টো বড় আলো জ্বলে সারারাত। আরও দুটো বড় আলো জ্বলে দু’টো গেটের কাছে। আর বাকি বাগান ভর্তি অন্তত গোটা পনেরো ছোট ছোট আলো জ্বলতে থাকে সারারাত। (Batasia Loop)
কাঞ্চনজঙ্ঘা নিভে যায় বিকেল হতেই। ম্যালও রাত সাড়ে নটার পর ঘুমিয়ে পড়ে। আলো বুকে নিয়ে মেঘের ভেতরে জেগে থাকে বাতাসিয়া। রাত সোয়া আটটা নাগাদ একটি ট্রেন পুরোপুরি নিঃশব্দে ঘুম থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে চলে যায় বাতাসিয়ায় না থেমে। থামবে কেন? সেখানে কি আর কোনও মানুষজন আছে? (Batasia Loop)

শুধু প্রকৃতির কথাই বলে যাব, লুপের বুকের কাছে নেমে আসা দার্জিলিংয়ের সাতটি অত্যাশ্চর্য পাহাড়ি ঢালের কথা বলে যাব, সে তো হয় না! ১০৬ বছর হয়ে গেল বাতাসিয়া লুপের। ইঞ্জিনিয়ারিং গরিমাতেও সে এখনও সমান উজ্জ্বল। তার পিছনের বিজ্ঞানও শুনিয়ে রাখা উচিত। (Batasia Loop)
আরও পড়ুন:উত্তর কেন দেশের সব রাজ্যই বঞ্চিত, উত্তর নেই
সর্বোচ্চ স্টেশন ঘুম থেকে দার্জিলিং নামার সময় নামতে হত অনেকটা। প্রায় ১৪০ ফিট। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক করলেন প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরাবেন ট্রেন লাইনকে। যে লাইন দিয়ে ট্রেনটা এসেছে, তার নিচ দিয়ে তাকে নিয়ে যাবেন দার্জিলিং। টানেল বানিয়ে। অনেক মসৃণ ভাবে ট্রেনটা যেতে পারবে তাহলে। (Batasia Loop)
বাতাসিয়া লুপ তৈরির কথা বললে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের আরও দুটি লুপের কথা বলতেই হবে। অসম্ভব খাড়া জায়গা জয় করার জন্য যা বানানো হয়েছিল এই লাইনে। তিনধারিয়া ও গয়াবাড়ির মাঝে সিঙ্গল লুপের অ্যাগনি পয়েন্ট। চুনাভাট্টি আর তিনধারিয়ার মাঝে চুনাভাট্টির ডাবল লুপ। ওই দুটো লুপের ভাবনা থেকেই তৈরি বাতাসিয়া। (Batasia Loop)
“কলকাতার জিলেন্ডার্স আরবুথনট ম্যানেজিং এজেন্ট ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রেলের খরচ এবং আইন সংক্রান্ত সমস্যা দেখার জন্য। গ্লাসগোর শার্প স্টুয়ার্ট অ্যান্ড কোম্পানি তৈরি করেছিল স্টিম ইঞ্জিন।”
প্রথম দুটো ক্ষেত্রে জিগজ্যাগ থিওরি কাজে লাগানো টয় ট্রেনের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। অনেক গল্প ঘুরে বেড়ায় ওই থিওরি নিয়ে। নানারকম রং লাগানো সেই গল্পে। এত উঁচুতে ওঠার অঙ্ক যখন মেলাতে না পেরে, হিমসিম খাচ্ছেন দায়িত্বে থাকা সাহেব, তথন তাঁর স্ত্রীর কথায় নাকি তিনি অঙ্ক খুঁজে পেয়েছিলেন। বল ডান্সে নাচতে নাচতে স্বামীকে স্ত্রী বলেছিলেন, ‘কখনও কখনও এগোতে না পারলে পিছিয়ে যেতে হয়।’ সেই কথা থেকেই নাকি দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনে জিগজ্যাগ প্রথার শুরু। তবে এই কথাটা কাজে লাগিয়ে কে যে কাজটা করলেন, তা নিয়েই নানা মত রয়েছে দেখলাম। (Batasia Loop)
বহু মানুষের শ্রম, ঘাম ও রক্ত মিশে রয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল তৈরির পেছনে। কয়েকটা উল্লেখযোগ্য নাম লেখাই যায়। ফ্র্যাঙ্কলিন প্রেসটেজ ছিলেন ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলের এজেন্ট। তাঁরই সবচেয়ে আগ্রহ ছিল এই ট্রেন তৈরির পেছনে। ১৮৭৮ সালে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বলা যায় প্রধান চালিকা শক্তি। (Batasia Loop)

অতঃপর লিখতে হবে হার্ভার্ট রামি আর টমাস মিচেলের কথা। প্রকল্প তৈরিতে এঁদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। লেফটেন্যান্ট নেপিয়ার ১৮৩৯ সালে হিলকার্ট রোড তৈরির ব্যাপারে বড় ভূমিকা নেন। ওই রাস্তাকে অবলম্বন করে কিন্তু টয় ট্রেনের লাইন উঠেছে। কৃতিত্ব প্রাপ্য নেপিয়ারেরও। (Batasia Loop)
কলকাতার জিলেন্ডার্স আরবুথনট ম্যানেজিং এজেন্ট ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রেলের খরচ এবং আইন সংক্রান্ত সমস্যা দেখার জন্য। গ্লাসগোর শার্প স্টুয়ার্ট অ্যান্ড কোম্পানি তৈরি করেছিল স্টিম ইঞ্জিন। আঁকাবাঁকা চড়াই উতরাই পথে যাদের সমস্যা হবে না। বাতাসিয়া লুপ তৈরির পিছনে এঁদের নাম রাখতেই হবে। সারা দিনে দু’টোর বেশি ট্রেন চলে না বলে অনেকটা আড়ালে চলে গিয়েছে তিনধারিয়ার আগে ও পরের দুটো লুপ। বাতাসিয়া কিন্তু স্বমহিমায়। (Batasia Loop)
আরও পড়ুন: বাংলার মৃত পুজোর গান ও এক অসমিয়া গায়কের মায়াজাল
এই ধরনের লুপ এখন কতগুলো রয়েছে বিশ্বের ট্রেনগুলোতে? ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে দেখলাম, বেশি নেই। ইতালির সিসিলি, ফ্রান্সের আর্নো, আমেরিকার টেহাচাপি (Tehachapi Loop) (ক্যালিফোর্নিয়া), হিওয়াসি (Hiwassee Loop) (টেনিসি) আর শিকাগো (ইলিনয়)তে এলিভেটেড রেল আছে, কিন্তু টেহাচাপির মতন লুপ নেই। তাছাড়া আরও যেকটা আছে, তার মধ্যে White Mountain (নিউ হ্যাম্পশায়ার) কগ রেলওয়ে, ঠিক লুপ না হলেও প্রায় ৩৬০০ ফুট উপরে ওঠে। শ্রীলঙ্কার ডেমোডারা, চিনে চংগিং, জাপানের ইয়ামানোতি… এই কয়েকটা লুপ লাইন দেখতে লোকে ছোটে। ভারতে তো আর এমন লুপ লাইন নেই যে আপনাকে মাঝখানে রেখে ইংরেজি ও বা ইউয়ের মতো চক্কর কেটে বেরিয়ে যাবে। (Batasia Loop)
শতাব্দী পেরোনো বাতাসিয়া লুপের এখন এমন শক্তি যে নিজের উদ্যোগে চুম্বকের মতো মানুষকে টেনে নিতে পারে। তার মাঝে ফুটে ওঠে ফুল, উড়তে থাকে প্রজাপতি-ফড়িংয়ের দল। নারী পুরুষ এসে লাল-নীল পোশাক পরে শিশুর মতো হয়ে ওঠে। আর তখনই হয়তো দার্জিলিং থেকে ঘুম যাওয়ার পথে টয় ট্রেনের স্টিম ইঞ্জিনটি থেমেছে। মাঝে মাঝে ধোঁয়া ছাড়ছে। মাঝে মাঝে তীব্র হুইসল। এই বুঝি বাড়ির বারান্দার পাশ দিয়ে, বসার ঘরের পাশ দিয়ে, পাইনের জঙ্গলের মাঝে সে মিলিয়ে যাবে। তার গর্জন পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনি হবে। আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবে বাতাসিয়া লুপের কাছে। আসতেই হবে। (Batasia Loop)
ছবি ঋণ: লেখক
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
বিশিষ্ট সাংবাদিক। এই সময় সংবাদপত্রের প্রাক্তন সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক। উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সম্পাদক। আনন্দবাজার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে কভার করেছেন একাধিক বিশ্বকাপ ফুটবল ও অলিম্পিক গেমস। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, খেলা, গান, সিনেমা, ভ্রমণ, খাবারদাবার, মুক্তগদ্য— বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে ভালবাসেন।
