(Performance Hall)
প্রতিটি সন্ধ্যায় এখন বাংলার প্রতিটি নাটমন্দিরের ছবি পাল্টে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। এতদিন, এতগুলো মাস বড় একা ছিল তারা। গোধূলি নামলেই গ্রাস করত অশেষ শূন্যতা। আজ আবার তাদের সবার চেহারায় বিষণ্ণতা মুছে জেগে উঠেছে আলো। আবার সবাই সেই নাটমন্দিরে উঁকি দিচ্ছে। কিশোরী থেকে প্রবীণ। (Performance Hall)
নাটমন্দিরের একদিকে পড়ে আছে মাটির স্তূপ। কালো সে মাটি। ভিজে মাটি লাগানো হচ্ছে খড়ের কাঠামোর গায়ে। কাঠামোটি আস্তে আস্তে পাল্টে যাচ্ছে পৃথিবীর মতো, আকাশের মতো, শহরের রাস্তার মতো। সবাই জানে, দিন সাতেক পরেই খড়-কাদার অবয়বটির দিকে তাকিয়ে থাকবে হাজার হাজার মানুষ। (Performance Hall)
পৃথিবীতে ফুল ফোটে মানুষের চোখের আড়ালে। এইভাবে মূর্তি তৈরি হয়ে ওঠে সবার সামনে। এই নাটমন্দিরেই।
নাটমন্দির আর ঠাকুরদালান কি এক, নাকি দুটো আলাদা? যেখানে চোখের সামনে তিল তিল করে বড় হয়ে ওঠে প্রাণের প্রতিমা। (Performance Hall)

এর উত্তর কখনও হ্যাঁ, কখনও না। শোভাবাজার রাজবাড়ির বড়তরফের কথা ধরলে দুটো জায়গা সম্পূর্ণ আলাদা। ঠাকুরদালানেই সেখানে তৈরি হয় প্রতিমা, পুজোর যাবতীয় আবহ ওই ঠাকুরদালানকে ঘিরেই। নাটমন্দির সাধারণের বিয়ের জন্যও ভাড়া মেলে, তবে ঠাকুরদালান পরিবারের নিজস্ব। (Performance Hall)
উত্তর কলকাতা দিয়ে এখন হাঁটলে যে কোনও সময় ঠাকুর দেখার ছলে ঢুকে পড়া যায় অনেক পুরোনো বাড়িগুলোতে। যেখানে পুজো হয়ে থাকে। এই বাড়িগুলোর ভিতরে চোখ রাখলে অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে ধারণাটা। পুজোর ভিড়ে এসব খুঁটিয়ে দেখা তো কঠিন। এখন এই পুজোর মুখে এটা সম্ভব। (Performance Hall)
“বাংলার বহু জমিদারবাড়িতে এভাবেই নাটমন্দির এবং ঠাকুরদালান একাকার হয়ে যায়। বহু যুগ আগে যে উদ্দেশে নাটমন্দির তৈরি হয়েছিল, সেই যাত্রা-নাচ-গানের পালা তো সাঙ্গ হয়ে গিয়েছে কবেই। বেঁচে আছে উমা।”
চোরবাগানের চ্যাটার্জি বাড়িতে যেমন দুটোর অস্তিত্ব আলাদা বোঝা যায়। শীল বাড়িতে আবার দুটো একাকার। শিবকৃষ্ণ দাঁয়ের বাড়ির ঠাকুরদালানই নাটমন্দিরের মতো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে গেলে আবার যে কোনও লোকের ধারণা হতে বাধ্য, নাটমন্দিরের ধারণাই তো একেবারে আলাদা! (Performance Hall)
পুরোনো কলকাতা নিয়ে বহু দিন ধরে লেখালেখি করেন গৌতম বসুমল্লিক। তিনিও বলছিলেন, কী ভাবে মহানগরীতে সম্পূর্ণ আলাদা হয়েও এক হয়ে গিয়েছে অনেক পুরোনো বাড়ির নাটমন্দির ও ঠাকুরদালান। আপনার চোখে কলকাতার পুরোনো বাড়িগুলোর সেরা নাটমন্দির কোনটা? গৌতম সবার আগে দুটো নাম করলেন। সেন্ট্রাল এভিনিউয়ে কলুটোলার কাছে বদন রায়ের পরিবারের নাটমন্দির। রাজবল্লভ পাড়ার কাছে গোকুল মিত্রের পরিবারের নাটমন্দির। (Performance Hall)

কলেজ স্কোয়ারের কাছে পটলডাঙার বসুমল্লিক বাড়ির ছেলে গৌতম। তাঁদের বাড়িতেই দুর্গাপুজো হচ্ছে ১৯৫ বছর ধরে। গৌতমদের বাড়িও ওই স্টাইলে গড়া। মাঝে উঠোন। একদিকে ঠাকুর দালান। এবং মাঝের আয়তক্ষেত্রকার বা বর্গাকার উঠোনটাই নাটমন্দির হয়ে উঠেছে। বর্ধমান বা বীরভূমে শান্তিনিকেতনের চারদিকে যে জমিদার বাড়িগুলো রয়েছে, সেসবও অধিকাংশ একইরকম ধারণায় তৈরি। পুজোর সময় সব নতুন করে জেগে ওঠে প্রবাসী আত্মীয়দের আনাগোনায়। (Performance Hall)
বাংলার বহু জমিদারবাড়িতে এভাবেই নাটমন্দির এবং ঠাকুরদালান একাকার হয়ে যায়। বহু যুগ আগে যে উদ্দেশে নাটমন্দির তৈরি হয়েছিল, সেই যাত্রা-নাচ-গানের পালা তো সাঙ্গ হয়ে গিয়েছে কবেই। বেঁচে আছে উমা। আলোরব বেনুরা আজও বেজে ওঠে বলে উমার মৃত্যু নেই। নাটমন্দিরেরও। (Performance Hall)
“আজকের বিদ্বেষের বাংলাদেশে গাইবান্ধার মতো অনেক জায়গাতেই মাটির প্রতিমা ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গতবারের থেকেও পুজো কমবে। শূন্যই থেেথেকেক যাবে অধিকাংশ নাটমন্দির।”
বাংলার বহু পরিচিত পেশায় আজ আর আগের মতো গুণী লোকেরা নেই। পরবর্তী প্রজন্ম আর বাপ-দাদাদের পেশায় যায় না অনেক জায়গাতেই। সময় দিতে হয় প্রচুর, তুলনায় রোজগার কম। তবে যে করেই হোক, দেবীমূর্তি বানানোর কারিগররা হয়তো থেকে যাবেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম। (Performance Hall)
কলকাতা শহরে উত্তরের পুরোনো বহুচর্চিত বাড়িগুলো বাদ দিলে, দক্ষিণে নাটমন্দির পাওয়া কঠিন। তবে বাংলার মফসসল শহরগুলোর রাস্তাঘাটে হঠাৎই যেন জেগে উঠেছে এমন অনেক নাটমন্দির। কলকাতার মতো চতুষ্কোণ নয়, ঠাকুরদালানই সাজানো হচ্ছে নাটমন্দিরের মতো। রাস্তায় যেতে যেতে দেখবেন, অনেক ক্লাবেই এখন নাটমন্দির স্টাইলে স্থায়ী পুজো মণ্ডপ বানিয়ে ফেলা হয়েছেয়েেছ। আগে জায়গাগুলোকে বলা হত, শুধু পুজোমণ্ডপ—– আমাদের পাড়ার পুজোমণ্ডপ। পুজো না থাকলে কোেকাথাও কোথাও হয়তো প্রতি সন্ধ্যান্ধ্যেয় প্রদীপ জ্বালিয়ে যেতেন পাশের বাড়ির মা-কাকিমারা। এখন আলোর বন্যায় সম্পূর্ণ ম্লান সেই সব প্রদীপের আলো। যেন দরকার নেই প্রদীপের। (Performance Hall)

ইদানীং এই বঙ্গে রাজ্য সরকার যে পুজো অনুদান শুরু করেছে, তা থেকে টাকা বাঁচিয়ে অনেক পাড়ার ক্লাব বানিয়ে ফেলেছে সাদা রঙের নাটমন্দির। সেখানেই গনেশ পুজো, সেখানেই রামনবমী। সেখানেই দুর্গাপুজো, সেখানেই কালী বা সরস্বতীর আরাধনা। অবশ্যই শহরগুলোতে ঘুরলে দেখা যায় কিছু নাটমন্দিরে অবাঙালিয়ানার ছাপ, কিছু মন্দির ধরে রেখেছে বাঙালি সংস্কৃতি। (Performance Hall)
বাংলাদেশের অজস্র গ্রামে এভাবেই পড়ে নাটমন্দির, ঠাকুরদালান। দেশভাগের অসংখ্য ঠাকুরদালান ফেলে এ বাংলায় ফিরে এসেছেন বহু মানুষ। তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জীর্ণ, দীর্ণ। কিছু এখনও কোনওমতে জেগে। অধিকাংশ জায়গাতেই পুজো আর হয় না স্বাভাবিক কারণেই। অর্থই নেই উত্তরসূরিদের। আজকের বিদ্বেষের বাংলাদেশে গাইবান্ধার মতো অনেক জায়গাতেই মাটির প্রতিমা ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গতবারের থেকেও পুজো কমবে। শূন্যই থেেথেকেক যাবে অধিকাংশ নাটমন্দির। (Performance Hall)
আরও পড়ুন: গান যখন পথের, পথ যখন গানের
ওপার বাংলায় জমিদারবাড়ির খোঁজ নিলে দেখা যায়, জেলা ধরে ধরে প্রচুর জমিদারবাড়ির অস্তিত্ব রয়েছে আজও। অন্তত সামগ্রিক হিসেব একটা আছে। বরং এই বাংলার মোট জমিদারবাড়িরই হিসেব পাবেন না সেভাবে। বাংলাদেশের সেই জমিদারবাড়িগুলো আজ যথারীতি হাতবদলের পর পাল্টে গিিগয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে বহু নাটমন্দির। (Performance Hall)
এসব যন্ত্রণার মধ্যে বাংলাদেশি সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে স্বস্তির একটা তথ্য পেলাম। ঢাকার ঢাকেশ্বরী ও সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের ঠাকুরদালানে শুরু হয়েছে দুর্গা মূর্তি তৈরির কাজ। পুরান ঢাকার শাঁখারিপট্টির মতো পরিচিত পাড়ার পুজোয় প্যাণ্ডেন্ডেলের জন্য বাঁশও পড়েছে পথে। সেখানে পুজো নিয়ে সমস্যা নেই আপাত দৃষ্টিতে। (Performance Hall)
এখন সেই সময়, যখন ভোরবেলা ট্রেন ধরে যেতে যেতে চোখ চলে যায় নয়ানজুলি এবং রেললাইনের ধারের ক্ষেতে। রেল এখন দখলদারি রুখতে লোহা বা সিমেন্টের প্রাচীর দিয়ে ফেলেছে অধিকাংশ জায়গায়। ওই প্রাচীরের ওপারে সবুজ ধানে ভরে গিয়েছে ক্ষেত। সেখানে দূর থেকে দূরে কোথাও স্ত্রী-পুরুষ রংবেরংয়ের পোশাকে ধানের ক্ষেতে কাজ করছে। সামান্য দূরেই হয়তো বসেছে বকের দল। সবুজ আবহে মানুষের সাদা পোশাক কোথাও বকের রংয়ের সঙ্গে এক হয়ে গিয়েছে। মানুষকে বকের মতো দেখাচ্ছে সেখানে, বকের দলকে মানুষের মতো। (Performance Hall)
“‘শরতে আজ কোন্ অতিথি এল প্রাণের দ্বারে, আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে!’ লেখা মানুষটিও তাঁর ‘সুয়োরাণীর সাধ’ গল্পে লিখে গিয়েছেন, ‘তারপর দুয়োরাণীর কথা আমার মনেই রইল না। তারপরে একদিন দোেদালযাত্রা।”
এই তো এসেছেেছ শরৎ!
হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন দিয়ে শান্তিনিকেতনের দিকে গেলে এখন দুটো স্টেশনে নেমে পড়তে ইচ্ছে করে। ধনেখালির পরের স্টেশন শিবাইচণ্ডী। গুসকরার দুটো স্টেশন আগের বনপাস। দুটো স্টেশনের গায়েই জলাভূমিতে মাথা চাড়া দিয়েছে অজস্র পদ্মফুল। নয়ানজুলি হয়ে উঠেছে পদ্মদীঘি। (Performance Hall)
ট্রেন চলে যায়, পদ্মের ওপর ভ্রমরের দলের খেলা চলতে থাকে। চলতেই থাকেক। দুটো স্টেশন থেকে হাঁটা লাগালে কোনও দিকে কোথাওেকাথাও না কোথাও এমন নাটমন্দিরওয়ালা বাড়ি মিলবেই। পুজো আসছে তোেতা, গ্রামীণ সেই বাড়িগুলো আবার যেন জেগে উঠেছে। কত পুরোনো মুখের সঙ্গে আবার দেখা হবে। (Performance Hall)

এই তো এসেছে শরৎ!
‘শরতে আজ কোন্ অতিথি এল প্রাণের দ্বারে, আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে!’ লেখা মানুষটিও তাঁর ‘সুয়োরাণীর সাধ’ গল্পে লিখে গিয়েছেন, ‘তারপর দুয়োরাণীর কথা আমার মনেই রইল না। তারপরে একদিন দোেদালযাত্রা। নাটমন্দিরে যাচ্ছিচ্চি ময়ূরপংখী চড়ে। আগে লোক, পিছে লস্কর। ডাইনে বাজে বাঁশি, বাঁয়ে বাজে মৃদঙ্গ।’ (Performance Hall)
“জমিদারবাড়ির নাটমন্দিরের রং পুরোনো হতে থাকে, পাশের চাঁপা গাছে গন্ধ ছড়ায়। তার মাঝেই চলে অপেক্ষা। অপেক্ষা? এতো শুধু মানুষের নয়। ইঁট-কাঠ-পাথরেরও।”
সেই নাটমন্দির রবি ঠাকুেরেরর গল্পেও! পুজোর আগে আগে নুতন রবির, নতুন আলোর দিনে সেও নিশ্চয়ই জেগে উঠত।
আর পুজো শেষ হলে?
গতবছর একাদশীর দিন ঘুরতে গিয়েছিলাম বীরভূমের অবিনাশপুর গ্রামে। শান্তিনিকেতন আর সিউড়ির মাঝে। বিশাল জমিদার বাড়ি খাঁখাঁ। ওই রকমই আয়তাতাক্ষেত্রাকার বাড়ি। মাঝখানে বিশাল উঠোন। সেখানে দুটো গাছ উপচে পড়ছে বোগেনভিলিয়া ফুলে। সাদা এবং লাল। ফুলেরা থেকে গিয়েছে, মানুষেরা আর নেই। একটা দিকে প্রতিমা রাখা হয়েছিল। বিজয়া দশমীতেই বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। তার পাশে সাদা কাপড়ে মোড়া চেয়ারের ওপরে রাখা আছে পূর্বপুরুষদের ছবি। যাঁরা ছিলেন, আজ আর নেই। একদা যাঁরা এই নাটমন্দির ও ঠাকুরদালানে দাপিয়ে বেড়াতেন পুজোর সময়। (Performance Hall)

বিশাল জমিদারবাড়ির এক- কোণে কেয়ারটেকার বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। আর কেউ নেই। পুজো শেষ, ছুটিও শেষ। সবাই ফিরে গিয়েছেন যে যাঁর বর্তমান বাড়িতে। কেউ কলকাতায়, কেউ বিদেশে। কেউ পুজোয় প্রতিবার আসতে পারেন, কেউ আসতে পারেন না। (Performance Hall)
ওই বিশাল বাড়ি, ওই বিশাল নাটমন্দির, ওই ঠাকুরদালান একা জেগে থাকে অন্ধকারে। আবার এক বছরের জন্য। এ অপেক্ষা, এ মন খারাপ যে কীরকম, তা লিখে বোঝানো যায় না। চাঁদের আলোয় ধুয়ে যেতে যেতে মন খারাপ করে বাড়ির লোকগুলোর জন্য। শুক্লপক্ষে একরকম ভাবনা, কৃষ্ণপক্ষের ঘোর অন্ধকারে অন্যরকম। ওই জনশূন্য নাটমন্দিরও হয়তো স্বপ্ন দেখে পরের পুজোর জন্য। সেবার কে আসবে, কে আসতে পারবে না, তা ঠিক নেই। কেউ হয়তো গতবার এসেছিল, এখন আর পৃথিবীতেই নেই। (Performance Hall)
আরও পড়ুন: ব্যবসা বাণিজ্যের ভারত বনাম ইন্ডিয়া
জমিদারবাড়ির নাটমন্দিরের রং পুরোনো হতে থাকে, পাশের চাঁপা গাছে গন্ধ ছড়ায়। তার মাঝেই চলে অপেক্ষা। অপেক্ষা? এ এতো শুধু মানুষের নয়। ইঁট-কাঠ-পাথরেরও। (Performance Hall)
আবার চলে এল নাটমন্দির-ঠাকুরদালানের সেই আলোকময় স্বপ্নের দিনগুলো!
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ছবি সৌজন্য: লেখক
বিশিষ্ট সাংবাদিক। এই সময় সংবাদপত্রের প্রাক্তন সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক। উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সম্পাদক। আনন্দবাজার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে কভার করেছেন একাধিক বিশ্বকাপ ফুটবল ও অলিম্পিক গেমস। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, খেলা, গান, সিনেমা, ভ্রমণ, খাবারদাবার, মুক্তগদ্য— বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে ভালবাসেন।