বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসের দিকে নজর করলে দেখব, রুপোলি পর্দায় যখনই পশুপাখিদের ব্যবহার করা হয়েছে তখনই সেসব ছবি ঘিরে আলাদা একটা আকর্ষণ তৈরি হয়েছে আবালবৃদ্ধবনিতার মধ্যে।
নায়ক নায়িকা বা চরিত্রাভিনেতারা ছাড়াও অনেক সময় এই পোষ্যরা (Pet) মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্রে। পশুপাখিরা যখন ছবির লিড ক্যারেক্টার হয়ে ওঠে এবং তাদের ঘিরেই যখন চলচ্চিত্র তৈরি হয়, তখন সেই চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে আট থেকে আশি সবার প্রিয়। আবার অনেক ছবিতে পোষ্যরা প্রধান চরিত্র না হলেও গল্পে তাঁদের ভূমিকা হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে প্রথমেই মনে পড়ছে নিউ থিয়েটার্সের প্রযোজনায় ১৯৩৭ সালের কালজয়ী ছবি ‘মুক্তি’-র কথা। প্রমথেশ বড়ুয়া পরিচালিত ‘মুক্তি’ ,কানন দেবী-প্রমথেশ বড়ুয়া জুটির লেজেন্ডারি ছবি। প্রমথেশকে বলা হত প্রিন্স বড়ুয়া। তিনি ছিলেন আসামের গৌরীপুরের জমিদার। গৌরীপুরে তাঁদের নিজস্ব হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া থাকত। ‘মুক্তি’ ছবিতে এরকমই এক দৃশ্যে তাঁর গৌরীপুরের নিজস্ব পোষ্য হাতিকে দিয়ে অভিনয় করান প্রমথেশ। মুক্তির পোস্টারেও ছিল হাতিটির ছবি। প্রমথেশের সঙ্গে সেই হাতির অনেকগুলো দৃশ্য ছিল। যেমন হাতি চড়ে তিনি শিকারে গেছেন, জঙ্গলে ঘুমোনোর সময় বড়ুয়া সাহেব হাতিটিকে বলছেন তাঁকে পাহারা দিতে। অনেক সংলাপ ছিল হাতির সঙ্গে তাঁর। তবে সবচেয়ে মনে রাখার মতো সংলাপ যেটি সেটি হল, হাতিটি যখন বিরোধীপক্ষের গুলিতে নিহত হচ্ছে তখন প্রমথেশ হাতিটিকে বলছেন “মরলি মরলি কিন্তু মেরে মরতে পারলি না?”

বাংলা চলচ্চিত্রে পোষ্যরা লিড রোল করেছে যেক’টি ছবিতে তার অন্যতম হল অগ্রদূত গোষ্ঠীর ছবি ‘বাদশা’। কত বিখ্যাত গান বাদশাতে— ‘লাল ঝুঁটি কাকাতুয়া’, ‘শোন শোন মজার কথা ভাই’, ‘প্যারিলালের খেলা দেখে যা’। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে ‘বাদশা’র সব কটি গান আজও সবার মুখে মুখে ফেরে। হেমন্ত-কন্যা রানু মুখোপাধ্যায় তখন শিশুশিল্পী গায়িকা। হেমন্ত রাণুকে দিয়ে গাওয়ালেন ‘লাল ঝুঁটি কাকাতুয়া’। যে গান আজীবন বাচ্চাদের জাতীয় সংগীত হয়ে গেল। কুকুর, বাঁদর, ছাগল ছিল এই ছবিতে প্রধান ভূমিকায়। এছাড়াও মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন কালী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিশুশিল্পী মাস্টার শঙ্কর। এই শঙ্কর আজ অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর ঘোষ। তিনি জানালেন কীভাবে এই বাঁদর, কুকুর, ছাগলদের পোষ মানিয়ে অভিনয় করানো হয়েছিল আর কী কী মজাদার বিপত্তি হয়েছিল শুটিং ফ্লোরে।

শঙ্কর ঘোষ জানালেন—
“শ্যুটিংয়ে কুকুরটাকে আনা হয়েছিল চণ্ডীবাবু বলে একজন লোক লালবাজারে কুকুর সাপ্লাই করতেন তাঁর থেকে। ছাগল আর বাঁদরটা যারা রাস্তায় খেলা দেখায় তাঁদের, ছমাসের জন্য রাখা হয়েছিল স্টুডিওর মধ্যে। আমি একদিন বাঁদরটাকে ‘এই বাঁদর কলা খাবি’ বলে খুব উত্যক্ত করেছিলাম। আর বাঁদর দিল আমার গালে কামড়ে। দরদর করে রক্ত। কালী ব্যানার্জি, অগ্রদূতের বিভূতি লাহা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। সে যাত্রায় বাড়ি ফিরলাম। চোদ্দদিন চোদ্দটা ইঞ্জেকশান। আমি সুস্থ হলে আবার বাদশার শ্যুটিং শুরু হল। কথাটা যেটা, কালী ব্যানার্জি নিজের সব ডেট ক্যানসেল করলেন শুধু আমার জন্য। আমি সুস্থ হতে আবার কাজ হল।”
একসময় কলকাতা দূরদর্শনে গরমের ছুটি আর পুজোর ছুটিতে ‘ছুটি ছুটি’ অনুষ্ঠান হত। সেখানে ‘বাদশা’ ছবি একেবারে ধরাবাঁধা ছিল। এ ছবির গান আজীবন সম্পদ হয়ে থাকবে।
বাংলা ছবির নানা গানে পোষ্য পাখিদের মুখ্য-ভূমিকায় দেখা গেছে। পুরনো গেরস্ত বাড়ির ছাদে আগে থাকতই পায়রার বাস। অনেকে তো শখ করে লোটন, গেরোবাজ, মুক্ষ্মী, লক্কা— নানান জাতের পায়রা পুষত। সেসব পায়রাদের নিয়ে ‘মায়ামৃগ’ ছবিতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান ‘ও বক বকম বকম পায়রা’, সন্ধ্যা রায়ের লিপে কালজয়ী হিট। ‘মায়ামৃগ’-তে উত্তমকুমারের লিপেও পায়রাদের নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গেয়েছিলেন দুর্দান্ত একখানি গান ‘শোন শোন গেরোবাজ, খোপ থেকে বেরো আজ, আকাশটা পেরো আজ, যা রে যা,উড়ে যা।’
অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘ধন্যি মেয়ে’ ছবিতে পাই বৌ কথা কও পাখির নাম। বাংলায় এককালে এই বৌ কথা কও পাখির দেখা মিলত, যা আজ প্রায় লুপ্ত। মনে পড়ে আরতি মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত গান জয়া ভাদুড়ির লিপে
‘বউ কথা কও, কইব না, আমি কি বউ যে কথা কইব, যা পালা!
যা যা বেহায়া পাখি যানা অন্য কোথা যা না
কেউ করেনি মানা অন্য কোথা যা না…’
অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের নাম আসতেই মনে পড়ল তাঁরই পরিচালিত দুটি ছবির কথা। যেখানে পোষ্যরাই হল কেন্দ্রীয় চরিত্র। ‘নন্দন’ ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৯ সালে। একটি বাঁদরকে কেন্দ্র করে গল্প, যার নাম ‘নন্দন’। অভিজাত পরিবারের গল্প, যার কর্তা-গিন্নি ঘুরতে গিয়ে একটি মাতৃহারা বানর শাবক খুঁজে পায়। শাবকটিকে তাঁরা বাড়ি এনে সন্তান স্নেহে মানুষ করে। নাম রাখে নন্দন। নন্দন বাঁদরটিও তাঁদেরকে নিজের মা-বাবার মতো ভালবেসে ফেলে। কে বলবে নন্দন বানর! তার কাজকর্ম সব মনুষ্য সন্তানের মতো। এই কর্তাকে ঠকিয়ে তাঁর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করে তাঁর ম্যানেজার। শুধু তাই নয়, মালিককে পাহাড়ের খাদে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে চায় সেই ম্যানেজার। স্ত্রী, বোন, শিশুপুত্র আর নন্দন একেবারেই অনাথ হয়ে পড়ে। ঘটনাক্রমে হঠাৎ একদিন নন্দন রাস্তায় খুঁজে বার করে এক ভবঘুরে স্মৃতিভ্রষ্ট পাগলকে। নন্দন যে সত্যিকারের ছেলে ছিল তা প্রমাণ হয়। কারণ সেই ভবঘুরে লোকটিই ছিলেন সেই বাড়ির কর্তা।
অসীমকুমার, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, তনুশ্রীশঙ্কর ও বাঁদর সাবিত্রীকুমার অভিনীত এই ছবি। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কথায় “বাবা মাদ্রাজের জেমিনি গ্রুপ থেকে এই বাঁদরটিকে কলকাতায় ভাড়া করে এনেছিলেন। তবে একটি বাঁদর নয়, সাথে আরও দুটি বাঁদর আনতে হয়েছিল। কারণ একটা বাঁদর একা থাকতে পারে না। তার বন্ধু হিসেবে আরও দুটো বাঁদরকে আনা হয়েছিল। যখন সাবিত্রীকুমার বাঁদরটা অভিনয় করত তখন আর দুটো বাঁদর দেখত। ওঁদের সঙ্গে ট্রেনার এসেছিলেন। ট্রেনারকে আগে ছবির চিত্রনাট্য বলে দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী বাঁদরটা কাজ করত। নন্দন ছবিটা বেশ ভাল চলেছিল।
এরপর ১৯৭৭ সালে রিলিজ করে বাবার ‘মন্ত্রমুগ্ধ’ ছবিটি। এখানে অ্যালসেশিয়ান কুকুর ছিল। বাবার ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শ্যামলবাবু এই ট্রেনড কুকুরটি নিয়ে এসেছিলেন। কুকুরের সঙ্গে ট্রেনার এসেছিল।
মন্ত্রমুগ্ধতে অভিনয় করার কথা ছিল উত্তমকুমারের। তিনি ডেট দিতে না পারায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নেওয়া হয়।”

শুভঙ্করী দাপুটে গিন্নি, ভূমিকায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, যে চায় তার স্বামী (সৌমিত্র) তার কথায় ওঠবোস করুক। এদিকে এক সাহেব তাঁর পোষ্য অ্যালসেশিয়ানকে একটা ভালো পরিবারে গচ্ছিত রেখে কদিনের জন্য রাজস্থান ভ্রমণে যাবেন। সৌমিত্রর কাছে সেই কুকুর এনে হাজির করলেন রবি ঘোষ। সৌমিত্রর বন্ধু উৎপল দত্ত, যার দলে সৌমিত্র নাটক করেন। কিন্তু স্ত্রী শুভঙ্করী চায় না স্বামী সৌমিত্র নাটক করুক। উৎপল দত্ত বুদ্ধি আঁটলেন। উৎপল সাধু বেশে এসে শুভঙ্করীকে বলেন মন্ত্রবলে দশদিন তাঁর স্বামী কুকুর হয়ে যাবে। আবার মন্ত্র পড়লে কুকুর তাঁর স্বামী হবে। এই সুযোগে অ্যালসেশিয়ানকে সাবিত্রী শুভঙ্করীর সংসারে রেখে তাঁর স্বামী সৌমিত্রকে দিয়ে নাটকের শো করান উৎপল। এদিকে সাবিত্রী কুকুরকে স্বামীর মর্যাদায় যত্ন করে এলাহি আয়োজনে রোজ খাবার ব্যবস্থা করে। শেষ অবধি কুকুর আর মানুষ হয় না। ভুল ভাঙে শুভঙ্করীর। শেষমেশ সৌমিত্র ফিরে এলে সে বলে আর কোনোদিন সে স্বামীর ওপর খবরদারি করবে না। এই একটা কুকুরকে ঘিরে বেশ মজার ছবি অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘মন্ত্রমুগ্ধ’।

হিন্দিতে পোষ্য হাতি নিয়ে সবথেকে সুপারহিট যে ছবি সেটি হল ‘হাতি মেরে সাথী’। ১৯৭১ সালের বিগেস্ট হিট। দক্ষিণী প্রযোজনা সংস্থা এই ছবি করে বম্বেতে বড় হিট দিয়েছিল। চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সেলিম-জাভেদ। রাজেশ খান্না-তনুজার আইকনিক হিট এই ছবি। তনুজা তাঁর ছ বছরের মেয়ে কাজল ও তিন বছরের মেয়ে তানিশাকে এই ছবি দেখিয়েছিলেন। রামু হাতির সঙ্গে সেটেও তনুজার বেশ বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
রাজেশ খান্নার ‘আরাধনা’ ফিল্ম রিলিজের পর শুরু হয় তাঁর সুবর্ণ যুগ। ১৯৬৯ থেকে সত্তর দশকের প্রথম ভাগ জুড়ে চলে রাজেশ যুগ। ঠিক এইসময় ‘হাতি মেরে সাথী’, বক্সঅফিসে চূড়ান্ত হিট করে। হাতিকে পর্দা জুড়ে দেখতেই লাখো লাখো দর্শক হলে দৌড়য়। সারা ভারতে হিট হয় ছবিটি। ‘চল চল চল মেরে হাতি’ সুপারহিট সেরা দশ গানে চিরকাল থাকবে। যে গান সর্বস্তরের লোকের মুখেমুখে আজও ফেরে।

সত্তর দশকে তপন সিনহার ‘সফেদ হাতি’ আরও এক স্মরণীয় ছবি। একটি অনাথ ছেলে তাঁর আসল মাকে খুঁজে পায় জঙ্গলের ভিতর এক ঐরাবতের মধ্যে। ঐরাবতকে মেরে ফেলতে রাজার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ছেলেটির মামা-মামি। রাজা ঐরাবতের কিছুই করতে পারে না। সব অশুভ শক্তির থেকে ছেলেটি ও তাঁর বোনকে বাঁচায় ঐরাবত। ঐরাবত সাদা হাতির কথা আমরা রূপকথার গল্পেই পড়ি। সেটিকে পর্দায় এনে দেখান তপন সিনহা। সফেদ হাতি ছবিতে দেখানো হলেও ব্যবহৃত হাতিটি আদতে ছিল ধূসর হাতি। সাদা রং করা হয়েছিল পুরো হাতিটির গায়ে। বারবার এভাবেই সাদা রং করে হাতিটিকে শ্যুটিংয়ে সফেদ হাতি ‘ঐরাবত’ বানানো হত। এখনকার দিন হলে হয়তো এভাবে কোনও পশুর গায়ে রং করতে পারতেন না পরিচালক, সেটা পশু আইনের বিরোধী। সেক্ষেত্রে ছবিই বন্ধ হয়ে যেত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘নকল সোনা’ ছবিতেও দেখানো হয়েছিল শ্যুটিংয়ে কালো ছাগল না পেয়ে সাদা ছাগলকে কীভাবে কালো রং করা হয়েছিল।

হাতি নিয়ে আরও এক উল্লেখযোগ্য বাংলা ছবি রাজা সেনের ‘দামু’। রঘুবীর যাদব এই ছবিতে হাতির সঙ্গে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দেন। রাজা সেন ছিলেন তপন সিনহারই অ্যাসিস্ট্যান্ট। ১৯৯৬ সালে পুজোর সময় রিলিজ করে এই ছবি বাংলা ছবির মরা গাঙে পাল তুলেছিল। ধুঁকতে থাকা সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো হাউসফুল হয়। বহুদিন পর ছোটদের দেখার মতো ছবি ছিল এটি। সেরা শিশু চলচ্চিত্র রূপে জাতীয় পুরস্কারও জিতে নেয় ‘দামু’। তখন প্রতিটি স্কুল থেকে ‘দামু’ বাংলা ছবিটি ছাত্রদের দেখানো হয়েছিল।
২০০৩ সাল, কলকাতা জুড়ে কালো বেড়াল দিয়ে হোর্ডিং। আসছে ঋতুপর্ণ ঘোষের নতুন ছবি ‘শুভ মহরৎ’। আগাথা ক্রিস্ট্রির মিস মার্পেলের বাংলা রূপ গোয়েন্দা রাঙা পিসিমার গল্প রচনা করলেন ঋতুপর্ণ। টালিগঞ্জ পাড়ার রহস্য খুনের ঘটনার কিনারা করে ফেলেন ঘরোয়া বিধবা রাঙা পিসিমা। সুপারস্টার নায়িকা প্রযোজিকা পদ্মিনী চৌধুরী শর্মিলা ঠাকুর রাঙা পিসিমা রাখী গুলজারের বাড়ি এসে উপস্থিত। পদ্মিনী রাঙা পিসিমাকে জিজ্ঞেস করেন যখন “আপনি কী বাড়িতে একাই থাকেন?” রাঙাপিসিমা জোর গলায় বলেন “না আমার সঙ্গে আমার মেয়ে থাকে, হরিদাসী। আর নাতিনাতনিরাও আছে।”
পদ্মিনী চৌধুরী পাশের ঘরে গিয়ে আবিষ্কার করেন এই হরিদাসী আদতে একটি মেনি বিড়াল। আর সঙ্গে তাঁর সদ্য হওয়া কিছু বাচ্চা বিছানায় কাঁথার উপর শুয়ে।
ঋতুপর্ণ ঘোষের নিজের খুব বেড়াল ভীতি ছিল। তবু ছবির তাগিদে তিনি অনেকগুলি বেড়াল নিয়ে প্রথম কাজ করেছিলেন।
রাঙা পিসিমা এমন একটি চরিত্র যে শুধু খুনের কিনারা করেন না, চরিত্রটি একলা মানুষদের বেঁচে থাকার সাহস জোগায় একার সংসারে। সেখানে কোনও মানুষকে সঙ্গী হিসাবে লাগে না তাঁর, লাগে না কোন রক্তের সম্পর্ক। পোষ্যরাই তাঁর বন্ধু। পশুদেরই সন্তান আর নাতিনাতনি বানিয়ে নিলে তাঁদের সঙ্গেই জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। যারা চট করে বিশ্বাসঘাতকতা করে না। এমন বন্ধু আর কে আছে!
বর্তমান সময়ে বাংলা ছায়াছবি ও বিনোদন জগতের লেখালিখিতে জনপ্রিয় নাম শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন বাংলা ছবি সংক্রান্ত গবেষণায় ব্রতী রয়েছেন শুভদীপ। তিনি নিয়মিত সাংবাদিকতা করেন। একাধিক সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা। শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 'সুরের জাদুকর হেমন্ত' এই সময়ের বেস্টসেলার বই। লতা মঙ্গেশকরের বাংলা গান তৈরির গল্প নিয়ে শুভদীপের লেখা 'গানে গল্পে বাঙালির লতা' বইটি প্রকাশের পথে।