[ ছবিগুলো ফুল স্ক্রীনে (Full screen mode) দেখুন ]
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কমবেশি আশি কিমি দূরে সুখিয়াপোখরি। সেখান থেকে আর দুই কিমি চড়াই ভেঙে, শতাব্দী প্রাচীন ঘন পাইন বনের মধ্যে দিয়ে চলার পর নির্জন, ছিমছাম জোড়পোখরি (Jorepokhri)। সরাসরি গাড়িতে আসা যায়। ছোট্ট এই জায়গাটি একটি পাহাড়ের মাথায়, ঠিক যেন পাহাড়ের মাথা ছেঁটে সমতল জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে। চারপাশ বাঁধানো পাশাপাশি দুটো জলাশয় আছে, সেকারণেই হয়তো ‘জোড়পোখরি’ নাম। একটি জলাশয় জাল দিয়ে ঘেরা, যার জল সরবরাহ করা হয় সুখিয়াপোখরিতে। অন্যটি তুলনায় বড় এবং চারদিকে সুন্দর বসার ব্যবস্থা। জলে প্রায় সারাদিন হাঁস চড়ে বেড়ায়। কিছু খাবার দিলে সবাই সামনে এসে হাজির। ছোট এবং মাঝারি মাপের নানান রঙের মাছ এই জলাশয়ে। মাঝখানে পাঁচটি ফণা যুক্ত একটি সাপের মূর্তি বসানো আছে। উত্তর দিকে তাকালেই পাইন গাছের ফাঁক দিয়ে সপার্ষদ কাঞ্চনজঙ্ঘা। আকাশ পরিস্কার থাকলে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত একই জায়গায় দাঁড়িয়ে উপভোগ্য। মাঝেমাঝেই কুয়াশায় ঢেকে যায় সম্পূর্ণ অঞ্চলটি। একটু হাঁটাহাঁটি করলেই পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখা হয়ে যায়। অনেক নাম না জানা পাখির দেখা অতিরিক্ত পাওনা। সুখিয়াপোখরির পথে পাইন বনের মধ্যে, রাস্তার পাশে, স্বর্গীয় পরিবেশে অতি প্রাচীন একটি খ্রিস্টীয় কবরখানা। গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো ঐ কবরখানায় পড়লে বেশ রোমহর্ষক লাগে। জোড়পোখরিতে দুরাত্রির অবস্থান আজীবন মনে রাখার মতো।
অবসর প্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী। ভ্রমণ এবং ছবি তোলায় আগ্রহী। " ট্রাভেল রাইটার্স ফোরাম " - এর সদস্য।
2 Responses
দারুন ।আগে বারো ভাই ।আরও অনেক ছবি চাই ।
ভালো লাগলো।