











(Makar Sankranti) বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা, এই ধ্রুবসত্যটি গঙ্গা পাড়ের বাঙালির জন্য সত্যি হলেও রুখা শুখা আদিবাসী কুড়মি, মাহাতো অধ্যুষিত রাঢ় অঞ্চলের বাঙালিদের জন্য সর্বাংশে সত্যি নয়। মনসা পূজার পাশাপাশি যে উৎসবকে ঘিরে এই অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বেশি উৎসাহ, তা হল মকর।(Makar Sankranti)
মকরের আগের রাতে বাড়িতে পিঠা বানানো, সারারাত টুসু বা তুসু পূজা আর পরের দিন নদী বা পুকুরে টুসু ভাসানো হয়। এই টুসু ভাসানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলে মেলা বসে। এইসব মেলার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় আর প্রাচীন মেলা হল পরকুল মেলা।(Makar Sankranti)
বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে কাঁসাই নদীর পাড়ে পরকুল গ্রাম। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে মেলা বললেই যে পাঁশকুড়ার চপ আর বিভিন্ন রকমের রাইড সহ ‘জেনেরিক’ মেলা সব জায়গায় চোখে পড়ে, পরকুলের মেলা তার থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। রংবেরঙের টুসুর চৌডল যেমন রয়েছে তেমন রয়েছে দাঁসাই নাচ, সখী নাচ, ঘোড়া নাচ, বাউল গান।(Makar Sankranti)
প্রাচীন গ্রাম্য মেলার মতো এখনও বাঁশের ঝুড়ি “পেথ্যা”, মাটির হাড়ি কলসি, মাটির টেপা পুতুল, লোহার হাতা খুন্তি কড়াই গাঁইতি কোদাল কাস্তে কাটারি, খেলনা বঁটি সমস্ত কিছুর দারুণ সম্ভার এখানে পাওয়া সম্ভব। সকালবেলা মেলা বসে। আর সন্ধ্যে হলেই দেখা যাবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মেয়ে বুড়া এক কাঁখে ছেলে আরেক কাঁখে ঝুড়ি, কলসি নিয়ে হলুদ সর্ষের খেত পেরিয়ে বাড়ি ফিরছে।(Makar Sankranti)
সুখে থাকতে ভূতে কিলায়-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সে সুখের চাকরি ছেড়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ানো হোক কিংবা সমাজ মাধ্যমের বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া হোক। শিক্ষায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পেশায় বিয়েবাড়ির ক্যামেরাম্যান। আর নেশায় ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার।