(Bandhna Parab)













রাঢ় বাংলার “বাঁধনা পরব” স্থানীয় আদিবাসী ঐতিহ্যের এক বর্ণময় প্রকাশ। এই উৎসব সাধারণত দীপাবলির সময় পালিত হয়। এই সময়টায় রাঢ় বাংলার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান আর সন্নিহিত ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যার মাহাতো, কুড়মি, সাঁওতাল, লোধা, শবর প্রভৃতি জাতি উপজাতির মানুষজন মেতে ওঠে বাঁধনা পরবের (কোথাও কোথাও সোহরাই বলা হয়) প্রস্তুতিতে।
রাঢ় বাংলায় কৃষিভিত্তিক পরবের অভাব নেই। জাওয়া, করম, ভাদু, টুসু প্রায় সমস্ত পরবই কৃষিভিত্তিক। বাঁধনা পরবও তার ব্যতিক্রম নয়। মূলত গবাদি পশুদের পুজোর মাধ্যমে জনজাতি ও প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্ক ফুটে ওঠে।
ফটোস্টোরি: টুসু পরব ও পরকুল মেলা
উৎসবের আবহ থাকে প্রাণবন্ত—পুজো, ঐতিহ্যবাহী গান,নৃত্য ও নানা আচার-অনুষ্ঠানে ভরপুর। পরব উপলক্ষে বাড়ির মাটির দেয়ালে আবার নতুন করে গোবর লেপা থেকে শুরু করে নতুন করে দেওয়ালে ছবি আঁকা,মেঝেতে আলপনা দেওয়া ইত্যাদির মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রস্তুতি চলে। ‘গরু খুঁটা’ বাঁধনা উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা।
পুরুলিয়ার দুঁড়কু এবং জাহাজপুর গ্রামের বাঁধনা পরবের কিছু খন্ডচিত্র। (Bandhna Parab)
সুখে থাকতে ভূতে কিলায়-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সে সুখের চাকরি ছেড়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ানো হোক কিংবা সমাজ মাধ্যমের বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া হোক। শিক্ষায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পেশায় বিয়েবাড়ির ক্যামেরাম্যান। আর নেশায় ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার।
