অন্যান্য বাংলা নাম: নেপাল মৌচুষী, পিতপৃষ্ঠ দুর্গাটুনটুনি,
ইংরাজি নাম: Green-tailed Sunbird
বৈজ্ঞানিক নাম: Aethopyga nipalensis
পরিবার – মধুপায়ী (Family – Nectariniidae)
এদের পুরুষদের মনোহরণকারী রূপ। সে তুলনায় স্ত্রী পাখি অনেকটাই নিষ্প্রভ। গায়ের রঙে বিস্তর ফারাক। ফুর্তিবাজ পাখি। কণ্ঠস্বর সুমধুর। চঞ্চলও বটে। স্থিরতা নেই বললেই চলে। বেশিরভাগই একাকী বিচরণ করে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় দেখা যায়। প্রাকৃতিক আবাসস্থল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আর্দ্র পার্বত্য অরণ্যের প্রায় ২০০০-৩৪০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত। এছাড়া নাতিশীতোষ্ণ বনাঞ্চলেও বিচরণ রয়েছে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভারতবর্ষ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চিন ও তিব্বত পর্যন্ত।
পুরুষ পাখির দৈর্ঘ্য ১৪-১৫ সে.মি., ওজন ৫.৫-৮ গ্রাম। স্ত্রী পাখির দৈর্ঘ্য ১০ সে.মি,ওজন ৫.৪-৬ গ্রাম। পুরুষ পাখির মাথা ও ঘাড় গাঢ় সবুজ। ঘাড়ের শেষ থেকে পিঠের মধ্যখান পর্যন্ত খয়েরি-লাল। পিঠের নীচ এবং ডানা গাঢ় জলপাইয়ের সঙ্গে খয়েরির মিশ্রণ। লেজ গাঢ় নীলাভ-সবুজ। গলা ও বুক হলুদ মিশ্রিত লাল। বুকের নীচ থেকে বস্তিদেশ পর্যন্ত হলুদ। শরীরের তুলনায় লেজ খানিকটা লম্বা।
অপরদিকে স্ত্রী পাখির মাথা ধূসর জলপাই রঙের। পিঠ গাঢ় জলপাই। ডানা বাদামি। ডানার প্রান্ত পালক কালচে। লেজ খাটো ও বাদামি বর্ণের। দেহতল জলপাই রঙের। উভয়ের ঠোঁট গাঢ় কালো, লম্বা ও বাঁকানো। চোখ ও পা কালো।
এদের প্রধান খাবার ফুলের মধু, ছোট পোকা-মাকড় । প্রজননকাল এপ্রিল থেকে জুন। নাশপাতি আকৃতির বাসা। গাছের তন্তু, মস, শ্যাওলা, মাকড়সার জাল দিয়ে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ২-৩টি, তাতে খয়েরি-কালো ছিট্ থাকে । ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৫-১৭ দিন।
পেশা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে দেশের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন।
বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে রাজ্যের বনদপ্তর ছাড়াও নানান সংস্থার সাথে কর্মরত। পাহাড়ে-জঙ্গলে পাখি ও স্তন্যপায়ীদের জীবনশৈলীর ছবিতোলা হলো বিশেষ নেশা।
2 Responses
It was wonderful and l am feeling proud.
Very good informative article.