আসামের ডিব্রুগড় থেকে ব্রহ্মপুত্রের উপরে বোগীবিল সেতু পেরিয়ে অরুনাচল প্রদেশে পাশিঘাটে প্রবেশ করে ইনারলাইন পারমিট সংগ্রহ করে উত্তর পশ্চিমে আলো হয়ে ২৮৪কিমি দূরে সিওমি জেলায় অবস্থিত ভারত চীন বর্ডার বা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ২৯ কিমি আগে সাদা বরফের বেষ্টিত সিয়াম নদীর তীরে (স্হানীয় নাম ইয়ারগাপ চ্যু) মেচুকা ভ্যালিতে যাওয়া যায়। আলো থেকে সিয়াম নদীক বামপাশে রেখে জঙ্গলের মাঝে রাস্তা চলে গেছে। পথে সিকো ডিডো ফলস্, প্রচুর পাইন, বাঁশ, বুনো কলাগাছ, বুনো গরু বা মিথুন দেখতে পাওয়া যায়।
মেন কথার অর্থ ঔষধি, চু মানে জল বা নদী আর কা-এর অর্থ বরফ অর্থাৎ ওষুধি, বরফ জল বা নদী নিয়ে মেনচুকা বা মেচুকা। রাস্তা চওড়া করা চলছে, ফলে পর্যটকদের যাতায়াত উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে অনেক হোটেল, হোমস্টে তৈরি হচ্ছে এখানে। মূলতঃ মেম্বা,আদি জনজাতি অধ্যুষিত মেচুকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ।
উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে দোরজিলিং গ্রাম, সলমন খান পয়েন্ট, নদীর উপর সেতু থেকে শহরের ছবি, ১৫ কিমি দূরে পাহাড়ের মাথায় ৪০০ বছরের পুরনো সন্তেন ইঙ্গচা (santen yougcha) মনাস্টারি, সেখান থেকে ৫ কিমি দূরে শ্রীহরিদাস গুরুদ্বার, হনুমান মন্দির, নদীর ধারে লাকি স্টোন, গুহা রয়েছে আশেপাশে।
ভারতীয় জীবন বীমা কর্মী। দীর্ঘ ৩৪ বছর হিমালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেকিং, উপকূল বরাবর হাঁটা ও ফটোগ্রাফি মুখ্য নেশা। ট্রাভেল রাইটার্স ফোরামের সদস্য, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত।