ফিরতি পথে
শেষ চাহনি
বাতাসে ঘোলাটে রিংয়ের পসরা
ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় শহর পথে
আগুন পোড়ায় তামাক, পোড়ে দুজোড়া চোখ
ছাই বাতাসে দিক ভুলিয়ে
চেনা পথে যাত্রা শুরু।
প্রপা দে গঙ্গোপাধ্যায় পেশায় ডাক্তার, নেশায় কবি-গদ্যকার-লিমেরিকার। কবি ও কবিতার পরিমন্ডলে বড় হয়ে ওঠা প্রপার লেখা শুরু কবিতার হাত ধরে। এক অন্য ধরনের শৈলী-বর্ণ-ছন্দ-ভাবনা নিয়ে পথ চলার সূচনা মায়ের আঙুল ধরে। মা প্রখ্যাত কবি চিণ্ময়ী দে। সমাজ ও সময়, কলম, ষড়রিপু আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে জাগলিং করার সাহচর্য ও সাহস যুগিয়েছে। মোদ্দা কথা হল, ইনি জাতে কলমচি তালে ডাক্তার। বোহেমিয়ান, ব্রাউনিয়ান প্রপার বিচরণ সাহিত্যের অন্দরে, বন্দরে।
3 Responses
Oshadharon……
পেশাটা তো জানি। কবিকৃতির উত্তাপ আজ কিছুটা পেলাম। বাকি কথামালায় সমৃদ্ধ ইতিহাসের ছাপ। সব ই বুঝলাম মনে এবং মননে। কিন্তু খোলা চোখে বা চোখ বুঁজে মানতে পারছি না, এই গুডি গুডি প্রপা বোহেমিয়ান, ব্রাউনিয়ান। সাহিত্যের অন্দর বন্দর অলিগলিতে প্রপার বিচরণের নূপুর নিক্কন কানপেতে শুনতে চাই বহু দিন, বহু মাস, বহু বছর, বুঝিবা হাজার হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে।
তথাপি আমরা হাঁটি নির্জন সৈকতে একা
তথাপি আমরা খুঁজি রঙিন ঝিনুক।
বালুকা বেলায় আঁকা পদচিহ্ন শত,
একদিন এই পথে হেঁটে গেছে যারা
ভাবেনিকি এ সমুদ্র কেমন বিশাল,
প্রমত্ত গর্জনে তীরে ভেঙে পড়ে?
তারা কি দ্যাখেনি চিল শাদা পাখি
মাছরাঙা ডুব দেয় অগাধ সলিলে?
আকর্ণ হাসির ছটা এইখানে কেমন মলিন
বিদায়ী সূর্যের রঙে ম্লান হয়
সন্ধ্যার নীরব সমুদ্রের মতো।
নির্জন সৈকতে তবু হেঁটে চলি, ভালোবাসি নীরবতা।
অর্থহীন হাসি দিয়ে ভরে তুলি বুক
তথাপি আমরা খুঁজি রঙিন ঝিনুক।
Osadharon protibha…