বসন্ত চলে যাওয়া, রোদে পোড়া ক্লান্ত শহরে
রংচটা পার্কবেঞ্চ একা বসে থাকে
বন্ধ গ্যারেজ পেরিয়ে হেঁটে যায় বিস্মৃত ছায়া
ময়দান এলাকা চিরে চলে যায় ট্রাম
ফাঁকা ট্রামের উদাসীনতা নিয়ে পড়াশোনা ছিল একদিন
কোনও একদিন
পড়াশোনা করতে করতেই আমরা বুঝেছিলাম –
স্টুডিয়াস মেয়েদের চোখ থেকে চশমা খুলে নিলে
তারা রাধাচূড়া গাছ হয়ে যায়
বৈশাখ দুপুরের নির্জন অস্থিরতায়
সূর্যের চুম্বনে রাস্তার পিচ গলে যায়
দূরের অদৃশ্য কারখানা থেকে ভেসে আসে বিষণ্ণ সাইরেন
রাধাচূড়া গাছ শেষ কবে দেখা গেছে দুনিয়ায়?
ছবি সৌজন্য: Pixabay
এই সময়ে যাঁরা বাংলা কবিতা লিখছেন , তাঁদের মধ্যে সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম। সৌভিকের কাব্যভাষা স্বকীয় ও স্বতন্ত্র - নাগরিক বিষন্নতা , সমাজসচেতনতা , মাঝে মাঝে কালো ঠাট্টা বা শ্লেষ ও নস্টালজিয়া তাঁর কবিতায় নানাভাবে ফিরে ফিরে আসে। লিখেছেন ছোট-বড় প্রায় সমস্ত বাণিজ্যিক ও লিটল ম্যাগাজিনে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা তেরো, ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়েছে 'কবিতাসমগ্র ১'। কবিতার জন্যে ভাষানগর-মল্লিকা সেনগুপ্ত পুরস্কার, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পুরস্কার সহ পেয়েছেন আরও একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। গদ্যকার হিসেবেও উজ্জ্বল, এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত গদ্যের বইয়ের সংখ্যা তিন । বড় পর্দাতে অভিনেতা হিসেবেও তাঁকে মাঝে মাঝে দেখা যায়।