এই কি তবে বিভাবনা? মনে হয়েছিল অবিভাজ্য!
খানিক দূরে দাঁড়িয়ে গাঢ় নীল মুখ নস্যির কৌটোয় ভরে ভরে রাখছে বিপন্ন বাঘ।
বেলা বাড়ে ,মাংস কাটার দোকানে লম্বা লাইন, পুরোধা খাঁচা রেখে এগিয়ে যায়, বিভূতির খুব কাছাকাছি।
ওদের খেলার সময় হয়ে এল, এবার সন্ধি করবে চিবুক অবধি।
গ্রাভেলের গা খুলে দেখি ভেতরে জমেছে কচু গাছ। তোমায় কিছু ক্যারাপেস ধার দেবো বলেছিলাম। মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রেখো এই অবিরল গর্ভাধান।
তারপর সারারাত চন্দন পরাবো। শ্রাদ্ধ-গন্ধে ভরে উঠবে গোটা থিয়েটার।
রেললাইনের পাস দিয়ে সাঁকো চলে গেছে ওই গ্রাভেলের পেট ওবধি। কোথাও কোনও শোক নেই, আড়ম্বর আছে।
উঠোন-ভর্তি পকোড়া গন্ধ।
শেষ পাতে এখন শুশ্রূষা ভাগাভাগি চলছে। দিদিমা বেড়ে দিচ্ছেন।
*ছবি সৌজন্য: Pexels
মোহনা মজুমদারের জন্ম কলকাতায়। অঙ্কে স্নাতকোত্তর। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ শব্দলেখা থেকে ''যতোটা অপ্রকাশিত'(ই-সংস্করণ)। ২০২২ এ বইতরণী থেকে প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'বিহান আলোর লিপি' ও ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অক্ষর সংলাপ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ 'উৎসারিত ও সলিলোকুই'।
2 Responses
তোমার কবিতার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি ধীরে ধীরে…ভালো লাগছে ।
খুব ভালো কবিতা