– কী হল পকলু?
খুবই উত্তেজিত সে!!
– আমি এখন কবিতা লিখব।
অবাক হলাম। কবিতা?? ও মা! দেখি লেখা হয়ে হয়ে ছবিতে এসে শেষ হল!
ওই দ্যাখো ঢোলা পেন্টুল পরা ছোট্ট পকলুকে দেখা যাচ্ছে। মাঠে।৷ এক হাতে তার ঘুড়ি আর অন্য হাতে বেলুন! সুতো বেঁকে বেঁকে ওপরে উঠছে। এক্কেবারে আকাশে!!
“মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়! একেবারে উড়ে যায়! কোথা পাবে পাখা সে?”
ওব্বাবা! একটা প্রজাপতিও আছে বেলুনের কাছাকাছি! ওইখানেই তো আমাদের পকলুরা ঘোরে ফেরে!
এমন করে খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে ওড়ার আনন্দ পাওয়া, প্রকাশ করা… সে কি কবিতা না হলে বোঝানো যায় কখনও?!
পদার্থবিদ্যার স্নাতক নীলা পেশায় ছবি আঁকিয়ে। জলরং এবং অ্যাক্রিলিকে স্বচ্ছন্দ। কবিতা লেখেন নিছকই শখে, একাকিত্বের অবকাশ যাপনে। ভালোবাসেন চুপটি করে বসে বসে ভাবতে আর আধ্যাত্মচিন্তার বই পড়তে। তবে হিমালয়ে ট্রেকিং এবং জঙ্গল ভ্রমণও খুব পছন্দের।