ছোট থেকেই আমি বেদম ভীতু। বাড়িতে প্রতি বছর ট্রিপল এন্টিজেনের ইনজেকশন দিতে আসত। আমার সেই সুই ফোটানো প্রতি বছর একটা ঘটনা হয়ে উঠত। কখনও খাটের তলায়, কখনও বালিশের তাকে, কখনও পর্দার পেছনে, ছাদের ঠাকুরঘরে, এমনকী চানের ঘরে শেকল এঁটেও বসে থাকতুম। প্রতি বছর নতুন করে চিন্তা করতে হত কোথায় লুকোই, কিন্তু প্রতিবারই আমার প্রিয় ডাক্তারকাকা, হার মানা হার পরাব তোমার গলে-র মতো বাবা বাছা বলে অনেক স্তুতিবাক্য দিয়ে ঠিক আমাকে ইনজেকশন নিতে বাধ্য করতেন। সত্যি কথা বলতে কী, ইনজেকশন নিতে ততটা কষ্ট হত না, ভয়টাই ছিল বেশি। আর তার সঙ্গে টানাহেচঁড়াও ছিল।
এ হেন আওপাতালি আমাকে আমার দাঁতের ডাক্তার বললেন, যে আমার আক্কেল দাঁত তুলতে হবে! আড়ালে আবডালে শুনলাম দাদাদের কাছ থেকে, যাক বাবা এতদিনে বেয়াক্কেলে খুকুমণির একটু আক্কেল হবে। ডাক্তারবাবু আমাদের চেনা, হাওড়ারই বাসিন্দা। বললেন, দুটোই তোলা দরকার, তবে একটা করে তোলাই ভালো। আমি তখন খুব বায়নাদার ছিলাম। আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় যাই আর দাঁত তুলতেই যাই, নতুন জামা আমার চাই-ই-চাই। আমি মণিমার সেলাইয়ের মেশিনের পাশে তীর্থের কাকের মতো দাঁড়িয়ে থাকতাম, যতক্ষণ না নতুন জামা হয় ততক্ষন নো নড়ন চড়ন। অগত্যা মণিমাকে তখন তখনই কী ছিটকাপড় আছে দেখে টেখে নিয়ে আমার জামা তৈরি করতে বসতে হত।
আমার এক বোনের কিছুদিন আগে দাঁত তোলা হয়েছিল! সে সতর্ক বাণী শোনাল “যখন নোভাকেন দেবে মাড়িতে (শুনেই আমি অর্ধমৃত), তোকে জিজ্ঞেস করবে, ওখানটা অবশ হয়েছে কিনা। কখনও হ্যাঁ বলবি না। যত বেশি নোভাকেন দেবে, তত তোর কষ্ট কম হবে।” সে যা-ই হোক, সকাল সাড়ে নটায় ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ার কথা। বাড়ি থেকে বাবা, তাতা (পিসি) আর আমার যাবার কথা। বেরবার সময় জ্যেঠু বাবাকে বললেন, “আমিও যাই। প্রসিডিওর (মানে আক্কেল দাঁত তোলা) হয়ে গেলে তোদের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আমি কোর্টে চলে যাব।” ডাক্তারবাবুর চেম্বারে গিয়ে দেখি তিনি তখনও আসেননি, তবে আমার দাদু ও পিসেমশাই এসে বসে আছেন। আমি দাঁত তোলার অজুহাতে নতুন সবুজ রঙের জামা পরে খুব খুশি।
আরও পড়ুন: আলোলিকা মুখোপাধ্যায়ের গল্প: হাসি গল্পের শেষে
অবশেষে ডাক্তার এলেন। সোজা গটগট করে ওঁর চেম্বারে ঢুকে গিয়ে, সাদা অ্যাপ্রন পরে বেরিয়ে এসে বললেন, স্বপ্নাকে নিয়ে আসুন। আমি ছাড়া বাড়ির পাঁচজনই উঠে দাঁড়াল। তিনি একটু শক্ত গলায় বললেন, “আমার চেম্বারে পেশেন্টের জন্যে প্রসিডিওর চেয়ার ছাড়া আর একটি চেয়ার আছে। আপনাদের মধ্যে একজন আসতে পারেন।” তারপর বাবার চেনা হওয়ায় বাবার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বললেন, “দেখুন, একজন পেশেন্টের জন্যে পাঁচজন মানুষ এলে অন্য রোগীরা বসবে কোথায়?” না, আক্কেল দাঁত তুলতে আমার যতটা কষ্ট হবে ভেবেছিলাম, ততটা হয়নি। হয়তো আমার বোনের উপদেশটা মনে ছিল তাই। তবে যেমন কষ্ট হয়নি তেমনি আক্কেল দাঁত তুলেও আমার কোনো আক্কেল হয়নি। আজকের গল্পটা অবশ্য আমার আক্কেল হওয়া নিয়ে নয়, কিছুটা মানসিক দিক দিয়ে বড় হওয়া বা উদ্বুদ্ধ হওয়ার গল্প।
অবশেষে ডাক্তার এলেন। সোজা গটগট করে ওঁর চেম্বারে ঢুকে গিয়ে, সাদা অ্যাপ্রন পরে বেরিয়ে এসে বললেন, স্বপ্নাকে নিয়ে আসুন। আমি ছাড়া বাড়ির পাঁচজনই উঠে দাঁড়াল। তিনি একটু শক্ত গলায় বললেন, “আমার চেম্বারে পেশেন্টের জন্যে প্রসিডিওর চেয়ার ছাড়া আর একটি চেয়ার আছে। আপনাদের মধ্যে একজন আসতে পারেন।” তারপর বাবার চেনা হওয়ায় বাবার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বললেন, “দেখুন, একজন পেশেন্টের জন্যে পাঁচজন মানুষ এলে অন্য রোগীরা বসবে কোথায়?” না, আক্কেল দাঁত তুলতে আমার যতটা কষ্ট হবে ভেবেছিলাম, ততটা হয়নি। হয়তো আমার বোনের উপদেশটা মনে ছিল তাই। তবে যেমন কষ্ট হয়নি তেমনি আক্কেল দাঁত তুলেও আমার কোনো আক্কেল হয়নি। আজকের গল্পটা অবশ্য আমার আক্কেল হওয়া নিয়ে নয়, কিছুটা মানসিক দিক দিয়ে বড় হওয়া বা উদ্বুদ্ধ হওয়ার গল্প।
দিন দশেক আগে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল সার্জারির জন্যে। প্রথমত, পটভূমিকার আমূল পরিবর্তন। আমার দুই পুত্র তাদের কাজের জন্যে বাইরে থাকে। তারা আগে থেকেই বলে রেখেছে যে তারা এসে থাকবে, আর তারা দুজনেই রান্নায় বেশ পোক্ত (তাদের বাবার মতো নয়)। কিন্তু ঠিক সময় বুঝে আমার রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজ়ার দুটিই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করল। এদেশে, মানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে বাঙালিদের, ফ্রিজারই ভরসা। গাদাগুচ্ছের জিনিস কিনে মজুত করে রাখা হয় যাতে সবসময়ের জন্যে একটা যোগান থাকে। এই গরমকালে টেক হেল্পের খুব চাহিদা। তারা জানাল আট দিনের আগে কেউ মেরামতির জন্য আসতে পারবেন না।

অগত্যা ফ্রিজ়ারের সব জিনিস পাড়ার বিদেশি বন্ধু ও কাছাকাছি ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে পাঠানো হল। তবে এত চেষ্টাতেও ফ্রিজ়ারটাকে বাঁচানো গেল না। এক বছর বয়সেই তার অকালমৃত্যু হল। দামের কথা না ভেবে তক্ষুনি একটা ফ্রিজ়ার কেনা হল। তারপর তিনদিন ধরে লাগাতার চলল রান্না। তিনরকম ডাল, তিনরকম তরকারি, দু’রকম মাছ, চিকেন, মাংস, মিষ্টি (যাঁরা আমাকে দেখতে আসবেন তাঁদের আপ্যায়নের জন্য) সব রান্না শেষ করে, প্রতিটা রান্না তিনটে করে বাক্সে রেখে তারিখ ও ১-২-৩ নম্বর দিয়ে সব ফ্রিজ় করা হল। আপাতত শান্তিকল্যাণ তিন সপ্তাহের জন্য।
রেফ্রিজারেটর সারাতে অবশ্য লোক এল, সারিয়ে দিয়েও গেল। ঘরের জিনিস অন্যের ফ্রিজ থেকে ঘরে এসে ঢুকল। অগত্যা মোটামুটি শান্তিমনেই হাসপাতালে যেতে পেরেছিলাম। আজ সাতদিন হল বাড়ি ফিরে এসেছি। হাসপাতালে কেউ দেখতে যেতে পারেননি আমাকে, একজন ছাড়া। তাও দিনে একবার, আর সময় বাঁধা। তাই বাড়ি ফিরে আসার পর আমার বাড়ির সামনে সারাক্ষণই অচেনা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। আমার বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, ছাত্রছাত্রীরা দেখতে আসছে তাদের আপন মানুষ, কাছের মানুষকে। অন্যান্য স্টেট থেকেও চেনা মানুষজনেরা আসছেন। তাঁরা নানারকম রান্না– বিরিয়ানি থেকে মুড়িমাখা, মাছের ঝাল, মাছের ঝোল, ঘুঘনি, হালুয়া, কাজু কাতলি, মিষ্টি, ফল, ফুলের বোকে, সব নিয়ে দেখা করতে আসছেন! আমার পাড়ার আদরের ‘ব্রেডি’ (পোষ্য সারমেয়)… সেও আমার জন্যে ফুলের ‘ব্রেডি’ দেওয়া বাস্কেট পাঠাল!
এদিকে আমার ছেলেদের ইচ্ছে, মা আমাদের জন্য এত কিছু করেন, আমরাও মাকে টাটকা রান্না করে খাওয়াব! গতকাল থেরাপিস্টের নির্দেশে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে নীচে নামলাম! এটাও থেরাপির একটা অঙ্গ! নীচে একটু হেঁটে আবার ওপরে উঠে আসব থেরাপিস্টের সঙ্গেই! নীচে নেমে দেখলাম সেখানেও বেশ কিছু ফুলের গাছ (উপহার পাওয়া) আর এক সেকেন্ডের জন্যে ফ্রিজ়ার খুলে দেখলাম, আমার সব রান্না তারিখ ও নাম্বার নিয়ে নিয়ে একই জায়গায় বসে আছে! একটাও ব্যবহার হয়নি! ফলে বিষয়টা দাঁড়াল, ঘরভরা ফুল, ফ্রিজভরা খাবার, মনে কিন্তু আমার শান্তি নেই!
কারণটা পরিষ্কার। তিন দিন ধরে একনাগাড়ে রান্না করে ফ্রিজ়ার ভরেছিলাম! তার কিছুই খাওয়া হয়নি, সেই কষ্ট তো আছেই! তবে এও জানি যে ভবিষ্যতে ওটা ফেলা যাবে না, ব্যবহার হয়েই যাবে! কিন্তু আসল কষ্টটা লাগছে এত ফুল, এত ফুলের ঝুড়ি, ফুলের গাছ দেখে! ফুল আমার খুব প্রিয় আর আমি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ফুল কিনি! তাহলে এই ভালোবাসার উপহার ফুল পেয়ে তো আমার কষ্ট পাওয়ার কথা নয়! তাহলে ব্যাপারটা কী? এবার আসল গল্প। আর সেটা বলার জন্যই হাসপাতালের এত ঘটনার প্রসঙ্গ তুললাম!
আমার অপারেশনের পরের দিন, যন্ত্রনায় বেশ কাতর! কাছে বাড়ির কেউ নেই! কোভিডের জন্যে কোনও ভিজ়িটর আসতে পারবে না বিকেলের আগে! আমার খাওয়া নিয়ে এমনিতেই ঝামেলা আছে। তার ওপর ব্যথা, মনটাও ভালো নেই। তাই সকাল থেকে কফি ছাড়া কিছুই খাইনি! ব্রেকফাস্ট যেমনকার তেমন পড়ে রইল। লাঞ্চ দিতে এসে পুরো ব্রেকফাস্টটাই নিয়ে গেল! তখন দুপুর তিনটে, একজন নার্স এল। তার নাম লিন (Lynn)। প্রেশার, টেম্পারেচার সব দেখল। তারপর আমার লাঞ্চের ঢাকা খুলে দেখল, আমি কিছু খাইনি।

লিন পাশে একটা চেয়ার টেনে এসে বসল! কেন খাইনি বা তেমন কিছুই জিজ্ঞেস করল না। বরং সাদামাটা গল্প জুড়ে দিল। আমি কবে এদেশে এসেছি, কী করি, ছেলেমেয়ে কজন ইত্যাদি এটা ওটা কথা বলতে বলতে লাঞ্চের ট্রে টা আমার সামনে এগিয়ে দিল। বলল, “তুমি কি বিরিয়ানি ধরনের কিছু খেতে ভালোবাসো? তাই এখানে খাবার খাচ্ছ না?”
এবার আমি একটু অপ্রস্তুত। আমি বিরিয়ানি রাধঁতেই পারি না। আর বিদেশিরা ভাবে আমরা বোধহয় স্যান্ডউইচের মতো রোজ বিরিয়ানিই খাই! আমি সঙ্কুচিত হয়ে ট্রে-টা টেনে ম্যাশড পোটাটো আর ব্রকোলি স্যুপ খেতে শুরু করলাম! লিন আমাকে আস্বস্ত করল, “তুমি খাও, আমি আবার আসব।” লিন বেরবার আগে একজন বয়স্ক ভদ্রমহিলা ঘরে ঢুকলেন। নার্সের পোশাকে নয়, হেলপারদের পোশাকে। তাঁর হাতে ক্লিয়ার কাচের ফুলদানিতে একটা লাল গোলাপ! অবাক হলাম, এখানে কে আমাকে গোলাপ পাঠাবে? জিজ্ঞেস করলাম ওই ভদ্রমহিলাকে। উনি কিছু বললেন, কিন্তু আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না! তিনি খুবই অস্বস্তি পেয়ে “সরি, আই অ্যাম সরি” বলতে বলতে বেরিয়ে গেলেন।
লিন বলল, তুমি খাও। আমি পরে এসে গোলাপের গল্পটা তোমাকে বলব। লিনের মুখে শোনা লাল গোলাপের কাহিনি সংক্ষেপে এরকম: প্রত্যেক রোগী, যাদের এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়, তাদের প্রত্যেককে এই লাল গোলাপ দেওয়া হয়! এই লাল গোলাপের অন্তর্নিহিত মানে সম্মান, আপন-ভাবা, দুর্দান্ত পরিষেবা এবং চমকপ্রদ কৃতিত্ব। অর্থাৎ ইংরিজিতে– Respect, Ownership, Super Service and Excellence, যার আদ্যক্ষরগুলি পাশাপাশি বসালে মানে দাঁড়ায় ROSE! অর্থাৎ এখানে এই ROSE হাসপাতালের ব্যক্তিগত যত্ন আর পরিচর্যার প্রতীক। এই লাল গোলাপ দিয়ে রুগিদের অভ্যর্থনা করার রেয়াজ শুরু হয়েছিল স্বর্গত কার্ল জেবি কারি-র সময় থেকে (Carl JB Currie), যিনি ছিলেন এই হাসপাতালের একজন ট্রাস্টি।

এককালে, কার্ল কারির অস্ত্রোপচারও হয়েছিল এই হাসপাতালেই। তাঁর স্ত্রী অলিভিয়া সেসময় এখানে ছিলেন স্বামীর দেখাশোনার জন্যে! ওঁরা ছিলেন এলাকার খুবই সম্ভ্রান্ত ও সম্মানীয় পরিবার। তাই অসুস্থ কার্লকে দেখতে প্রচুর অতিথি, অনেক ফুল, অনেক গিফট বাস্কেট এসেছিল। এদিকে বাকি রোগীদের ঘরে কেউ একটা ফুলও দেয়নি। অলিভিয়া এটা লক্ষ করেন, এবং কষ্ট পান। ওঁর মনখারাপ হয়। তখনই উনি স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে একটা পরিকল্পনা করেন। ১৯৫৮ সাল থেকে ওঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেন হাসপাতালের দেখভালের জন্য। তখন থেকেই এই রোগীদের লাল গোলাপ দিয়ে অভ্যর্থনা করার প্রচলন শুরু হয়। Red Rose Welcome এই হাসপাতালের একটা বিশেষ চিহ্ন। এর আরও একটা বিশেষত্ব হল, এই কাজের জন্য শুধু তাঁদেরই নিয়োগ করা হয়, যাঁদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, বা যাঁদের অন্য চাকরি পাওয়া মুশকিল!
আমিও সেই লাল গোলাপ পেয়েছিলাম। একটি লাল গোলাপ, যা সর্বক্ষণ আমার হাসপাতাল-বাসের সঙ্গী হয়ে ছিল! আমার জীবনের এ এক বিশেষ পাওয়া! তাই বাড়ি ফিরে এসে যখন দেখলাম, আমার ঘরভর্তি ফুল, সবই কারও না কারও ভালোবেসে দেওয়া…, তখন মনে হল, কই! আমি কি ভাবতে পারছি, কিছু না-পাওয়া মানুষের কাছে এগুলো পৌঁছে দিতে?
*ছবি সৌজন্য: লেখক, unsplash
আশির দশকে হাওড়ার বর্ধিষ্ণু যৌথ পরিবারের ঘোরাটোপ ছেড়ে বেরিয়ে বিজ্ঞান গবেষণা করতে মার্কিনদেশে চলে এসেছিলেন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের প্রাক্তনী স্বপ্না রায়। সঙ্গী স্বামী রাহুল রায়। রবীন্দ্রসঙ্গীতের একনিষ্ঠ ভক্ত স্বপ্না তিন দশক আগে আমেরিকার বস্টন শহরে তৈরি করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখার স্কুল স্বরলিপি। আজ তাঁর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একশর বেশি। তার মধ্যে ভারতীয়, অভারতীয় উভয়েই আছেন।
One Response
khub bhalo laglo