‘গণেশ’ মার্কা সরিষার তৈল-এর লরি মহিমদার দোকানের সামনে দাঁড়ালে দুপুর চনমনে হয়ে যেত৷ ঝাঁঝ ছড়িয়ে পড়ত বাতাসে৷ আমরা ঘরের ভেতর থেকে টের পেতাম গণেশ তেল এসেছে৷ শীতের দুপুর হলে ছুটে এসে লরির পাটাতনে গড়িয়ে বা চুঁইয়ে-পড়া তেল দু-হাতে মেখে শরীরে ঘষতাম৷ খড়ি-ওঠা গা শুশ্রূষা পেত৷ নখের আঁচড়ে ক্ষত-হওয়া জায়গা চিড়বিড় করে জ্বলত খানিকক্ষণ৷ লরির কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকলে হাঁচি হত, সর্দি বেরিয়ে আসত৷ মহিমদার ভাই শচীনদাও ওই পাটাতনের তেল গায়ে মাথায় মেখে স্নান করতে চলে যেতেন টিউবওয়েলে৷ সেটা অবশ্য শীতগ্রীষ্ম সবকালেই৷ হয়তো তখন রান্না বসিয়েছেন জনতা কুকার-এ৷ ভাত ফুটছে বা ডিমের ঝাল৷ দু-ভাই মিলে দোকান চালাতেন৷ খদ্দের-জমাট দোকান৷ রান্নার ভার ছিল শচীনদার ওপর৷ মহিমদাকে রান্না করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না৷ গোমা হাবড়ায় ওঁদের বাড়ি৷ কুষ্ঠিয়ার মানুষ, বর্ডার পেরিয়ে হাতের কাছে যে জায়গা পেয়েছেন, ঘর তুলেছেন সেখানে৷ তখন কী আর জানতেন দেশটা বরাবরের মতো চলে গেল! ভেবেছেন, একদিন ফিরে যাওয়া যাবে৷ সেটা আর হয়নি৷ রোজগারের জন্য এতদূরে এসে, পরিজন ঘরে রেখে, দোকান খুলে বসা৷ পালা করে বাড়ি যেতেন দু-ভাই৷ দিন দশ-পনেরো একজনকে একা দোকান চালাতে হত৷ শচীনদা দোকান সামলে রান্নাবান্না৷ মহিমদার খাবার আসত গির্জার পাশের ‘শিবাজি হোটেল’ থেকে৷ চোখের সামনে দেখেছি দোকানটা শুকিয়ে গেল৷ খদ্দেররা ধার না মিটিয়ে পুঁজি লোপাট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ৷ দু-ভাইয়ে ঝগড়া হতে দেখেছি৷
“শচীনের হাতে দোকান ছাইড়্যা কী ভুলটাই যে করছি! দুইতলা-তিনতলা বাড়ির লোক দেইখ্যা সে ভাদাইম্মার মতো আহ্লাদে ধার দিছে৷ তারা আর শোধ দেয় নাই৷ অন্য দোকানে খাতা খুলছে৷ পিছে পিছে ঘুইরাও টাকা আদায় করন যায় না৷ মাসকাবারি খাতা হারাইয়া ফেলে৷” মাসকাবারি খদ্দেরের পাল্লায় পড়ে কয়েকটা দোকান উঠে যেতে দেখেছি সেই ছেলেবেলায়৷ বস্তির খদ্দেরের চেয়ে বিপজ্জনক ছিল গভর্নমেন্ট কোয়ার্টার্স আর সিআইটি কোয়ার্টার্সের পরিপাটি চকচকে বাবু খদ্দেররা৷
শচীনদার অভিযোগ ছিল দাদার বিরুদ্ধে৷ দোকান থেইকা দাদায় টাকা সরায়৷ আলাদা ঘর তুলছে জমিতে৷ কয়, তর বউদি গয়না বেচছে, বাপের বাড়ি থেইকা কর্জ করছে৷ ভরতি-ভরতি মাল ছিল দোকানে৷ সব রকমের মাল৷ কোম্পানির গাড়ি দোকানের সামনে লাগত৷ মহাজনে খাতির করত৷ এখন কোম্পানির গাড়ি আসে না৷ মহাজনে মাল দেয় না৷ কয়, আগের ধার না মিটাইলে কথা নাই৷

গণেশ তেলের ঝাঁঝের কথা বলবার কারণটা অবশ্য ভিন্ন৷ এখন সরষের তেলে ঝাঁঝ থাকে শুধু বিজ্ঞাপনে৷ বিজ্ঞাপনী অ্যাক্টিংয়ে৷ আমরা ঝাঁঝে বড় হয়েছি৷ বিনেপয়সার ঝাঁঝ-ভরা দুপুরে বুক ভরে দম নিয়েছি৷ আর একটা ঝাঁঝ পেয়েছি, সেটা ‘দৈনিক বসুমতী’ পত্রিকার৷ ওই মহিমদার কাছে৷ দোকানের সামনে ফুটপাথে ভিড় সম্পাদকীয় ঘিরে৷ সম্পাদক বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়৷ একজন পড়ছেন৷ বাকিরা তেতে উঠছেন৷ তারপর জটলা যেন চুল্লি৷ যে-সময়ের কথা বলছি, তখন খাদ্যের দাবিতে বাংলার মানুষ রাষ্ট্রের বুলেটের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে৷ কমবেশি সাতান্ন/আটান্ন বছর আগেকার পরিস্থিতি বোঝবার জন্য ‘দৈনিক বসুমতী’র সেদিনের সম্পাদকীয় থেকে দু-টুকরো উদ্ধার করা যেতে পারে:
‘কৃষ্ণনগর ও শান্তিপুরে পুলিশ ও মিলিটারিরাজ’ সম্পর্কে গত সোমবার দৈনিক বসুমতীর প্রথম পৃষ্ঠায় মর্মস্পর্শী রিপোর্টগুলির পাশে একটি ছোট্ট খবর আছে, যে খবরটি অন্ধকারের মধ্যে হীরার টুকরার মতো জ্বলজ্বল করিতেছে৷ রবিবার দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন মহাশয়কে সংবাদপত্রের রিপোর্টারেরা জিজ্ঞাসা করেন—রাজ্যের অবস্থা কী? মুখ্যমন্ত্রী সহাস্যে উত্তর দেন, ‘ফার্স্ট ক্লাস! ফার্স্ট ক্লাস!’ কারণ, কোথাও কোনো গোলযোগের সংবাদ নাই৷ যদি খাদ্যসঙ্কটে বিপন্ন বাংলার ইতিহাস কেউ কোনোদিন লেখেন তাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই উক্তিটি নিশ্চয়ই স্মরণীয় হইয়া থাকিবে৷ হয়তো ভবিষ্যৎ আন্দোলনকারীরা গুলিবিদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ নদীয়া জেলার ভগ্নপ্রাচীরে লিখিয়া রাখিবেন—‘অবস্থা ফার্স্ট ক্লাস! ফার্স্ট ক্লাস!’… (তারিখ ২৫ ফাল্গুন, ১৩৭২ বঙ্গাব্দ)
বা, ‘বাইরে যখন দেশের লোক গুলি খাইতেছে, রক্ত ঝরিতেছে, সরকারি সম্পত্তি আগুনে পুড়িতেছে, তখন হরতাল উপলক্ষ্যে লক্ষপতি শ্রীঅশোককৃষ্ণ দত্তের গৃহে, কংগ্রেস ভবনে এবং রাজভবনস্থিত মন্ত্রিভবনে নিশি যাপনের সঙ্গে কংগ্রেসি এম.এল.এ-দের জন্য নাকি লাঞ্চ, ডিনার ও মুর্গির রোস্টের ঢালাও ব্যবস্থা হইয়াছে৷ আহা রে, বাছারা দেশসেবা করিয়া কী ভীষণ ক্ষুধার্ত! এই ক্ষুধা কি আর আলুসিদ্ধ আর কাঁচকলায় মিটিবে?’’… (তারিখ ২৭ ফাল্গুন ১৩৭২)

মনে পড়ছে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন ক্ষুধার্ত বঙ্গবাসীকে ভাতের বদলে আলু, কাঁচকলা, কচু ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন৷ শাসকের বিদ্রুপ৷ আমাদের পাড়ায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস নেতা আর তাঁদের বাহিনীর নাকের ডগায় আলু কাঁচকলা দড়িতে বেঁধে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়েছিল তরুণের দল৷ বিদ্রু্পের বদলা৷
হরিপদদার ইস্ট ইন্ডিয়া রেস্টুরেন্ট-এ রাখা হত ‘যুগান্তর’৷ সেই পত্রিকার অক্ষরগুলো ঝলসে উঠতে দেখেছি একদা৷ দেখেছি গলাফাটানো চ্যাঁচামেচিতে প্রত্যেকের কথা ঝাপসা হয়ে যেতে৷ মহিমদার দোকানের ‘বসুমতী’-র ঝাঁঝের কাছে ‘যুগান্তর’ রুগ্ন ন্যাতানো হয়ে গেল৷ ‘বসুমতী’ যেন আগুনের মালসা৷ ‘যুগান্তর’ মিয়োনো খবরের থালা৷ লোকে বলত, ওটা সরকারের কাগজ৷
সেই আগুন-দিনগুলোর কথা মনে পড়ে৷ ‘পূরবী’ সিনেমা হল থেকে ‘ছবিঘর’ সিনেমা হল পর্যন্ত হ্যারিসন রোডের (অধুনা মহাত্মা গান্ধী রোড) ওপর পর পর ট্রাম পুড়ছে৷ আমরা স্কুলে৷ মির্জাপুর স্ট্রিটে (অধুনা সূর্য সেন স্ট্রিট)৷ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ৷ আমরা বলতাম টিয়ার গ্যাস৷ চোখ জ্বালা করছে৷ জলে ভেসে যাচ্ছে মুখ৷ জীবনে সেই প্রথম টিয়ার গ্যাসের ঝাপটা খাওয়া৷ হেডস্যার হেরম্ব চক্রবর্তী থাকেন কাছেই৷ পা চালিয়ে চলে গেলেন বাড়িতে৷ নিয়ে এলেন ধুতি৷ টুকরো টুকরো করে ছাত্রদের দেওয়া হল৷ সবাই চোখে জল দাও৷ জল দিয়া চোখ ধোও৷ আস্তে আস্তে মোছো৷ কচলাইবা না৷ যন্ত্রণা অসহ্য হইলে এনসিসি স্যাররে কইবা৷ ন্যাকড়াগুলা ভিজাইয়া হাতে রাখো৷ ইস্কুল থেইকা কেউ বাইর অইবা না৷ আমরা তোমাগো বাড়ি পৌঁছাইয়া দিমু৷ ভয় নাই৷ চিন্তা নাই৷ বিকেলের দিকে হাওয়ায় যখন টিয়ার গ্যাসের জ্বলুনি আর নেই, যে ছাত্রদের বাড়ি কাছাকাছি, মাস্টারমশাইদের তত্ত্বাবধানে পাঠানো হল তাদের৷ সন্ধের দিকে পুলিশের গাড়িতে ফিরেছিলাম আমি, সঙ্গে মিত্র ইনস্টিটিউশনের দু-জন ছাত্র এবং মাস্টারমশাই৷ এটা উনিশশো ছেষট্টির জুলাই মাসের কোনও এক দিনের ঘটনা৷ খাদ্য আন্দোলন দমনে পুলিশের লাঠি-গুলি ধরপাকড়ের প্রতিবাদ।

সাতষট্টির ভোট এল৷ আমি তখন কলেজে৷ বঙ্গবাসী কলেজের সামনে রাস্তায় দেখি পোস্টার লেখা হচ্ছে৷ একটা পোস্টার মনে আছে৷ এলাটিং বেলাটিং সই লো/আমেরিকা একটি বালিকা চাইলো/ রিতা ফারিয়াকে পাঠাইলো/ বিনিময়ে পাইল মাইলো৷ রিতা ফারিয়া উনিশশো ছেষট্টির বিশ্বসুন্দরী৷ আমেরিকা পি এল ৪৮০ ব্যবস্থায় ভারতে খাদ্য পাঠাচ্ছে৷ মাইলো যব জাতীয় খাদ্যশস্য৷ সম্ভবত পশুখাদ্য৷ পোস্টারে খাদ্য আন্দোলনের ঝাঁঝ৷ তবে বলতেই হয়, পোস্টারের ইঙ্গিত শালীন নয়৷ পোস্টার-লিখিয়েদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা কামু মুখার্জি৷ হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত কামু৷ তখন অবশ্য তত বিখ্যাত হননি৷ লেখা হচ্ছিল তাঁর নেতৃত্বে৷
মনে আছে, চাল না পেয়ে প্রায় একমাস গমের খিচুড়ি খেতে হয় আমাদের পরিবারকে৷ হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার সময় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি৷ সিক বেডে পরীক্ষা দিতে হয়৷
আমেরিকা পি এল ৪৮০ ব্যবস্থায় ভারতে খাদ্য পাঠাচ্ছে৷ মাইলো যব জাতীয় খাদ্যশস্য৷ সম্ভবত পশুখাদ্য৷ পোস্টারে খাদ্য আন্দোলনের ঝাঁঝ৷ তবে বলতেই হয়, পোস্টারের ইঙ্গিত শালীন নয়৷ পোস্টার-লিখিয়েদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা কামু মুখার্জি৷ হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত কামু৷ তখন অবশ্য তত বিখ্যাত হননি৷ লেখা হচ্ছিল তাঁর নেতৃত্বে৷
সাতষট্টির ভোটই আমার জীবনে প্রথম যখন সামান্য হলেও রাজনৈতিকভাবে আলোড়িত হই৷ যদিও তখন ভোটার হওয়ার বয়স হয়নি৷ মিটিংয়ে গিয়েছি৷ হীরেন মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ লাহিড়ী, জ্যোতি বসুর ভাষণ শুনেছি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ছাত্রাবাসের (মেডিকেল স্টুডেন্টদের হস্টেল) উলটো দিকে লেডিস পার্কে৷ কংগ্রেসিদের রক্তচক্ষু অস্বীকার করে ভিড় হচ্ছে সভায়৷ সবাই ভাবছে, এবার দিন পালটাবে৷ জিনিসপত্রের দাম কমবে৷ বড়লোকদের মাতব্বরি কমবে৷ গুন্ডাদের প্রতাপ কমবে৷ গরিবমানুষ অধিকার পাবে৷ পুলিশ মানুষের কথা শুনবে৷ বৈষম্য দূর হবে৷ দুর্নীতি বন্ধ হবে৷ উদবাস্তুদের অবস্থা ভালো হবে৷ স্বাধীনতার পর থেকে যে যন্ত্রণার মধ্যে তাঁরা আছেন, তার অবসান হবে৷ আমার দাদু-দিদিমা একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারবেন৷ কীভাবে হবে জানা নেই৷ নেতাদের কথায় ভরসা রাখার মন তখন আমাদের ছিল৷
ভোটের ফল বেরতে শুরু করল বিকেল থেকে৷ ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭৷ চারদিকে কংগ্রেস হারছে৷ উল্লাসে ফেটে পড়ছে পাড়া৷ এত মানুষ কংগ্রেসকে অপছন্দ করেন! বস্তি ছাড়িয়ে দোতলা/তিনতলা বাড়িতেও চিৎকার৷ খবর জানার একটাই মাধ্যম৷ রেডিও৷ হরিপদদার দোকানে রেডিয়ো বসেছে৷ বেবি আন্টির ঘরে রেডিও গাঁকগাঁক করছে৷ আমরা কয়েকজন চলে গেলাম এন্টালি-পদ্মপুকুর মোড়ে৷ সেখানে ‘কালান্তর’ পত্রিকার অফিস৷ অফিসের বাইরে ডিভাইডারে একটা টুলের ওপর ব্ল্যাকবোর্ড বসানো হয়েছে৷ ভোটের স্কোর আপডেট করা হচ্ছে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে৷ খবর আসছে পত্রিকার টেলিফোনে৷ নির্ভরযোগ্য খবর৷ প্রফুল্ল সেন পরাস্ত৷ অতুল্য ঘোষ পরাজিত৷ ডিভাইডারে, দু-পাশের ফুটপাথে ভিড় দূরে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ল্যাম্পপোস্টে উঁচু করে ঝোলানো হল ব্ল্যাকবোর্ড৷ দূর থেকে দেখা যাবে৷ সবাই যেন কংগ্রেসের হার দেখতে চায়৷ পার্ক সার্কাস মাঠের কাছে, দরগা রোডে ‘উদ্দীপনী সঙ্ঘ’-র কাছে কারা যেন ঝুলিয়েছে ব্ল্যাকবোর্ড৷ টাটকা খবর চাই৷ শুরু হল ছুটে ছুটে, সাইকেল চেপে পদ্মপুকুর মোড় থেকে খবর চারদিকে পৌঁছে দেওয়া৷ মানুষ নেমে এসেছে দিনবদলের পথে, গভীর রাতেও৷ এরপর লাল সেলোফেন কাগজে পোস্টের ল্যাম্পগুলো মুড়ে দেওয়া শুরু হল৷ পোস্ট বেয়ে উঠে যাচ্ছে ছেলেরা৷ লাল আলো ফুটছে চারদিকে৷ ফুটছে কংগ্রেস নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ভান্তু ঘোষ ওরফে আশুতোষ সংক্ষেপে আশু ঘোষের বাড়ির সামনেও৷ সেই বাড়ি তখন দৃশ্যতই নির্জন বিমর্ষ৷
ছবি সৌজন্য: লেখক
*পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবের ৯ মার্চ, ২০২৩
মধুময়ের জন্ম ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহে, কিশোরগঞ্জে। লেখাপড়া কলকাতায়। শৈশব-যৌবন কেটেছে স্টেশনে, ক্যাম্পে, বস্তিতে। গল্প লিখে লেখালেখি শুরু। পরে উপন্যাস। বই আখ্যান পঞ্চাশ, আলিঙ্গন দাও রানি, রূপকাঠের নৌকা। অনুসন্ধানমূলক কাজে আগ্রহী। পঞ্চাশের মন্বন্তর, দাঙ্গা-দেশভাগ, নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছেন। কেয়া চক্রবর্তী, গণেশ পাইন তাঁর প্রিয় সম্পাদনা। প্রতিমা বড়ুয়াকে নিয়ে গ্রন্থের কাজ করছেন চার বছর। মূলত পাঠক ও শ্রোতা।
One Response
আবার কবে বর্তমান সবশাসকের পতন হবে! এতদিন লাগছে যে! এবার পতন দরকার অনেক-অনেক শাসকের…
ভালো থাকবেন মধুময়দা। পড়ে অনেক কিছু জানতে পারছি…