‘রট ইন গুলাগ, কমরেড! রট ইন গুলাগ!’
সন্ধে নামছিল তখন। সাতাশ বছর আগের সন্ধ্যা। পুজোর ছুটির পরে এই সময়ে সন্ধের আকাশে আশ্চর্য এক রঙ লাগে শহরে। শাক্যর বয়ানে, ‘খুনখারাবি রঙ…’। এই সময়ে একটা হাওয়া ছাড়ে কলকাতায়, একটু শীতের ভাব থাকে তাতে। শীত নয়। একটা শিরশিরে হাওয়া কেবল। এই সময়টা ভাল লাগে খুব। এ সময় মন ভাল থাকে। (Revolution)
আংরেজ বিবির অসম্পূর্ণ উপাখ্যান: সাদিক হোসেন
ক্রেমলিন থেকে রক্তপতাকা নেমে গেছে আধ যুগের আগে! পুরনো সোভিয়েত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। যে স্বপ্নের পূর্ব ইউরোপের কথা শুনেছিল শাক্য সেই পূর্ব ইউরোপ তছনছ হয়ে যাচ্ছে। রোমানিয়া বলতে তখন লোকে তির্যক হাসিতে চেসেস্কু বোঝে— সেই সোনায় মোড়া স্নানঘর! যুগোস্লাভিয়া নামে একটা দেশ ছিল, আর বিচ্ছিন্ন বসনিয়া-হারজেগোভিনা দুই বলকান দেশ হয়ে নিজেদের মধ্যে লড়ে যাচ্ছে। অলিম্পিকে ওপরের নাম ইউএসএ না ইউএসএসআর তা নিয়ে উত্তেজনার দিন শেষ। মার্গারেট থ্যাচার ঘোষণা করেছেন, ‘টিনা- টি আই এন এ—দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ…’।
ওদের বাড়ির লোককে বলা হত, মস্কোতে বৃষ্টি পড়লে ওরা নাকি ছাতা নিয়ে বেরোয়। উলটপালট খোলা হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে শিকভাঙা ছাতা। খোলা হাওয়ার প্রথম প্রহরে ভাসছে শহর।
ওদের বাড়ির লোককে বলা হত, মস্কোতে বৃষ্টি পড়লে ওরা নাকি ছাতা নিয়ে বেরোয়। উলটপালট খোলা হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে শিকভাঙা ছাতা। খোলা হাওয়ার প্রথম প্রহরে ভাসছে শহর। শহরের দেওয়ালে সবচেয়ে উজ্জ্বল লাল রঙ তখন এদেশে নতুন করে ফিরে আসা কোকের বিজ্ঞাপনে। বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় স্কুলে পড়ত শাক্য, বিবিসিতে নতুন শব্দ শিখেছিল ‘ডেমোলিশ’। সুনীল জ্যেঠু পার্টির মিটিং করতে আসতেন উত্তর কলকাতার সেই পুরনো খড়খড়ির জানলা দেওয়া বাড়িতে, বলেছিলেন ‘স্বপ্নের প্রয়াণ…’ সেটা কি কেবল বাবরির জন্য নাকি সোভিয়েতের জন্য—স্কুলের বয়সে তখন বোঝেনি শাক্য। কলেজের শেষে, নতুন সহস্রাব্দ আসবে তখন তিন বছর পরে; সৌম্য বলেছিল, ‘উই আর দ্য চিলড্রেন অভ মার্কস অ্যান্ড কোকাকোলা!’ কোথায় যেন পড়েছে কথাটা, সেদিন মনে পড়েনি শাক্যর।

শাক্যর রগদুটো দপদপ করছে। ছোট চারমিনারের তামাক চলে গেছে মুখে। শাক্য থুতু ফেলতে গিয়ে থমকে যায়। রাগের মাথায় কথাটা বলে দিয়ে এখন থুতু ফেললে মৈত্রী তার অন্য মানে করবে। আঙুল দিয়ে জিভ থেকে সরিয়ে নেয় তামাকের তিতকুটে কুচি। মুখ নয় শুধু মনটাও তেতো হয়ে আছে। বিড়বিড় করে শাক্য, ‘রট ইন গুলাগ…’ কিন্তু আগের ঝাঁজটা যেন নেই…! আলেকজান্দার সলঝেনেতসিনের গুলাগ আর্কিওপেলাগো নোবেল পাওয়া বই। সুনন্দদা বলেছিল, ‘ওটা তো সোভিয়েতের নিন্দে করার জন্য পেয়েছিল…! রাজনীতি সর্বত্র আছে শাক্য। ভাতের হাঁড়ির প্রতিটি চালে। চারপাশটা কেমন বদলে যাচ্ছে দেখছিস না!’
শাক্যর মনে পড়ে চকচকে নরম পাতার সোভিয়েত দেশ আর সোভিয়েত নারী আসা বন্ধ হয়ে গেছে বাড়িতে। পুজোর সময় পার্টির স্টলে কমে গেল রাদুগা আর প্রগতি প্রকাশন, মস্কোর বই। সেই রুশ দেশের উপকথা, দাদুর দস্তানা, পেনসিল আর সর্বকর্মার কাহিনি, নাম ছিল তার ইভান, ধলা কুকুর শামলা কান, ইশকুল, দুই ইয়ারের যত কাহিনি, দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন, ধীরে বহে ডন… না, সত্তর সালে ‘গুলাগ আর্কিওপেলাগো’ নোবেল পেলেও সে বই কখনও দেখেনি স্টলে। কোন একটা বইয়ে যেন আলিওনুশকার গল্প ছিল, ‘আলিওনুশকার এক চোখ ঘুমায় আর এক চোখ জাগে…’
সেই গুলাগেই এসে আটকালে, কমরেড! সব বদলে যাচ্ছে। শ্রমের সংজ্ঞা, শ্রমিকের সংজ্ঞা, কাজের ধারণা…
‘সেই গুলাগেই এসে আটকালে, কমরেড! সব বদলে যাচ্ছে। শ্রমের সংজ্ঞা, শ্রমিকের সংজ্ঞা, কাজের ধারণা… সত্যিই তো অল্টারনেটিভ কী আছে বলতো! একমেরু বিশ্ব এখন, সব জায়গায় আমরা ফেল করেছি…’ বলে বাটিকের চাদর থেকে হাত বের করে সিগারেটটা চায় মৈত্রী।
‘সেটা কি মার্কিন ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ পাওয়ার পরে উপলব্ধি হল তোর!’
‘যদি তা হয়ও, তাহলেই বা অসুবিধে কোথায়! বস্তুবাদের কথা যে বলিস, একবারই তো বাঁচবি! সেটা ভাল করে বাঁচার কোনও পথ আছে এখানে?’
‘নিজে ভাল থাকা! বাহ্ ব্যাপক!’
‘প্রথমত, ভাল থাকা অপরাধ নয়। এনিওয়ে, তুই একটা ল্যাব বল! এ দেশের যেকোনও ইউনিভার্সিটির বা ইন্সিটিটিউটের যেখানে ঠিকঠাক কাজ করা যাবে! নাও ইনফরমেশন ইজ দ্য ফিউচার! কাম অন শাক্য… দেশ একটা কৃত্রিম বাউন্ডারি, তাও আবার যেটা নেশান স্টেট নয়—কলোনাইজারদের তৈরি করা।’

‘তুই ভোট দিস?’
‘দিই। জানি তুই প্রশ্ন করবি না তবু… পার্টিকেই দিই।’ হাসে মৈত্রী।
‘মেয়েদের ভোটাধিকার কোথায় শুরু হয় জানিস?’
‘সোভিয়েতে…’
‘আট ঘণ্টা কাজের দাবি?’
‘শিকাগোতে প্রাণ গেলেও ইমপ্লিমেন্টেড হয় সোভিয়েতে প্রথম।’
‘সোশ্যাল সিকিউরিটিজ… এই যে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার রাষ্ট্রের দায়িত্ব, কর্মক্ষম না থাকলে পেনশনের নিরাপত্তা?’
‘কলোনিগুলোর স্বাধীন হওয়ার পিছনে সমাজতান্ত্রিক ধারণার ভূমিকা…!’
‘জানি। এগুলো সব জানি। এগুলো সোশ্যালিজমের অ্যাচিভমেন্ট কিন্তু ক্যাপিটালিস্ট কান্ট্রি-গুলোও তো এগুলোকে অলরেডি ইনক্লুড করেছে! দেন…! হোয়াট নেক্সট? উই আর নট অফারিং পিপল টু চুজ! হোয়াট অ্যাবাউট ফ্রি স্পিচ! মানুষ তো কলে গড়া যন্ত্র নয়!’
সাধারণের আয়ের আওতায় ওই দুটো, ম্যাক্সিমাম তিনটে ব্র্যান্ডই আসে। সীমাবদ্ধ ইন ক্লাস স্ট্রাকচার। বাকিটা ওখানকার সুপারমলে সাধারণ মানুষের উইন্ডো শপিংয়ের জন্য, কনজিউমারিস্টিক অ্যাস্পিরেশনের জন্য…
‘কীসের চয়েস! দুটোর জায়গায় ছ’টা গার্মেন্টস ব্র্যান্ডের, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ব্র্যান্ডের, গাড়ির? চয়েস ক্যাপিটালিস্ট কান্ট্রিতেও সীমাবদ্ধ, মৈত্রী। সাধারণের আয়ের আওতায় ওই দুটো, ম্যাক্সিমাম তিনটে ব্র্যান্ডই আসে। সীমাবদ্ধ ইন ক্লাস স্ট্রাকচার। বাকিটা ওখানকার সুপারমলে সাধারণ মানুষের উইন্ডো শপিংয়ের জন্য, কনজিউমারিস্টিক অ্যাস্পিরেশনের জন্য… এখন তোকে ভাবতে হবে সেই সাধারণের অ্যাস্পিরেশন ভাল না অ-সাধারণের জন্য রেশনিং ভাল। হাজার হাজার বছর ধরে যারা ইকোনমিক, সোশ্যাল, কালচারাল ক্যাপিটালে আন্ডার প্রিভিলেজড, অপ্রেসড তার জন্য স্টেটের কোনও প্রোটেকশন সিস্টেম থাকবে না! আর ফ্রি স্পিচ! হোয়াট দ্য হেল ইজ ফ্রি স্পিচ! ইয়েস ইনফরমেশন ইজ দ্য ফিউচার। তুই ম্যানুফ্যাকচারিং অভ কনসেন্ট জানিস না! প্রচারমাধ্যম আমাদের ভাবনাগঠন করে। আমরা যা ভাবি, তার কমপোনেন্টগুলো, তার স্ট্রাকচার কি আমরা ঠিক করি! একটা গোটা দেশ মহাকাব্যের কল্পিত নায়কের নামে একটা ঐতিহাসিক সৌধ ভেঙে ফেলল! এই মাস হিস্টিরিয়া কীভাবে তৈরি করা গেল! এই কনসেন্ট! কজন উলটোদিকে কথা বলল ভেবে দেখ! আমাদের ভাবনা আমাদের অ্যাকসেসেবল ইনফরমেশনের ওপর তৈরি হয় না! ভাবনা গঠন একটা খুব কঠিন জিনিস।’
‘তুই কি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ওই ব্যুরোক্রেটিক হেজিমনির পক্ষে হ্যাজ নামাচ্ছিস না!’

‘না। নামাচ্ছি না। খারাপকে খারাপ বলতে কোনও সমস্যা নেই। রাদার বেশি নিন্দে করব সমাজতন্ত্রের নামে ব্যুরোক্রেটিক হেজিমনিকে। আচ্ছা মানুষ আগুন জ্বালাতে কতদিনে শিখেছিল! নিয়ন্ত্রিত আগুন যা তার প্রয়োজনে সে জ্বালাবে, আবার প্রয়োজনে নেভাবে। অগ্নিহোত্রী হয়ে থাকবে না!’
‘ঠিক কী বলতে চাইছিস?’
‘চাকা! গোল একটা চাকা! একচান্সে?’
‘না…’
‘দেন… ডাজ ইট প্রুভ দ্যাট দেয়ার ইজ নো গ্র্যান্ড স্ট্রাকচার ওর দ্য এন্ড অভ হিস্ট্রি?’
‘কিন্তু একটা জগদ্দল পাথর ঠেলে যাব সারা জীবন ধরে আর পাথরটা একচুল নড়বে না আমার জীবদ্দশায়! নড়া দূরের কথা গায়ের শ্যাওলাটাও উঠবে না! তবু আমাকে এ দেশে পড়ে থাকতে হবে! তুই তো দেশ বলতে কতগুলো আইডেন্টিটির কথা বলিস… অথচ আইডেন্টিটি পলিটিক্সের বিরোধিতা করিস… লাইফ ইজ নট সো ইজি শাক্য! ইট ইজ ফুল অভ অ্যাম্বিগুইটিজ অ্যান্ড সেলফ কন্ট্রাডিকশন্স… দেশ ব্যাপারটা নিয়েই নতুন করে ভাবা দরকার। ব্যক্তি আর স্টেটের সম্পর্ক নিয়েও ভাবতে হবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক… ইট ইজ দ্য ডেথ অভ আইডিওলজি।’
‘কী জানি… কেউ মাটি দিয়ে মূর্তি বানাতে ভুল করেছে তার মানে তো এই নয় যে মাটি দিয়ে মূর্তি গড়া যায় ন!’ খানিক অন্যমনস্ক শাক্য। ‘…দেশ ওভাবে হয় না বাবু… দেশ একটা আইডিয়া। সেটা হয়তো থিওরিটিক্যালি কখনও কোনও একটা সময়ে থাকবে না–অ্যাজ ইট ইজ ইন দ্য ম্যাপ টুডে, অ্যান্ড অ্যাজ ইট ইজ ইন থিয়োরি অলসো। বাট স্টিল… তবু সারা দুনিয়ার কাছে বলার মতো এই একটাইমাত্র দেশ তোর আছে। জানি না… সেটা এখনও আমার কাছে ক্লিয়ার নয়। আমাদের বাড়ির পাশের ফুটপাথের বকুলগাছটা, নিচে ছড়িয়ে থাকা ফুল, ভোরের প্রথম ট্রামের ঘণ্টা, দোতলা বাসের সামনের সিট এগুলোও তো আমার কাছে দেশ! তুই…’
কী একটা বলতে গিয়ে চুপ করে গিয়েছিল সেইদিন শাক্য। সামনে পূর্ণিমা, কাল পরশুর মধ্যে হয়তো বা, এত্ত বড় থালার মতো একটা চাঁদ উঁকি দিচ্ছে একটু একটু করে।
কী একটা বলতে গিয়ে চুপ করে গিয়েছিল সেইদিন শাক্য। সামনে পূর্ণিমা, কাল পরশুর মধ্যে হয়তো বা, এত্ত বড় থালার মতো একটা চাঁদ উঁকি দিচ্ছে একটু একটু করে।
‘আমি? কী আমি!’ মৈত্রী জিজ্ঞেস করে… শাক্য চুপ করে ছিল সেদিন।
একটা মেঘের টুকরো এসে পড়েছে ওই গোল থালার মতো চাঁদের সামনে। একটা প্লেন উড়ে যাচ্ছে তার সামনে দিয়ে।

সাতাশ বছর আগের সেই চাঁদ! এই সাতাশ বছরে শাক্য কর্পোরেটের কর্তা। বার কয়েক ওদেশে কাজে গিয়ে দেখা করেছিল ওরা। ২০০৮-এ সাব প্রাইমে একবার চাকরি গিয়েছিল মৈত্রীর। কোভিডের সময় ব্যাপক স্যালারি কাট… ট্রাম্প আরেকবার জেতায় মেল করেছে মৈত্রী আজ। বুদ্ধ পূর্ণিমায়। লিখেছে, টিয়া – টিআইএ—দেয়ার ইজ অল্টারনেটিভ… ‘মজ্ঝিম পন্না’র কথা। স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আসবে কী না ভাবছে… একটা ভেঞ্চার প্রোজেক্ট করতে চায়। শাক্য কি জয়েন করবে? ইউক্রেন নয়তো ন্যাটোয় ঢুকে যাবে! রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলছে দু’বছরের বেশি হয়ে গেল। হারিয়ে যাচ্ছে ফিলাস্তিনের ইতিহাস বোমারু বিমানের হানায়। ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির নিচে কর্মহীন মানুষের ভিড়…
শাক্য রিপ্লাই মেল লিখতে বসে।
‘চলে আয়…’
অলংকরণ – আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়
জন্ম ১৯৭৬, কলকাতা। পড়াশোনা হেয়ার স্কুল যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তুলনামূলক সাহিত্য ও বাংলা সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। পেশা ভাষাসাহিত্যের শিক্ষকতা। গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। ল্য পেতি প্যঁস বা লিটল প্রিন্সের অনুবাদ মহাশ্বেতা দেবী সম্পাদিত বর্তিকা পত্রিকায়, এবং পরে পরবর্তীকালে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। স্নাতক স্তরের ছাত্রাবস্থায় প্রমা পত্রিকায় গদ্য লেখা শুরু। এখন পরিচয়, অনুষ্টুপ, অনীক, নন্দন, কথা সোপান, আজকাল, এইসময়, সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় লেখেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ছোট্ট রাজকুমার (অনুবাদ, ২০১৫); এছাড়া তিনটি গল্প সংকলন প্রকাশিত, কৃষ্ণগহ্বরের স্মৃতিফলকেরা (২০১৬), বাংলার ত্রস্ত নীলিমায় (২০১৯), সুরবালা ও সোয়ান লেক (২০২২), অলিভের রক্ত - আক্রান্ত ফিলাস্তিন : আজকের কবিতা (২০২৪) বিভিন্ন পত্রিকায় ভারতীয় ও বিদেশি গল্প ও কবিতা অনুবাদ করেছেন।