অটো থেকে নেমেই ছুটতে শুরু করল পয়লা। হাঁটা ও দৌড়ের মাঝামাঝি। এটাই তার স্বভাব। হয়ে গেছে। বাচ্চাবেলা থেকে লোকের বাড়ি খেটে খায়। দশ মিনিট দেরি হলে বৌদিদের রাগ। এত দেরি কেন পয়লা? রোদ চচ্চড় করছে। কখন জলখাবার হবে, কখন রান্নাবান্না। যেন দশ মিনিটে সে সব করে ফেলত। অত গায়ে মাখলে চলে না। তবু কখনো কখনো গায়ে লেগে যায় পয়লার। এই যেমন এর আগে এক বাড়িতে ঢুকেছিল। গিন্নির যেন কাজের শেষ নেই। সাত রকম রান্না রোজ, কে খায় এত? সব ফ্রিজে জমিয়ে পচায়, তারপর কাজের লোকের পাতে তুলে দেয়। নাকি, বাবুর মুখে রুচি নেই, কখন কোনটা খেতে ইচ্ছে করে, তাই নানা রকম রান্না তৈরি। এসব বড়লোকি দেখলে তাঁর দিদিমা বাঙাল ভাষায় শোলোক কাটত,
মাগ্য ভরা গুয়ের ধুম
সাতরকমে হাগুম গুম।
তারা দুই বোন হেসে গড়িয়ে পড়ত দিদিমার কথা শুনে। এখন হাসি পায় না। মনে হয়, ঠিক কথাই বলত দিদিমা। যাদের অনেক আছে, তারা উদ্বৃত্ত ফেলে ছড়িয়ে নষ্ট করতে ভালবাসে। তাতেই তাদের সুখ। একদিন বেলা দুটো হয়ে গেছে, সব গুছিয়ে গ্যাস মুছে, রান্নাঘর পরিস্কার করে হাত ধুচ্ছে পয়লা, গিন্নি বললেন,
–“একটু আমড়ার চাটনি করে দিয়ে যা”।
পয়লার আর ভাল লাগছিল না। ঘরে ফিরে তরকারি রাঁধবে, তারপর ছেলেমেয়ে নিয়ে খেতে পাবে। বর আজকাল ভাত করে রাখে। রিকশা চালিয়ে ফিরে তার শরীরও কি একটু বিশ্রাম চায় না? আবার রান্নায় দেরি হলে তাকে খেয়ে দেয়েই ছুটতে হবে রিকশা নিয়ে। প্রশান্ত সত্যিই শান্ত, রাগারাগি করা, মদ খেয়ে বউ পেটানোর অসভ্যতা বা আর কোনও বদ দোষ তার নেই। কিন্তু স্বামী ছেলেমেয়ে হল পয়লার জীবনের ধন, তাদের কষ্ট হলে তার প্রাণে বাজে। সেই কষ্ট লাঘব করতেই সে পরিশ্রম পরোয়া করে না, দুটো টাকার জন্য যে যা বলে করে দেয়। কিন্তু সকাল আটটায় এসে দুটোয় যাবার মুখে নতুন ফরমাশ পেয়ে সে খানিক চটে গিয়ে বলেছিল,
— “এত সময় রইলাম, মনে করতে পারলে না? এখন ঘরে গিয়ে রাঁধতে হবে তো আমায়, নাকি? আমরাও তো পেটে কিছু দেব।”
— “আমি টাকা দিই বলেই তো পেটে কিছু দিতে পারিস। একটু চাটনি করতে কতক্ষণ লাগে?”
— “কতক্ষণ লাগে, জানো না? টমেটোর চাটনি বলতে, পাঁচ মিনিটে করে দিতাম। আমড়া কাটো, সেদ্ধ করো, চাটনি করো, পাক্কা এক ঘণ্টার ধাক্কা। তোমার তো আবার অল্পে মন উঠবে না।”
— “অত মুখ করিস না পয়লা। মনে রাখিস সারা জীবন গতর খাটিয়েই তোকে খেটে হবে। এ বাড়িতে খেয়ে খেয়ে তো মোটা হয়ে যাচ্ছিস, একটু কৃতজ্ঞতাও তো থাকে মানুষের। খেতে দিই বলে কি তোকে মাইনে কম দিই? খাওয়ার দাম তো ধরিই না। তার ওপর যা বেশি হয়, ছাঁদা করে দিয়ে দিই।”
— “সে তোমার ফেলা যাবে, তাই দাও। আমরা আস্তাকুড় থেকে তুলে খাওয়া মানুষ, আমাদের পেটে সব সয়। কিন্তু আমি কি দিতে বলেছি একদিনও? চেয়েছি?”
— “আজ চাস না, কাল চাইবি। ভিক্ষে করার দিন তোদের আসছে। আমেরিকায় তো যাসনি, গেলে দেখতি, সব কিছুর মেশিন। বাসন ধোয়ার পর্যন্ত। ক’দিনেই নাকি রান্না করার রোবট কিনতে পাওয়া যাবে বাজারে। তোদের কী হবে তখন? লোকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেবে। তখন এই আমার দুয়ারেই ভাত চাইবি।”
— “এত বড় কথা বললে মাসিমা? এত বড় খোঁটা দিলে? আমি তো কত কষ্ট করেছি, কখনো ভিক্ষে করি না। রীতিমত কাজ করে খাই। ভাঙা ঘরে থাকি, তবু এক পয়সা ধারি না। এত কষ্ট করছি ছেলেমেয়ে মানুষ হবে বলেই তো? ভবিষ্যতে কে কী হবে কেউ জানে? গরিবের সংসারে কি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় না? ”
কথা বলতে বলতে বলতেই আমড়ার খোসা ছুলে প্রেশার কুকারে বসিয়ে দিয়েছিল পয়লা। গিন্নি বলে উঠলেন,
— “রাখ, যা মানুষ করছিস মেয়েকে, ওই তো ছবি দেখালি, পাড়ায় কোমর দুলিয়ে ‘বিড়ি জ্বালাইলে’ নাচছে। বিপাশা বসু একেবারে। দেখিস শেষ পর্যন্ত তোর বোনের মতো বেশ্যাবৃত্তি না করে।”
চোখের জল ফেলতে ফেলতে বাড়ি ফিরল সেদিন পয়লা। এত বড় অভিশাপ? তার আদরের কেকা বেশ্যা হয়ে যাবে? কী হয় বিড়ি জ্বালাইলে নাচলে? কত বয়স ওর? এই ফাল্গুনে দশ পূর্ণ করবে। নাচ তো নাচই। তোমরা বসে টিভি-তে দেখতে পারো, আর কচি মেয়ে নাচলেই দোষ? খারাপই যদি হবে, রতনকাকা কাউন্সিলর কেন পাঁচশো টাকা বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করল মেয়ের নামে? হিংসে। বড় লোক হলেই কি মন বড় হয়!
লম্বা লম্বা পা ফেলে চলতে চলতে এসব মাথায় ঘুরছে। কান্নাকাটি পয়লার ধাতে নেই। সে কাঁদবার মেয়ে নয়। তার বোন দুরি যখন খারাপ মেয়ে হয়ে গেল, কত কথাই সে শুনেছে, কখনো মাথা নুইয়ে পথ চলেনি। বোনের ব্যাপার বোন বুঝবে। তাঁর নামে কেউ একটা খারাপ কথা বলতে পারবে কোনও দিন? কিন্তু বোন আর মেয়ে এক নয়। দুরির জন্য মায়ামমতা নেই তার। কিন্তু কেকার জন্য বড় ভয়। ক’দিন আগে শেয়ালমারির মাঠে একটা মেয়েকে মেরে ফেলে রেখে গেছে কেউ। গায়ে একটা জামা পর্যন্ত ছিল না। বয়স এগারো-বারো। মেয়েটার রেপ হয়েছে। তাদের পাড়া থেকে দলে দলে লোক দেখতে ছুটেছিল। পয়লা যেতে পারেনি। তাঁর কেবলই মনে হচ্ছিল এ তো কেকার মতোই। এর মা কোথায়। কী করছে এখন। কারা এমন পাষণ্ড যে একটা ছোট মেয়েকে ছিঁড়ে খায়।
সেই থেকে এক ভয়। কাজের বাড়ি তিষ্ঠোতে পারে না। কাজ শেষ করেই ছুটে যায়। পই পই করে বলে রেখেছে, স্কুল থেকে সোজা বাড়ি আসবি কেকা। চেনা – অচেনা যে ডাকুক, কারও সঙ্গে কোথাও যাবি না। কারও বাড়িও না।
ধারকর্জ করে একফালি জমিতে ধারার বেড়া দিয়ে ঘর তুলেছে তারা। অনেকেই বলেছে, শেয়ালমারির মাঠের দিকটা ভাল না। কিন্তু সস্তার জমি আর পায় কোথায়। তারা তো একা নয়। আরও অনেকেই বাড়ি করছে এদিকে। তাদের মতোই। শেয়ালমারির মাঠ ছোট হতে হতে ফুরিয়ে যাবে একদিন। কিন্তু ভয় কি যাবে অত সহজে। মেয়ের কথা ভেবে কিস্তিতে দুটো মোবাইল ফোন কিনে ফেলেছে পয়লা। একটা সঙ্গে রাখে, একটা ঘরে থাকে। তাও ভয় যায় না। যখন ফোন করে মেয়েকে পায় না, শুধু একঘেয়ে একটানা বেজেই যায় বেজেই যায়, তখন পয়লার রাগ, ভয়, বিরক্তি সব ঘাড়ে চাপে। তাহলে ফোন কিনে কী লাভ হল?
বাড়ি পৌঁছে পয়লা দেখল মেয়ে চা করছে স্টোভে। এখনও গ্যাস জ্বালতে দেয়নি মেয়েকে। প্রশান্তর বন্ধু হিতু এসেছে। দু’জনে কথায় মগ্ন। তাকে দেখেই হিতু বলল,
— “এই যে বৌদি, এসে গেছ, বোঝাও এবার। বলি ইট বইবি, বালি বইবি, কাঁড়ি খানেক টাকা পাবি। কাজ না থাকলে রিকশা টানবি, কে বারণ করবে? ঠিক কিনা? আরে ওতে একদিনে যত টাকা আসবে, ও তোর তিনদিনের রোজগার।”
পয়লা হেসে বলল,
— “তা এমন কাজ দিচ্ছে কে? তুমি?”
— “কেন? দিতে পারি না? আরে ঠিকে নিয়েছি, লেবারের ঠিকে। তা বন্ধুর ভাল রোজগার হোক আমিও তো চাই। চারদিকে ঋণ ধার, মেয়ে বড় হচ্ছে, বিয়ে দিতে হবে।”
— “বিয়ের কথা এখুনি কি? মেয়ে সবে স্কুলে পড়ছে। যাই হোক, এসেছ দুপুরে খেয়ে যাবে কিন্তু।”
— “না না। সময় নেই। আমি বলতে এলাম কাল থেকেই লেগে পড়। তা প্রশান্ত বলে শহর জায়গা, ভাল চিনি না, তা আমি তো আছি নাকি? এই খোটের পোটে পড়ে থাকবি চিরটা কাল? দুনিয়া দেখবি না?”
রাতে পয়লা আর প্রশান্ত অনেক হিসেব কষল। বাড়ির ঋণ, রিকশা সারাতে হয়েছিল, সেই সময় মুদিদোকানি হাবুল কর্মকারের থেকে হাজার টাকা সুদে নিয়েছিল, তা এখন তিন হাজার হয়েছে, শোধ দিতে পারেনি, মাসে মাসে পটলা-ন্যাদার দোকানে মোবাইলের কিস্তি গুনতে হয়, মাসের পনেরো তারিখেই হাত শূন্য। রিকশা চালিয়ে দিন আনা দিন খাওয়া। তার চেয়ে ভাল ওই সাইটের কাজ। কে বলতে পারে, ইট বইতে বইতে প্রশান্ত একদিন রাজমিস্ত্রির কাজও শিখে ফেলতে পারে। প্রশান্ত বউকে জড়িয়ে কানের কাছে মুখ এনে বলল,
— “তুমি কিন্তু আমার চেয়েও স্মার্ট আছ। টুক বলতে শহরে গিয়ে কাজ করে আসো। ভয়-ডর নেই।”
— “তুমিও শিখে যাবে। লোক একটু বেশি, তা ছাড়া আর তফাৎ কী।”
রাত থাকতে উঠে রান্না চাপাল পয়লা। প্রশান্ত খেয়ে বেরোল, সঙ্গে একটু ভাত – তরকারি দিয়ে দিল। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাবে। পয়লা আর কাজের বাড়ি গেল না। শহরে গিয়ে প্রথম দিন কাজ, বন্ধু সঙ্গে থাকলেও, চিন্তা তো হয়। তা ছাড়া এক-আধ দিন ছেলেমেয়ের সঙ্গে কাটাতে ইচ্ছে করে। সে আছে বাড়ি থাকায় বাচ্চাগুলো খুশি।
ক্লান্ত প্রশান্ত ঘরে ফিরল সাতটা নাগাদ। মুখে হাসি। পকেট থেকে টাকা বের করে পয়লার হাতে দিল, সঙ্গে একটা প্যাকেট। বলল,
— “আর বোলো না, বাড়ির মালিক তো দুপুরের খাওয়া দিয়ে দিল।”
পয়লা বলল, “বাড়ি করছে বুঝি?”,
— “তা নয় তো কী। বিশাল বাড়ি। দিনের দিন মজুরি দিয়ে দেবে। বসতে দেয় না। খুব খাটায়। কিন্তু দেখো কত খাবার। আমি তো তোমার দেয়া খাবারই খেলাম।”
পয়লা খাবারের প্যাকেট খুলতে খুলতে বলল,
— “ও মা! এ যে অনেক গো। কত্ত পরোটা! এটা কি তরকারি? এহ, প্লাস্টিকে দিয়েছে। দে তো কেকা, একটা বাসন দে তো। ঢালি এটা। আমি তো আজ চিন্তায় চিন্তায় কাজের বাড়ি গেলাম না।”
— “চিন্তার কিছু নেই। বরং দু’দিন আরাম করো তো। ফোন করে বলে দাও শরীর খারাপ। তোমার মোটে বিশ্রাম হয় না।”
— “হ্যাঁ হ্যাঁ, থাকো থাকো মা, কালকেও থাকো।” বাচ্চারা লাফাচ্ছে।
পয়লা সুখের হাসি হাসছে। দু’দিন কামাই দিলে বউদি ছেড়ে কথা বলবে না। সে যাক, তাঁর ভাল লাগছে । নিশ্চিন্ত লাগছে। সে পরোটা গুনতে বসল। অনেক। প্রশান্ত খেলেও বাড়ির জন্য আনতে পারবে। রাতে তারা গোল হয়ে বসে সেই পরোটা খেল। তবু কি ফুরোয়? পরদিন ভোরে চায়ের সঙ্গে গরম করা পরোটা খেয়ে কাজে গেল প্রশান্ত। সকালে পয়লা ছেলেমেয়ে নিয়ে পেট ভরে খেল। এখনও রয়েছে কতক। পয়লা বাসনের পাঁজা নিয়ে টিউকলতলায় আসতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়েই যাচ্ছিল।
— “কী রে? ওম্মা! একটা কুকুর জুটেছে দেখো। পরোটার গন্ধে এসে পড়েছে।”
পয়লা বাসন নামিয়ে রেখে একটা পরোটা ছুড়ে দিল ঘরের সামনে রাস্তায়। কুকুরটা ছুটে গেল। একই সঙ্গে ছেলেটাও। কুকুরটা দাঁত বের করে খেঁকিয়ে উঠল। ছেলেটা সরে দাঁড়াল। পালিয়ে গেল না।
কাঠ হয়ে গেল পয়লা। কোত্থেকে এল ছেলেটা? ও কি কুকুরের আগে পৌঁছে পরোটা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল? কাদের ছেলে? দেখেনি তো আগে। ধুলোময়লা মাখা, চুলে জট পড়া তামাটে চুল, রোগা, খালি গা, নাক টানছে, কত বয়স? পয়লার ছেলের মতোই। তার বুকের মধ্যে হু হু করে উঠল। কেকা ভাইকে নিয়ে এক্কা দোক্কা খেলতে গেছে। ওরা কি এই বাচ্চাকে চেনে?
সে ডাকল।
— “এই ছেলে, খিদে পেয়েছে? খাবি? আয়।”
গুট গুট করে চলে এল দিব্যি। একটা ভাঙা থালায় একটু গুড় আর পরোটা দিল ছেলেটাকে। বলল,
— “যা, ওই কলপাড়ে বসে খেয়ে নে।”
খাচ্ছে ছেলেটা। রাস্তায় কুকুরটাও শেষ টুকরোটা চিবোচ্ছে আরাম করে। পেট ভরে, বেশ সুস্বাদু পরোটা খেয়ে খেলতে গেছে তার সন্তানেরা, কাজে গেছে স্বামী, পয়লার সারা শরীরে আজ বিশ্রাম ও তৃপ্তির আরাম। ঢের পরিমাণ পরোটা এত আনন্দ ও শান্তি দিতে পারে? এত খুশি?
পয়লা জিজ্ঞেস করল,
— “আর একটা খাবি? নাম কী তোর?”
ছেলেটা ঘাড় কাত করল। খাবে। মুখে বলল,
— “ভাত।”
— “ভাত? ভাত কারও নাম হয়? কে রেখেছে এমন নাম?”
— “কেউ না।”
সমাপ্ত
তিলােত্তমা মজুমদারের জন্ম উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে ইউনিয়ন একাডেমি স্কুল, আলিপুরদুয়ার কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। সাহিত্য রচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ| ‘বসুধারা' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং সেইসঙ্গে পেয়েছেন আরও অন্যান্য সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৭-তে অংশ নিয়েছেন আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সাহিত্য কর্মশালায়।
7 Responses
তিলোত্তমা মজুমদারের কুশলী কলম পাঠকদের মনে বারবার দাগ কাটে। ভাবায় তাদের। এ গল্পও তার ব্যতিক্রম নয়।
তিলোত্তমার লেখা পড়লাম গল্প খুব ভাল। শেষের দিকে তিনি যে টর্ন দিযেছেন তাতে গল্প উচ্চ স্থানে উঠেছে।অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
কলমের তুলিতে পরোটার গায়ে ক্ষুধা আর মাটির সোঁদা গন্ধ মাখামাখি। এই পরোটার স্বাদই আলাদা।
সাদামাটা থিম। কিন্তু ভীষণ ভালো লাগল পড়তে।
ভাল লাগা ব্যক্ত করছি। সুমধুর দারিদ্রের খিদে অনায়াস মমতায় উঠে এসেছে। শেষহীন চমকরহিত এক জীবনাংশের ঘরানা।
এই গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত বলতে পারবেন ?
বাংলালাইভ ডট কমে শুধুমাত্র অপ্রকাশিত মৌলিক লেখা প্রকাশ করা হয়। এই গল্পটিও তার ব্যতিক্রম নয়। এটি এখানেই প্রথম প্রকাশিত হয়েছে। ধন্যবাদ।