বাঁ হাতের কারসাজি
বছর পনেরো আগের কথা। অস্ট্রেলিয় সরকারের একটি দফতরে কাজ করি। সরকারি চাকরির আর একটি বাধ্যতামূলক অর্থহীন কোর্স করছি। কোর্সটির পরিচালক কিছু একটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছিলেন— জনা কুড়ি অংশগ্রহণকারীকে বললেন একটি কাগজে প্রথমে ডান হাতে, তারপর বাঁ হাতে নিজের স্বাক্ষর করতে।
আমার কাগজটি পাওয়ার পর ভদ্রলোকের একটু ভ্রুকুঞ্চণ দেখা গেল— কারণ বেশ জটিল সই হওয়া সত্ত্বেও দুটি সই-ই প্রায় এক। সবাইকে দেখালেন এবং মতামত চাইলেন। এক উচ্চপদস্থ অস্ট্রেলিয় ভদ্রলোক আর এক ঝগরুটে চৈনিক মহিলা আমার সততা নিয়ে ইঙ্গিত করলেন। বেগতিক দেখে পরিচালক মশায় আমায় জিজ্ঞেস করলেন সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো সবার সামনে আমি বোর্ডে আমার সব্যসাচীত্ব প্রমাণ করতে পারব কিনা। অনায়াসে কাজটি করে নিজের সম্মান রক্ষা করেছিলাম সেদিন।
এরপর যা হয় আর কি— আমার এই দক্ষতাটি যে কত বিরল, কী অসাধারণ, সেই নিয়ে কিছুক্ষণ পাকা পাকা কথা সহযোগে ভ্যাজর ভ্যাজর চলল।
হাসিমুখে তারিফ উপভোগ করলেও সত্যি কথাটা বেমালুম চেপে গিয়েছিলাম। আমি মোটেও সহজাত সব্যসাচী নই। এই দক্ষতা অর্জনের পেছনে আছে এক অস্বস্তিকর, বেদনাময় কাহিনি। আমার যে সময়ে জন্ম, তখন বাঁ-হাতি হওয়াটা প্রায় প্রতিবন্ধকতার মতো গণ্য হত। সেই সীমিত তথ্যের যুগে বাবা কোথাও একটা পড়েছিলেন বা শুনেছিলেন যে সহজাত বাঁ হাতিদের জোর করে ডান হাতি বানানোর চেষ্টা করলে নানারকম মানসিক সমস্যা হতে পারে। তোতলামি জাতীয় উপসর্গ-ও দেখা দিতে পারে। আমার ভাগ্য ভালো, আমাকে নিয়ে ঐরকম কোনও এক্সপেরিমেন্ট করা হয়নি।
আমার কাছাকাছি বয়সী পিসতুতো বোন গোপাও সহজাত বাঁহাতি। দুর্ভাগ্যবশত পরিবারের চাপে ডান হাতে লিখতে বাধ্য হয়েছে। রসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হলেও হাতের লেখা বাচ্চাদের মতো। খুন্তি নাড়া, পরিবেশন করা সব কিছুই কিন্তু বাঁ হাতে করে।

লেখার ব্যাপারে পারিবারিক চাপ না থাকলেও কোনও কারণে হাত দিয়ে খাওয়ার ব্যাপারে ডান হাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ আমি। কেউ জোর করেছে বলে মনে পড়ে না। হয়তো বাঁ হাতকে সংস্কারজনিত কারণে অবচেতনে অশুচি ভেবে বসেছি কচি বয়সেই। মজার ব্যাপার হল, চামচ দিয়ে খাওয়ার সময়ে দিব্যি বাঁ হাত ব্যবহার করি। এটাকেই বোধহয় বলে conditioning— পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
ক্যানবেরার খাওয়া দাওয়ার আসরে আমায় বাঁ হাতে খেতে দেখলে শংকরদার বাঁধা রসিকতা “সিদ্ধার্থ আর সব ব্যাপারে দক্ষিণপন্থী, শুধু এই একটা কাজে বামপন্থী!” এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমি মোটেও দক্ষিণপন্থী নই। রাজনৈতিক এবং সামাজিক মতাদর্শে কমবেশি মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী।
কিছুদিন আগে কলকাতায় এক ভদ্রমহিলার সঙ্গে পরিচয় হল। লুসাকা নিবাসী ফেসবুকে পরিচিত বন্ধু দীপঙ্কর সেনের ছোট বোন। বয়স আমারই মতো। বাঁ হাতে খাওয়া দেখে প্রশ্ন করেছিলাম left handed কিনা। (ঘনিষ্ঠতা থাকলে অবশ্য জিজ্ঞেস করতাম ‘ল্যাটা’ কিনা, পরিচয়ের স্বল্পকালীনতার জন্য গ্রহণীয় ইংরেজি শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছিলাম। ব্যাপারটা হাস্যকর হলেও অনেক অপ্রিয় বা অশালীন শব্দ ইংরেজিতে আপেক্ষিকভাবে অধিক গ্রহণীয়) প্রতিক্রিয়াটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। অশ্রুসজল নয়নে চন্দ্রাবলী এক বেদনাময় কাহিনির কথা জানালেন। জোর করে ডান-হাতি করানোর ফলে সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা বয়ে বেড়িয়েছেন আজীবন।

বাড়ির লোকের সহানুভূতি থাকলেও সবার প্রতিক্রিয়া অত সদয় ছিল না। যেমন বছর ছয়েক বয়সে সেন্ট লরেন্স স্কুলে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে গেছি। একমনে লিখছি, এমন সময় এক দিদিমণি মিষ্টি করে হেসে পেনসিলটা ডান হাতে ধরিয়ে দিলেন। মিনিট দশেক বাদে পেনসিল হস্তান্তরটা চোখ পাকিয়ে, আর তৃতীয়বার হাতে স্কেলের বাড়ি সহযোগে। বাকি সময়টা ভয়ে হাত গুটিয়ে বসেছিলাম। বলা বাহুল্য, ওই স্কুলে আমার পড়ার সুযোগ হয়নি।
এই ধরনের অভিজ্ঞতা, থেকে থেকে বিদ্রুপের ফলে চেষ্টা করেছি ডান হাতে লেখা অভ্যেস করতে। আশ্চর্য ব্যাপার, একটা বয়সের পর আবিষ্কার করলাম, আমি ডান হাতেও মোটামুটি ৮০ শতাংশ স্বচ্ছন্দ। খুব সূক্ষ্ম কাজ করতে পারি না বটে, কিন্তু উপরোক্ত সই করা জাতীয় প্রক্রিয়া সহজেই পারি।
***
বাঁ হাতিদের মগজের টার্মিনালগুলো মনে হয় উল্টোদিকে লাগানো। আমার বাঁ পায়ে বেশি জোর, খাওয়ার সময়ে বাঁ দিক দিয়ে চিবোই। ক্রিকেট খেলার সময়ে বল করতাম বাঁ হাতে, কিন্তু ব্যাট করতাম ডান হাতে। কারণটা আর কিছুই নয়, ছেলেবেলায় বাড়ির অপরিসর উঠোনে বাঁ হাতে ব্যাট করলে নড়ার জায়গা ছিল না! টেবিল টেনিস বা ব্যাডমিন্টন খেললে অবশ্য ব্যাট বাঁ হাতেই থাকে।
বর্তমান কালের সফল বাঁ-হাতি ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি কিন্তু আদতে ল্যাটা নন। লেখেন, খান ডান হাতে। সচিন তেন্ডুলকর আবার উল্টো। ডান হাতে ব্যাট করলেও ব্যবহারিক জীবনে উনি বাঁ-হাতি।

অন্তর্জালে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সাত থেকে দশ শতাংশ মানুষ বাঁ হাতি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক রান করা ব্যাট্সম্যানদের তালিকায় প্রথম দশ জনের মধ্যে তিনজন (ইংলন্ডের অ্যালিস্টেয়ার কুক, শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গারারা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা) বাঁ-হাতি। সর্বাধিক উইকেট প্রাপ্তির তালিকায় প্রথম দশে অবশ্য কেউ বাঁ-হাতি নেই।
এক নিবন্ধে দেখলাম কেউ একজন বিভিন্ন সময়ে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে সেরা অস্ট্রেলিয় বাঁ-হাতি একাদশ বেছেছেন। দলটিতে আছেন: ম্যাথিউ হেডেন, আর্থার মরিস, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, নিল হার্ভে, অ্যালান বর্ডার, মাইকেল হাসি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, অ্যালান ডেভিডসন, মিচেল জনসন, ব্রায়ান জনস্টন এবং বার্ট আয়রনমঙ্গার। এই দলটিকে হারানো খুব একটা সহজ হবে না! লক্ষণীয়, বিল লরি এবং মিচেল স্টার্কের প্রথম একাদশে স্থান হয়নি।
অন্য ক্রিকেট খেলা দেশগুলির বাঁ-হাতি একাদশও যথেষ্ট শক্তিশালী হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের ফাইনালে অসাধারণ দাপট দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ফের বিশ্বজয়ী করলেন আর এক বাঁ-হাতি, ট্রাভিস হেড।

আজকাল দেখি বছরে প্রায় প্রতিটি দিনই কিছু না কিছুর সঙ্গে যুক্ত। পিতৃদিবস, মাতৃদিবস, শিক্ষক দিবসের মতো ১৩ আগস্ট ‘বিশ্ব বাঁ হাতি দিবস’ হিসাবে উদযাপিত হয়। ব্যাপারটা শুরু করেন ডিন ক্যাম্পবেল নামে এক বাঁ-হাতি আমেরিকান সৈনিক।
দিনটিতে বাঁ-হাতিদের জীবনের অনন্যতা উদযাপিত হয়। একই সঙ্গে, বাঁ-হাতিদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ধরনের অসুবিধার বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত করাও দিনটির আর একটি উদ্দেশ্য।
দশ শতাংশ মানুষ বাঁ-হাতি মানে ৯০ শতাংশ ডান-হাতি। এই ভীষণ রকম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে জীবনের অনেক কিছুতেই এক ধরনের অন্তর্নিহিত পক্ষপাত আছে। বহু যন্ত্রপাতি, পরিষেবা এবং পদ্ধতি সৃষ্টিই হয় ডান-হাতিদের কথা ভেবে। উদাহরণ- কাঁচি এবং হকিস্টিক।
আমার ছাত্রজীবন কম্পিউটার যুগের পূর্বে। কি-বোর্ডে নয়, লেখালেখি সেকালে কাগজ কলমেই করতে হত। কলমগুলি ছিল কালি ভরা। ইংরেজি বাংলা দুই ভাষাতেই লেখালেখি বাঁ দিক থেকে ডান দিতে। এই কারণে কালির প্রবাহ বেশি হলে হাতের ঘষা লেগে লেখা ধেবড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে ল্যাটাদের। যেটা ডান-হাতিদের হয় না। আরবিতে লেখা হয় ডানদিক থেকে বাঁ দিকে। বাঁ-হাতিদের লেখা ধেবড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এক্ষেত্রে কম। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, ডান-হাতিদের সংখ্যাধিক্যের উল্লেখ থাকলেও বাইবেল বা কোরানে বাঁ-হাতিদের সম্বন্ধে নেতিবাচক কিছু নেই।

পৃথিবীর বহু ভাষাতেই বাঁ-হাতিদের বেশ নেতিবাচকভাবে উল্লেখ করা হয়। সংস্কৃতে বাম শব্দটির অর্থ প্রতিকুল বা বিরূপ। যেমন ভাগ্য খারাপ বোঝাতে ‘বিধি বাম’ শব্দবন্ধটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়.
পুরাকথা অনুযায়ী বাঁ-হাতে পানপাত্র তুলে কারও সাফল্য কামনা করা আদতে তাঁকে অভিশাপ দেওয়ারই সামিল। Joan of Arc কে পুড়িয়ে মারার কিছু চিত্রে তাঁকে বাঁ-হাতি রূপে দেখানো হয়েছিল—- উদ্দেশ্য তাঁকে মন্দ প্রতিপন্ন করা।
কয়েকটি নিবন্ধে বাঁ-হাতিদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্টের কথা পড়লাম। বাঁ-হাতিরা নাকি অপেক্ষাকৃত বেশি সৃজনশীল, কল্পনাপ্রবণ এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন। তাল জ্ঞানেও এগিয়ে।
বিখ্যাত বাঁ-হাতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাম বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন, হেনরি ফোর্ড, মিকেলেঞ্জেলো, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং জুলিয়াস সিজার।

গত অর্ধশতাব্দে আটজন আমেরিকান রাষ্ট্রপতির মধ্যে পাঁচজন (জেরাল্ড ফোর্ড, রেগন, জর্জ বুশ সিনিয়র, ক্লিন্টন এবং ওবামা) এই দলে। আমেরিকান রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে বাঁ-হাতিদের আধিপত্যের কারণ হিসাবে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব পরিবেশিত হয়েছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্ট্যানলি করেনের মতে বাঁ-হাতিদের চরিত্রের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রাজনীতিতে সাফল্য পেতে সাহায্য করে।
কয়েকজন গবেষকের মতে বেশি সৃজনশীল হওয়ার দৌলতে বিদ্যমান তথ্যের ভিত্তিতে নতুন ভাবনার জন্ম দিতে পারেন বাঁ-হাতিরা। এই গুণটিকে অনেকে ‘divergent thinking’ বলে থাকেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য- বিল গেটস, স্টিভ জোবস এবং মার্ক জুকেরবার্গ তিনজনই বাঁ হাতি, নিজেদের বৃত্তে এঁরা বৈপ্লবিক রকম নতুন ভাবনার স্বাক্ষর রেখেছেন। বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাঁ-হাতি ছিলেন নিউটন, আইনস্টাইন এবং মারি কুরি।
ভারতের বিশিষ্ট বাঁ-হাতিদের তালিকায় আছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শিল্পপতি রতন টাটা, গায়িকা আশা ভোঁশলে এবং অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। শোনা যায় মহাত্মা গান্ধীও বাঁ-হাতি ছিলেন।
একটা অদ্ভুত ব্যাপার হল স্ট্রোকের পর নাকি বাঁ-হাতি মানুষরা তুলনামূলকভাবে কম সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কারণটার ডাক্তারি ব্যাখ্যা— বাঁ–হাতিরা ডান হাতের ব্যবহার বিষয়ে ডান–হাতিদের বাঁ হাতের ব্যবহারের চেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ।
কিছু ব্যাপার সময়ের সঙ্গে পাল্টায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেও কমবেশি এক থাকে। নারী পুরুষের মধ্যেও বিশেষ পার্থক্য থাকে না। বাঁ–হাতি হওয়াটা এরকম একটা ঘটনা। সমস্ত কালে, সব দেশেই ১০ শতাংশ মতো মানুষ বাঁ হাত ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ।

আশির দশকে শুরুর দিকের কথা। কাজ করি কলকাতায় ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্টসে। ইঞ্জিনিয়াররা অনেকেই কোম্পানির ফিলাডেলফিয়ার অফিসে যেতেন কিছুদিনের জন্য কোনও প্রজেক্টের কাজে। এমনই একজন ঘুরে এসে বললেন: “বুঝলেন মিস্টার দে, ওদেশে আপনার মতো বেশ কয়েকজন left handed দেখলাম।”
ভদ্রলোকের পার্থক্যটা চোখে পড়েছিল, কারণ ভারতে সেই সময়ে পরিবারের তথা সমাজের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে কর্মক্ষেত্রে বাঁ-হাতি মানুষ খুব একটা চোখে পড়ত না। তুলনায় আমেরিকা এবং অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশগুলিতে ততদিনে বাঁ-হাতের ব্যবহার অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গিয়েছিল।
আশা করা যায় বর্তমানে ভারতেও পরিস্থিতি বদলেছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত বছর চল্লিশের কয়েকজনের কাহিনি শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বেশ কয়েকজন সহজাত বাঁ-হাতিকে মারধোর করে ডান-হাতি করা হয়েছে। তার মানে আমার পরবর্তী প্রজন্মকেও একইরকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে কচি বয়সে।
ধরে নিচ্ছি এগুলি বিক্ষিপ্ত ঘটনা। গত পঞ্চাশ বছরে দুনিয়ার নানা পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে ‘ল্যাটা’ হওয়াটা হয়তো আজ আর কোনও লজ্জার ব্যাপার নয়।
দশ শতাংশ মানুষ যেমন বাঁ-হাতি, সমকামীদের সংখ্যার অনুপাতও একই রকম। এঁদের অবস্থার অতটা পরিবর্তন হয়েছে কি? আমার পাতানো দেশে কিছুটা হলেও হয়েছে গত তিন দশকে। কয়েকটি সাহসী ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখে মনে হচ্ছে জন্মভূমিও বদলাচ্ছে।
*ছবি সৌজন্য: Wikipedia, Wikimedia Commons, Freestock, Facebook, Flickr
*পরবর্তী পর্ব প্রকাশ পাবে ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
জন্ম ১৯৫৫ সালে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে। জীবনের অর্ধেকটা প্রবাসে কাটালেও শিকড়ের টান রয়েই গেছে। অধিকাংশ স্বপ্নের ভাষা আজও বাংলা-- প্রেক্ষাপট কলকাতা। আই আই টি খড়গপুরের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক হলেও অবসরজীবন জুড়ে আছে বাংলা সাহিত্য। আর টুকটাক কিছু লেখালেখি।