
কোভিড: ছোটগল্প
এতক্ষণে তার চোখের জলের ধারা বেয়ে সমস্ত দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক ছাপিয়ে যেন বেরিয়ে আসতে চাইছে অভিমান। কিশোরী মেয়ের দুর্মর অভিমান। একবারও কি তার জন্য কেউ ভাবতে পারে না?
এতক্ষণে তার চোখের জলের ধারা বেয়ে সমস্ত দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক ছাপিয়ে যেন বেরিয়ে আসতে চাইছে অভিমান। কিশোরী মেয়ের দুর্মর অভিমান। একবারও কি তার জন্য কেউ ভাবতে পারে না?
করোনায় কাহিল পুরো দেশ। লকডাউনে স্তব্ধ। তার মধ্যেই জন-বিস্ফোরণ ঘটল দিল্লিতে। বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হলেন হাজার হাজার মানুষ। ওঁরা সবাই শ্রমিক। দিল্লিতে এসেছিলেন ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে লিখলেন চাণক্য।
এটা সত্যি, যে কোভিড আমাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের বাধ্য করেছে যাপন নিয়ে নতুন করে ভাবতে, ঘরে বসে কাজ, শিক্ষা, বিনোদনের হরেক উপায় হাতড়ে বের করতে। কিন্তু সত্যিই কি তাতে আমরা ভুলে গিয়েছি এ সবের আসল মানে? প্রতি পদে ডিজিটাইজেশন সত্যিই কি আমাদের জীবনযাত্রা চিরতরে উলটে পালটে দেবে? উত্তর খুঁজলেন অনুব্রত।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা যাই বলুক, ২০২০ সালে ভারতীয় অর্থনীতি খুব একটা ভাল অবস্থায় ছিল না। দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার আগে থেকেই কমছিল, বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, ভোগব্যয়ও অধোগামী। তার মধ্যে কোভিডের খাঁড়ার ঘায়ে অবস্থা কী দাঁড়াল? লিখলেন মহালয়া চট্টোপাধ্যায়।
সামাজিক দূরত্বই এখন বিধি। বিচ্ছিন্ন মানুষ সরে সরে থাকছে একে অপরের চেয়ে। মরে যাচ্ছে কি ভালবাসা? মন্দাক্রান্তা সেনের মায়াকলমে করোনার প্রেমের কবিতা।
আজ বিজয়া দশমী। পুজোর বিদায়ঘণ্টি বেজে গেল এ বারের মতো। আসছে বছর আবার হবে কি? এই প্রশ্ন নিয়েই শেষ হল এ বছরের পুজো। লিখলেন শুভময় মিত্র।
নবমী নিশির দোরগোড়ায় বাঙালিকুল। হল না, হল না ঠাকুর দেখা হল না। কিন্তু একেবারেই কি আর হল না? হুজুগে বাঙালি কি বিফলে যেতে দিল এতবড় শহরজোড়া আর্ট ইনস্টলেশনের উৎসব? পুজোর বেহানবেলায় উঁকি দিলেন শুভময় মিত্র।
অষ্টমী তো এল। কিন্তু ঠাকুরদেখায় আদালতের রক্তচক্ষু। মানতেই হবে। উদ্যোক্তা থেকে ভক্ত, যুগল থেকে ভিখিরি – সবারই মুখ চুন। এ কেমন পুজো এল?
করোনা রোগের জেরে চলছে লকডাউন। কাজে যেতে হচ্ছে না অতসীকে। ঘরে বসে মাইনে তো পাচ্ছেই, ত্রাণের চাল ডাল আলুও জুটে যাচ্ছে। কিন্তু এত ঘরে বসে থাকাও তো বিরক্তিকর। ছেলে-ছেলের বৌয়ের গজগজ শোনা কি পোষায়? তাহলেঅতসী কী করে?
করোনার আগমনে গিয়াছে দেশ ছেয়ে! সঙ্গে সানাইয়ের পোঁ হিসেবে এন্ট্রি নিয়েছে মাস্ক! কিন্তু সৃজনশীল ভারতবাসী, ফাঁকিবাজ ভারতবাসী, বেপরোয়া ভারতবাসী মাস্ক পরার বিষয়টিকে প্রায় শিল্পের উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন! মাস্ক পরি না না-পরি, নাউ দ্যাট ইজ় দ্যা কোয়েশ্চেন! উত্তরের আশায় অম্লানকুসুম চক্রবর্তী!…
নভেল করোনাভাইরাসের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর হার যত বাড়ছে, তত শোনা যাচ্ছে একটি অপরিচিত শব্দবন্ধের ব্যবহার। কো-মর্বিডিটি। এবং এই কো-মর্বিডিটি
স্টেইনলেস স্টিলের স্পুন আর ফর্ক দিয়ে সেরামিকের প্লেটে ঠুংঠাং হাল্কা ঠুংঠাং আওয়াজ করার মধ্যে একটা দৈব আনন্দ আছে, এটা আমরা বুঝি। তবে করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে এমন আওয়াজ এখন করবেন না।…
ছুটির দিনে দুব্রোভনিকের জনবহুল রাস্তা স্ত্রাদুনে চলে যায় সুজয়। একটা বিয়ার নিয়ে বসে থাকে সৈকতে। দু’ চারটে চেনা মুখ হাসে। সামান্য গল্পস্বল্প হয়।
গত দু মাসে, শুধু নিউ জার্সি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৩১,৮৯০-এর কিছু বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৮৫৫০-এর বেশি রোগীর। মাত্র কয়েকশো রোগী দিয়ে শুরু করে সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে এখন এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা। এদেশে অর্থনীতির পতনের বিপ্রতীপে এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি। হাসপাতালের ভেতরে রোগীর সংখ্যা যত বেড়েছে, বাইরে মানুষের সংখ্যা তত কমেছে। ক্রমশ শুধু জরুরী পরিষেবার কর্মীদের রয়ে গেছে।
মহামারীর সময়ে সদ্ভাব সম্প্রীতি বিরল কেন? আসলে মহামারীর প্রকোপের সামনে মানুষ বড় অসহায়। অন্তত যতক্ষণ না বিজ্ঞান তার মোকাবিলা করতে পারছে। তাই বোধহয় ভয়, রাগ, চিন্তা সেইসময় মানুষকে –বা বলা ভালো অনেক মানুষকে – গ্রাস করে। সে একদিকে যেমন আশ্রয় খোঁজে ঈশ্বর ও অলৌকিক নানা শক্তির কাছে, অন্যদিকে শত্রু খোঁজে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্য।
এপিডেমিক শব্দটার উত্থান ইউরোপে, গ্রিসে। এপি অর্থে উপর (upon/above) আর ডেমস অর্থে মানুষ (সেখান থেকেই ডেমক্রেসি বা গণতন্ত্র)। কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস-জনিত মারণ রোগ যখন একই দেশের অনেক মানুষকে সংক্রামিত করে, তখন তাকে এপিডেমিক বা মহামারী বলে। আবার সেই এপিডেমিক যখন এক দেশের সীমান্ত পার করে পড়শি দেশ, মহাদেশ, বা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তারই নাম হয় প্যানডেমিক বা অতিমারী।…
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Contact us: