প্রথম পাতা » ভ্রমণ » Page 8
সামনে চোখ মেললে দূরে বহু দূরে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় সারি। বাঁদিকে তুলনামূলক নিকট দূরের পাহাড়েরা ভুটানের। সে পাহাড়ের গায়ে হলুদ ফুলের জলসা। তার পায়ের
রতনলাল বিশ্বাস একজন অভিযাত্রী। তিনি পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছেন অসংখ্য গিরিপথ। হেঁটেছেন মরুভূমিতে, সমুদ্রতটে, বরফজমা পাহাড়ি হ্রদের বুকে। রাশিয়ার বিখ্যাত বরফে ডাকা বইকাল হ্রদ পেরিয়েছেন। সম্রাট
রুদ্রপ্রয়াগের বেশ কাছেই ২৮০০ মি: উচ্চতায়, পোখরি-র পথে একটি গ্রাম কনকচৌরি। এখান থেকেই খুব অল্প দূরত্বে, কমবেশি ৩.৫ কিমি সহজ চড়াই ভেঙে, অনন্য সুন্দর পরিবেশে প্রায়
ডাইনে-বামে যেদিকে নজর যায় সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে অর্ধ-গোলাকার মৃত্তিকা স্তুপ। অনেকটা বৌদ্ধ স্তুপের আকারে নির্মিত ঘাসাচ্ছাদিত মাটির স্থাপত্য। প্রতিটি সমাধি-স্তুপের অর্থাৎ মৈদামের অভ্যন্তরে রয়েছে একেকজন রাজার
যুবক মুখে আঙুল দিলেন। তার পর নির্দেশ করলেন ডান দিকের ঢালে। চারপেয়ে প্রাণীটা উঠে আসছে। বিলুপ্তপ্রায় নীলগিরি থার। বড় ছাগলের মতো দেখতে, বাঁকানো শিং। এই জাতীয়
উত্তরাখণ্ডের পঞ্চচুলি বেস ক্যাম্প যাত্রাপথের মুহূর্তগুলিকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন অপূর্ব বণিক।
জিরো পয়েন্টের রাস্তার বর্ণনা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, বিভূতিভূষণ হয়তো পারতেন। শুধু এইটুকু বলতে পাড়ি স্বর্গ বোধহয় এর থেকে সুন্দর নয়। দুপাশে ম্যাজেন্টা রঙের রডোডেনড্রনের
বেনারসের গঙ্গার ঘাটগুলি যেন এক একটি গল্প বলে। সেই গল্পগুলিই ক্যামেরাবন্দী করেছেন প্রদীপ্ত চক্রবর্তী।
Notifications