প্রথম পাতা » Bengali Books
গ্রন্থাগারের সদস্য তো নই। ভরসা হলেন সেই ঘরোয়া নির্জন পাঠাগারের সদাহাস্য গ্রন্থাগারিক জেহাদন নবী মোল্লা। পঞ্চাশ পেরনো মানুষটির চোখে চশমা পরনে ধুতি আর গেঞ্জি, পায়ে চটি।
লাইব্রেরি আদৌ তৈরি হল কেন মানুষের সভ্যতায়? মূলত লিখিত তথ্য সঞ্চয়ের জন্য, যা পরে কাজে লাগবে। ছ-হাজার বছর আগে ব্যাবিলনে সুমেরীয় সভ্যতায় মাটির ছোট বালিশের মতো
প্রবন্ধগুলি পড়লেই বোঝা যাবে, এই গদ্য কোনও দৈনিক অথবা সাময়িকপত্রের জন্য লেখা। সেইজন্যই আকারে নাতিবৃহৎ। তবু যে কোনও মহৎ সন্দর্ভের মতো এই ক্ষীণতনু রচনাগুলি মনস্ক পাঠককে
শ্যামাঙ্গী ঈশ্বরকে খুঁজতে চায়। এই সন্ধান কি এক প্রান্তিকের আত্মানুসন্ধানও নয়? বর্ণের নিরিখে যে কৃষ্ণাঙ্গ, লিঙ্গের নিরিখে যে নারী, বয়সের নিরিখে যে অনভিজ্ঞ, তথাকথিত আলোকপ্রাপ্তির নিরিখে
ওই বাড়িতে আমি প্রথম বিভূতিভূষণকে দেখি। নামী সাহিত্যিকদের নিত্য যাওয়া-আসা ছিল ওই বাড়িতে। কাকিমার কাছে পড়তে গিয়ে আমি যেন এক স্বপ্নের জগতের স্পর্শ পেতাম।
Notifications