
লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৭‒ আত্মীয়স্বজন
ষাটের দশকের কলকাতায়, ভবানীপুরের মিশ্র পাড়ায় বড় হয়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটির মনে পড়ে যায় কেমন করে সেসময় হুটহাট বাড়িতে চলে আসতেন পাড়াপড়শি আত্মীয়স্বজন। সেই কাহিনিই শৈশবের মায়াকাজল দিয়ে এঁকেছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
ষাটের দশকের কলকাতায়, ভবানীপুরের মিশ্র পাড়ায় বড় হয়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটির মনে পড়ে যায় কেমন করে সেসময় হুটহাট বাড়িতে চলে আসতেন পাড়াপড়শি আত্মীয়স্বজন। সেই কাহিনিই শৈশবের মায়াকাজল দিয়ে এঁকেছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
ষাটের দশকের কলকাতায়, ভবানীপুরের মিশ্র পাড়ায় বড় হয়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটির মনে কীভাবে জেগে উঠল হল গান, কবিতা, শিল্পকলার অঙ্কুর, সেই কাহিনিই শৈশবের মায়াকাজল দিয়ে এঁকেছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
আত্মীয়দের ফরমায়েশে এইসব গান গেয়ে যেমন নামডাক হল, গান শেখার উপর বিরক্তিও তত শিকড় নামাল মনে।
ক্লাস থ্রি-তে ওঠার পর আমার পার্কে যাওয়া হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। নির্দেশনামার বিশ্লেষণে মায়ের কোনও আগ্রহ ছিল না। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে খুব মিল। শুনলাম, বড় হয়ে গেছ, আর খেলতে যেতে হবে না।
কবিতার খাতাটা এমনভাবে বুকের কাছে ধরা থাকত যে, বড় ছোট যে কেউ জানতে চাইবে, ওটা কী? তখন আমি বিজ্ঞের মতো বলব, জানো আমি কবিতা লিখি এতে। আর এটাও বলতে ভুলব না যে বড় হয়ে আমি লেখক হব।… শৈশবেই চোখে লেগে গিয়েছিল ভবিষ্যতের নেশা। কলমে অনিতা অগ্নিহোত্রী।
দক্ষিণ কলকাতায় নানা বাসা বদল করতে করতে, কর্নফিল্ড রোড, চন্দ্রমণ্ডল লেন, অনিল রায় রোড ঘুরে বাবা-মা যখন হাজরা রোডের তিনতলার বাসায় এসে পৌঁছলেন, তখন কি জানি, এই বাড়িই হবে আমাদের আগামী দু’দশকের ঠিকানা? — লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
তখনও ক্যাসেটই বলা হত। আমরা অ্যালবাম কথাটা শিখিনি। এপিঠ ওপিঠ মিলিয়ে আট কি দশখানা গান। সে-ই হত আমাদের বহু দিনের রসদ, বহু রাতের সঙ্গী। সেই ফেলে আসা দিনের ক্যাসেটের দোকানের গন্ধ, সেই বিক্রেতাদের হাসিমুখ ফিরে দেখলেন একালের কবি।
মাঝপথে এসে ডিম শেষ, পেঁয়াজ শসা শেষ, চাউমিনও প্রায় ঠান্ডা। তখন সাহস করে আমাদেরই কাউকে বলতে হত, ‘কাকু, আর একটু সস হবে?’ নেহাত কমবয়সী ছেলে, তাই হয়তো কিছু বলতে পারতেন না। যেদিন যেটা হাতের কাছে পেতেন, ঢেলে দিতেন আমাদের প্লেটে।…
করোনা ভাইরাস এসে নতুন করে ছাদকে করে তুলেছে বঙ্গজীবনের অঙ্গ! বিকেল হলেই চার দেওয়ালের কংক্রিটে আটকা পড়া শহরবাসী মানুষ ছাতমুখো হচ্ছেন। একটু আকাশ, একটু সবুজ, একটু মানুষের মুখ দেখতে ছাদই এখন বাঙালির অক্সিজেন সিলিন্ডার! ….
আজ থেকে শুরু হল কবির কলমে শৈশবযাপন। ফেলে আসা পাড়া, ফেলে আসা বাড়ির মতোই স্মৃতি-ফিকে হয়ে আসা ঘুপচি দোকানঘরের গল্প। জিয়া নস্টাল হোক, হিয়া হোক উতরোল!
তবে হ্যাঁ, শরবতকে জাতে তুলে দিয়েছিলেন মগনলাল মেঘরাজ আর জটায়ু। অমন ঘনঘটাময় শরবতের সিন না থাকলে ফেলুদা খানিক ম্যাড়মেড়ে হয়ে যেত। শরবতও যে একটা দুর্দান্ত চরিত্র হয়ে উঠেছে এই সিনটিতে, তা বোধগম্য হয় একটু বড় বয়সে। শরবতের প্রতি লালমোহন বাবুর অবিশ্বাস, তাঁর ভয়, তাঁর আতঙ্ক আমাদেরও শঙ্কিত করে তোলে নির্দিষ্ট গ্লাসের শরবতের প্রতি।…
ঘুমের ঘোরে বেশ টের পাচ্ছি মা ফাটা গালে চেপে চেপে ক্রিম মাখাচ্ছে। চারমিস ক্রিম। এখনও চোখ বন্ধ করে আমি চারমিস
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Contact us: