




হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন – রবীন্দ্রনাথ ও এজ়রা পাউন্ড
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ইয়েটসের মধুর বন্ধনের কথা অনেকেরই জানা। কিন্তু সেই একই সময়ে আর এক বিদেশি কবি এজ়রা পাউন্ডের সঙ্গে কবির গড়ে উঠেছিল এক আশ্চর্য বন্ধুত্ব, কাব্যময় সখ্য। লিখছেন পীতম সেনগুপ্ত।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ইয়েটসের মধুর বন্ধনের কথা অনেকেরই জানা। কিন্তু সেই একই সময়ে আর এক বিদেশি কবি এজ়রা পাউন্ডের সঙ্গে কবির গড়ে উঠেছিল এক আশ্চর্য বন্ধুত্ব, কাব্যময় সখ্য। লিখছেন পীতম সেনগুপ্ত।
ষাটের দশকের কলকাতায়, ভবানীপুরের মিশ্র পাড়ায় বড় হয়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটির মনে পড়ে যায় মামারবাড়িতে কাটানো আনন্দের দিন। সেই কাহিনিই শৈশবের মায়াকাজল দিয়ে এঁকেছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনে যে সকল সম্পর্ককে অত্যন্ত বেশিরকম মান্যতা দিয়েছেন, তার মধ্যে একটি চার্লস অ্যান্ড্রুজ়ের সঙ্গে তাঁর সখ্য। বই উৎসর্গ থেকে দীর্ঘ সফরসঙ্গী করা– নানাভাবেই কবি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অ্যান্ড্রুজ় তাঁর কতখানি ঘনিষ্ঠ। লিখলেন পীতম সেনগুপ্ত।
ষাটের দশকের কলকাতায়, ভবানীপুরের মিশ্র পাড়ায় বড় হয়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটির মনে পড়ে যায় কেমন করে সেসময় হুটহাট বাড়িতে চলে আসতেন পাড়াপড়শি আত্মীয়স্বজন। সেই কাহিনিই শৈশবের মায়াকাজল দিয়ে এঁকেছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
‘আমি সুভাষকে কখনো ভর্ৎসনা করিনি তা নয়, করেছি তার কারণ তাকে স্নেহ করি।… ব্যক্তিগতভাবে সুভাষকে আমি স্নেহ করি। বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ… পড়ুন পীতম সেনগুপ্তের কলাম।
তিনদিন পর দাদার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ফেরেনি। বাড়ির মেন গেটে তালা দেবার দায়িত্ব আমার। বিছানায় উপুড় হয়ে হিমু সমগ্র পড়ছিলাম। বৌদির উপহার। জন্মদিনে। ‘আর আসবে না, তালাটা দিয়ে দাও।’ আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই দোতলায় চলে গেল বৌদি। দাদা কি তাহলে আর ফিরল না? অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প। …
ইন্দিরাদেবীর ‘ভ্রমণস্মৃতি’ থেকে এও জানা যায়, যে রবিকাকার সঙ্গে হাজারিবাগ-সহ মুসৌরি, গাজিপুর, দার্জিলিং, তিনধারিয়া প্রভৃতি নানা জায়গায় ইন্দিরা গিয়েছিলেন। দু’জনের সম্পর্কের ভিত্ ছোট থেকে গড়ে উঠেছিল। কলকাতায় থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজের নানা উৎসবে ইন্দিরা পিয়ানো বাজানোর জন্য যেতেন।
কিসের অহমিকায়, মাঝপথে রুদ্ধগতি নেমে আসে? অচল হয়ে যায় চতুর্দিক। কেন তুমি বড় নিশ্চুপ হয়ে দেখলে, দুরন্ত পবিত্রতায় ছেয়ে থাকা কবিতাও লেখা হল না আর।… শৌভিক চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
বিখ্যাত কবির স্ত্রী অদিতি এখন একা। প্রয়াত হয়েছেন কবি। একাকিনী স্ত্রীর দিন কাটে স্মৃতি আঁকড়ে। শুধু নিজের পা-দু’টিকে নিয়েই বড় উদ্বিগ্ন, বড় ব্য়তিব্যস্ত হয়ে থাকেন তিনি। কেন? কাবেরী রায়চৌধুরীর ছোটগল্প…
আসলে সিদ্ধান্তটা আমাদের দু’জনের। আমরা দু’জনেই তো ঠিক করেছিলাম। ভালবেসেছি, তাই ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখব দু’জনে মিলে। সবাই যা করে, সেই বিয়ে বাচ্চা সংসার বাচ্চাকে ডাক্তার বানানো… না, এসব আমরা করব না। তাহলে সেই শেষ পর্যন্ত দু’টো কথাই থাকবে— অ্যাডজাস্টমেন্ট আর কম্প্রোমাইস… ভালোবাসা থাকবে না। খোলা ছাদে পাশাপাশি শুয়ে দু’জনে একসঙ্গে সন্ধেতারা ফুটে উঠতে দেখব না তখন।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমরা সবাই স্বকীয় ও স্বাধীন। এটা নীতি হিসেবে ঘোষণা করা সহজ, কিন্তু রীতি হিসেবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিফলিত করা তত সহজ নয়। …
কুর্চি একবার ভাবল ফিরেই যাবে কিনা। তারপর নিজেকে বোঝাল, অনেক ভেবেচিন্তেই তো এখানে এসেছে সে। এখন ফিরেই বা যাবে কেন? একতলায় বসার ঘরে ঢুকে দেখল, খালি গলায় গাইছেন মানিনীদি আর বাবার সঙ্গে বসে একমনে গান শুনছেন নন্দিতাদিদা, সুচিরাপিসি আর সুশোভনজেঠু। কুর্চি যেদিক দিয়ে ঢুকল, তার উল্টো দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা, মানিনীদির দিকে মুখ করে। চোখ বন্ধ করে গাইছিলেন মানিনী, গান শেষ হতে তিনিই প্রথম দেখতে পেলেন কুর্চিকে। বললেন, “ওই তো কুর্চি এসে গেছে।” সুজাত তাঁর সোফায় পাশের জায়গাটা দেখিয়ে বললেন, “আয়, বোস।”
‘বুঝতে পারছি না রে অরিত্র, কুর্চির সেদিন খেলা দেখতে আসাটা তোর কেরিয়ারের পক্ষে ভালো হল, না খারাপ?’ সকালের প্র্যাকটিসের পর
দরজা বন্ধ করে দোতলায় বারান্দা-লাগোয়া টিভির ঘরে গিয়ে বসতেই অস্বস্তির কাঁটাটা আবার খচখচ করে উঠল কুর্চির মাথায়। কেউ কি তাকে