তানোট
সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’ ছবির সুবাদে জয়সলমের মোটামুটি পরিচিত পর্যটন গন্তব্য। শহরের পুরসভা পর্যন্ত শহরের পোশাকি নামকরণ করেছে স্বর্ণনগর জয়সলমের। কেল্লা থেকে শুরু করে বাজার-দোকান সর্বত্র সত্যজিৎ রায়ের বন্দনা-প্রশস্তিতে মুখর। অবশ্যই ‘সোনার কেল্লা’ ছবি নিয়ে সকলেই সরব। তবে মিষ্টির দোকানিদের মতে ‘সোনার কেল্লা’ নির্মাণের অনেক আগেই জয়সলমেরে সত্যজিৎ রায়ের প্রথম পদার্পণ আর এক ছবির সূত্রে। সেই ছবিও জগদ্বিখ্যাত। গুপী গাইন বাঘা বাইন। এবং জয়সলমেরে প্রায় প্রতিটি মিষ্টির দোকানে টাঙানো সত্যজিৎ রায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে দোকানি আপনাকে অবশ্যই জানিয়ে দেবেন যে তাঁর দোকান থেকেই সিনেমার জন্য যাবতীয় মিষ্টি সরবরাহ করা হয়েছিল।
সেই মুহূর্তে হঠাৎ করেই মনে হতে পারে, তখন কি আড়ে-বহরে শহরের এত সমৃদ্ধি ছিল? ছিল কি এত মিষ্টান্ন ভাণ্ডার? প্রশ্নটা মনের মধ্যেই রেখে দেওয়া ভালো। প্রকাশ করলে দোকানির সম্মানহানি হতে পারে। এবং একটা নিটোল গল্প শোনার সুযোগ হারাতে পারেন। বরং সত্যজিৎ রায়ের গল্প শুনতে শুনতে মনে মনে ভাবতে পারেন, সত্যি সত্যিই তো গুপী গাইন সিনেমার যুদ্ধের দৃশ্যে কত মিষ্টির প্রয়োজন হয়েছিল। আর সেই সঙ্গে দোকানিকে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন যুদ্ধক্ষেত্রটা ঠিক কোথায় অবস্থিত। আশ্চর্যজনকভাবে সব দোকানিই একটা জায়গার কথাই বলবেন— তানোট যাওয়ার পথে রামগড়ের একটু আগে রাস্তার পাশের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে যুদ্ধের আয়োজন হয়েছিল।
সফরসূচিতে তানোট না থাকলে জুড়ে নিন। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন। ঠকবেন না। জয়সলমের থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরের পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা। ঘণ্টা আড়াইয়ের পথ। শহরের সীমানা ছাড়িয়ে গেলেই রাস্তার দু’পাশে চরাচর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রান্তর। গাড়ির চালক ততক্ষণে সিনেমার যুদ্ধের ধারাবিবরণী দিতে শুরু করে দিয়েছেন। বলার ধরন এতটাই নিখুঁত, যে মনে হবে সেই ১৯৬৮-তে শুটিং চলাকালীন তিনি নিজেই ওখানে উপস্থিত ছিলেন। অথচ চালকের বয়স দেখে আন্দাজ করতে অসুবিধা হবে না যে গুপী গাইন ছবির শুটিংয়ের সময় চালকের জন্মই হয়নি। এমনকী তাঁর পিতারও জন্ম হয়েছিল কিনা সন্দেহ আছে। একেই বলে মৌখিক ইতিহাস (oral history) যা যুগের পর যুগ এক প্রজন্ম পেরিয়ে আর এক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।

যতক্ষণ না রাস্তার দু’পাশে ঝাঁকে ঝাঁকে উইন্ডমিলের দেখা পাওয়া যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বকবকানি শুনে যেতেই হবে। একবারের জন্যেও ভাববেন না যে কোন কুক্ষণে এমন একজন চালকের গাড়িতে সফর শুরু হয়েছিল। জয়সলমেরের সব গাড়িচালকের এমনটাই দস্তুর। এবার আসা যাক উইন্ডমিলের বর্ণনায়। বিস্তীর্ণ মরুপ্রান্তরে সুদীর্ঘ স্তম্ভের উপর বনবন করে ঘুরছে দুটো পাখা। হাওয়ার গতি কমে গেলে পাখা আস্তে আস্তে ঘোরে। আবার হাওয়ার তীব্রতা বাড়লে বেড়ে যায় পাখার ঘূর্ণন। টিভি ইন্টারনেট সম্পৃক্ত সময়ে স্কুলপড়ুয়া শিশুও জানে উইন্ডমিলের প্রযুক্তিতে কোনও জটিলতা নেই। হাওয়ার চাপে পাখা ঘোরে। আর পাখার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত জেনারেটর শুরু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন। তারপর তারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শক্তি পৌঁছে যায় পূর্বনির্ধারিত ব্যবহার ব্যবস্থায়। জয়সলমের উইন্ডফার্মের প্রতিটি উইন্ডমিল থেকে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক শক্তি রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিবহন গ্রিডে সরাসরি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম কর্মক্ষম অনশোর (অর্থাৎ সমুদ্র সৈকতে নয়) উইন্ডফার্ম।
২০০১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষমতার উইন্ড টারবাইন জেনারেটর একের পর এক সংস্থাপন করতে করতে এখন সম্মিলিতভাবে এখানকার নিহিত উৎপাদন ক্ষমতা ১৩০০ মেগাওয়াট। প্রথমদিকের এক একটি উইন্ডমিলের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৩৫০ কিলোওয়াট। আর একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে সংস্থাপিত প্রতিটি উইন্ড টারবাইন জেনারেটরের উৎপাদন ক্ষমতা ২.১ মেগাওয়াট। হাতে সময় থাকলে আর মরুপ্রান্তরে ঝলসে ওঠা রোদের তাপ অসহনীয় মনে না হলে গুণে দেখতে পারেন কতগুলো উইন্ডমিল রয়েছে। তানোট যাওয়ার পথে জয়সলমের জেলার অমরসাগর-বাদাবাগ-তেজুভা-সোদামাদা মৌজা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এই বিশাল উইন্ড ফার্ম। আর গুণে দেখার ইচ্ছে না থাকলে গাড়িতে বসে রাস্তার দু’পাশে তাকিয়ে থাকলেই বুঝতে পারবেন উইন্ডফার্মটি কত কিলোমিটার দীর্ঘ।
উইন্ডফার্মের একঘেয়েমি দেখতে দেখতে চোখ যখন শ্রান্ত হয়ে যাবে, ঠিক তখনই সড়কের বাঁ পাশে এসে যাবে রামগড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সংক্ষেপে RGTPP নামেই বেশি পরিচিত। এটি একটি গ্যাসভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। রামগড় গ্যাস-থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট। রাজস্থানের রাজ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন নিগমের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০.৫ মেগাওয়াট। জেলাসদর জয়সলমের থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস সরবরাহের জন্য গ্যাস অথরিটি অফ্ ইন্ডিয়া লিমিটেড (GAIL)-এর একটি টার্মিনাল রয়েছে। এছাড়াও সরকারের অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশন (ONGC), অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (OIL) এবং বেসরকারি সংস্থা ফোকাস এনার্জি লিমিটেড (FEL) মূল টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহ করে। ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য কর্মী মিলিয়ে কমবেশি শ’দুয়েক মানুষ এখানে কর্মরত। পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা তাঁদের আবাসন দেখে মনে হতেই পারে যে মরুপ্রান্তরে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মধ্যে স্থাপিত হয়েছে এক ছোট্ট শিল্পনগরী। টাটানগর বা দুর্গাপুরের আয়তনের তুলনায় নিতান্তই শহুরে-পাড়া। ১৯৯৪-এর ১৫ নভেম্বর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করলেও প্রকল্প সংস্থাপনের জন্য তার বছর কয়েক আগেই কর্মসূত্রে এখানে বসবাস করতে থাকেন এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী।

নব্বইয়ের দশকে উইন্ডফার্ম ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার আগে জয়সলমের থেকে শুরু হওয়া শতাধিক কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তায় ফৌজি যানবাহন ছাড়া অন্য গাড়িঘোড়া চলাচল করত কিনা সন্দেহ আছে। কাজেই হাল্লা আর শুন্ডির বিশাল সেনাবাহিনী মোতায়েনের উপযোগী এমন আদর্শ জায়গা আর কী হতে পারে! রামগড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়িয়ে আরও চল্লিশ কিলোমিটার এগিয়ে গেলে দেখা যাবে তানোট মাতার আদি মন্দির। মানুষের বিশ্বাস মামাদিয়া চরণের (গধবী) কন্যা দেবী আওয়াদকে তানোট মাতা হিসেবে পূজা করা হয়। প্রাচীনতম চারণ সাহিত্য অনুসারে, তানোট মাতা হল দেবী হিংলাজ মাতার অবতার।
মন্দিরের এক পুরোহিতের বয়ানে জানতে পারবেন, যে বহুকাল আগে মামাদিয়া চরণ নামে একজন এখানে বসবাস করতেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। সন্তানলাভের আশায় তিনি সাত-আটবার পায়ে হেঁটে এখান থেকে অনেক দূরে এখনকার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত হিংলাজ মাতার মন্দিরে গেছিলেন। তারপর কোনও এক রাতে, হিংলাজ মাতা স্বপ্নে মামাদিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কী চাও– ছেলে না মেয়ে? চরণ বললেন, তুমিই আমার ঘরে জন্মগ্রহণ কর। হিংলাজ মাতার কৃপায় চরণের সাত কন্যা ও এক পুত্রের জন্ম হয়। এর মধ্যে একজন ছিলেন আওয়াদ মাতা, যিনি তানোট মাতা নামেই বেশি পরিচিত। লোকশ্রুতিকে বিশ্বাস করবেন কিনা সে আপনার বিষয়। তবে বহুকাল ধরেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই গল্প বর্ণিত হয়ে চলেছে।

ইতিহাসের নথি অনুসারে মন্দিরটি ৮২৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ নির্মিত হয়েছিল। স্থানীয় ভাটি বংশের রাজপুত রাজা তনু রাও এখানে তানোট মাতার মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। সেই থেকে মন্দিরটিতে পূজার আয়োজনের ধারাবাহিকতায় কোনও ছেদ পড়েনি বলেই মানুষের বিশ্বাস। ইতিহাস ও লোকশ্রুতি নির্ভর তানোট মাতার মন্দিরে এইভাবেই চলে আসছিল নিয়মিত পূজা-অর্চনা। ১৯৬৫-র ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর তানোট মাতার মন্দিরের আখ্যানে অকস্মাৎ যুক্ত হল এক নতুন অধ্যায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৬৫-র যুদ্ধে, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিল। পাকিস্তানের হাতে ছিল আমেরিকার কাছ থেকে পাওয়া আধুনিকতম অস্ত্রশস্ত্র, যেগুলি আগের তুলনায় অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এবং পাকিস্তানের গোলাগুলির জবাব দেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র ছিল না। পাকিস্তানি বাহিনী এই সুবিধা নিয়ে সীমান্তের সাদেওয়ালা পোস্টের কাছে হামলা চালানো শুরু করে। সাদেওয়ালায় যুদ্ধরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর জানা ছিল যে তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। তবুও তারা জীবন বাজি রেখে স্বদেশভূমি রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। কিছুদিনের মধ্যেই তানোট মাতা মন্দিরের কাছেও গোলাগুলি শুরু হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে গ্রেনেড এবং বোমাগুলির প্রতিটিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এবং একটিও বিস্ফোরিত হয়নি।
লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তিন হাজারেরও বেশি বোমা ফেললেও তানোট মাতার মন্দিরটি অক্ষত থেকে যায়। এমন নিখুঁত হিসেব কী করে পাওয়া গেছিল বলা মুশকিল। যাই হোক, স্থানীয় আখ্যান অনুসারে, গ্রেনেডগুলি হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় বা বিস্ফোরিত হয়নি। তার মধ্যে থেকে পাঁচটি নিয়ে এসে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আদি মন্দিরে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১-এ আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়। পূর্ব পাকিস্তানে বিধ্বস্ত পাকিস্তান হঠাৎ করেই ৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের কাছে পশ্চিমদিক থেকে আক্রমণ শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দুটি ফ্রন্টে ব্যস্ত রাখার জন্য এই আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সাদেওয়ালা ততদিনে ভালোভাবে সুরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী লঙ্গেওয়ালা এলাকা বেছে নেয়। মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত লঙ্গেওয়ালা চৌকির পাহারায় সেই সময় উপস্থিত মাত্র ১২০ জন ফৌজিদের একটি কোম্পানি। ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান একটি পূর্ণ ব্যাটালিয়ন সৈন্য এবং ট্যাঙ্কের স্কোয়াড্রন নিয়ে লঙ্গেওয়ালা আক্রমণ করে। তবে পাকিস্তানের ট্যাঙ্কগুলি মরুভূমির বালির মধ্যে আটকে পড়ে। সেই সুযোগে ভারতীয় বিমানবাহিনী তাদের ধ্বংস করে দেয়। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের ইতিহাসে লঙ্গেওয়ালার লড়াই আজও স্মরণীয়। এবং এই যুদ্ধেও নাকি তানোট মাতার মন্দিরের দিকে ছোড়া বোমা এবং গ্রেনেডের একটিও বিস্ফোরিত হয়নি। ফলে ১৯৭১-এর যুদ্ধের পরে, তানোট মাতার খ্যাতি আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারত ১৯৬৫-এর যুদ্ধে পাকিস্তানকে পরাজিত করার পর, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মন্দির চত্বরের কাছে একটি চৌকি স্থাপন করে এবং তানোট মাতার পূজার দায়িত্ব নেয়। ১৯৭১-এর যুদ্ধের পর, ভারতের আদি মন্দির থেকে সামান্য দূরে বিশাল এলাকা জুড়ে স্থাপিত হয় তানোট মাতার নতুন মন্দির। মন্দির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে বিএসএফ। মূল মন্দিরের পাশে ছড়িয়ে থাকা বিস্তীর্ণ চবুতরায় কালভৈরবের মূর্তি রয়েছে। ভালো করে ঘুরে দেখলে নজরে আসে একটি পিরের দরগা। স্থাপিত হয়েছে একটি মিউজিয়াম। এবং মিউজিয়ামের প্রধান দ্রষ্টব্য দুই যুদ্ধের অবিস্ফোরিত বোমা ও গ্রেনেড। এছাড়া ১৯৭১-এর যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়ের স্মারক হিসেবে মন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে নির্মিত হয়েছে একটি বিজয় মিনার। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহান বিজয়ের স্মরণে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। আর এভাবেই লোকের মুখে মুখে রচিত হয় নতুন নতুন লোককথা। চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে তানোট মাতার অলৌকিক ক্ষমতা। সময় যত এগিয়ে যায় ততই মাতৃমহিমার প্রচার প্রসারিত হয়। সকাল ছ’টায় মন্দিরের দরজা খোলার পর থেকে রাত আটটায় বন্ধ হওয়া পর্যন্ত দর্শনার্থীর খামতি নেই। ফলে জয়সলমেরের পর্যটক খুঁজে পেয়েছেন জন্য নতুন গন্তব্য— তানোট।
*পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
*ছবি সৌজন্য: Pinterest, Tibettravel, Patrika, Jaisalmer Tourism
প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ ও পরিচিত পরিকল্পনাবিশারদ। পড়াশোনা ও পেশাগত কারণে দেশে-বিদেশে বিস্তর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। তার ফসল বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বই। জোয়াই, আহোম রাজের খোঁজে, প্রতিবেশীর প্রাঙ্গণে, কাবুলনামা, বিলিতি বৃত্তান্ত ইত্যাদি।
One Response
Rajasthan যাওয়া হয় নি। আপনার লেখা পড়ে সোনার কেল্লা শহরের সঙ্গে তানোট এর নামও টুকে রাখলাম।