কলকাতার মন ভালো নেই।
এই লেখা লিখতে যখন বসলাম তখন বৃষ্টির মাঝে রোদ ঝলমলে নীলাকাশ দুর্গাপুজোর আসার বার্তা দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু বিষণ্ণতার এক কালো মেঘও ছেয়ে রয়েছে মহানগরীর অলিতে গলিতে। সত্যি বলতে কি এই বিষণ্ণতার ছোঁয়া রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আসমুদ্র হিমাচল-দেশের গণ্ডী পেরিয়ে গিয়েছে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার। মাস খানেক আগে তাঁর আদরিণী তিলোত্তমাকে নিষ্ঠুর অপরাধ নির্মমভাবে ছিনিয়ে নেওয়ার কাহিনি মরু পর্বত সমুদ্রে যে যেখানে শুনেছে তারই বুকের মধ্যে কোনও অজানা ব্যথা জানান দিয়েছে, বিষণ্ণতা তাঁর মন ছুঁয়েছে।
তবে শুধু বিষণ্ণতা বললে বড় ভুল হবে। এক নবযৌবনের অকালে এভাবে ঝরে পড়াকে কেউ মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। সব বাবা মায়েরা যেন সন্তানহারার বেদনায় সিক্ত। একটি মৃত্যু তাঁদের জীবনবোধে মর্মের তন্ত্রীতে নিদারুণ আঘাত করেছে। আর এই আঘাতই সুনামীর মতো আছড়ে পড়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এর আন্দোলন(Protest) হয়ে।
১৪ আগস্টের গণ আন্দোলন

শুরু ১৪ আগস্টের মধ্যরাতে।
কলকাতা কোনওদিনও এই রাত দেখেনি। এই রাত দেখেনি গোটা রাজ্যও। হাজার হাজার নারী বেরিয়ে এসেছেন রাজপথে। সঙ্গে রয়েছেন পুরুষরাও। মিছিলের পর মিছিল চলেছে কলকাতার সব বড় বড় রাজপথ ধরে। স্বাধীনতা দিবসের-প্রারম্ভে মিছিলকারীরা গাইছেন দেশাত্মবোধক গান। তারই সঙ্গে মূহুর্মুহু মিছিলে উঠছে ন্যায় বিচারের দাবি। আন্দোলিত হচ্ছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা ব্যানার, পোস্টার। আরজিকর হাসপাতালের কর্তব্যরতা এক মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি চাইছেন তাঁরা।
সত্যি বলতে এই চিত্র শুধু ‘কলকাতার নয়, সারা রাজ্যের। ছোটবড় সব জনপদের হাজার হাজার মহিলা পুরুষ রাস্তায় নেমেছেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ শ্লোগান দিতে দিতে। রাজ্য ছাড়িয়ে দিল্লি, মুম্বই, পুণা, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই থেকে কাশ্মীরে ছড়িয়ে প্রতিবাদের ঝড়। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার থেকে সিন নদীর ধারে মঁমার্তে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’লেখা ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষ বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন।
তবে এই জনজোয়ারের পিছনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স (টুইটারের বর্তমান নাম) মতো সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া অনুঘটক হিসাবে কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। উঠে আসছে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী রিমঝিম সিনহার নাম। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্সি থেকে সোসিওলজিতে স্নাতক বর্তমানে সোসাল সায়েন্স গবেষক ২৯ বছরের রিমঝিম জানিয়েছেন, ঘটনাটা শোনার পর থেকে তাঁর ঘুম উড়ে গিয়েছিল। ঘটনার আকষ্মিকতায় বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষের প্রশ্ন শুনে। সন্দীপের প্রশ্ন ছিল কাজের শেষে বিশ্রামের জন্য নির্যাতিতা কেন একা সেমিনার রুমে গিয়েছিলেন। (উল্লেখ্য এই সেমিনার রুমেই অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে)।
রিমঝিমের কথায়, “নির্যাতিতার উপরই এই দোষ চাপানো আমি মেনে নিতে পারিনি। প্রতিবাদে ঠিক করেছিলাম ১৪ আগস্ট রাত রাস্তায় থাকব। এই বাইরে থাকার জন্য কারুর কাছে কোনও জবাবদিহি করতে হবে না।” আদতে রিমঝিম দেখাতে চেয়েছেন নারীর অধিকার শুধু দিবালোকে নয়, রাতেও রয়েছে তার অবাধ অধিকার। তাই তিনি ফেসবুকে নারীদের ডাক দিলেন ‘রাত দখল করার’- ‘রিক্লেম দ্য নাইট’। এর জন্য বেছে নিলেন ১৪ আগস্ট রাত। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে যা হয়ে দাঁড়াল নারী স্বাধীনতার ডাক। আদতে শ্লোগানও হল তাই- ‘স্বাধীনতার মধ্যরাতে নারী স্বাধীনতার জন্য’। তবে রিমঝিম নিজেই স্বীকার করেছেন তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না যে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার মহিলা পথে নামবেন।

রিমঝিম তাই বলছেন, “মহিলাদের এই সাড়া পেয়ে আমি অভিভূত। নিজে দেখেছি দলে দলে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। পুরো রাত হয়তো বাইরে থাকা তাঁদের অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়নি কিন্তু তাঁরাও দু’তিন ঘণ্টা ছিলেন।”
এবং এটা যে নিছক এক রাতের প্রতীকি মিছিল নয় তা বারংবার কলকাতা প্রমাণ করে চলেছে। বস্তুত গত এক মাস ধরে নির্যাতিতার এই নৃশংস পরিণতির বিচারের দাবিতে মহানগরীর আকাশবাতাস মুখরিত হয়ে উঠছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ আন্দোলনে পথে নেমেছেন। গগনচুম্বী অট্টালিকা থেকে বস্তিবাসী, অশীতিপর হুইলচেয়ারে বসা বার্ধক্য থেকে স্কুল পড়ুয়া কৈশোর পর্যন্ত সামিল। কোথাও অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মধ্যে ইস্টার্ন মেট্রোপলিট্যান বাইপাসে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেছেন, কোথাও জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজারের অনতিদূরে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে রাতভোর বসে বিক্ষোভ জানিয়েছেন। ৯ ফুট উচ্চতার গার্ডওয়াল শেষ পর্যন্ত তাঁদের লালবাজার যাওয়া রুখতে পারেনি। আন্দোলনের চাপে পুলিশ গার্ডওয়াল তুলতে বাধ্য হয়েছে। যেহেতু এই অঞ্চল শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল তাই বিক্ষোভের কারণে বহু ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী অসুবিধাতেও পড়েছেন। কিন্তু তাঁদের হাসিমুখে একটাই কথা-“বোনটার উপর অন্যায়ের বিচারের জন্যই তো হচ্ছে। এটুকু অসুবিধা হতেই পারে।”
অবশ্য জনজাগরণের এই অভূতপূর্ব চিত্রের সঙ্গে প্রতিদিনই কল্লোলিনী পরিচিত হচ্ছে। সমাজের সর্বস্তরের সব পেশার মানুষ নিজের তাগিদে বেরিয়ে পড়ছেন রাস্তায়। রাতে এক ঘণ্টা নিস্প্রদীপ হয়ে মহানগরীর প্রতিটি গলি থেকে রাজপথ আন্দোলনে সামিল হয়েছে। সব বড় রাস্তার মোড়ে জমায়েত হওয়ায় সারা শহর অচল হয়েছে। কিন্তু অফিস ফেরত যাত্রীরা হাসিমুখে তাদের অসুবিধা মেনে নিয়েছেন। সবার মুখে একটাই কথা, “কী হবে আমরা জানি না। শুধু এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই হবে। এই অন্যায়ের বিচার চাই, আর কোনও ধামাচাপা দেওয়া চলবে না।”
এই চলমান গণ বিক্ষোভের অক্সিজেন সরবরাহকারী হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকাও উঠে আসছে। শুধু যে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মহিলাদের রাস্তায় নেমে ‘জাস্টিস ফর আরজিকর’ নামে প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বান জানানো হয় তাই নয়, ওই রাতে আন্দোলনের কর্মসূচী ছড়িয়ে দেওয়াতেও সামাজিক মাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু যে প্রাথমিক ভাবে ‘মেয়েরা রাত দখল কর,’ ‘দ্য নাইট ইজ আওয়ার্স’ ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ প্রভৃতি পোস্টারে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স ছেয়েছিল তাই নয়, ১৪ আগস্ট রাতের পর তা আরও বেড়েছে। শুধু নিত্যনতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণাই নয়, বিশ্বের কোথায় কোথায় এই আন্দোলনের রেশ পড়েছে তার লেখা শুধু নয়, অডিও ভিডিও সবই আসছে। তৈরি হচ্ছে নানান মিম, নানান শ্লোগান। আন্দোলনের সমর্থনে নানান গায়ক গায়িকার গান ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুবনে। এক পরিংখ্যান বলছে বৃহত্তর কলকাতার প্রায় দেড় কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় সোয়া এক কোটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। জন আন্দোলন যে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে তাতে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা।
আরব বসন্ত বা ফেসবুক বিপ্লব

এই জনজাগরণের পিছনে সোশ্যাল মিডিয়ার কতটা ভূমিকা রয়েছে তা নিয়ে নিশ্চয়ই বিশদে আরও গবেষনা হবে। তবে জনগনের আন্দোলনের বাহন হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কিন্তু এই প্রথম নয়।
ইতিহাস বলছে ২০১১ সালের উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়া জুড়ে আরব দুনিয়ায় যে গণ আন্দোলন হয়, তার মূল বাহনই ছিল তৎকালীন টুইটার ও ফেসবুক।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১০ সালের জুন মাসে উত্তর মিশরের প্রাচীন বন্দর শহর আলেকজান্দ্রিয়াতে। আলেকজান্দ্রিয়াতে বছর ছাব্বিশের খালেদ মহম্মদ সইদ স্থানীয় পুলিশের মাদক সংক্রান্ত এক দুর্নীতি ফাঁস করেন। তাঁর পরিণতি হয় ভয়ঙ্কর। মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সিক্রেট সার্ভিস শহরের এক সাইবার কাফের বাইরে খালেদকে খুন করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।
গুগলের মিশরীয় প্রযুক্তিবিদ ওয়েল ঘোনিম এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘উই আর অল খালেদ সইদ’ নামে ফেসবুক পেজ খোলেন। দেখা যায় লাখ ছয়েক মানুষ সেই পেজ দেখেছেন। খালেদের অত্যাচারিত ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়।
গোটা মিশর যখন বারুদের উপর দাঁড়িয়ে আছে, ঠিক তখন ২০১০ সালের ২০শে ডিসেম্বর মধ্য তিউনিশার সিদি বউজিদ শহরে পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মহম্মদ বউয়াজিজি নামে বছর ছাব্বিশের এক ফলবিক্রেতা গভর্নর ভবনের সামনেই আত্মাহুতি দেন। এর পরেই তিউনিশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় বউয়াজিজিকে নিয়ে লেখা শুরু হল। নিহত বউয়াজিজির স্মরণে ফেসবুক পেজ হল।
ক্রমে সিদি বউদির সীমানা ছাপিয়ে ঘটনার রেশ এসে পড়ল তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে। দলে দলে শহরের দরিদ্র মানুষ যারা দেশের ডিক্টেটর বেন আলির শাসনে তিতিবিরক্ত তাঁরা রাস্তায় নামলেন। আন্দোলন থামাতে নির্বিচারে গুলি চলল। দেখা গেল ১৪৭ জন নিহত, শ পাঁচেক আহত। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ আরও ভাঙল মর্গে যেভাবে মৃতদেহগুলি ফেলে রাখা হয়েছে তা দেখে। অবস্থা বেগতিক দেখে বেন আলি ১৪ জানুয়ারি দেশ ছেড়ে পালাল। শুরু হল আরব বসন্তের বিজয় অভিযান।

ডেনিস জি ক্যাম্বেল তাঁর ‘ইজিপ্ট আনস্যাকল্ড-হাউ ওয়ান ফোর্টি ক্যারাক্টরস ক্যান রিমুভ আ ডিক্টেটর ইন এইট্টিন ডেজ’ বইতে লিখছেন, “বেন আলির পতনের পরে বউয়াজিজির আত্মবলিদানকে পুরো আরব দুনিয়া কুর্ণিশ জানাতে থাকে। তারপরই দুই পড়শি আলজেরিয়া আর লিবিয়া থেকে পশ্চিম এশিয়ার বাহরিন, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, সৌদি আরব আর ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে মিশর তখন বারুদের উপরে। ১৮ জানুয়ারি আলেকজান্দ্রিয়াতে আহমেদ হাসেম গায়ে তেল ঢেলে আত্মহনন করেন। আর এই আগুন দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পড়ল নীলনদের দেশে। লক্ষাধিক কণ্ঠের গর্জনে আগুন জ্বলল মিশরীয় রাজধানী কায়রোর কেন্দ্রস্থলের-তাহরির স্কোয়ারে (যার ইংরাজিতে নাম লিবারেশন স্কোয়ার)।
২০১১ সালের ২৪শে জানুয়ারি মধ্যরাতে দেখা গেল হাজারে হাজারে বিক্ষুদ্ধ জনতার মিছিল হাতে তাঁদের ‘উই আর অল খালেদ সইদ’ ব্যানার নিয়ে তাহরির স্কোয়ার পানে চলেছেন। বলা হয় গুগলের প্রযুক্তবিদ ওয়েল ঘোনিমের ফেসবুক পেজ ‘উই আর অল খালেদ সইদ’ ছিল তাদের এই প্রতিবাদের মূল প্রেরণাদাতা।
তাহরির স্কোয়ারে এসেই মহামিছিল যে শেষ হয়ে গেল তা নয়। ২৫ জানুয়ারি ও তার পরের ১৭দিন সারা মিশরের পথ এসে মিশেছিল তাহরির স্কোয়ারে। কয়েক হাজারের জনসমাবেশ ক্রমশ দশ লক্ষাধিক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কোনওভাবে এই জন-বিদ্রোহ দমন করতে ব্যর্থ হয়ে মোবারক পদত্যাগ করেন।
তাহরির স্কোয়ার জন আন্দোলন নিয়ে লেখা ২০১৮ সালে প্রকাশিত ‘ইনটু দ্য হ্যান্ডস অফ দ্য সোলজার্স’ বইয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ডেভিড ডি কার্কপ্যাট্রিক স্পষ্ট দেখান আন্দোলনের শুরু শুধু নয়, সেটা বজায় রাখতেও সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাব ফেলেছিল। রিপোর্টার হিসাবে নিউ ইয়র্ক টাইমসে তাঁর বিভিন্ন প্রতিবেদনে কার্কপ্যাট্রিক অকপটে লিখেছেন তাঁর খবরের মূল সোর্স ছিল আন্দোলনকারীদের ফেসবুক পেজ। কোথায় কখন কী হচ্ছে কোথায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে জমায়েত ভাঙতে আসাদের সংঘর্ষ হচ্ছে, ফেসবুক থেকেই মূলত তার খুঁটিনাটিও জেনে নিতেন তিনি। সাধে কী আর আরব বসন্তের আরেক নাম ফেসবুক বিপ্লব।
হয়তো এই অধুনা আগস্ট জনজাগরণকেও ইতিহাস কোনও তকমা দেবে।
তথ্য সূত্র:
(১) ডেনিস জি ক্যাম্বেল-‘ইজিপ্ট আনস্যাকল্ড-হাউ ওয়ান ফোর্টি ক্যারাক্টরস ক্যান রিমুভ আ ডিক্টেটর ইন এইট্টিন ডেজ’,
(২) ডেভিড ডি কার্কপ্যাট্রিক-‘ইনটু দ্য হ্যান্ডস অফ দ্য সোলজার্স’
মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে